নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীয় স্বত্ত্বার সহিত সত্যের সন্ধানে সর্বদা সচেষ্ট
আমার জন্ম প্রায় বর্ডারেই বলতে পারেন। ছোটবেলা সেখানেই কেটেছে। বর্ডার আমাদের কাছে ডাল-ভাত। কিন্তু এখানকার মানুষের জীবন যাত্রার মাণ দেখলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। প্রায় সারা বছরই কোন কাজ থাকে না। কৃষি জমি এখানে যা আছে তা অল্প কয়েকটি পরিবারের দখলে। বেশীর ভাগ মানুষই ভূমিহীন। ভূমিহীন এ মানুষগুলোর জন্য তাই বর্ডার ছাড়া কোন গতি নাই। এই বর্ডার কেড়ে নিয়েছে কারো বাবা, কারো ভাই, কারো স্বামী আবার কারো সন্তানকে। মাত্র ২০০-৮০০ টাকার জন্য এরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বর্ডার পার হয়। আর তাদের এই কাজে ঠেলে দেয় সামান্য কিছু মানুষরূপী পশু যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকে। আর এই চোরাচালানের অর্থের মূল অংশটুকুই যায় স্থানীয় নেতা, বিজিবি, পুলিশ আর প্রশাসনের পকেটে। বর্ডার আর নিরীহ এই মানুষগুলোকে ব্যবহার করে এই সব নরকের কীটগুলো দিন দিন ফুলে ফেঁপে বড়লোক হয়েছে, কিন্তু সেই নিরীহ মানুষ গুলো এখনো অর্ধাহারে অনাহারে কোন মতে বেঁচে আছে! আমি ৮/৯ বছরের বাচ্চা ছেলে-মেয়েদেরকেও দেখেছি চিনির বস্তা মাথায় নিয়ে ভীত খরগোশের মত দৌড়াতে। আবার ৭০/৮০ বছরের বৃদ্ধরাও যায়। এদের পেটে ভাত নাই, ঘরের চাল নাই। রোগ-বালাই সারাক্ষণ লেগেই আছে। একটি ঘটনা বলি,
তখন ১৯৯৯ সাল, গ্রামের বাড়ি, প্রত্যন্ত বর্ডার এলাকা। বর্ডারের ধার ঘেষেই আমাদের কিছু ধানের জমি আছে। আমাদের রাখালরা গরু নিয়ে সেই বর্ডারে যায়। কৃষকেরা চাষাবাদ করে। আবার এই বর্ডার দিয়েই অবৈধ অস্ত্র, মাদক, গরু, শাড়ি ইত্যাদি পাচার হয়। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে তখন তারাই নিয়ন্ত্রণ করে বর্ডারের এই অবৈধ ব্যবসা।
তবে যে দিনের ঘটনা বলছি সেদিন সকালে আমি রাখালদের সাথে গরু নিয়ে গেছিলাম বর্ডারে। সেখান আমাদের গ্রামেরই মন্টু নামের এক কৃষক আর তার ভাই নিজের জমিতে হাল চাষ করছিলো। দুপুর হলে তারা সঙ্গে নিয়ে আসা রুটি আর ভাজি দিয়ে খাচ্ছিলো। কিন্তু হঠাৎ হালের মহিষ দুটো ঘাস খেতে থেতে বর্ডার পার হয়ে প্রায় ৩০০ গজ ভিতরে চলে গেলো। এ ঘটনা দেখে সবার তো মাথায় হাত! এখন কি হবে! কিন্তু দরিদ্র্য মন্টু চাচা তার একমাত্র সম্বল হালের মহিষ দুটো ফিরিয়ে