নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

লুসি্যাসের রুপান্তর Lucius Apuleius(Metamorphoses of Apuleius) The Golden Ass(ধারাবাহিক)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৯

কিউপিড আর সাইকি-তৃতীয় পর্ব(৩)


‘সাইকি দুঃখ ভরা মনে কিউপিডের খোঁজে ছুটে বেড়াচ্ছিল,দেশ থেকে দেশান্তরে,কি ভাবে বোঝাবে তার ভুলটা,কিউপিড তখন স্বর্গে মায়ের ঘরে শুয়ে ,যন্ত্রণায় কাতর হয়ে এপাশ ওপাশ করছে।ভেনাস তখন সমুদ্রে খেলায় ব্যাস্ত,একটা গাংচিল সাদা ডানা মেলে ছুটে গিয়ে তাকে জানালো কিউপিডের খবরটা।গাংচিল অবশ্য এটাও বলতে ভুলে যায় নি,যা অবস্থা তাতে- হয়তো কিউপিডের এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া বেশ কষ্টকরই হবে।সূযোগ পেয়ে এটাও বলতে ছাড়েনি গাংচিল-ভেনাস পরিবারের বদনাম এখন শুধু দেবলোকে না মর্তলোকেও।দেবতাদের মধ্যে আগে তো একটা গুজব ছিলই,কিউপিড নাকি কোন এক পাহাড়ে,মর্তের এক মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িত,সেটা দুঃখের কথা হলেও,আরও লজ্জা আর অপমানের কথা যে,মেয়েটা কিউপিডকে ছেড়ে চলে গেছে অন্য আরেক পুরুষের সাথে সমুদ্র সৈকতের কোথাও।

“ফলটা কি হবে সেটা তো সবারই জানা”খোঁচা দিয়ে গাংচিল বললো,“ভালবাসার দেবী ভেনাস-আনন্দ,হাসি,খেলা চলে যাবে পৃথিবী থেকে,নোংরামি,দাঙ্গা আর অশোভনীয়তায় ছেয়ে যাবে চারপাশ।ভালবাসার আবেগ হারাবে প্রেমিক প্রেমিকা,বন্ধু হারাবে বন্ধুর জন্যে উদ্বেগ,
ছেলেমেয়ে হারাবে বাবা মার জন্যে ভালবাসা-ভালবাসা চলে গেলে আর কি থাকবে,পৃথিবী হয়ে যাবে একটা জগন্য নোংরামির জায়গা”।

‘বাঁচাল,পাখীটা শেষমেষ সার্থক হলো ভেনাসকে খোঁচা দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে রাগাতে।ভেনাস চীৎকার করে বললো-“তা হলে আমার সুসন্তান কিউপিড এখন রক্ষিতা জোগাড় করতে ব্যাস্ত?গাংচিল তুমিই কাছের একজন,যার এখনও কিছুটা অনুভূতি আছে আমার জন্যে,তুমি কি মেয়েটার নাম জান,যে আমার সহজ সরল ছেলেটাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নষ্ট করলো?
মেয়েটা কি পরীদের একজন,নাকি হরেদের কেউ(বিভিন্ন ঋতুর অপ্সরী),নাকি মুইসেসদের কেউ(দেবতাদের রাজা জুসের মেয়েরা),নাকি আমার শিক্ষা দেয়া গ্রেসদের কেউ”?

গাংচিলের ঠোঁট উশখুশ করছিল চারপাশে গুজবটা ছড়ানোর জন্যে-উত্তর দিল সে, “জানা নাই ঠিক,তবে আমার স্মৃতিশক্তি যদি অত দুর্বল না হয়,মনে হয় মর্তের এক মেয়ে,নামটা যতদূর শুনেছি,সাইকি”।

