নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৪৯ হুজরাত, ১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০। মু’মিনগণ পরস্পর ভাই ভাই; সুতরাং তোমরা ভাইদের মাঝে ইসলাহ (শান্তি স্থাপন) কর, আর আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।

সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।

* মতভেদের মামলায় যারা অপরাধী তাঁদের যারা সাহাবা (রা.) তাঁরা ক্ষমাপ্রাপ্ত হবেন এবং যারা সাহাবা নয় তারা জাহান্নামে যাবে।উম্মুল মুমিনিন মতভেদের কারণে করা যুদ্ধের দায় স্বীকার করেছেন, আল্লাহকি তাঁকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন? তিনি যেহেতু ক্ষমা পাবেন সেহেতু তাঁর সাথী সাহাবায়ে কেরামও (রা.) ক্ষমা পাবেন। রাসূলের (সা.) স্বপ্ন অনুযায়ী হযরত মুয়াবিয়া (রা.) ক্ষমা প্রাপ্ত হবেন।তিনি যেহেতু ক্ষমা পাবেন সেহেতু তাঁর সাথী সাহাবায়ে কেরামও (রা.) ক্ষমা পাবেন। খলিফার পক্ষে যুদ্ধ না করার কারণে হযরত আবু বাকরা (রা.) ও তাঁর সাথী সাহাবায়ে কেরাম (রা.) ক্ষমা পাবেন। তবে তাঁদের সাথী যারা সাহাবা নয় তাঁরা ক্ষমা নাও পেতে পারেন।কারণ তাদের ক্ষমার কথা কোরআনে নাই।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

মেশকাত ৫৭৬৪ নং হাদিসের (সাহাবীদের ফজিলত ও মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৭৬৪। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, আমি আমার প্রতিপালককে আমার ইন্তেকালের পর আমার সাহাবীদের মধ্যে মতভেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অহীর মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দিলেন যে, হে মোহাম্মদ! আমার নিকট তোমার সাহাবীদের মর্যাদা হল আসমানের নক্ষত্রদের তুল্য। এর একটি আরেকটির তুলনায় অধিক উজ্জ্বল। অথচ প্রত্যেকটির মধ্যেই আলো বিদ্যমান; সুতরাং তাদের মতভেদ হতে যে কোন ব্যক্তি কোন একটি অভিমত গ্রহণ করবে, সে আমার নিকট হেদায়াতের উপরই প্রতিষ্ঠিত। হযরত ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, আমার সাহাবীগণ হল তারকাসদৃশ। অতএব তোমরা তাদের মধ্য হতে যে কোন এক জনের অনুসরন করবে হেদায়াত লাভ করবে – রাযীন।

* আমাদের জন্য জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষায় নিরাপদ ব্যবস্থা হলো সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মতভেদে তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকা অথবা তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের যে কোন একজনের অনুসারী থাকা।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

মুসনাদে আহমদ, ২০৩৩৫ নং হাদিসের অনুবাদ-
২০৩৩৫। হযরত আবু যার গিফারী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একদিন নবির (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম এবং আমি তাঁকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মতের জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি। তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মতের জন্য দাজ্জালের চাইতেও বেশী ভয় করেন? তিনি (সা.) বললেন, পথভ্রষ্ট আলেমগণ।

* সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পর মুসলিম জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষায় রাসূলের (সা.)ওয়ারিশ আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে অথবা তারা আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী যে কোন একজনের অনুসারী হবে।আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী আলেম হলো দাজ্জাল। যারা দাজ্জালের অনুসারী হবে তারা তাদের সাথে জাহান্নামে যাবে। তারপর তারা কালেমার কারণে জাহান্নাম থেকে মুক্তিপেলে পাবে।দাজ্জাল আলেমের নমুনা হলো নামাজে সরবে ‘আমিন’ বলে। এরা নারী-পুরুষের নামাজ এক রকম বলে। এদের পুরুষরা নামাজে নাভির নীচে হাত বাঁধে না।এরা নামাজে বার বার হাত তোলে। এভাবে এরা আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করে করে মুসলিম জাতিকে অতিষ্ট করে তুলেছে। এরা কিছু সাহাবার অযুহাত দেখায়। কিন্তু মতভেদ করে সাহাবায়ে কেরামের (রা.) কেউ শাস্তি পাবেন না সেটা কি আল্লাহ বলেছেন? তাঁরা ক্ষমা পাবেন এবং শাস্তি হিসাবে জান্নাতে তাঁদের মর্যাদা কম হতেই পারে। কিন্তু যারা সাহাবা নয় তাদেরকে তো আল্লাহ নক্ষমা করার কথা বলেননি। সুতরাং ক্ষমা না পেলে তাদেরকে জাহান্নামে যেতেই হবে। তারপর কালেমার কারণে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে পাবে। সুতরাং জাহান্নাম থেকে আত্ম রক্ষায় মুসলিমদেরকে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


