নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

লুসিয়াসের রুপান্তর Lucius Apuleius(Metamorphoses of Apuleius) The Golden Ass(ধারাবাহিক)

০৩ রা জুন, ২০২১ রাত ১১:৪৯

(২০) লুসিয়াসের রুপান্তর

বাঁশির সুরের মাদকতায় ভেসে ছিল চারপাশটা,দর্শকেরা মেতে উঠলো আরও,যখন ভেনাস ছন্দে ছন্দে আলতো পায়ে,নিতম্ব দুলিয়ে নেচে নেচে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এপাশ থেকে ওপাশে,
হাতের ছন্দটাও মিলানো শরীরের অন্যান্য অঙ্গের সাথে।চোখ নেচে বেড়াচ্ছিল মনের ছন্দে-ছড়াচ্ছিল কামনার সুর।প্যারিসের সামনে গিয়ে ভেনাস বললো-প্যারিস যদি তার পক্ষে থাকে,তবে পৃথিবির যে কোন সুন্দরী মেয়ে থাকবে চাওয়ার রাজ্যে,যে ভেনাসের চেয়ে কোন অংশে কম না।প্যারিস তুলে দিল বিজয়ের চিহ্ন সোনার আপেল -ভেনাসের হাতে।

এখন আইনজীবিদের নিয়ে কটা কথা বলি,আমার মতে সবচেয়ে নিম্নশ্রেনীর পেশা ওটা,
তাদের কাজই হলো সত্যি একটা নাটক করে সাজানো আর বিচার বিভাগের কেরানিদের কাজ হলো কাগজপত্র এধার ওধার করে সত্যি লুকানো।যে যাই বলুক না কেন,যথাযথ বিচার বলে কিছু আছে নাকি এ ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে,না হলে আদি যুগের বিচারে ভেড়া চরানো প্যারিসও,জুপিটারের দেওয়া বিচারকের দায়িত্ব নিয়ে নিরপেক্ষ থাকতে পারেনি,কেন?

যারা অভিজ্ঞ মানুষ-তারা সবাই জানে আগামেননের গল্প,ট্রয়ের যুদ্ধে গ্রিকদের নাম করা সেনাপতি পালামেডাসকে মৃত্যুদণ্ড দিতে দ্বিধাবোধ করেনি,এটা জেনেও যে পালামেডাস ছিল নিরপরাধী।এটাও হয়তো কারও ভুলে যাওয়ার কথা না,ওডিসাস আর এজাক্সের মাঝের দন্দ,কে বেশি সাহসি,কার বীরত্ব ছাপিয়ে যাওয়া আরেকজনকে,এজাক্স না ওডিসাস,অযথার একটা প্রশ্ন।

আগামেনন রায় ছিল ওডিসাসের পক্ষে,যদিও অজানা ছিল না তার,প্রকৃত সময়ে ওডিসাসের বীরত্ব তো দূরের কথা তার খোঁজও পাওয়া যেত না।এটাও কারও ভুলে যাওয়ার কথা না, এথেন্সের তথাকথিত ঐতিহাসিক বিচারকদের সাজানো গল্পকথা,সক্রেটিসের বিরুদ্ধে তাদের রায়ের ইতিহাস।যে সক্রেটিসের জ্ঞানগরিমা ছাড়িয়ে যায় ডেলফির ভবিষৎ বাণীটাও,আর কিছু না সক্রেটিসকে ছলে বলে দোষী সাব্যস্ত করাই ছিল তাদের বিচারের আসল উদ্দেশ্য-অভিযাগ ছিল সক্রেটিস যুবকদের ভুল তথ্য দিয়ে কলুষিত করছে,কিন্ত সত্যি কথা সক্রেটিসের উপদেশ ছিল,অন্ধত্ব ছেড়ে চোখ দুটো আগামীর দিকে নেআ,ভবিষ্যতের নতুন আকাশটা দেখানো।যদিও মানুষ বোঝেনি,তবে তার কথার প্রভাব এমনই একটা প্রভাব ফেলে এথেনিয়ানদের মধ্যে যে আগামীর দার্শনিকদের কাছে তার দর্শন ছিল,জুসের স্বর্গীয় উপদেশের চেয়ে কোন অংশে কম না।

