নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

Lucius Apuleius(Metamorphoses of Apuleius)- The Golden Ass(ধারাবাহিক) অনুবাদ

০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৮





লুসিয়াসের রূপান্তর-তৃতীয় অধ্যায়

থেলিফাইরনের কথা।

কদিন পর বাররাহেনাস খালার কাছ থেকে একটা চিরকূট পেলাম,তার বাড়ীতে আমন্ত্রন।মনে হলো কোন ভাবে এই আমন্ত্রন এড়ানো সম্ভব হবে না।ফটিস সর্তক করে দিয়ে বললো-যে রাতের দিকে হেপাতায় এক মাস্তানের দল বেশ গোলমাল করে বেড়াচ্ছে,ইচ্ছেমত লোকজনকে মারধর,ছিনতাই কোনটাই বাদ নেই ওদের।মোটামুটি ওরা সবাই শহরের সব নামীদামী লোকজনদের ছেলে,তাই আইনকানুন যেন ওদের জন্য প্রযোজ্য নয়,সচরাচর যা হয়।

অনেক অনিচ্ছা সত্বেও গেলাম,বারহেনাস খালার বাসায়-মনটা যদিও পড়ে ছিল ফটিসের দুই স্তনের মাধুর্যতায়-ঐ স্বর্গীয় সুখ ছেড়ে অযথার সময় নষ্ট করার ইচ্ছে ছিল না আমার,তবে উপায়ও ছিল না কোন।

বিরাট জমজমাট এক অনুষ্ঠানের ছবি যদিও ছিল আমার মনে-তবে দেখে মনে হলো না তেমন জাকজমকের খুব কিছু একটা না,তবে হেপাতার নাম ডাকের সবাই ছিল সেখানে। সুন্দর কারূকার্যের কাঠের টেবিল সাজানো-প্রতিটা টেবিল ছিল এক এক নতুন কারূকার্যের।
সোনালী পাতায় মোড়ানো ছিল বসার আসনগুলো-চমকদার পোশাক পরা কজন যুবতী খাবার আনা নেওয়ায় ব্যাস্ত, মদেরও অভাব ছিল না।

এক ফাকে বাররাহেনাস খালা আমাকে ডেকে বললো-‘লুসিয়াস এটা ঠিক,থিসালির মত
মন্দির,আরাধনার জায়গা নেই অন্য কোথাও।হেপাতার সমুদ্র সৈকতের নামডাক আছে অনেক-
গরমের ছুটিতে প্রচুর লোকজনের আনাগোনা এখানে।থিসালী অবশ্যই অন্যনা-তারপর
হেপাতার উল্লেখ না করে উপায় নেই’।

‘হেপাতার যাদুমন্ত্র,ডাইনীদের গল্পকথাও আছে-বদনাম হয়তো হেপাতার সৌন্দর্য ছাড়িয়ে যায়,আর বদনামের কথা ভোলার উপায় ও তো নাই’।

কথাগুলো শুনে,হঠাৎ দেখি আমাদের টেবিলে বসে থাকা,গন্যমান্য কেউ একজন(পোষাক দেখে মনে হচ্ছিল)বেশ রেগেমেগে চলে যাচ্ছে।

বাররাহেনাস খালা কিছুটা বিব্রত হয়েই প্রশ্ন করলো-‘থেলিফাইরন,এত মাথা ঘরম করার কি আছে?একেকজনের একেকটা মন্তব্য করা এমন কিছু অস্বাভাবিক কিছু তো না।তা ছাড়া হেপাতার যাদুমন্ত্র,ডাইনী,যাদুকরদের কুখ্যাতি খুব একটা অজানাও তো না?আপনার নতুন
অভিঙ্গতার গল্প শোনার অপেক্ষা করছে সবাই,সেটা বলেন।এবার হেপাতার নতুন কোন অংশে যাওয়া-হলো এবার’?

