নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am drunk,officer.punish me when I am sober.(Zahir ud din Muhammad,Babur)
সন্দীপ মুঘলদের দখলে আসার খবর শুনে আরাকানের ফিরিঙ্গিরা (পর্তুগীজ) ৪২ টা জলবা(বজরা ধরনের বড় নৌকা)* ভর্তি করে নোয়াখালির ফৌজদার ফরহাদ খানের খাছে পালিয়ে আসে।আরাকান নৌ বাহিনীর যুদ্ধপ্রস্তুতির খুটিনাটি তথ্যও তারা নিয়ে আসে।আর এই খবর শুনে নবাব ও অনতিবিলম্বে যুদ্ধযাত্রার আদেশ দেন।
অভিযানের সৈন্যবিন্যাস
নবাবের ছেলে বুজুর্গ উমেদ খান কে এই অভিযানের অধিনায়ক মনোনিত করা হয়,উমেদ খানের সরাসরি নেতৃত্বে ৪০০০ সৈন্য ছিলো।জলপথে সেনাবাহিনীকে রসদ সরবরাহ সুবিধাজনক হলেও জলদস্যুদের ভয়ে সেই চিন্তা বাদ দেয়া হয় বরং সড়কপথেই সেনাবাহিনীর রসদ যোগান দেবার সিদ্ধান্ত হয় যা নবাব নিজেই ঢাকা থেকে তদারকি করতেন।
২৪ ডিসেম্বর দুপুরে উমেদ খান ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রওনা করেন,উমেদ খানের সেনাপতিদের মদ্ধে ইখতিসাস খান ২৫০০,সারান্দাজ খান ১৫০০ ফরহাদ খান ১০০০ এবং রাজা সুবল সিং সিসোদিয়ার নেতৃত্বে ছিলো ১৫০০ সৈন্য(ইখতিসাস খান এবং রাজা সুবল সিং সিসোদিয়া কে সম্রাট আওরওংজেব নিজেই এই অভিযানে অংশ নেবার দায়িত্ব দিয়ে পাঠান উনারা নবাবের নিজ সেনাবাহিনীর অংশ ছিলেন না)এছাড়াও ইবনে হুসেন কে দারোগা ই নওয়ারা(মিলিটারি পুলিশ জাতীয় কিছু) এবং মির মর্তুজাকে আর্টিলারির সার্বিক দায়িত্ব দেয়া হয়। এছাড়াও বাংলার বিভিন্ন মনসব প্রাপ্ত এলিট এবং জমিদাররা তাদের নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে এই অভিযানে যোগ দেন।
নোয়াখালির ফৌজদার ফরহাদ খান এবং ফিরিঙ্গি ক্যাপ্টেন মুর ছিলেন এই অভিযানের ভ্যানগার্ড।
আকসার খান কে দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার সুরক্ষা ও প্রয়োজনে রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে শাহী ফৌজকে সাহায্য করার।
মুঘল নৌবাহিনীর সর্বমোট জাহাজের সংখ্যা ছিলো ২৮৮ যার মদ্ধে ঘুরাব-২১ টি, সাল্ব- ৩ টি, কোষা- ১৫৭ টি, জলবা -৯৬ টি,বাচরি -২ টি,পারেন্দা -৬ টী,অন্যান্য -৩ টি
শায়েস্তা খান
নবাবের প্রবল উদ্যম
অভিযানের আগেই নবাবের ফরমানে ঢাকা এবং এর পার্শবর্তী এলাকা থেকে কয়েক হাজার কুড়াল যোগাড় করা হয় এবং অভিজানের আগেই সেগুলো জঙ্গল পরিষ্কার করার কাজে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
আসন্ন অভিযানের বিশদ রনপরিকল্পনা নবাব নিজেই করেন এবং স্কাউট এর দায়িত্বে থাকা মীর মর্তুজার সঙ্গে প্রতিদিনই চিঠির মাদ্ধমে যোগাযোগ করতেন।অভিযানের সময়ে সেনাবাহিনীর প্রতিটা পদক্ষেপের খবরই তার কাছে যথা সময়ে পৌছে যেত।
