নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am drunk,officer.punish me when I am sober.(Zahir ud din Muhammad,Babur)
ব্যাস্ততার জন্য কয়তেকদিন ধরেই অনলাইনে আসা হচ্ছিলো না।আজ সকালে ইউটিউবে ডুকেই বিশাল ধাক্কা খেলাম।আমার সবচেয়ে প্রিয় ইউটিউব চ্যানেল বেস্ট এভার ফুড রিভিউ শো এবং এর হোস্ট সনি সাইড বাংলাদেশে এসেছে।১২ জানুয়ারি তার ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ নিয়ে তার চার পর্বের সিরিজের প্রথমটি মুক্তি পেয়েছে।বাকিও পর্ব গুলো দেখার অপেক্ষায় আছি।
প্রথমেই বলে নেই এই চ্যানেলটা কেন আমার এত প্রিয়।টিভি তে তো আমরা দেশি বিদেশী অনেক ট্রাভেল শো দেখি, ট্রাভেলিং নিয়ে ডেডিকেটেড টিভি চ্যানেলও আছে কিন্তূ এইসব ট্রাভেল শোতে কেন জানি ছুটি কাটানোর জন্য এক্সপেন্সিভ ভ্যাকেশন ডেস্টিনেশন এর প্রোমোশন ছাড়া অন্য কিছু মনে হয় না,এমনকি লোকাল কালচার কেও কেটে ছেটে পশ্চিমা চেহারা দেয়া হয়।কিন্তু বেঃএঃফুঃরিঃশো তে এগুলোর বালাই নেই এই শো এর বেশিরভাগ শুটিং হয় রাস্তায়,লোকাল রেস্টুরেন্ট এ খাওয়া দাওয়া এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে আন্তরিক আলাপচারিতা অর্থাৎ একটা দেশের আসল রূপ টা দেখতে পাওয়া যায়,টুরিস্ট নয় বরং একজন ট্রাভেলার বা পর্্যটক এর চোখ দিয়ে একটা দেশ তার কালচার আর খাবারদাবার গুলো দেখা যায়।
বাংলাদেশ নিয়ে সনির প্রথম পর্বের শুটিং হয়েছে চিটাগং এ সেখানকার মাছের বাজার এবং কয়েকটা লোকাল হোটেল এর খাবারের রিভিউও দেখলাম।প্রতিটা খাবারের পিছনে যে শ্রম আর মমতা থাকে সেটা তুলে আনাই এই শো এর সবচেয়ে বড় সাফল্য বাংলাদেশ পর্বেও তার ব্যাতিক্রম হয় নি।আর বিদেশী দের ক্যামেরায় বাংলাদেশ কে দেখে খুব আনন্দ হয় নিজের দেশ সংস্কৃতি আর খাবারদাবার কে অন্যভাবে আবিষ্কার করি এই অনুভুতিটা আসলেই অনন্য।উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে আমার আরেক প্রিয় ইউটিউবার ট্রেভর জেমস তার শো দ্যা ফুড রেঞ্জার নিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে গেছে,তবে ট্রেভর জেমস এর মুল ফোকাস ফুড রিভিউ হলেও সনির ফোকাস খাবারের সাথে স্থানীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন ছোট বড় বিষয় যা আসলেই উপভোগ্য।বাংলাদেশ ট্যুর এ সনি সাইড এর গাইড হিসেবে আছে বাংলাদেশী ইউটিউবার রাফসান,আর আন্তর্জাতিক খ্যাতি পাওয়া বাংলাদেশী ইউটিউব চ্যানেল এরাউন্ড মি ইন বিডি চ্যানেলকে সামনের পর্বে ফিচার করা হবে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৫
এইচ তালুকদার বলেছেন: এরা সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এসেছিলো।শ্যুটিং তখন হয়েছে।এডিটিং করার পর এখন সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হচ্ছে।পত্রিকায় পাননি কারন পত্রিকাওয়ালাদের দেশের ট্যুরিজম প্রোমোট করার চেয়েও হাজার গুনে গুরুত্তপুর্ন কাজ আছে(এই যেমন ধরুন চাদাবাজি,আবুলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাবুলের নামে মিথ্যা খব্র ছাপানো এগুলা আরকি)।পর্যটন মন্তনালইয়ের এইসব ইউটিউবার পুছার টাইম নাই।
গত বছর সনি সাইড উজবেকিস্থানে গিয়েছিলো,যারা বাংলাদেশের মতই টুরিজ্যমে পিছিয়ে থাকা একটা দেশ কিন্তু ট্যুরিজম খাতে সেদেশের সরকার বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করছে এবং সেদেশের ট্যুরিজম বোর্ড এর একজন মেম্বার সনি সাইডকে সার্বক্ষনিক গাইড করেছে।সনি সাইডের পথ ধরে আরও কয়েকজন পপুলার ট্রাভেলার এবং ভ্লগার সেখানে গিয়েছে এবং একবছরেই সেদেশের ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রির আকার বেশ বেড়ে গেছে।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৮
জাহিদ হাসান বলেছেন: দেখেছি। প্রশংসনীয়।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৬
এইচ তালুকদার বলেছেন: একটু আগেই দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হয়েছে দেখে ফেলুন
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১৫
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: নেটে দেয়ার সাথে সাথেই দেখেছি, প্রথম দুটো পর্ব আরো ভাল হতে পারত!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৮
এইচ তালুকদার বলেছেন: ই প্রথম আমার ব্লগে মন্তব্য করলেন,মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।পর্ব দুটো নয় একটা প্রকাশিত হয়েছে,প্রথমটা ট্রেইলার ছিলো।প্রথম পর্ব আমার কিন্তু বেশ গোছানো মনে হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
গত কয়েকদিন পত্রিকা পড়ি নি। টিভিতে খবরও দেখি নি। তাই কিছু জানতাম না।