থেলিফাইরন কিছুটা বিরক্তির সাথেই বললো-‘আপনার আতিথেয়তার প্রশংসা না করে উপায় নেই।কিন্ত আপনার অতিথিদের অনেকেরই জ্ঞান নেই-ঐতিহ্য,ইতিহাস নিয়ে।এ অপমান সহ্য করার মত না,আমি উঠি,এ আমার জন্যে বিরাট একটা অপমান’।


বাররাহেনাস খালা কিছুটা রেগেই বললো-‘যেতে পারেন আপনি,তবে সেটা আমাকে অপমান করাই হবে।এর পর আমার আর বলার কিছু নাই’।

বাধ্য হয়ে আর কিছু না বলে-থেলিফাইরন মাথা নিচু করে কিছুক্ষন বসে থাকলো,তারপর যেন তার অজান্তেই বলা আরম্ভ করলো তার অভিঙ্গতার কাহিনী,

‘তখন আমি মিলেটাস শহরে,পড়াশোনা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ে-ঘোরাফেরার ব্যাপারে আমার বরাবরই একটু দূর্বলতা,গরমের ছুটিতে আমরা কজন অলিম্পিকের খেলার প্রতিযোগীতা,
থিসালীতে।দিনের শেষে ফিরছি-দেখি এক মোড়ে দাঁড়িয়ে একজন বুড়ো,পাশে কজন লোক চিৎকার করে কিছু একটা বলছে,মনে হলো তাদের পাশে সাদা কাপড়ে মোড়ানো এক লাশ।আমার কৌতুহলের উত্তরে,একজন বললো,যে কেউ রাতে ওই লাশকে পাহারা দিলে তাকে দেওয়া হবে-একহাজার ড্রাকমা।এটা আমার কাছে এটা ছিল সত্যি সত্যিই অবাক হওয়ার মত কথা।

আমি নানান প্রশ্ন করছিলাম লোকজনকে,কিছুটা অবাক হয়েই একজন উত্তর দিল-‘তুমি নিশ্চয় থিসালীতে নতুন,মনে হয় জানা নেই তোমার তাই এখানকার অদ্ভুত চালচলন।
থিসালীর লোকজন,মরা মানুষের শরীর কেটে ব্যাবহার করে যাদুর কাজে,বিশেষ করে ডাইনীরা।এই ডাইনীরা আবার নানান রূপবদল করে নিতে পারে যে কোন সময়-কোন সময় হয় পাখী,কোন সময় হয় কুকুর আর এই ভাবেই,মানুষের শরীরের অংশ ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা।যে যা পারে,কেউ নিয়ে যায় চোখ-কেউ কান,ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া যে কোন ভাবে’।

আমি কিছুটা হেসেই বললাম,আমার আপত্তি নেই এই কাজে,তবে ঐ একহাজার ড্রাকমা চাই আমার।আশের পাশের লোকজন সবাই আমাকে সর্তক করে দিচ্ছিল-মৃত ব্যাক্তি বেশ নামীদামী এক ব্যাবসায়ীর ছেলে,আমি যেন কার্পন্য না করি,আমার কাজে।আমি সাহসের সাথে সবাইকে বললাম ওসব আষাঢ়ে গল্পে ভয় নেই আমার।

বুড়ো মানুষটা আমাকে নিয়ে গেল সামনের বাড়ীটায়,বাড়ীর শেষ দিকটায় হাল্কা বাতির একটা ঘর।বসে ছিলখোলা চুলে বসে থাকা বেশ কমবয়সী এক মহিলা-মুখটা ঢাকা চুলে,হাল্কা
সুরে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ আসছিল।মেয়েটার চুল সরানো চোখ মুখ ছিল কৃতঙ্গতায় ভঁরা,কেউ একজন রাতের এই দুরূহ মূহুর্তে মৃতদেহকে সঙ্গ দেওয়ার জন্যে।

এরপর বুড়ো ডেকে আনলো সাক্ষীদের-সাতজন সাক্ষী,সবাইকে দেখিয়ে দিল যে লাশের কোন অংশে কোন ক্ষত নাই।একটু ভিড় কমে গেলে মৃতের যুবতী বৌ এর কাছে আমি অনুরোধ করলাম,একটা রাত কাটানোর তেল সহ বাতি,এক বোতল মদ,খালি গেলাস,গরম পানি,বাসি কাঁচামাংস আর সবজি নিয়ে আসার জন্যে।

