নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am drunk,officer.punish me when I am sober.(Zahir ud din Muhammad,Babur)
আমার মতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগীই বিশ্বের সেরা লীগ,সেরি আ,বুন্দেস্লিগা ও বেশ প্রতিযোগিতা মুলক তবে ইপিএল নিঃসন্দেহে বিশ্বের সেরা লীগ।আমি ইপিএল এর দল ম্যানচেস্টার সিটির ফ্যান অবশ্য আর্সেনালও আমার পছন্দের টিম ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এই দুই দল এর খেলাই দেখা হয় বেশি,আমার দেখা ম্যানচেস্টার সিটির সবচে উত্তেজনা পুর্ন ম্যাচটি ছিল ১৮ই আগস্ট ২০১২ তে অনুষ্ঠিত সিটি বনাম সাউথাম্পটন এর ম্যাচ টি এই ম্যাচে ফুটবল তার সমস্ত সুন্দর্য নিয়ে ধরা দিয়েছিল আমার চোখে,নতুন করে ভালবেসে ফেলেছিলাম দ্যা বিউটিফুল গেম কে।
এই ম্যাচের এর শুরুতে কোনো ভাবে ধারনাও করা যায়নি যে এই ম্যাচ টি এত উত্তেজনাকর হবে কারন সিটি ছিলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিওন আর সাউথাম্টন ছিলো মাত্রই প্রিমিয়ার লিগে প্রমোশন পাওয়া এক্টা দল,এই ম্যাচে এ দু দলই পজিটিভ ফুটবল খেলেছিল, দু দল এর বেশ কয়েকজন খেলোয়ার এর বাক্তিগত পারফর্মেন্স এই ম্যাচে বিশেয় করে চোখে পরেছিল যেমন ল্যাম্বারট(সাউথাম্পটন)নাস্রি(সিটি),সবচে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই দুজনেই সেই ম্যাচ এ গোল পেয়েসিলেন।পরে জেনেছি যে এই ম্যাচ এ কয়েকটা রেকর্ডও হয়েছে যেমন তিনজন বদলি খেলয়ার এর গোল,গোল এ শট কে ১০০% গোল এ পরিনত করা(সাউথাম্পটন)
প্রথমার্ধে এই ম্যাচটি যে এতটা উত্তেজনা পুর্ন হবে তার তেমন আভাশ পাওয়া যায় নি,বরং ১৩ মিনিট এর সময় আগুয়েরো হাটুতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান,আর তার মিনিট খানেক বাদেই সিলভা পেনালটি থেকে গোল করতে ব্যার্থ হন,এই অর্ধে খেলা মোটামুটি মাঝ মাঠেই সিমাবদ্ধ ছিল অতিরিক্ত সময় এ তেভেজ প্রায় এক্ক চেষ্টায় গোল করেন এবং ম্যাচটির তার নাটকিয় পরিনিতির দিকে আগাতে শুরু করে,
দ্বিতিয়ার্ধের শুরু থেকেই সাউথাম্পটন খুব আক্রমনাত্তক হয়ে যায়,এক্টু দেরিতে হলেও তার ফল অ আসতে শুরু করে,৬০ মিনিটে গোল করেন লাম্বারট,খেলা তখন১-১,তবে খেলার ধারার বিপরিতে সাউথম্পটন ৭০ মিনিত এর সময় আবার গোল করে বসে গোলদাতা ডেভিস,তবে এই গোলটি আমার মতে জো হার্ট এর গাফিলতি,জো আমার খুব পছন্দের একজন গোল্কি তবে তার কিছু কিছু ভুল আকজন পেশাদার খেলোয়ার এর পক্ষে খুব এ বেমানান যেমন ১৩/১৪ মৌশুমে কৌতিনহো কিনবা ১৪ বিশ্বকাপ এ বালোতেল্লির গোল গুলো তার ভুলের ফসল,
ম্াচে ফিরতে সিটি অবশ্য বেশি সময় নেয় নি দু মিনিট পরেই গোল সোধ দেয় সিটি,টোরের চমৎকার ক্রস থেকে গোল করেন জেকো,এরপর দু দলই আক্রমন পালটা আক্রমন করে খেলতে থাকে৮০ মিনিত এর সময় টোরের জোরালো শট সাউথাম্পটন কীপার ঠেকিয়ে দিলেও বল চলে যায় পুরো ম্যাচেই অশাধারন খেলা নাস্রির পায়ে সেখান থেকে একটা দর্শনিও সাইড ভলিতে গোল করেন তিনি,উল্লেখ্য ইংল্যান্ডে সেদিন ছিলো ঈদের দিন আর বাংলাদেশে তার পরদিন,গোল করেই নাস্রি তার ঈদ মুবারাক লেখা টি শার্ট দেখিয়ে তার ভক্ত দের ঈদ মুবারক জানান,আমি ঠিক লিখে বোঝাতে পারবনা সে সময় ঠিক কতটা আনন্দ পেয়েছিলাম,
সুপার মারিওর কথা না বল্লেই নয় ৭২ মিনিটের খেলতে নেমে তিনি গোলে কোন শটই নিতে পারেননি।
সবাইকে ঈদ মুবারক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় দশ বছর পরে এসে আরেক ঈদের দুদিন পর আপনার এ লেখাটা পড়ে আনন্দ পেলাম।
পোস্টে প্লাস। + +