কথাগুলো শুনে হয়তো অনেকেই বিক্ষুদ্ধ হয়ে মন্তব্য করবে, ‘একটা গাধার কাছে বক্তৃতা শুনতে হবে,এগুলোর সাথে তোমার অভিজ্ঞতার কি সম্পর্ক?’ হয়তো কথাটা ঠিক-ফিরে যাই বরং আমার কাহিনীতে।

আমি যা বলছিলাম-প্যারিস ভেনাসের পক্ষে যখন রায় দিল জুনো আর মির্নাভা রাগে দুঃখে চলে গেল তখন-আর ভেনাস,সহচর,সহচরীদের মত্ত হয়ে উঠলো,আনন্দে।পাহড়ের ঝর্না থেকে নেমে আসলো জাফরান মেশানো মদ,মদের কিছু অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে যাচ্ছিল,ইডা পাহাড়ের চরানো ভেড়াদের সাদা পশমের উপর,রং গুলো বদলে হয়ে যাচ্ছিল সোনালী।
সুবাসটাও ছিল সারা নাট্যশালায়,তারপর যান্ত্রিক ভাবে পাহাড় সরে গেল মাটির নীচে।

দৃশ্য শেষ হওয়ার সাথে সাথে একজন প্রহরী ছুটে গিয়ে আনলো খুনী মহিলাকে,,আমার শরীর সঙ্গীনি।সহবাসের বিছানাটা সাজানো ভারতীয় কচ্ছপের হাড় দিয়ে,গদিটা তৈরী করা নরম পালক দিয়ে,নানান নকশার চীন থেকে আনা চাদর।ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না,আমাদের আনন্দের চরম মুহুর্তে খাঁচার বন্য জন্তকে কি ছেড়ে দেওয়া হবে মেয়েটার শাস্তির জন্য, পশুটা শুধু মেয়েটাকে ছিন্নভিন্ন করে কি আমাকে ছেড়ে দিবে,হয়তো বা না।

থেসিয়াস তখন ব্যাস্ত খাঁচার এই মিলন আর সমাপ্তির দৃশ্য পরিকল্পনা নিয়ে,আর তার সঙ্গিরাও ব্যাস্ত হয়ে আলোচনা করছিল সেই অভাবনিয় দৃশ্যটা নিয়ে।আমার শুধু একটাই চিন্তা,কি ভাবে পালানো যায়-কি ভাবে বাঁচানো যায় জীবনটা।আমার নম্র এবং চুপচাপ ভাব দেখে,তখন রশি বা বাঁধন ছাড়াই ছেড়ে দেয়া অবস্থায় একপাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি, সুযোগ পেয়ে একসময় বের হয়ে হলাম গেটের একপাশ দিয়ে,তারপর ছুটতে ছুটতে পৌছালাম প্রায় মাইল সাতেক দূরে সেনচেরায়,করিনিথিয়ানের সবচেয়ে বড় জঙ্গলটা সেখানে,একপাশটা ছুয়ে যায় এজিয়ান সমুদ্র,আরেক পাশটায় করিনিথ উপসাগর।

সেনচেরা নিঃসন্দেহে ছিল একটা নিরাপদ জায়গা-প্রচুর পর্যটকদের ঘোরাফেরা,অত
লোকজনের সামনে না গিয়ে,সমুদ্র সৈকতের একপাশে বিশ্রাম করার বন্দোবস্ত করে নিলাম।সমুদ্রের লোনা জলের ঝাপটা আর অস্ত যাওয়া সুর্য,নিজের অজান্তেই একফাঁকে ঘুমিয়ে পড়লাম।