আমার অ্নুরোধে বেশ রেগেই প্রশ্ন করলো মৃতের কমবয়সী বৌ-‘এটা কি মশকরা করার জায়গা নাকি?মরা বাড়ী-সেখানে বাসি মাংস আর সবজী খুঁজছেন,চুলোয় আগুন পড়েনি পুরো সপ্তাহটা,সেটা জানেন।আমাদের দুঃখে না কাঁদলেও অন্তত সমবেদনা তো জানাতে পারেন।
শোন,মিথিনা,বাড়ীর ভেতর থেকে বাতিটা নিয়ে আয়-আর শোন যেন তেল ভর্তি করা থাকে,দরজাটাও বন্ধ করে দিবি,কেউ যেন না ঢুকতে পারে’।

থেলিফাইরন বললো-কোন প্রতিবাদ না করে আমি আমার নতুন অভিযানের জন্যে প্রস্ততি নিলাম,একা-পাশে পড়ে আছে একটা লাশ,চলে যাওয়া মানুষ,অচেনা আমার,তবু তার দায়িত্বে বসে আছি।চোখ দুটো বিনিদ্র প্রহরীর একনিষ্ঠতায়,আর ভঁয় ভঁরা-মনের রাজ্যটা।

নিস্তব্ধতা,একগাদা এলেমেলো চিন্তায় কোন এক সময় আমি কিছুটা তন্দ্রায়,খেয়ালই ছিল না-ঘুমভাঙ্গা চোখে দেখি দরজায় দাঁড়িয়ে আছে একটা বেজী,আর চোখদুটো সোজাসুজি তাকিয়ে আছে আমার দুটো চোখে।আমি চিৎকারে করেই বললাম-নড়লি এখান থেকে না হলে লাথি দিয়ে মেরেই ফেলবো।জানি না হয় তো বা ভয় না অন্য কিছু পালিয়ে গেল বেজীটা।কিন্ত অদ্ভুত এক গাঢ় ঘুম টেনে নিয়ে গেল আমাকে, চোখ দুটো বুজে এলো অনিচ্ছা সত্বেও।এর পরটা মনে পড়ে না আর,হয় তো আমি তখন লাশের পাশে পড়ে থাকা আরেকটা লাশ।
অদ্ভুত কটা কথায় ঘুমটা ভাঙ্গলো-‘জেগে ওঠ,জেগে ওঠ ওগো রাতের প্রহরী,সরিয়ে দাও এই অজানা মায়াজাল’।

চোখ খুলে দেখি লাশটা একই রকম আছে,বদলায়নি কিছু।কোন ফাঁকে যে রাতের অন্ধকার সরিয়ে সকালের আলোয় পৃথিবীটা হাসিতে ভঁরা-জানাই ছিল না আমার।দেখি দরজাটা ও খোলা-আর কাঁদতে কাঁদতে মৃত ব্যাক্তির স্ত্রী সাথে তার সাক্ষী সাতজন নিয়ে,লাশ পরীক্ষা করার পর আমার হাতে এক হাজার ড্রামাক তুলে দিয়ে চারপাশের সবাইকে অজস্র ধন্যবাদ জানালো।আমি টাকাটা নিয়ে বের হবো ঠিক সেই সময়-এক দল লোক এসে আমাকে ঘুষি,লাথি দিয়ে মারা আরম্ভ হলো,এলোপাথাড়ি,টেনে চুলও ছিঁড়ে নেওয়ার উপক্রম।
তারপর তুলে নিয়ে ফেলে দিল আমাকে পাশের রাস্তায়।কোন কিছুই বোধগম্য হচ্ছিল না আমার,কথা বলতে বলতে কাউকে কি কোন অসম্মান করলাম,হয়তো কোন অস্লগ্নতায় যা আমার মনেই নেই।সেই সময় কিছু না বলে চলে যাওয়াটাই ছিল বুদ্ধিমানের কাজ।,তবে তখন আর চিন্তা করে কোন লাভ নাই।

লোকেরা ধীরে ধীরে মৃতের নাম ধরে ডাক দিতে দিতে লাশটা বের করে নিয়ে এলো-
অনেকটা যেন নামটা দিয়ে ডাক দেওয়া মৃত মানুষটাকে,যেন সে তো এখনও লুকোনো ঐ
শরীরে।

