নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কলেজের ফার্স্ট ইয়ার ফাইনালে ফেল করে বসল এক ছাত্র। কিন্তু ফেল করলে তো চলবে না! যেভাবেই হোক পাশ করতে হবে।
সে গেল প্রিন্সিপাল স্যারের রুমে। কিন্তু অনেক কাকুতি মিনতি করেও স্যারের মন গলাতে পারল না।
তখন ছাত্রটি মনে মনে একটা ফন্দি আঁটল। সে গম্ভীর হবার ভান করে বলল, স্যার, আমি আপনাকে তিনটি প্রশ্ন করব। যদি আপনি সঠিক উত্তর দিতে পারেন, আমি আমার রেজাল্ট মেনে নেব। আর যদি উত্তর দিতে না পারেন তাহলে আমাকে পাশ করিয়ে দিতে হবে।
ছাত্রটির বুদ্ধিশুদ্ধির ওপর প্রিন্সিপাল স্যারের খুব একটা আস্থা ছিল না। এরকম গবেট টাইপের একটা ছেলে কি এমন প্রশ্ন করবে যার জবাব তার মতো অভিজ্ঞ শিক্ষক দিতে পারবে না! অতএব, তিনি রাজি হলেন।
ছাত্রটি একটা ফিচলে হাসি দিয়ে বলল, বলুন তো, কোনটা লিগ্যাল কিন্তু লজিকাল না? কোনটা লজিক্যাল তবে লিগ্যাল না? আর কোনটা লিগ্যাল বা লজিক্যাল কোনোটাই না?
প্রিন্সিপাল স্যার এবার বেকায়দায় পড়লেন। ভেবে ভেবে চুল ছিঁড়ে ফেলার অবস্থা, কিন্তু সঠিক উত্তর কিছুতেই মাথায় আসছে না। শেষে ছাত্রের শর্ত মেনে নিয়ে তাকে পাশ করিয়ে দিলেন।
পরদিন তিনি ক্লাস নিতে গিয়ে ভাবলেন, গতকালের প্রশ্নটিই তিনি আজ ছাত্রদের করবেন। প্রশ্ন করতেই তিনি হতভম্ব। প্রায় সবাই হাত তুলেছে।
তিনি তখন সামনের বেঞ্চের একজন ছাত্রকে বললেন, বল দেখি!
ছাত্রটি মুচকি হেসে বলল, স্যার, আপনার বয়স ৫৯, আর আপনার স্ত্রীর বয়স ১৮! এটা লিগ্যাল, কিন্তু লজিক্যাল নয়।
স্যার তখন ছাত্রটিকে তাড়াতাড়ি থামিয়ে দিয়ে বললেন, আরে বস বস হারামজাদা, তোকে আর বলতে হবে না।
আরেকজন ছাত্র মাঝের সারি থেকে লাফ দিয়ে উঠে বলল, স্যার, আপনার স্ত্রীর সাথে ১৯ বছরের এক যুবকের অ্যাফেয়ার চলছে! এটা লজিক্যাল, কিন্তু লিগ্যাল না।
স্যারের তো বিষম খাওয়ার অবস্থা। গলা দিয়ে আওয়াজ বেরোচ্ছে না। কোনোমতে গ্লাস হাতে নিয়ে ঢক ঢক করে পানি খেলেন।
কিন্তু তখনও অবাক হওয়ার আরো বাকি ছিল! লাস্ট বেঞ্চের একজন বলে উঠল, "স্যার, আপনার স্ত্রীর বয়ফ্রেন্ড ফাইনাল পরীক্ষায় ফেল করা সত্ত্বেও আপনি তাকে পাশ করিয়ে দিয়েছেন। এটা না লজিক্যাল, না লিগ্যাল।
স্যার মাথা ঘুরে ধপাস করে পড়ে গেলেন।
(সংগৃহীত ও কিছুটা পরিমার্জিত)
©somewhere in net ltd.