‘রীতিমত খেপে গেল ভেনাস-“কি বললে!স্বর্গের এত মেয়ে থাকতে শেষ পর্যন্ত সেই শয়তানের সাথে,যে আমার সৌন্দর্যের সমকক্ষতা দাবী করছে-আমার প্রতিদন্দী,এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না কোন ভাবেই।আমি পাঠালাম মেয়েটাকে শাস্তি দেয়ার জন্যে,
আর শয়তানটা সেখানে প্রেমের খেলায় ব্যাস্ত হয়ে পড়লো,কি পেলো আমাকে,ঐ কুটনি,মেয়ে আমার ছেলেকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নষ্ট করলো,না শাস্তি দিতেই হবে ঐ শয়তানটাকে ”।


‘তাড়াহুড়া করে সমুদ্র থেকে ভেনাস-ছুটে গেল তার সোনা মোড়ানো ঘরে,একপাশে শুয়ে ছিল অসুস্থ কিউপিড,যন্ত্রনায় অস্থির।ভেনাস চীৎকার করে জিজ্ঞাসা করলো -“এটা তোমার কি ব্যাবহার?এ ধরণের ব্যাবহারে তোমার,না পরিবারের অন্যান্য কারও সুনাম হবে ?মায়ের মান সম্মান একেবারেই ধূলিসাৎ করে দিলে-মায়ের মর্যাদা রক্ষা না করে,ঐ শয়তান মেয়েটার সাথেই বিছানায় শুয়ে পড়লে?এই বয়সেও তোমার কাণ্ডজ্ঞান হয়নি-লম্পট ছেলে কোথাকার?


কি ভেবেছ তুমি,খুব খুশী হবো আমি ঐ মেয়েকে আমার ছেলের বৌ হিসেবে পেয়ে?
চরিত্রহীন,লম্পট,কোন কিছুই গায়ে লাগে না তোমার,ভাবছো একেবারেই বুড়ী হয়ে গেছি,আর ছেলে পেলে হওয়ার সম্ভাবনা নাই আমার!পরিষ্কার জেনে রাখ এখনও সময় আছে আমার সন্তান হওয়ার,হয়তো তোমার চেয়ে হাজার গুনে গুণান্বিত হবে,সেই সন্তান।তোমাকে ত্যাজ্য করে তাকেই করবো আমার উত্তরাধিকার।না,তার চেয়ে হয়তো এটাই আরও ভাল শাস্তি হবে,
ক্রীতদাসদের একজনের ছেলেকে দত্তক করে নিয়ে ঐ ডানা দুটো,তীর,ধনু্‌ক,মশাল ফেলে রাখবো ঘরের এপাশে,এভাবে ব্যাবহার করার কথা ছিল না তোমার।তোমার তো জানা আছেই তোমার বাবা ভলকানের দেয়া নয় একটাও।আসলে ছোট বেলা থেকেই মানুষকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ পাও তুমি।

গুরুজনদের সম্মান করতে ভুলে গেছ,তাদের দিকে তীর ছুড়তেও দ্বিধা করনি,মায়ের খুনী তুমি।তুমি আমাকে ঠাট্টা করে ডাক “বিধবা” বলে,তোমার সাথে সম্পর্ক তেমন জোরালো না বলে।তোমার সাহসী,অপরাজেয় সৎবাবা মারস এর প্রতি কোন সম্মান তো দেখাওই না,বরং আমাদের সম্পর্কে ভাঙ্গন ধরানোর জন্যে উঠে পড়ে লেগে আছ,এটাও দ্বিধা করনি,সুন্দরীদের লেলিয়ে দিতে মারস এর দিকে,যাতে,ঈর্ষায় ভেঙ্গে পড়ি আমি।এখন বুঝবে তোমার খেলার ফল-এই বিয়েটা দেখ কি করে তোমার জীবনে,বিতৃষ্ণার স্বাদ থেকে যাবে চিরদিনের জন্যে”।