খুব একটা সময় কাটেনি,ঘুমটা ভেঙ্গে গেল হঠাৎ অদ্ভুত একটা ভঁয়ে-চাঁদের দেবীর শুভেচ্ছায় সমুদ্রে তখন ভাটা সরিয়ে জোয়ারে।পাহাড়ের মাথায়ও ছুটে যাচ্ছিল জলের উচ্ছাস যেন সারা বিশ্বব্রন্ডের নোংরা আবর্জনা নিয়ে তৈরি করবে পবিত্র এক পৃথিবী।এই সুযোগে আমিও নিজেকে বিশুদ্ধ করে নিলাম সমুদ্রের জলে,মাথাসহ সারা শরীর জলে ডুবিয়ে সাতবার স্নান করলাম- প্রখ্যাত দার্শনিক পিথাগোরাসের মতে সাত,একটা স্বর্গীয় সংখ্যা,যে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করা হয় সাতবার শপথে।

‘স্বর্গীয় দেবী হয়তো তুমি সেরিন,তোমার মেয়ে প্রসপেরিনকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে ওলের রুটি খাওয়ার প্রথা বন্ধ করে আরম্ভ ইউলিসিসের প্রসিদ্ধ গমের রুটি খাওয়ার প্রচলন;হয় তো বা তুমি ভেনাস,সমুদের ফেনায় জন্ম,ভালবাসা শেখাও পৃথিবীকে-তোমার অনুদানেই সারা বিশ্বের সবাই জানে কামনার সুর,নারী পুরুষ শরীরের রহস্য,কামনার খেলায় শারিরিক
যোগাযোগ।

হয়তো বা তুমি আর্টেমিস,ফিবোস এপোলোর বোন চিকিৎসক আর যার মাধ্যমেই মেয়েদের প্রসব যন্ত্রনার প্রথম কিছুটা অব্যাহতি,আজও তোমার মূর্তি সাজানো আছে এপিয়াসের মন্দিরে।

হয়তো বা তুমি প্রসপেরিন,অন্ধকারের সেই ভয়াবহ দেবী,যার ভঁয়ে রাতের পেঁচাও কেঁদে উঠে,যার ত্রিমুখের ভঁয়ে লুকিয়ে ভূত প্রেত্মাতারা পালায় অন্য জগতে,বা অন্য যে কোন দেবীই হও তোমার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ-দয়া করো,আমাকে বাঁচাও এই যন্রনার জীবন থেকে।নিয়ে যাও সেই পুরোনো লুসিয়াসে,এই চারপেয়ে গাধার জীবনে আর কতকাল কাটাবো,আর কত অত্যাচার সহ্য করতে হবে এই অধমকে।অব্যাহতি যদি না দাও তবে মরণ দাও আমাকে’।

প্রার্থনা শেষ করে ফিরে গেলাম শোয়ার জায়গায়,ক্ষনকিছু ঘুমের চেষ্টা করছি-অবাক হয়ে দেখলাম হঠাৎ,সমুদের মাঝ থেকে উঠে আসলো এক দেবী,প্রথম দেখা গেল তার মুখ,
তারপর ধীরে ধীরে দেখা গেল শরীরের অন্যান্য অংশ,সেই অভাবনীয় স্বর্গীয় দৃশ্যের বর্ণনা দেওয়া আমার পক্ষে তো দূরের কথা,এই মর্তলোকের কারও পক্ষে কি সম্ভব?অজানা দেবীর কাছে অনুরোধ করলাম,অন্তত এটুকু শক্তি যেন দেয় এই বর্ননায় কিছুটা কাব্য বা সৌন্দর্য যেন থাকে।