সেনাবাহীনির রসদ
নবাবের ফরমানে ঢাকায় বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা সমস্ত খাদ্যশস্যের তিনভাগের একভাগ সেনাবাহিনীর জন্য জব্দ করা হয়।এবং বাংলার সমস্ত অঞ্চল থেকে ফৌজদারদের নির্দিষ্ট পরিমান রসদ চট্টগ্রাম অভিমুখি শাহীফৌজের কাছে পৌছে দেবার আদেশ দেয়া হয় এবং এই কাজ তদারকির জন্য ইয়াসাওয়াল(ফুড ইন্সপেক্টর জাতীয় কিছু) নিয়োগ দেয়া হয়।নবাবের রসদ ব্যাবস্থাপনা এতটাই চমৎকার ছিলো যে এই অভি্যানের শুরু থেকে শেষ পর্্য)ন্ত শাহী ফৌজকে কখনোই রসদের চিন্তা করতে হয় নি।
স্থল ও নৌপথে মুঘল বাহিনীর অগ্রযাত্রা
বুজুর্গ উমেদ খান দ্রুতই তার বাহিনী নিয়ে এগিয়ে যান এবং কয়েকদিনের মদ্ধেই বিশাল মুঘল ফৌজ ফেনী নদী পার করে মগ দের এলাকায় প্রবেশ করে।ফেনী নদীর অপর পার থেকেই ছিলো ঘন জঙ্গল যা পরিষ্কার করে মুঘল ফৌজকে আগাতে হচ্ছিল।নবাবের নির্দেশে ফেনী নদীর তীরে একটা মুঘল থানা প্রতিষ্ঠা করা হয়,ফেনী নদী যেখানে সাগর এর সাথে মিলিত হয়েছ সেখান থেকে মগ নৌবহর যেন মুঘল ফৌজ এর পেছনে উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য সুলতান বেগ মনসবদার এর নেতৃত্বে ঘোড়সওয়ার ও পদাতিক সৈন্যের একটা কন্টিনজেন্ট ক্যাম্প করে থাকে।
শক্তিশালী নৌবহর থাকা সত্ত্বেও নদীপথে মগ দের আক্রমন সবসময়ই মুঘল ফৌজ এর জন্য আশঙ্কার ব্যাপার ছিলো তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ইবনে হুসেন এর নৌবহর এর সমান্তরালেই আগাবে নোয়াখালির সেনাপতি ফরহাদ খান ও স্কাউট প্রধান মীর মর্তুজার বাহিনী।তাদের প্রথম লক্ষ্য ছিলো কর্নফুলী নদীর মুখে পৌছে তা দখল করা এবং সম্ভব হলে চট্টগ্রাম আক্রমন করা অথবা উমেদ খান এর মুল বাহিনী এসে পৌছানো পর্্য ন্ত অপেক্ষা করা।
নোয়াখালী থেকে নৌবহর নিয়ে যাত্রা করা ইবনে হুসেন প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে দুই লীগ(প্রায় ১১ কিলোমিটার) দূরে খামারিয়ার খাড়ি তে এসে থামেন এবং জঙ্গল পরিষ্কার এর কাজ শুরু করে দেন ২১ জানুয়ারী ১৬৬৬ ফরহাদ খান,মীর মর্তুজার বাহিনীও সেখানে এসে পৌছায়,উমেদ খান এর মুল বাহিনীও ঐদিনই খামারিয়া থেকে তিন ক্রোশ দূরে এসে পৌছায়।
মুঘল আরাকান নৌ যুদ্ধ
প্রথম নৌযুদ্ধ
২২ তারিখে ইবনে হুসেন এর স্কাউটরা খবর নিয়ে আসে মগ নৌবহর কাঠালিয়ার খাড়িতে নোঙর করে আছে যেটা ইবনে হুসেন এর অবস্থান থেকে ছয় ঘন্টার দূরত্বে।ইবনে হুসেন সাথে সাথেই যুদ্ধের জন্য নৌবহর তৈরী করে ফেলেন।সারারাত সতর্ক অবস্থায় থাকার পর সকালে স্কাঊটরা খবর পাঠায় যে কাঠালিয়া থেকে মগ নৌবহর তাদের অবস্থানের উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছে।ইবনে হুসেন এক চাকরকে উমেদ খান এর কাছে খবর পৌছে দিতে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেই মগ নৌবহর মোকাবিলা করার জন্য এগিয়ে যান,যদিও সে সময় ঝড়ো বাতাস বিপরীত দিকে দিয়ে বইছিলো এবং সমুদ্রও বেশ উত্তাল ছিল।