‘কোন উত্তর দিল না কিউপিড-ভেনাস মনে মনে বললো,“জানি না কি ভাবে আমি মুখ দেখাবো সবাইকে।কি ভাবে ধরে আনবো ঐ বিষাক্ত সাপটাকে?এখন আমাকে যেতেই হবে সফ্রোসাইনির কাছে-তার সাথে কোন সময়ই ভাল ব্যাবহার করিনি, ঐ বেখাপ্পা,গেয়ো,চালচলন ছাড়া শত্রুটার সাহায্য নেয়ার কথা চিন্তা করেই কাঁপুনি আসছে আমার।তবে প্রতিশোধ মধুর সবসময় সেটা যে ভাবেই আসুক না কেন।সে ভাল একটা শিক্ষা দিবে জন্তটাকে,আর ছিড়ে দেবে ওর ধনুকের বাধন,ভোতা করে দেবে ওর তীরগুলো,নিবিয়ে দেবে ওর মশাল।কেটে ফেলবে ওর মাথার সোনালী চুলের বহর,বুকের দুধ খাইয়ে ওর চুলগুলো আমার নিজের হাত আচড়ে দেওয়া,কেটে ফেলবে ওর ডানাগুলো।এর পর হয়তো কিছুটা শান্তি আসবে মনে আমার”।

‘দৌড়ে বের হয়ে গেল ভেনাস,মাঝপথে দেখা হলো তার সৎ মা জুনো আর খালা সেরেস এর সাথে,ভেনাসের চোখের কোনের কালি দেখে,বলে উঠলো দুজনেই,“কেন এই দূরবস্থা আমাদের প্রিয় ভেনাসের,কোন দুঃখে নষ্ট করে ফেলছো,তোমার সৌন্দর্য”।ভেনাস উত্তর দিল-“ভালই হলো তোমাদের সাথে দেখা হয়ে,রাগটাকে একটু ঠাণ্ডা করা দরকার।তোমাদের সাহায্য দরকার, তোমরা কি চেন এই সাইকি নামের জন্তটাকে?কে সে, কি তার বংশ পরিচয়,এর মধ্যে নিশ্চয় শুনেছ আমার কুলাঙ্গার সন্তানের কেলেঙ্কারির কথা,জানই তো সেটা কাকে নিয়ে”।

‘সব কিছুই জানতো জুনো,ভেনাসকে আদর করে বললো-“ শোন মা,এটা নিয়ে দুঃখ করো না,কেন তুমি মেরে ফেলতে চাও মেয়েটাকে,তোমার ছেলে তো পাগল ওর জন্যে?কি অপরাধ করলো মেয়েটা,ওর অপরাধ তো শুধু ভালবাসার?ভেবে দেখ,এক সুন্দরীর সাথে বিছানায় যাওয়া,কি অপরাধ,মনটা যখন ছুটে যায়,শরীর কি আর থেমে থাকে”?

‘সেরেস বললো-“দেখ মা,তোমার কাছে কিউপিড,এখনও সেই ছোট্ট ছেলেটা,চেহারায় যদিও বোঝা যায় না,তবে ও তো এখন রীতিমত যৌবনে।তুমি কি ভুলে গেছ তোমার যৌবনের কথা?আর জুনো তোমাকেও বলি, নিজে তুমি,মা আর মেয়ে হয়ে কি ভাবে বললে কথাটা,কি ভাবে নাক গলাচ্ছো ঐ ছেলেটার ব্যাক্তিগত সমস্যায়। কোন দেবতা বা মানুষ সহ্য করবে না,তোমার এই ব্যাবহার ভেনাস,তুমি নিজেই মানুষের মধ্যে জাগিয়ে তোল কামনার জোয়ার আবার সেই তুমিই তোমার ছেলের কামনার উৎসকে দমন করার জন্যে উঠে পড়ে লাগলে?পৃথিবীর সব মেয়েদের ভালবাসা,কামনার স্রোত থামিয়ে দিবে”?


