নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am drunk,officer.punish me when I am sober.(Zahir ud din Muhammad,Babur)
এই প্রবন্ধটি বিল গেটস এর লেখা গত ২০শে এপ্রিল দি ই্কনোমিস্ট এ প্রকাশিত প্রবন্ধের আংশিক অনুবাদ,অনুবাদক আমি নিজেই।
কোভিড-১৯ মহামারী নিয়ে যখন ইতিহাসবিদরা বই লিখবেন,তখন এই মহামারি কালে আমরা কি করেছি সেটা হয়তো এই বইয়ের প্রথম অদ্ধ্যায়টিও ভরাতে পারবে না।কিন্তু সেই বইয়ের দুই তৃতীয়াংশের বেশি অংশ জুড়ে থাকবে মহামারীর পর আমরা কি করেছি।
এই মাসের শেষেই ইউরোপ,ইস্ট এশিয়া এবং নর্থ আমেরিকা মহাদেশ এই মাহামারির পিক সময়টা পার করে ফেলবে,তারপরের কয়েক সপ্তাহে জনজীবন হয়তো গত ডিসেম্বর মাসের মত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।দুঃখ জনক ভাবে সেটা সম্ভবভ নয়
আমি বিশ্বাস করি মানবজাতি এই মহামারী কাটিয়ে উঠবে,তবে সেটা তখনই সম্ভব যখন আমাদের জনগোষ্ঠীর অধিকাংশকে ভ্যাকসিনেট করা সম্ভব হবে,এর আগ পর্যন্ত জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া সম্ভব নয়।এমনকি সরকার লক ডাউন,আইসোলেশন তুলে নিয়ে বা ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠান গুলো খুলে দিয়েও এই স্থবির পরিস্থিতির উন্নতি করতে পারবে না,কারন সাধারন মানুষের মদ্ধে মহামারি ভীতি রয়েছে,এয়ারপোর্ট গুলোতে আগের মত বিপুল গনজমায়েত হবে না।তুমুল জনপ্রিয় খেলাগুলোও খেলতে হবে খালি স্টেডিয়ামে,এবং অর্থনীতিও লম্বা সময়ের জন্য ডিপ্রেসনে ভুগবে কারন পন্য চাহিদা কমে যাবে এবং জনগন ব্যায় করা কমিয়ে দেবে।
উন্নত অর্থনিতির দেশগুলোতে এই মহামারির প্রকোপ কমে আসলেও অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে এই মহামারী নতুন গতি পাবে এবং তাদের অভিজ্ঞতা হবে ভয়াবহ।বিশেষ করে এইসব অর্থনীতির দেশ গুলোতে ঘরে থেকে কাজ করার সুবিধার অপ্রতুলতার কারনে সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং ফলপ্রসু হবে না যার ফলে মহামারী দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়বে এবং সরকারগুলো আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে ভয়াবহ ভাবে ব্যার্থ হবে। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি নিউ ইয়র্ক কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত শহর কিন্তু ম্যানহাটন এলাকার যে কোন একটি হাসপাতালে আফ্রিকার যে কোন এলাকার হাসপাতালগুলোর সন্মিলিত সংখ্যার চেয়ে বেশী আই সি ইউ শয্যা রয়েছে।এসব অঞ্চলে মৃতের সংখ্যা মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে।
উন্নত দেশগুলি অবশ্যই এদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারে,তবে এটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা সর্বোচ্চ দর হাকানো প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাকসিন উতপাদনের দায়িত্ব দিচ্ছি না।একবার এই মহামারীর ভ্যাকসিন হাতে পেলে ধনী গরিব সবাইকেই সাহায্য করা যাবে তবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসতে সামনের বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। চিকিৎসক এবং ভাইরোলজিস্টরা এই মুহুর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন ব্যাক্তি।সৌভাগ্যক্রমে এই মহামারীর আগেই আমরা ভ্যাকসিনোলজীতে প্রভুত উন্নতি করেছি।সাধারনভাবে প্রচলিত ভ্যাকসিন গুলো মৃত ও দুর্বল প্যাথোজেন শরিরে প্রবেশ করিয়ে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে ওই প্যাথজেনের সঙ্গে পরিচীত করিয়ে সেটা প্রতিহত করার শক্তি দেয় কিন্তু আমরা এমন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছি যেটায় বিজ্ঞানীদের বিপুল পরিমান প্যাথোজেন তৈরী তে ব্যাস্ত থাকতে হবে না এই mRNA ভ্যাকসিন জেনেটিক কোড ব্যাবহার করে শরীরের কোষ গুলিকে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়ার শক্তি দেবে।এবং প্রচলিত ভ্যাকসিনের চেয়ে এটা দ্রুত গতিতে উতপাদন করা যাবে।
আমি স্বপ্ন দেখি ২০২১ এর দ্বিতীয় ভাগেই পৃথিবীজুড়ে এই ভ্যাকসিনের উতপাদন শুরু হবে।এবং সেটা হবে মানব জাতির ইতিহাসে একটা মাইলফলক কারন এই প্রথম মানব জাতি একটা ভাইরাস কে এত দ্রুত চিনতে ও নির্মুল করতে পারবে।