ইবনে হুসেন এর ডেপুটি মুহাম্মদ বেগ আবগাশ ঐ সময়ের বর্ননায় বলেছেন উত্তাল সমুদ্র দেখে জাহাজের ডেকে থাকা তুর্কি সৈন্যরা ভীত হয়ে পড়ে এক তুর্কী সৈণিক মুহাম্মহ আবগাশ কে তুর্কি ভাষায় বলে বসে “ বেগ সাহেব আপনি কি পাগল হয়ে গেছেন এই ঝড়ের মদ্ধে জাহাজ ছেড়েছেন” জবাবে মুহাম্মদ আবগাশ বলেন ‘পাগল না হলে আমি সেনাবাহিনীতে যোগ দিতাম না”
ফরহাদ খান এবং মীর মর্তুজার বাহিনীও নৌবহরের সমান্তরালে এগিয়ে যেতে থাকে যদিও ঘন জঙ্গল এর জন্য অল্পসময় পরেই তারা পিছিয়ে পড়ে।
কিছুক্ষনের মদ্ধেই মগ দের ১০টা ঘুরাব(বড় জাহাজ ৮/১০ টা কামান) ও ৪৫ টা জলবা(দ্রুতগামী অপেক্ষাকৃত ছোট জাহাজ ৪/৬ টা কামান) নজরে আসে।মগ নৌ বহর নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাপ্টেন মুর এর ফিরিঙ্গী জাহাজ গুলো দ্রুত গতিতে তাদের দিকে ছুটে যায়,এবং মগ রা কিছু বুজে ওঠার আগেই তাদের লাইন ভেদ করে ভেতরে ঢুকে যায় মগ রা এত দ্রুত আক্রমনের জন্য প্রস্তত ছিলো না তাই তারা কোন প্রতিরোধই করতে পারে নি তাই একটু পরে ইবনে হুসেন আরো বড় বহর নিয়ে এগিয়ে আসলে মগ ঘুরাব এর সৈন্যরা প্রায় বিনা যুদ্ধে আত্মস্মর্পন করে আর জলবা গুলো কাঠালিয়ার দিকে পালিয়ে যায়। ইবনে হুসেন ঘুরাব গুলো জব্দ করেন এবং পলায়নরত জলবা গুলোর পিছু নিতে চাইলে বহরে থাকা বাঙ্গালী সৈন্য আর নাবিকরা বেকে বসে তারা একদিনে এর চেয়ে বেশী যুদ্ধ করতে চায় না। অনিচ্ছা সত্তেও ইবনে হুসেন তাদের দাবি মেনে নেন।তবে তিনি ঐ মগ জলবা গুলো ধাও্যা না করলেও আরেকটু সামনে এগিয়ে যান এবং কিছুক্ষন পরেই মগদের পতাকাবাহী তিনটি বড় জাহাজ দেখতে পান যেগুলো ধীর গতির কারনে কেবলমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে এসে পৌছেছে।ইবনে হুসেন এবার অনিচ্ছুক বাঙ্গালী সৈন্যদের বোঝান যে মগদের সবচেয়ে বড় জাহাজ গুলো ধবংস করার এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবে না কারন এই বড় জাহাজগুলো কে সাপোর্ট দেয়ার মত ছোট জলবা গুলো পালিয়ে গেছে,এই বক্তৃতায় কাজ হয় এবং বাঙ্গালী সৈনিক নাবিকরা জাহাজ চালাতে সন্মত হয়,