মৃতের বুড়ো চাচা বের হয়ে হাউমাউ কান্নায় বলে উঠলো-‘আমি বিচার চাই।ঐ ডাইনী মেরেছে আমার ভাই এর ছেলেকে।আমার ভাই নেই-আমি চাই এর বিচার আমার ভাই এর পক্ষ থেকে।বিষ খাইয়ে মেরে ফেললো আমার ভাইপোকে,তার বিচার হবে না কোন?লূকিয়ে লুকিয়ে প্রেম-এখন তার সব বিষয় সম্পত্তি নিয়ে আনন্দ করবে তার প্রেমিকের সাথে।ওকে পুড়িয়ে মারা উচিত-না হয় পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা উচিত,বিচার চাই’।

চিৎকার করে মৃতের বৌ কাদতে কাদতে বললো-‘কার ও কি মনে হয়,এই নিষ্ঠুরতা সম্ভব আমার দ্বারা?আমি দেবতাদের শ্রেষ্ঠ জুসের নামে শপথ করে বলছি, এ ধরণের কোন অন্যায় আমি করিনি-আমার স্বামী ছিল আমার ভালবাসার মানুষ, আমার ইহকাল পরকাল।এ অপবাদ দিয়ে শুধু আমাকে না আমার মৃত স্বামিকেও রীতীমত অপমান করা।বিচার চাই আমিও,আমিও চাই এর বিচার’।

বুড়ো চাচা বললো-‘বেশ ভালকথা,মিসর থেকে একজন নামকরা জ্যোতিষী,জাকাতলাস এসেছে এখানে,তার নাম ডাক কার না জানা,মৃতের আত্মাকে পর্যন্ত ডেকে আনার ক্ষমতা আছে তার।আমরা কিছু সময়ের জন্য ডেকে আনবো আমার ভাইপোকে-আসা করি জানা যাবে সব কিছুই’।

জাকাতলাস,একপাশে দাঁড়িয়ে ছিল,ধবধবে সাদা পোষাকে-পায়ে চামড়া মোড়ানো জুতো,বুড়ো চাচার হাত ধরে আলতো একটা চুমু দিয়ে,জানান দিল তার উপস্থিতি,ঠোঁটে মুখে ছড়ানো হাসি।

বুড়ো চাচা হাঁটু গেঁড়ে মিনতির সুরেই বললো-‘আপনার কাছে আমার একান্ত অনুরোধ,
আমাদের ছোট্ট একটা উপকার করতে কোন আপত্তি যদি না থেকে আপনার।আমার ভাইপোর খুনের বিচার চাই,আপনার অলৌকিক ক্ষমতা কার না জানা?আপনি যদি কিছুক্ষণের জন্য মৃতের আত্মাকে ফিরিয়ে আনেন-আমরা জানতে পারবো,তার অকাল মৃত্যুর কারন।তার আত্মার শান্তির জন্যে এতটুকু অনুগ্রহ করতে যদি আপত্তি না থাকে,এই হতভাগা বুড়োকে’।

জাকাতলাস কিছুক্ষণ নিস্তব্ধতার পর আলতো করে মন্ত্রে আওড়ে তার হাতের কাঠি মৃতের মুখ ছুঁয়ে-পূর্ব পশ্চিম আকাশে কটা পাথরের নুড়ি ছুঁড়ে দিয়ে চিৎকার করে বললো-‘আপনারা এখন কেউ কথা বলবেন না,দয়া করে’।

সবাই অবাক হয়ে দেখলো–ধীরে ধীরে মৃতদেহ একটু নাড়াচাড়া দিয়ে কথা বলে উঠলো, ‘কেন আমাকে এ ভাবে যন্ত্রনা দেওয়ার কোন মানে আছে কি?ছেড়ে দাও আমাকে,আমার এ জীবনের যাত্রা তো শেষ,আমি ফিরে যেতে চাই ও পারে’।

জাকাতলাস বেশ স্বভাবজাত সুরেই প্রশ্ন করলো-‘তুমি এমন অকৃতঙ্গ কেন? তোমার প্রিয়জনের এই কান্নার কি কোন দাম নেই?তাদের অধিকার নেই তোমার মৃত্যুর কারণ জানার’?