আনার জন্য বর্ডারের অপার যেতে চাইলো। সবাই অনেক বোঝালেও সে তার সিদ্ধান্তে অনড়, শেষে তার ভাইও তার সাথে যাবে বলে ঠিক করলো! ওপারে ভারতের সিঙ্গাবাদ বর্ডার, বিএসএফ এর ক্যাম্প আছে। অত্যাধুনিক সব অস্ত্র আর গাড়ি নিয়ে দুর্বল ট্রেইনিং প্রাপ্ত নির্বোধ বিএসএফরা সব সময় টহল দেয়। মন্টু চাচা আর তার ভাই মহিষ আনার জন্য ওপারে গেল। মহিষ দুটো ধরে তারা যখন ফিরতি পথ ধরলো তখনই ঘটলো বিপত্তি! টহলরত দুজন বিএসএফ সদস্য তাদের পথ আটকালো। তারা দাবি করলো যে মহিষ দুটো নাকি চুরি করা। মন্টু চাচা যতই বোঝায় যে মহিষ দুটো তার, বেখেয়ালে এপারে চলে এসেছে তারা ততই বোঝে না! এক পর্যায়ে কোন রকম উষ্কানি ছাড়াই একজন বিএসএফ সদস্য তার দিকে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি করতে গেলো! মন্টু চাচা তখন সেই বিএসএফটিকে ঝাপটে ধরে কাদায় গড়াগড়ি খেতে লাগলো আর তার ভাইকে চিৎকার করে পালিয়ে যেতে বললো। মন্টু চাচার ভাই ভয়ে নড়তে পারছিলো না। অপর বিএসএফটি বন্দুক তাক করে গুলি করার সুযোগ খুজতে লাগলো, একপর্যায়ে মন্টু চাচাকে লাথি মেরে দুরে সরিয়ে তারা দুজন মিলে নির্মম ভাবে বুকে ও পেটে গুলি করে মারলো। মন্টু চাচার ভাইকেও তারা বুকের ওপর পা তুলে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে মারলো। আর এ সবই ঘটলো আমাদের চোখের সামনে! পাখির মতো গুলি করে মারা হলো বাংলার দুই নিরীহ দরিদ্র কৃষককে। দুই ভাইকে মারার পর তারা আমাদের দিকেও গুলি ছোড়া শুরু করলো। আমরা কোন মতে গরুর আড়াল নিয়ে দুরে সরে গেলাম। এর মধ্যে একজন বিডিআর(বর্তমান বিজিবি) ক্যাম্পে খবর দিলো। কিন্তু সেখান থেকে বিডিআর আসতে আসতে বিকাল হয়ে গেল। মন্টু চাচা আর তার ভাইয়ের লাশ পড়ে রইলো নোম্যান্স ল্যান্ডে! এর পরের কাহিনী বিশেষ কিছু না, বিডিআর-বিএসএফ এর ফ্ল্যাগ মিটিং, বিডিআরের প্রতিবাদ, আর পুলিশের পোস্ট মর্টেম। ঘটনা এটুকু মনে হলেও আসলেই কি তাই? মন্টু চাচা আর তার ভাইয়ের উপর নির্ভর করে তাদের দুজনের সংসার, ছেলে-মেয়ে এবং বৃদ্ধ বাবা-মা বেঁচে ছিলো। কিন্তু তারা দুই ভাইয়ের মৃত্যুর পর তাদের কে পথে নামতে হয়। বাচ্চা গুলোর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায়। কাজের ব্যস্ততা আর শহরকেন্দ্রিক জীবনের কারণে বহুদিন তাদের খোঁজ নেওয়া হয় না। জানি না এই ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেমন আছে তারা....!