তবে মগ জাহাজ গুলোর কাছে পৌছে ইবনে হুসেন দেখলেন তারা ততক্ষনে ব্যাটেল ফর্মেশন ঠিক করে ফেলেছে। এই অবস্থায় ছোট জাহাজ নিয়ে ওদের সাথে লাগতে গেলে হার নিশ্চিত তাই উনি মগ জাহাজের কামানের আওতার বাইরে থেকেই তাদের ঘেরাও করে উনার নিজের বড় জাহাজগূলোর(সালব) জন্য অপেক্ষা করতে লাগলে্ন, মাগরিবের নামাজ এর ওয়াক্ত এর কিছুক্ষন আগে মুঘল সালব গুলো এসে পৌছালো এবং এসেই মগ জাহাজের উপর কামান দেগে দিলো,মগ জাহাজও পালটা কামান দাগলো এভাবে ফজরের আজান এর কিছুক্ষন পর অবধি যুদ্ধ চললো।
দ্বিতীয় নৌযুদ্ধ
আগের রাতের সাফল্যে উদ্ভুদ্ধ হয়ে ২৪ তারিখ সকালে সমগ্র মুঘল নৌবহর একসাথে আগাতে শুরু করে মগ নৌবহরও ক্রমবর্ধমান ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে না পেরে পিছিয়ে যেতে শুরু করে।বিকাল ৩ টা নাগাদ মুঘল নৌবহর কর্নফুলী নদীর মুখে এসে পৌছায় এবং এর দখল নেয়।নদীর অপর পাড়ে ফিরিঙ্গী বন্দর নামে পরিচীত ফিরিঙ্গীদের গ্রামের মুখেই মগ বাহিনী তিনটি বড় বাশের কেল্লা বানিয়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিলো কেল্লাগুলো কামান এবং তেলিঙ্গা(মগ সৈন্যদের তেলিঙ্গা বলা হয়) দিয়ে ভর্তি ছিলো দুটি প্রশিক্ষিত যোদ্ধা হাতি ও কেল্লায় ছিলো মুঘল বহর নজরে আসার সাথে সাথেই কেল্লা থেকে কামান দাগা শুরু হয় তবে ইবনে হুসেন এতে না ঘাবড়ে তার সমস্ত জাহাজ একবারে কেল্লা গুলোর দিকে নিয়ে আসেন এবং কিছু সৈণ্য কে তীরে নামাতে সক্ষম হন।এবার জাহাজ থেকে গোলাবর্ষন আর তীরে নামা সৈন্যদের যুগপৎ আক্রমনে মগ বাহিনী দিশেহারা হয়ে যায় এবং আরও কিছুক্ষন প্রতিরোধ করার পর একে একে কেল্লা ছেড়ে পালাতে শুরু করলে কিছুক্ষনের মদ্ধেই তিনটি কেল্লাই মুঘলদের কব্জায় চলে আসে।এর কিছুক্ষন পর তিনটি কেল্লাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।এবং সেই রাতের মত মুঘল সৈন্যরা জাহাজে ফিরে আসে।
পরদিন ইবনে হুসেন এর নৌবহর বিপুল মনোবলের সাথে চট্টগ্রাম দুর্গ আক্রমন করে, দুর্গ এবং দুর্গের সুরক্ষায় নিয়োজিত জাহাজ থেকে পালাটা আক্রমন চালনো হলেও মুহাম্মদ বেগ আবগাশ ও মুনাওয়ার খান এর বাহিনী ইবনে হুসেন এর সাথে যোগ দিলে সন্মিলিত মুঘল বাহিনীর সামনে মগ বাহিনীর প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে যায়। একে একে জাহাজ হারাতে থাকা মগরা আত্মসমর্পন করতে শুরু করে।তবে বাংলার উপকুলে মগদের অত্যাচার নিপিড়ন এর শাস্তি হিসেবে ধৃত ও আত্মসমর্পন করা সমস্ত মগ সৈন্যের কল্লা নামিয়ে দেয়া হয়।ইতোমধ্যে বুজুর্গ উমেদ খান এর মুল মুঘল ফৌজও চট্টগ্রাম কেল্লার দুই কোশ(৬ কিলো)দুরে এসে পৌছান।এই যুদ্ধে মগদের ১৩৫ টি জাহাজ মুঘলদের করায়ত্ত হয় যার মদ্ধে
খালুই-২ টি,ঘুরাব ৯টি,জঙ্গি-২২,কোষা-১২,জালবা-৬৭,বালাম-২২টি।
নৌ যুদ্ধে পরাজয় এবং উমেদ খানের মুল বাহিনীর এগিয়ে আসার খবরে চট্টগ্রাম কেল্লায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।এবং রাতের আধারে প্রায় সমস্ত মগ সৈন্য পালিয়ে যায়।