এটা শোনার পর মৃতদেহ সোজা হেঁটে গেল-তার ঘরে,পুরোনো বিছানায় যেয়ে বলে উঠলো, ‘আমার এই বিছানায় এখন নতুন নতুন মানুষ রাত কাটায়,প্রতিদিন।একটু একটু করে বিষ খাইয়ে আমাকে মেরে ফেললো ঐ ডাইনী,শুধু আমার সয় সম্পত্তির জন্য,এই অপকর্মের কোন তুলনা নেই।

শুধু এটুকুতেই শান্ত হয়নি,ঐ ডাইনী,আর ও কজন ডাইনীদের নিয়ে আমার পড়ে থাকা লাশকে ছিন্নভিন্ন করে টুকরো টুকরো মাংস নিয়ে গেল তাদের যাদুর অপকর্মের জন্য।কেউ বেজী,কেউ ইদূর হয়ে দরজার ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকলো ওদের অপকর্মের জন্য।ঐ রাতজাগা মানুষটা না থাকলে হয়তো এ শরীরটার আর কিছুই খুঁজে পাওয়া যেত না।ওদের যাদুর মায়ায় কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়লো মানুষটা-তারপর নাকটা নিয়ে ওরা সেখানে বসালো মোমের নাক,হাতটার বদলে মোমের হাত।বেচারা পাহারা দেয়া মানুষটা শুধু শুধুই ভেবে নিল,বিরাট এক সাহসী কাজ করলো সে,আর তার পাহারার সময় কোন কিছু ঘটেনি।ওর নিজের কানটাও যে নিয়ে গেল ডাইনীরা,মনে হয় সেটাও জানা নেই তার’।

বেশ ভঁয়ে ভঁয়ে নাক,কান হাতিয়ে দেখলাম আমার,থেলিফাইরন বলে উঠলো-জানা ছিল না ও গুলো কি আসল না নকল।আশে পাশের লোকজন বেশ হৈচৈ করেই হেসে ওঠলো এই কৌতুকে,কানটা চলে গেল আর জানা হলো না,মানুষটার।

থেলিফাইরন কিছুটা হেসে বললো-‘আমার চুলগুলো তাই লম্বা,কানটা যেন ঢাকা থাকে’।



আনন্দ উৎসব

মদে তখন বেশ মাতাল সবাই,এলোমেলো সকলের কথাবার্তা,বাররাহেনাস খালা বললো-‘আনন্দ উৎসবের জন্য থাকলো সকলের আমন্ত্রন।ও তোমার তো জানা নেই লুসিয়াস,হেপাতার আনন্দ উৎসবের কথা,হেপাতায় প্রতি বছর হাসির গল্প নিয়ে হয়-আনন্দ দিবস।সবাই তাদের নিজেদের অভিঙ্গতার কৌতুকের কাহিনী নিয়ে আসর মাতাল করতে চায়।তুমি আসছ তো লুসিয়াস’?

অবশ্যই আসবো,আমার ও হাসির গল্প আছে অনেক।নেশায় এর মধ্যেই সবাই বেশ কিছুটা তালমাতাল,আমি ও উঠে পড়লাম,বাররাহেনাস খালা- তার এক কাজের লোক,একটা বাতি দিয়ে এগিয়ে দেওয়ার জন্যে পাঠিয়ে দিল।কিছু দূরে যেতে না যেতেই দমকা বাতাসে বাতিটা
নিবে গেল-অন্ধকার রাত,নিরুপায় আমাকে রাস্তার পাশের দেওয়ালগুলো ধরে ধীরে ধীরে পৌছাতে হলো,মিলোর বাসায়।

০০০০০০০


মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩১

হাসান ইমরান বলেছেন:

ভালো লিখেছেন। কিন্তু লেখাটা ভালো করে রিভিও করেননি বলে মনে হচ্ছে। "হেপাতা" শব্দটা কিছুটা অস্বস্থিকর লাগছে। এটাকে কি পালটে দেয়া যায়না?
চালিয়ে যান। শুভকামনা রইলো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৮

ইল্লু বলেছেন: হেপাতা একটা শহরের নাম।আপনার মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ্মিশর থেকে জ্যোতিষি এসেছে। খুব তার নাম ডাল। জ্যোতিষী দের দেশ হলো ভারত। ভারতে সবচেয়ে বেশী জ্যোতিষী।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৪০

ইল্লু বলেছেন: কি আর করা যায় বলুন,বেচারা জাকাতলাসের জন্ম যে মিশরে।আপনাকে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.