নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীয় স্বত্ত্বার সহিত সত্যের সন্ধানে সর্বদা সচেষ্ট
- হা হা হা!
- হঠাৎ হাসির কি হলো?
- কমেন্টের রিপ্লাই দিতে পারলাম না বলে এখানেই হাসলাম। ওটা ছিল জীবন থেকে নেওয়া শিক্ষা, সবচেয়ে বড় সাক্ষী তো তুমিই!
- হা হা হা হা হা! এই বার আমি না হেসে পারলাম না! কমেন্ট রিপ্লাই করতে পারবা না জানি। আমিও হয়তো কমেন্ট করতাম না, কিন্তু না করে পারলাম না।
- হুমম, মন ভাল না, আজ কোথাও বের হইনি। নো অফিস, নো ফোনকল, নো আড্ডাবাজি! বাসায় বসে বসে পুরনো দিনের কথা ভাবছিলাম। আমি আমার জীবনে এত ভুল করেছি যে এখন আর শোধরানোর উপায় নাই! তবে হাস্যকর কথা কি জানো? আমার করা ভুল গুলো অনেকের জন্যই অনেক অনেক শুভদিন নিয়ে এসেছে।
- হয়তো! মাঝে মাঝে পুরনো দিনের কথা মনে করা ভাল। জং ধরা মন আর শরীরকে ফ্রেশ করে।
- হুমম! তারপর, কেমন আছো? তোমার উনি কেমন আছে? তোমারা দুজন মিলে কেমন আছো?
- সব মিলে বাইরে থেকে ভালই আছি বা সবাইকে সেটাই দেখাচ্ছি। কিন্তু ভেতরে হাহাকার আর মনের টান শেষ করে দিচ্ছে!
- কি জন্য?
- হা হা হা, তেমন কিছু না! দু’জন দু’প্রান্তে থাকার জন্য।
- আচ্ছা, তাও ভাল! আমি তো ভেবেছিলাম ঝগড়া করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছো!
- আরে নাহ্, ঝগড়া তো আমিই করি। সেটাও যদি সে জানতো তাহলে তো হতোই! আমি ঝাড়ি দিই আর সে এক কান দিয়ে শুনে আর অন্যটা দিয়ে বের করে দেয়!
- হা হা হা! সমস্যা নাই, মাঝে মাঝে ইচ্ছা হলে আমার সাথে ঝগড়া করে যেতে পারো!
- সেটা হবে না! ঝগড়া করলে তো সেই কবেই করতাম হয়তো!
- তা ঠিক! আচ্ছা, কেন ঝগড়া করোনি বলতো?
- তুমি সুযোগ দাওনি! অপেক্ষা অপেক্ষাই রয়ে গেছিলো!
- হুমম, কিন্তু এখন তুমি অনেক ভাল আছো।
- ভাল খারাপ জানি না, কিন্তু সেই মানুষটাকে যে মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসি এটা জানি। একই টান ছিল তোমার উপর, যদিও তখন কিছু বুঝতাম না হয়তো!
- তুমি এখন ভাল আছো এটাই বাস্তবতা!
- হুম, তবে তোমার কাছ থেকেই প্রথম ভালবাসা শেখা! ভালবাসা কি আর সেটা কিভাবে গড়া আর ভাঙা যায়!
- মানুষ অতীত কিংবা ভবিষ্যতে বাস করে না, বাস করে বর্তমানে। এসব ভেবে মন খারাপ করো না। লিভ ইট, অনেক কঠিন কঠিন কথা বলছি আমরা!!
- হা হা হা, সরি অনেক কিছুই বলে ফেলেছি!
- না না, ইটস ওকে!
- আমি শুধু আমার কথা বলতে চেয়েছি!
- হুম, এটা বুঝি। আমি এক সময় অনেক কিছু বুঝতাম না। এখনও অনেক কিছু বুঝি না। তবে কিছু কিছু বুঝি। বুঝিয়ে দিলে আরো ভাল করে বুঝি! হা হা হা হা!
- হুম, দেখে আর ঠেকেই মানুষ শেখে।
- হুমম। আচ্ছা শোন, তোমার হাসি হাসি প্রো-পিকচারটা ভাল লাগছে!
- থ্যাংকস! দেখতে দেখতে ৯ মাস হয়ে গেল!
- একদিন দেখতে দেখতে ৯ বছর হবে, ৯০ বছর হবে টেরও পাবা না!
- পাবো পাবো, সময়কে মূল্য দিলেই টের পাবো।
- হা হা হা, হয়তো! তোমার সব চাওয়া যেন পূর্ণ হয়।
- থ্যাংক ইউ! চাওয়া কিছুই না, সবাইকে যেন ভাল রাখতে পারি আর সাথে থাকতে পারি। তা আমার কথা তো অনেক হলো, এবার বলো তুমি কেমন আছো?
- আমি তেমন ভাল নাই! কাজের চাপ, রাস্তায় জ্যাম, শীত সব মিলিয়ে বিরক্ত!
- ভাল থাকার চেষ্টা করো।
- করবো...!
- আজ তাহলে আসি, কেমন?
- আচ্ছা, আবার কথা হবে।
-্ আবার কথা হবে।
একটি ঝগড়ার সুযোগের অভাবে!
জানুয়ারী ২৬, ২০১৬
রামপুরা, ঢাকা।
ফেসবুকের পোস্ট আর কমেন্টের বাইরে কিছু একান্ত কথা থেকে যায়। যার শেষ হয় ইনবক্সে, আবার হয়তো শেষ হয়েও হয় না! এমন শেষ হয়েও না শেষ হওয়া কথা নিয়ে শুরু করলাম ‘ইনবক্স’ সিরিজ। উপরের কথোপকথন একটি সত্য ঘটনা। ঘটনাচক্রে এমন অনেক সত্য ঘটনার সাক্ষী হতে হয় আমাকে। সেই সব ঘটনার চরিত্রগুলোর অনুমতি সাপেক্ষে ‘ইনবক্স’ সিরিজ লিখছি।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯
মাগুর বলেছেন: ছবির ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না কারন অনেক দিন পর আবার সামুতে লিখছি। তবে ১০ টা ১৫ টা এরকম ছবি আপলোডের লিমিট থাকার কথা না। আর ট্যাগ করার সময় শব্দের পর (,) কমা চিহ্ন দিলেই হবে। যেমন: গল্প, মুক্তিযুদ্ধের গল্প, ১৯৭১, মুক্তিযুদ্ধ ইত্যাদি।
আর কোন তথ্য দরকার হলে জানাবেন। আমার ব্লগে আসার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২১
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: সুন্দর সিরিজ শুরু করেছেন । যেখানে অসমাপ্তিগুলোই সমাপ্তি ।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১১
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ, দেখি কতদিন অসমাপ্তি নিয়ে লেখা যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:৪৮
স্ট্রাটাজেম বলেছেন: অফ টপিক - সামুতে এখন কি কোনভাবেই ১০ টার বেশি ফটো দেওয়া যাবে না ? আর দেওয়া গেলে সেটা কিভাবে ? আর ট্যাগ করার সময় শব্দগুলো কিভাবে লিখব এবং কতগুলো শব্দ লেখা যাবে । বিস্তারিত জানালে খুব উপকার হতো ।
ধন্যবাদ আপনাকে