যুদ্ধের পরদিন
ইবনে হুসেন মগ জাহাজ থেকে আটক করা দুই মগ সৈন্যকে চট্টগ্রাম কিল্লার প্রধান এর কাছে কেল্লার আত্মসমর্পন দাবি চিঠি দিয়ে পাঠান।কিল্লা প্রধান প্রায় সাথে সাথেই তা মেনে নেন তবে তিনি এক রাতের সময় চান,যা তাকে দেয়া হয়।পরদিন সকালে ইবনে হুসেন এর জন্য কেল্লার দরজা খুলে দেয়া হয়,তবে মুনাওয়ার খান এর সৈন্যরা তার আগেই কেল্লায় ঢুকে যায় এবন আগুন লাগিয়ে দেয়,ইবনে হুসেন কে এবার আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়তে হয়। আগুন নেভানর পর কেল্লার সমস্ত সম্পদ জব্দ করা হয় এবং চট্টগ্রাম কেল্লা প্রধানকে বন্দি করে নবাবের কাছে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয় নদীর অপর পারের ছোট কেল্লাটিও ছোট একটা যুদ্ধের পর মুঘলদের দখলে চলে আসে।মুঘল বিজয়ের খবরে আশে পাশের গ্রাম গুলো থেকে বাঙ্গালীরা বেরিয়ে আসে এবং পলায়নরত মগ সৈন্যদের কচুকাটা করে তারা মগদের দুটো হাতিও জব্দ করে যা পরে ইবনে হুসেনকে উপহার হিসেবে দেয়া হয়।
সম্রাট এর প্রতিক্রিয়া
২৯ তারিখে চট্টগ্রাম বিজয়ের খবর ঢাকা পৌছায় নবাব ঐদিনই দিল্লীতে সম্রাট আওরঙ্গজেব এর কাছে খবর পাঠানোর ব্যাবস্থা করেন।এবং এই খবর দিল্লীতে পৌছানোর পর সম্রাট আনন্দ উৎসবের আয়োজন করেন।পুরস্কার স্বরূপ নবাবের জন্য রত্নখচিত তলোয়ার সম্রাট এর নিজের প্রীয় দুটো হাতি,সোনার জিনসহ দূটো চমৎকার আরবী ঘোড়া এবং খিলাত প্রদান করা হয় বুজুর্গ উমেদ খান,ইবনে হুসেন এবং মীর মর্তুজাকে ব্যাপক পুরষ্কার সহ প্রমোশন দেয়া হয়।এছাড়াও ইবনে হুসেন কে মানসুর খান এবং মীর মর্তুজাকে মুজাহিদ খান উপাধি দেয়া হয়।
ডাচ শীল্পীর আকা ১৬০০ সালের চট্টগ্রাম বন্দর
আলোচ্য অংশটূকু স্যার যদুনাথ সরকারের এনেকডোটস অফ আওরংজেব এর সংক্ষিপ্ত অনুবাদ অনুবাদক আমি নিজেই।
তৃতীয় কিস্তি
দ্বিতীয় কিস্তি
প্রথম কিস্তি
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৭
এইচ তালুকদার বলেছেন: বাংলার উপকুলে মগ পর্তুগীজ এর অত্যাচারের কোন তুলনা হয় না।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮
এইচ তালুকদার বলেছেন: ইতিহাস সবসময়ই চমৎকার
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:১০
রাজীব নুর বলেছেন: হ্যা আপনার পোষ্ট আমি পড়েছি।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২
এইচ তালুকদার বলেছেন: নেক ধন্যবাদ
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৫৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: বাঙ্গালী সৈন্য-বলতে কি বাংলাভাষীদের বুঝিয়েছেন?