‘সেরেস আর জুনো দুই দেবী,তাদের মনের আসল কথাটা প্রকাশ করে নি ভঁয়ে,ভঁয় তাদের কিউপিডের তীর,তাই তাদের পক্ষে মতামত প্রকাশ করাটাই ছিল বুদ্ধির কাজ।ভেনাস কোন সাহায্য না পেয়ে উড়ে গেল,সমুদ্রে্র দিকে’।

০০০০০০

‘এদিকে সাইকি,খুঁজে বেড়াচ্ছে স্বামীকে দিন নেই-রাত্রি নেই,ক্লান্তি নেই শরীরে।যতই রেগে থাকুক না দেবতা স্বামী,কোন না কোন ভাবে মানিয়ে নিবে ভালবাসার কথায়,শরীরের ভাষায়-না হয় হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইবে চোখের জলে।খুঁজতে খুঁজতে একদিন পাহাড়ে লুকানো এক মন্দিরে- পৌছালো সাইকি,মনে ক্ষীন একটা আশা,“এমনও হতে পারে এখানেই আছে আমার স্বামী”,এক পাথর থেকে আরেক পাথরে পাহাড়ের চড়াই উতরাই পার হয়ে অনেক কষ্ট পৌছালো মন্দিরে।মন্দিরে পৌঁছে সাইকি দেখে-পড়ে আছে পূজোর গম,বার্লি,কাস্তে তা ছাড়া চাষবাসের অন্যান্য জিনিষপত্র,এলোমেলো ছড়ানো ছিটানো।

‘সব কিছু তুলে গুছিয়ে নিয়ে জায়গামত সাজিয়ে রাখলো সে-যে দেবতার মন্দিরই হউক না কেন,যথাযথ সম্মান দেখানোটাই স্বাভাবিক।মন্দিরটা ছিল-দেবী সেরেস এর,সাইকির কাজ কম্ম দেখে অবাক হলো দেবী সেরেস-“হতভাগী সাইকি,ভেনাস ক্ষেপে আছে আর পাগলের মত খুঁজছে তোমাকে,অপেক্ষা করছে তোমার ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যে।এটা ভেবে অবাক হচ্ছি,নিজের ভালমন্দ ফেলে,তোমার সময় আছে আমার মন্দিরে পূজোর জিনিষ সাজিয়ে দেওয়ার জন্যে”।


‘দেবী সেরেসের পায়ে মাথা কুটে কুটে চোখের জলে প্রার্থনা নিবেদন করলো সাইকি,সাইকির চুলগুলো পড়ে ছিল মন্দিরের মেঝেতে, “দেবী তোমার হাতে আছে ফসল,তোমার আর্শিবাদে সুখী হয় শহর গ্রাম।

তোমার কাঁধে বসে ইলিউসিস,সবকিছু লুকিয়ে রাখে সম্মানের জন্যে-আমাকে সাহায্য কর,তোমার অভাগী এই ভক্ত সাইকিকে সাহায্য কর।কটা দিনের জন্য আমাকে লুকিয়ে রাখ তোমাকে উৎসর্গ করা গম,বার্লির মাঝে,মহাদেবী ভেনাসের রাগটা ক্ষান্ত হউক এর মাঝে, না হয় কটা দিন আমি জুড়িয়ে নেব ক্লান্তি আমার,ছুটে যাওয়ার এই পথটায় আমাকে একটুকু আশ্রয় দাও,কিছুক্ষনের বিশ্রাম,আর কিছু চাই না”।

‘দেবী সেরেস উত্তর দিল-“তোমার কথাগুলো সত্যি সত্যিই আমার মনটা ছুঁয়ে গেল,আমি তোমাকে সাহায্য করতে চাই ,কিন্ত আমার সাহস নাই ভায়ের মেয়েকে রাগিয়ে দিতে।সে আমার পুরানো বন্ধু-বিপদে দুঃখে আমার পাশে আছে যে কোন সময়,আর তাকে একবার যদি জানার সুযোগ হয় তোমার,দেখবে সে সত্যিই এক দয়াময়ী দেবী।আমি তাকে খেপাতে চাই না, দয়া করে এই মুহুর্তেই আমার মন্দিরটা ছেড়ে যাও তুমি ,উপায় নেই-একদিক দিয়ে ভাগ্যবতী তুমি আটকে রাখিনি তোমাকে”।