কোরিয়ানরা আপনাকে কম্পিউটারের কি সফটও্যায়ার'এর উপর ট্রেনিং দিয়েছিলো?

০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ফটোশপ ও ইলাস্ট্রেটর

২| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

অহরহ বলেছেন: মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

জী ভাইয়া, যে ধর্মের নবী স্বয়ং গলা কেটে মানুষ হত্যা করতেন। জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত সাহাবী-খলিফা এবং নবীর নিকটতম আত্মীয় স্বজন পরস্পর অভ্যন্তরীণ কাইজা, ফ্যাসাদ, খুনাখুনি করে খতম হয়েছে সেই ধর্মে ভাল আর কী আশা করেন??!!




সহীহ বুখারী (ইফাঃ)
অধ্যায়ঃ ৮০/ স্বপ্নের ব্যাখ্যা প্রদান
পরিচ্ছেদঃ ২৯৪০. দিনের বেলায় স্বপ্ন দেখা। ইবন আউন (রহঃ) ইবন সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, দিনের স্বপ্ন রাতের সপ্নের মত।
৬৫৩০। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই উম্মে হারাম বিনত মিলহান (রাঃ) এর ঘরে যেতেন। আর সে ছিল উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) এর স্ত্রী। একদা তিনি তার কাছে এলেন। সে তাকে খানা খাওয়াল। তারপর তার মাথার উকুন বাছতে শুরু করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর হেসে হেসে জেগে উঠলেন।

০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সকল ধর্ম ও মতের মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশী লাভ জনক।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

অহরহ বলেছেন: ভাইয়া : ছি, আপনার নবীর মাথায় উকুন ছিল। উকুন হয় প্রধানত নোংরা অপরিচ্ছন্ন লোকদের মাথায়। তা ছাড়া আপনার নবীর স্বভাব চরিত্রও ভাল ছিল না। তিনি অন্য লোকের বউয়ের হাতে নিজের মাথার উকুন বাছাতেন।

সহীহ বুখারী (ইফাঃ), পরিচ্ছেদঃ ২৯৪০, হাদীস নং ৬৫৩০ :

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায়ই উম্মে হারাম বিনত মিলহান (রাঃ) এর ঘরে যেতেন। আর সে ছিল উবাদা ইবনু সামিত (রাঃ) এর স্ত্রী। একদা তিনি তার কাছে এলেন। সে তাকে খানা খাওয়াল। তারপর তার মাথার উকুন বাছতে শুরু করল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়ে পড়লেন। কিছুক্ষণ পর হেসে হেসে জেগে উঠলেন। উম্মে হারাম (রাঃ) বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি কেন হাসলেন?.........

০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যিনি তাঁর মাথার উকুন বেছেছেন তিনি তাঁর দুধ খালা। আর মহানবি (সা) বাবড়ী চুল রাখতেন সেজন্য হয়ত উকুন হয়েছে। এসব খুববেশী বিবেচ্য বিষয় নয়।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

লেখার খাতা বলেছেন: আপনি বিরোধী মতের কারো মন্তব্য এর জবাব দিতে রেগে গিয়ে খারাপ শব্দ প্রয়োগ করেন না। বিষয়টি সুন্দর।