তাদের কি মোগলরা সৈন্যদলে নিতো?
যদিও স্বাধীন সুলতানী শাসনকালে সৈনাবাগহনী গঠিত হয়েছিলো মূলত বাংলাভাষী বাঙ্গালীদের নিয়ে তবে অধিনায়ক পদে তুর্কি-আরব-ইরানীরাই বেশী ছিলেন।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০
এইচ তালুকদার বলেছেন: বাংলা কমপক্ষে একহাজার বছর ধরে জাহাজ নির্মান শীল্পের জন্য বিখ্যাত। তাই স্বাভাবিক ভাবেই হাজার বছর ধরেই বাঙ্গালী নাবিক দের সুখ্যতি রয়েছে মুঘল আমলে এই খ্যতি সর্বোচ্চ প্রর্যায়ে গিয়ে পৌছায়। ব্রিটিশরা বাংলা থেকে মুম্বাই,কোলকাতায় জাহাজনির্মান শীল্প নিয়ে যায়।
মোগল আমলে সেনাবাহিনীর শক্তি নির্ধারিত হত সংখ্যাধিক্য দিয়ে তাই আপনি নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন প্রচুর সংখ্যক বাঙালি মোগল সেনাবাহিনীতে ছিলো তবে ব্যাটেল প্রোয়েস এর কথা বললে সারা পৃথিবীতে তুর্কি(মুঘলরা নিজেরাও' চুঘতাই তুর্কি বংশুদ্ভুত)সৈন্যদের কোন বিকল্প ছিলো না। আর সেনাপতির সবচেয়ে বড় যোগ্যতা তার দক্ষতা,এথনিসিটি নয়। তা না হলে মালিক আম্বর এর মত কালো ক্রীতদাস বিজাপুরের সেনাপতি হত না বা সিদি ইয়াকুত এর মত হাবসী দাসকে আওরংজেব নৌবাহিনীর দায়িত্ব দিতেন না। রাজপুত রা অবশ্য এর ব্যাতিক্রম তারা অতিউচ্চবংশ ছাড়া কাউকে সেনা অধিনায়ক মেনে নেয় না তাই রাজপুরদের যুদ্ধের ময়দানে সেনানায়ক মারা যাওয়া মানেই গেম ওভার।
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: সিদ্ধান্তটা অনুমান নির্ভর হয়ে গেলো। সুলতানী আমলে সেনাবাহিনীতে বাঙ্গালী বেশী ছিলো, তার প্রমান আছে। কারণ বাংলা '' স্বাধীন''ভাবে শাসিত হতো। চাইলেই ভারতের অন্য রাজ্য থেকে সৈন্য নেয়া সম্ভব ছিলো না।কিন্ত মোগলরা শাসন করতো দিল্লি থেকে। তাদের সেনাবাহিনীতে নেয়ার জন্য তুর্কি-পাঠান-উজবেক-কাজাখ লোকের অভাব ছিরো না।
সুতরাং বাঙ্গালী যদি থাকেও সেটা খুবই কম হবে।
আর বাঙ্গালীরা জাহাজের মতো বিশাল কামান বানানোতেও দক্ষ ছিলো। কিন্ত নির্মাণ-প্রকৌশল সৈনিক আলাদা জিনিস।
খুব কম প্রকৌশলীই সৈনিক হয়।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৬
এইচ তালুকদার বলেছেন: মুঘল সেনাবাহিনীর কাঠামোই ছিল মধ্য এশিয়া,তুর্কি,সাফাভিদ কোন কোন ক্ষেত্রে রাজপুত সেনাপতি নির্ভর তবে বাংলার দুর্গমতার জন্য বিশাল বহুজাতিক বাহিনী বাংলায় নিয়ে এসে বড় ধরনের অভিযান চালানো সম্ভব ছিলো না
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫২
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এরা সবাই অত্যাচারী,নামেই আলাদা।