‘চলে যেতেই হলো সাইকিকে,মনটা দুঃখে ভেসে যাওয়া আরও-নানান ভাবনায় অস্থির।কিছু দূর হেটে সাইকি পৌছালো নতুন আরেক মন্দিরে-সবার কাছে ওটা পবিত্র জঙ্গল হিসাবে পরিচিত,ভঁয় ভঁরা মনে-ছোট্ট একটা আশা যদি কোনরকম সাহায্য একটা পায়,মন্দিরে ঢুকে আবার আবেদন করলো সাইকি অজানা দেবতার কাছে সাহায্যের জন্য।আশপাশের গাছগুলো ভঁরা দেবতার উৎসর্গ করা উপহারে,মন্দিরের দরজায় ঝোলানো ছিল দামী দামী কাপড়,সোনার অক্ষর দিয়ে লেখা দেবীর নাম, ‘জুনো,আর ভক্তদের প্রার্থনা মেনে নেওয়ার গল্প।

‘পূজোর বেদীতে-বলির রক্তের দাগ লেগে আছে তখনও,সাইকি হাঁটু গেড়ে প্রার্থনা আরম্ভ করলো-“জুপিটারের বোন,সহধর্মীনি,জানিনা এই মুহুর্তে কোথায় আছ তুমি,হয়তো এই সময় তুমি সামোসে-সামোয়ানদের বড় গর্ব তোমাকে নিয়ে,ওটা নাকি তোমার জন্মস্থান,দূরন্ত ছোট বেলা কাটানো যে সেখানে।ওখানে আছে,তোমার প্রিয় শহর কারথেজ,কারথেজের উঁচু পাহাড়গুলো তোমার খুব পচ্ছন্দ,ওদের কাছে তুমি সেই দেবী-যে উড়ে যাচ্ছে সিংহ সাজানো রথে।হতে পারে তুমি এখন আরগোসের দেয়ালে-ইনাকুস নদীর পাশে,আরগোসের লোকজনের কাছে তুমি স্বর্গের রানী,দেবতাদের রাজা বজ্রেরাজ জুসের ঘরণী।যেখানেই থাক না তুমি,তোমার খ্যাতি ছুটে গেছে পূর্ব থেকে পশ্চিমে,পূর্বের সবাই তোমাকে পূজো করে জিগিয়া হিসেবে,স্বর্গ মর্তের রক্ষাকর্ত্রী।পশ্চিমে সবাই তোমাকে পূজো করে লুসিনা হিসেবে,দেবী,সন্তান প্রসবের।তোমার কাছে আবেদন জানাই-স্বর্গ মর্তের রক্ষাকত্রীর কাছেঃআমার দিকে একটু নজর দাও, রক্ষা করো আমাকে এই চরম বিপদ থেকে।দেবী আমি সত্যি সত্যিই ক্লান্ত,বড়ই ভয়ে কাতর,জানি তোমার সাহায্যে কার্পন্য নেই বিশেষ করে গর্ভবতীদের জন্যে,যারা আছে বিপদে”।

‘জুনো স্বর্গীয় গরিমা নিয়ে সশরীরে দেখা দিল,দুঃখ ভারাক্রান্ত সুর ছিল তার বানীতে-“ইচ্ছা থাকলেও তোমাকে সাহায্য করা সম্ভব হবে না স্বর্গীয় নিয়ম কানুনে আমার আশপাশ বাধা,তুমি জান আমার ছেলে ভলকান বিয়ে করেছে ভেনাসকে।তা ছাড়া ভেনাস আমার নিজের মেয়ের মত-তুমি তো জানই,নিয়মমত এটা সম্পুর্ন বেআইনি কোন ক্রীতদাসীকে প্রভুর অনুমতি ছাড়া সাহায্য করা”।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সৎ মা কোনোদিন আপন হয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.