নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং জানি আমার বাক স্বাধীনতা কতটুকু ।
আমি বলতে চাই, আপনার যোগ্যতায় আপনি যেমন চাকরি টা পেতে চান তেমনি যাদের যোগ্যতায় দেশ টা স্বাধিন হয়েছে তারা আপনার মত স্বার্থপর না হলেও তাদের জন্য কিছু করা উচিত। কারন তাদের আত্মত্যগ আজ তাদের সংখালঘুতে পরিনত করেছে। তারা নিজের জন্য কখনও কিছু চায়নি,নাতি-পুতিরাও কিছু চায়নি। কোন সরকার তাদের জন্য তেমন কিছু করে নাই, বর্তমান সরকার কিছু করার চেষ্টা করছে। কিন্তু বর্তমান মেধাবিরা খুবি কৌসুলি, তারা প্রচার করছে মুক্তিযোদ্ধারা নিঃস্বার্থ ভাবে দেশের জন্য, মানুষের জন্য যুদ্ধ করেছে। তাই কোটা দিয়া তাদের অসন্মানিত করা হচ্ছে ! তাহলে সরকারের প্রতি দাবি রইল কোটার পাশাপাশি তাদের ভাতাও বন্ধ করা হউক। কারন তারা নিজের যোগ্যতায় চলতে পারবে। কারন মুক্তিযোদ্ধারা সবাই মেধাবি। আর যারা মেধাবি নয় তারা হবে খেটে খাওয়া মানুষ। তারা রিকশা চালাবে, জমিতে সোনার ফশল বুনবে, ফেরি করবে তাও সন্মানের।
জানতে ইচ্ছা করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় গত ১০ বছরে
১। শতকরা কয়জন মুক্তিযোদ্ধার সরকারি চাকুরী হয়েছে?
২। শতকরা কয়জন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকুরী হয়েছে?
৩। শতকরা কয়জন মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতির সরকারি চাকুরী হয়েছে?
৪। শতকরা কয়জন মেধাবির সরকারি চাকুরী হয়েছে?
৫। চাকুরীতে মেধাবি আর মুক্তিযোদ্ধার শতকরা অনুপাত কত?
পরিশেষে বলতে চাই, কিছু মানুষ ভুয়া সনদ নিয়া আজ মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে, একথা সবই জানে। আর এই সুযুগে অনেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়া কুটুকতি করে যা খুবি দুঃখজনক।
আমি যতদুর শুনেছি, গত ২ টা BCS এ সাধারন মেধাবিরা যথাক্রমে ৬৭.৫% ও ৭০.৩১% মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে, কারো কি এই বিষয়ে জানা আছে? না থাকলে শুধু শুধু কমেন্ট না করে একটু জেনে কমেন্ট করুন। আমার ভুলও হতে পারে।
• সরকারে প্রতি অনুরোধ, বর্তমান কোটা পদ্ধতির যুগ উপযোগী সঃস্কার যেন করা হয়।
(বানান ভুল হলে ক্ষমা করবেন।)
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭
হাসানুর বলেছেন: আমারও মনে হয় না সরকার সেটা করবে। তবে % কমানো যেতে পারে কারন, চাকুরীতে ৩০% কোটা কখনও পুরন হয় বলে মনে হয় না। আর কোটা পুরন না হলে সাধারন মেধা থেকেই তা পুরন করা হয়।
২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:১৫
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: ১৯৮৬-৮৭ সালের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-২০০১ সালে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়ায় ১ লক্ষ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন! ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত আরেকদফা তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ১০ হাজার ৪৮১ জনে!! বিগত দশ-বারো বছরে সংখ্যটি যে আরো বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই!!!
এই হচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার বেহাল দশা।
হিসাব করলে দেখা যায় দেশের মাত্র.......... ০.১১% ভাগ (শুণ্য দশমিক এগার) !!! ......... (মোট জনসংখ্যার ১% এর নয়ভাগের এক ভাগ...........!!!! সত্যি বিষ্ময়কর) মানুষের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০% কোটা সংরক্ষিত!!!!!
এটা কোন যুক্তি বলে কোন লেভেলের বিশেষজ্ঞরা করেছেন জানি না। যারা করেছেন তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।
চরম বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আমি মনে করি। মুক্তিযোদ্ধারা একাত্তরে তাঁদের সন্তান ও নাতিপুতিদের অধিকার আদায়ের জন্য যুদ্ধ করেননি। তাদের সংগ্রাম আর আত্মত্যাগ ছিল সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য, পাকিস্তানীদের বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে। সরকারি চাকরিতে বাঙালিদের সম অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।
কোটা পদ্ধতির সুবিধা নিয়ে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। সরকার প্রতিমাসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে যে সম্মানী দেন তার একটি বড় অংশ ভূয়াদের পেটে যায়।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯
হাসানুর বলেছেন: তালিকা সংশোধন হতেই পারে এতে দোষের কিছু দেকছিনা । সংখ্যাও বাড়তে পারে। কিন্তু কিছু লোক সুবিধা নিচ্ছে আর কিছু লোক সুবিধা দিচ্ছে সেটাই বড় দুর্নীতি।
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: আজ বুঝলাম আপনিও মেধাবী... কোটা সংস্কার আন্দোলন না আইলে বুঝতাম ই না...
১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০২
হাসানুর বলেছেন: বুজতে পারছেন সেটাই বড় কথা। আপনার কমেন্ট পড়ে সবাই আপনা কেও মেধাবিই বলবে।
------তবে ভাই ভুল বুইজেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আমার মনে হয় না মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে বর্তমান সরকার বাঙালি জাতিকে বেঈমান জাতিতে পরিণত করবেন।
১০% জেলা কোটা প্রতিটি জেলার অধিকার, ১০% নারী সেটাও নারীদের অধিকার যদিও আরও বেশি দরকার নারীদের জন্য, ৫% নৃগোষ্ঠী এটাও তাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব, ১% প্রতিবন্ধীের প্রতি রাষ্ট্রের মানবিক দায়িত্ব। সর্বোপরি সকল %ই যোগ্যতম প্রার্থীরাই পেয়ে থাকেন।