ভ্যাকসিন ছাড়াও এই মহামারী চিকিৎসা ক্ষেত্রে আরো দুটি যুগান্তকারি পরিবর্তন সাধন করবে,যার প্রথমটি হচ্ছে টেস্ট,পরে যখনই কোন নভেল ভাইরাস দেখা দেবে ততদিনে মানুষজন নিজেই নিজের টেস্ট করতে শিখে যাবে ঠিক যেমন করে আমরা ঘরে বসেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করি।তবে এক্ষেত্রে আমরা টেস্টিং কিটে প্রসাব করার বদলে নিজেই নিজের নোজ সোয়াব নিতে সমর্থ হব।
তৃতীয় যুগান্তকারি পরিবর্তন আসবে এন্টি ভাইরাল ড্রাগস এর ক্ষেত্রে আমার মনে হয় বিজ্ঞানের এই ক্ষেত্রটিতেই আমরা সবচেয়ে কম বিনিয়োগ করেছি যার ফলে ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করার সক্ষমতা আমদের কম।ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে যেটা আবার উল্টো,কিন্তু এই পরিস্থিতি শীঘ্রই বদলে যাবে,গবেষকরা শিঘ্রই বিপুল পরিমানে বিচিত্র ধরনের এন্টি ভাইরাল নিয়ে এগিয়ে আসবেন।
এইসমস্ত যুগান্তকারি আবিষ্কার আমাদের শুধু ভবিষ্যত মাহামারি গুলোকে ঠেকাতেই সাহায্য করবে না বরং বর্তমানের বহু সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে যুদ্ধও নতুন মাত্রা পাবে আমিতো আশা করি এমনকি আমরা ক্যান্সারের আগাম চিকিৎসা সক্ষমতা লাভ করবো(mRNA ভ্যাকসিনের গবেষকরা ক্যান্সার ভ্যাকসিন আবিস্কারের আশা করছে যা শুধু কার্যকরই হবে না দামের দিক দিয়েও থাকবে সবার নাগাল এর ভিত্রে)
আমাদের এই পরিবর্তন ও উন্নতি শুধু বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেই হবে না আমাদের সমাজব্যাবস্থাও আমুল পালটে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।২০২১ এর পরবর্তী বছর গুলোতে ১৯৪৫ এর পর যে ধরনের সামাজিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল আমরা আবার সেই ধরনের পরিবর্তন দেখতে পাব।জাতিসঙ্ঘের আদলে মহামারী মকাবিলার বৈশ্বিক সংঘটন গড়ে উঠবে বলে আমার ধারনা।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২
এইচ তালুকদার বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। আমরা ব্যাস্ত আছি কামড়া কামড়ি নিয়ে
২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমরা যদি কোটি কোটি মানুষ মরে যাই তাহলে নেতা কাকে পলিটিক্স করবে । অবুঝ নেতানেত্রী ।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৯
এইচ তালুকদার বলেছেন: কোটি কোটি মানুষ মরেও যদি তাদের গদি রক্ষা হয় তাতেও পলিটিশিয়ানদের চলবে
৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভ্যাকসিনের আগে করোনার উপশম করে এরকম ওষুধ আবিষ্কার করা যায় না। কারণ এই ভাইরাস নাকি শুধু রুপ বদলায়।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৪
এইচ তালুকদার বলেছেন: বিল গেটস সাহেবের কথা যথেষ্ঠ যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে।ভ্যাকসিনই এই মুহুর্তে বেশি দরকার বলে মনে হচ্ছে,কারন শ্বাসকষ্ট আর ফুসফুস সংক্রমনের ওষুধ তো বাজারেই আছে।
৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৭০০ কোটি লোককে টিকা দেয়ার চেয়ে ১ কোটি লোককে ওষুধ খাওয়ানো সহজ না?
২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৩
এইচ তালুকদার বলেছেন: ৭০০ কোটি লোককে কেন টিকা দিতে হবে যারা করনা থেকে সেরে ঊঠছেন তারা এটার ইমিউন হয়ে ঊঠছেন তাদের সন্তানরাও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাই।আর ভাইরাসের প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা না নিয়ে ইনফেক্টেড হবার পর চিকিতসায় কি লাভ?
আপনিই বলুন যুদ্ধক্ষেত্রে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেত বেশি কার্্যকারি নাকি গুলিবিদ্ধ হবার পর উন্নত চিকিতসা।
৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভাইরাসের অনেক গুলি ধরন বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করেছেন। এছাড়া এটা বারবার রুপ বদলাচ্ছে। তাই অন্যান্য ফ্লু ভাইরাসের মত প্রতি বছর নতুন টিকা আবিষ্কার করতে হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন এ কারনে এত বছরেও এইডস রোগের টিকা আবিষ্কার করা যায় নাই। এখন পর্যন্ত বিশ্বের 0.001% মানুষও করোনাতে আক্রান্ত হয় নাই। ৭০% থেকে ৮০% রোগীর কোনও চিকিৎসাই লাগে না।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৪৫
এইচ তালুকদার বলেছেন: মাশাল্লাহ জেনে আশ্বস্ত হলাম।আমিতো ব্যাপক ভয়ে ছিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: বড় মানুষের বড় চিন্তা।
বিল গেটস লোক ভালো।