০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মন্তব্য-প্রতি মন্তব্যের ক্ষেত্রে আমাদেরকে অবশ্যই ব্লগের নীতিমালা মেনে চলতে হবে।

৫| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩২

অহরহ বলেছেন: ভাইয়া আপনি বলেছেন : উম্মে হারাম বিনত মিলহান নাকি নবীর দুধখালা ছিলেন!? এটি ডাহা মি্থ্যা কথা। মোহাম্মদের দুধমাতা ছিলেন হালিমা আস সাদিয়া। উম্মে হারাম বিনত মিলহান কখনই হালিমার আপন বোন ছিলেন না। সেই হিসেবে নবী মোহাম্মদ হারাম বিনত মিলহান এর মাহরাম নন।

"হালিমা বিনতে আবি যুয়ায়েব বা হালিমা সাদিয়া (আরবি: حليمة السعدية) ছিলেন ইসলামের নবী মুহাম্মদের দুধমা। ৮দিন বয়সে তিনি মুহাম্মদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন, এবং দুই বছরের কিছু অধিক সময় পর্যন্ত তাকে হালিমা তার নিজ বাড়িতে লালন-পালন করে, তার মা আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন।"

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উম্মে হারাম বিনতে মিলহান মহানবির (সা) ‍দুধ খালা ছিলেন না সেটা আপনে ক্যামনে জানলেন?

৬| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৫৮

অহরহ বলেছেন: বলেছেন : আর মহানবি (সা) বাবড়ী চুল রাখতেন সেজন্য হয়ত উকুন হয়েছে। এসব খুববেশী বিবেচ্য বিষয় নয়।

ভাইয়া, নোংরা অপরিচ্ছন্ন নবীর মাথা যে উকুনে ভরা ছিল শুধু তাই না।

১। তিনি একটি গামলায় হিসু করে তা খাটের নিচে রেখে দিতেন, ওয়াক....

মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস একাডেমি
অধ্যায়ঃ পর্ব-৩ঃ পাক-পবিত্রতা
পরিচ্ছদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ – পায়খানা-প্রস্রাবের আদাব
৩৬২-(২৯) উমায়মাহ্ বিনতু রুক্বায়ক্বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খাটের নিচে একটি কাঠের গামলা ছিল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাতে এতে প্রস্রাব করতেন। (আবূ দাঊদ ও নাসায়ী)(1)
(1) সহীহ : আবূ দাঊদ ২৪, নাসায়ী ৩২, সহীহুল জামি‘ ৪৮৩২।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


২।পানির গ্লাসে মাছি পরলে নবী মাছি ডুবিয়ে সেই পানি আবার পান করছেন। ওয়াক....।

সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৭৬/ চিকিৎসা
৫৭৮২. আবূ হুরাইরাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কারও কোন খাবার পাত্রে মাছি পড়ে, তখন তাকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দিবে, তারপরে ফেলে দিবে। কারণ, তার এক ডানায় থাকে আরোগ্য, আর আরেক ডানায় থাকে রোগ। (৩৩২০) আধুনিক প্রকাশনী- ৫৩৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫২৫৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


৩। আপনার নবী এক গোছলে একাধিক নারীর সাথে সেক্স ম্যারাথন করতেন। ওয়াক ওয়াক ওয়াক....... ঘিনঘিনে নোংরা।


সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫/ গোসল
৫/১২. একাধিকবার বা একাধিক স্ত্রীর সাথে সঙ্গত হবার পর একবার গোসল করা।
২৬৮. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)


তো, ভাইয়া এরপরও বলবেন আপনার নবী অপরিচ্ছন্ন ছিলেন না???!!!

০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:২২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এতে এমন কোন সমস্যা আমি দেখি না। আর এটার জন্য কেউ জাহান্নামে যেতে চাইবে না। আপনার অতি পরিচ্ছন্নতা নিয়ে জাহান্নামে যেতে চান সেটা আপনার হিসাব।

৭| ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

অহরহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: এতে এমন কোন সমস্যা আমি দেখি না।

আপনিও কি তাই করেন, ভাইয়া................... নবীর সুন্নত বলে কথা??

০৬ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সবার জন্য সব কিছু করা জরুরী নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.