লম্বা লম্বা চুলগুলো ছড়ানো ঘাড়ে,যেন একগাদা অলঙ্কার সাজানো নানান ধরণের ফুল দিয়ে।
ভুরুর উপর ছড়ানো চাঁদের আলো,ওটাতে বোঝা যাচ্ছিল দেবীর নাম।বাম হাতে ছিল বেশ কটা পদ্ম গোখরো,ডান পাশে নেমে আসা চুলের গোছা,যার ওপর ভর করে আছে আলোয় ভঁরা চাঁদ।ঝকঝকে নানান রং এ সাজানো পোষাকটা,ধবধবে সাদা একপাশে,আরেক পাশে সোনালী হলুদ,সাথে কিছুটা লালের ছোঁয়াচ।সারা পোশাক জুড়ে কারুকার্য করা নানান ফুলের বাহার,তবে যা অবাক করলো আমাকে,সেটা পোষাকের ওপর জড়ানো কাল মখমলের চাদর।চাদরটা ছড়ানো বা কাধ থেকে নিতম্ব পর্যন্ত-সাজানো ভাঁজের পর ভাঁজে।

ডান হাতে জড়ানো ছিল সোনার একটা ঘন্টা,দামী পাথর দিয়ে সাজানো যার শব্দে স্বয়ং সিরোকো পর্যন্ত ভয়ে কাতর।বাম হাতে অজানা একটা অস্ত্র অনেকটা নৌকার মত দেখতে, যে কোন সময় আঘাত করার জন্যে প্রস্তত।পায়ে তাল পাতার জুতা,বিজয়ের চিহ্ন দিয়ে সাজানো।

সারা আরব জগতের সুবাস যেন আমার নাকে ছড়িয়ে পড়লো যখন দেবী আমাকে ডেকে বলে উঠলো, ‘লুসিয়াস,আমি তোমার পূজার ডাকে থাকতে পারিনি,আমি ধরিত্রি,সময়ের প্রথম,সবকিছুর উদ্ভব আমার থেকেই,আমি মৃতদের দেবী,দেবী আমি জীবিতের।সমস্ত দেব দেবীদের এক সামগ্রিক রুপ,আমার মাথা নড়লেই নড়ে উঠে সমগ্র স্বর্গ রাজ্য,সমুদ্রের বাতাস ছুটে যায় এপাশ থেকে ওপাশ আর নিস্তবদ্ধতায় ভঁরে যায় মরলোক।আমার পুজো হয় অনেক নামে,নানান পদ্ধতিতে পূজো হয় আমার,পৃথিবী জুড়ে।আদিম যুগের ফ্রেগিয়ানদের কাছে আমি ছিলাম পেসিনুনটীকা-সব দেব দেবীদের মা।

এথেন্সের লোকজনের কাছে আমি সেপ্রোয়িয়ান আর্টিমেস,সাইপ্রাস দ্বীপের লোকজনের কাছে আমি পাপিয়ান আফ্রোদাইতি,ক্রীটের তীরন্দাজদের কাছে আমি ডিকটাইনা,ত্রিভাষি সিসিলিয়ানদের কাছে আমি মরলোকের দেবি প্রসপেরিন আর ইলিসুয়ানদের কাছে আমি তাদের আদিম কৃষিকাজের দেবী।

‘কেউ কেউ জানে আমাকে জুনো বলে,কেউ ডাকে আমাকে যুদ্ধের দেবী বেলোনা হিসাবে, কেউ বলে আমাকে হেকাটে,আবার কারও কাছে আমি রাহমনাবিয়া-এ দূটো অবশ্য শুধু ইথোপিয়ানদের কাছে।

তবে মীরস্য জাতির অধিবাসী,যাদের জ্ঞান দক্ষতা ছড়ানো সারা পৃথিবিতে,তারা আমাকে পুজো করে আমার আসল নাম-দেবী আইসিস হিসাবে।তোমার কান্না সহ্য করতে পারিনি।কান্নাকাটি করো না,তোমার এই যন্রনা অব্যাহতি হবে খুব শীঘ্রী-আমি তোমাকে সাহায্য করবো।এখন ভাল করে শোন,এটা আমার আদেশ’।

