নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরিবারে দায়িত্ব কাধে আসছে। টেনসান বাড়ছে। মাথায় চিন্তা বাড়ছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৯



==> এই গাছের নাম বেড়া চিতা। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Euphorbia tithymaloides। এই গাছ আমি প্রথম দেখি আব্বুর নোয়াখালীর সরকারি স্টাফ কোয়াটারে। আমার ছোট ভাই তখন সেভেন বা এইটে পড়ে। তখন কোথা থেকে যেন এই গাছের ডাল এনে বোতলের ভিতরে রেখে দেয়। বোতলের পানিও ছিলো। শিকড় গজানোর পর, সেই গাছ মাটি তে পুতে।

আমি তখন ইন্টার শেষ করে অনার্স এ ভর্তি হই। থাকি নানী বাড়ি তে। নানী বাড়ি থেকে যখন নোয়াখালী যাই, তখন আমি এই গাছের ব্যাপারে ছোট ভাই কে জ্ঞিগাসা করি। তখন সে জানায়, সে এই গাছের নাম জানে না। সে বিজ্ঞান বই এর “উদ্ভিদ এর অঙ্গজ পদ্ধতি তে বংশ বৃদ্ধি” পড়ে, এই এক্সপ্রেরিমেন্ট করেছে।

আমি এই গাছ আবার দেখি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ লাইনের সামনে। পরে একটি ডাল নিয়ে আব্বুর সরকারি বাসায় লাগাই। ও আরেকটি ডাল নানী বাড়িতে লাগাই। তারপর একটি ডাল কাজী হাসান নামক এক আঙ্কেল কে উপহার দেই।

অনেকদিন পর নানী বাড়িদে গিয়ে দেখি এই গাছ নাই। পরে কাজী হাসান আঙ্কেল এর এখান থেকে একটি ডাল এনে আবার রোপন করি। হয়তো এক সপ্তাহ এর পর শিকড় গজাবে।

==> নানী বাড়িতে থাকি ক্লাস নাইন থেকে। বলতে পারেন ২০০৯ সাল থেকে। ২০১১ সালে যখন এসএসসি পরীক্ষার পর যে ছুটি পাওয়া যায়। কেউ যায়, নানার বাড়িতে কেউ বা যায় তাবলীগে। আমি হতবাগা যে এই তিনমাস নানী বাড়িতে থাকতে পারি নাই। যদিও ইন্টার ও অনার্স পরে নানী বাড়িতে থেকে কমপ্লিট করি।

গত ১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইং তারিখে মুগদা মেডিকেল এ আমার নানী মারা যান। নানী মারা যাবার পর এখন নানী বাড়ি ভালো লাগে না। কেমন যেন শূন্য লাগে। বিরক্ত লাগে। একা লাগে। প্রাণহীন লাগে। ২০০৯ সালে যাদের মুরব্বি হিসাবে দেখেছি তারা এখন বিছানা থেকে উঠতে কষ্ট লাগে। অনেক ভাইয়েরা সম্পত্তি ভাগ করে, ভিন্ন খায়। নতুন বাসা করে থাকে। দীর্ঘ দিনের স্মৃতি বিজারিত পিতার বাসা থেকে নতুন বাসায় উঠেছে। তৎকালিন অনেক যবুক বৃদ্ধ হবার পথে। তাদের চামড়াতে বাধ্যকের ছাপ স্পষ্ট। আগে যারা ক্লাস ওয়ানে পড়তো তারা এইট বা নাইনে পড়ে। সময় কত তাড়াতাড়ি চলে যায়।

হায়। আমিও বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আমার ও সুন্দর সময়, ছাত্র জীবন, গোল্ডেন টাইম শেষ। পরিবারে দায়িত্ব কাধে আসছে। টেনসান বাড়ছে। মাথায় চিন্তা বাড়ছে। এই দুঃচিন্তার চিন্তার জন্য এই বার নানীর বাড়িতে মজা করে রাত কাটাতে পারি নাই। অতছ আগে কত সুন্দর করে, ঘুমাতাম।

আপনাদের মূলবান আত্ন উপলদ্ধি লিখে পাঠাতে পারেন।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:০১

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপনার আত্ন উপলব্ধি।

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৫

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ। কমেন্ট করার জন্য।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:২৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এতো দেড়িতে কেনো পরিবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন? আরো আগে কেনো নেন নাই?

২২ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার জন্য চিঠি রেডি করেছি। আজ আপনার ফোন নাম্বার পেলেই, কাল আপনার চিঠি পোস্ট করবো। আপনাকে যদি খুজে না পায়, সেহেতু আপনাকে পোস্ট মাষ্টার ফোন দিবে। তাই আপনার ফোন নাম্বার দরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.