‘আগামিকাল পুরোহিতেরা বছরের প্রথম ফসলের পুজা করে ফলমুল সাঁজিয়ে একটা সমুদ্রগামি জাহাজ উৎসর্গ করবে আমাকে,যেন সেটা নিয়ে আসে শীতের ঝড়ো বাতাস,আকাশ ছোঁয়া ঢেউ,আর সমুদ্র যাত্রায় কোন ব্যাঘাত না হয়।তুমি অপেক্ষা করবে পুজার সময়টার জন্যে-মনটা পরিষ্কার রাখবে,কোন দুশ্চিন্তা না,কোন অবিশ্বাস না,আমি মহাপুরোহিতকে স্বপ্নে দেখায় আদেশ দিব গোলাপ ফুলের মালা আনার জন্যে,ডান হাতের ঘন্টার সাথে।দ্বিধা করবে না ঐ শোভাযাত্রায় যোগ দিতে,দরকার হলে লোকজনকে সরাবে,তোমার দরকার কোনভাবে পৌঁছানো মহাপুরোহিতের কাছে,যেন তাকে তোমার সম্মান দেখাতে গিয়ে তার হাতে চুমু খাচ্ছ।ধীরে ধীরে তার হাতের গোলাপের পাপড়িগুলো একটা একটা করে খাবে,তোমার এই চারপেয়ে চেহারা থেকে আসল রুপে আসতে কোন সময়ই লাগবে না’।

‘বিশ্বাস হারাবে না কোন সময়,আমার আদেশগুলো খুবই সহজ,তেমন একটা দুরুহ কোন কাজ না।এই যে এখন তোমার সাথে কথা বলছি-একই সাথে আমি ঘুমন্ত মহাপুরোহিতকে তার স্বপ্নে আমার আদেশগুলো বলে দিচ্ছি,আর কাল ঐ শোভাযাত্রার মানুষের দল তোমার জন্যে পথ করে দেবে।

ভয় করবে না,আমি অবশ্যই এটা বলে দিতে পারি অত ভিড়ের মধ্যে কেউ খেয়ালই করবে না,তোমার এই বীভৎস রুপ-এটাও খেয়াল করবে না তোমার হঠাৎ করে গাধা থেকে মানুষে রুপান্তর হওয়া।তবে মনে রাখবে আজ থেকে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তোমার আনুগত্য থাকবে আমার প্রতি,তা ছাড়া এটাই তো মানানসই,যে দেবী তোমাকে এই অভাবনীয় যন্ত্রনার থেকে উদ্ধার করলো তার প্রতি তোমার আনুগত্য থাকবে,
এটাই স্বাভাবিক।

আমার আনুকুল্যে তোমার খ্যাতি প্রতিপত্তির কথা ছড়াবে চারপাশে,আবার জীবন শেষে মরলোকেও আমি থাকবো তোমার সহায়।ইলিশিয়ান ক্ষেত থেকে তুমি দেখতে পাবে আমাকে মরলোকের রানী হিসেবে-এচানোনের অন্ধকার ছাড়ানো রাজ্যে,এক দেবি যে সত্যি সত্যিই মানুষের উপকারের চিন্তা করে,যে ভাবে আমাকে দেখছো এখন।এটা মনে রাখবে তুমি আমার আদেশ,বলে দেওয়া পথ ঠিকমত মেনে চলো-শুধু আনন্দ প্রতিপত্তিই পাবে না,দীর্ঘজিবি হবে,
একমাত্র আমি সেই দেবী যার পক্ষেই সেটা করা সম্ভব’।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: আজকের পর্ব টা অনেক সুন্দর লাগল।

১৭ ই জুন, ২০২১ রাত ১২:৫২

ইল্লু বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.