আর এরকম একটি নয়, শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে বর্ডারে! এই ঘটনা গুলোর বিচার তো দুরের কথা অনেক সময় লাশও পায় না হতভাগা পরিবার গুলো।
উপরের ঘটনাটি যে সময় ঘটেছে তখন মিডিয়া-টিভি বর্তমান সময়ের মতো ছিলো না। ব্লগ-ফেইসবুক তো বহু দূরের কথা! আর সেই অজো পাড়া গাঁয়ে যেয়ে রিপোর্ট করার মতো সাংবাদিকও ছিলো না। সেসময় পত্রিকার ভেতরের পাতায় মাত্র কয়েকটি লাইনে ঠাঁই পেয়েছিলো এই ঘটনাটি। কিন্তু ভুক্তভোগী মানুষ গুলোর জীবনে তা এক অভিশাপ হিসাবে আবর্তিত হয়েছে।
উপরের এই ঘটনাটি ছাড়াও প্রায়ই বিএসএফের প্রহরায় বর্ডার পার হয়ে ইন্ডিয়ার ডাকাত-সন্ত্রাসীরা এপারে এসে ডাকাতি করে, গরু ছাগল নিয়ে যায়, ঘর জ্বালিয়ে দেয়, নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে যায় আরো কত কি! সে গুলো বলতে গেলে আরো অনেক পোস্ট লিখতে হবে।
বর্তমানে অনলাইনে চলছে ইস্যু কালচার। সবাই ঘুম থেকে উঠে অনলাইনে ঢুঁ মেরে জেনে নেয় আজকের ইস্যু কি?? তারপর শুরু হয় পোস্ট, স্ট্যাটাস, কমেন্ট, লাইক আর শেয়ারের বন্যা! সাথে তর্ক বিতর্ক, একে অপরকে দোষারোপ, গালাগালী, নোংরামী, মিথ্যাচার পুরাই ফ্রি! তো এই ইস্যু কালচারটা আমি আবার ঠিক মতো রপ্ত করতে পারিনি। তারপরও মাঝে মাঝে গুরুজনদের দেখে দু'চার লাইন লিখে ফেলি আরকি। তবে আজকে নতুন কিছু লিখিনি। জানুয়ারী মাসের বর্ডার হত্যাকান্ড নিয়ে লেখা একটি পোস্টকে কেটে-ছেঁটে আবার দিলাম।
তো ভাই লোগ, গত জানুয়ারীতে যে ইস্যু নিয়া সরগরম ছিলেন গত আট মাসে কিন্তু সেটা নিয়া সিরকুম কুনো কথা-বার্তা কৈতে দেখলাম না কাউরে! ঘটনা আট মাস আগেও যা ছিলো তাই আছে। মন্টুরা মরতিসে, ফেলানীরা ঝুলতিসে! মাঝখান থাইকা আমরা হুদাই প্যাচাল পাড়তিসি! ফেলানীর বিচার শুরু হইলো, খুব লাফাইলাম! শাবাশ সরকার! শাবাশ মানবাধিকার! এই না হইলে আইনের শাসন! আরো কত কি বড় বড় লেকচার! এখন আবার অমিয় ঘোষরে নির্দুষ কৈসে আবার লেকচার শুরু! এই সরকার চ্রম খ্রাপ! এই সরকারে উমুক নীতি খারাপ-তুমুক নীতি খারাপ!
হুর মিঞা থামেন!
ইন্ডিয়ান গান না শুনলে আপনার ঘুম আসে না, হিন্দি না জানলে আপনার সম্মান থাকে না, একটা সিরিয়াল মিস হইলে আপনি চিক্কুর পাইড়া কান্দেন, আইপিএলে জুয়ার বোর্ডে টাকা দিতে মিস হয় না, বলিউডি পোশাক না কিনলে ঈদ-পূজা হয় না, ইন্ডিয়ান ১৫০ সিসির বাইক না থাকলে স্টাইল হয় না, বিড়ির পুটকি ডন সিনেমার শাহরুখ খানের মতো ফিকা না মারলে আপনার ভাব আসে না, কানের হেডফোনে বাজে ক্যাটরিনার জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি, ইন্ডিয়ান বলদ না হইলে আপনার কুরবানী হয় না, কারো কারো তো আবার ইন্ডিয়ান ডাইল ছাড়া পিনিকই আসে না! তাইলে হুদাই এত চিল্লাচিল্লি কিসের?
আবার কিছুদিন পর নতুন আরেকটা ইস্যু আসবে। নতুন নতুন পোস্ট/স্ট্যাটাস হবে, আবার সেই নোংরামী, আবার গালাগালী, আবার একে অপরকে দোষারোপ এবং আবারো একটি নতুন ইস্যুর জন্য অপেক্ষা। আর এত কিছুর মধ্যে ফেলানীর মতো ঝুলতে থাকবে ফেলানীর বিচার, মন্টুরা মরতে থাকবে হালের মহিষের জন্য, মানুষ ছুটতে থাকবে দু'মুঠো ভাতের আশায়, নোম্যান্স ল্যান্ডে।
এই বিষয়ে আর কোন কথা বলবো না। বাস্তবে কারো কিছু করার ইচ্ছা থাকলে জানায়েন....।
অ. ট. যাদের অন্তরে পাকি প্রেম টগবগ করে ফুটছে তারা অতি উৎসাহী হয়ে কমেন্ট করে বসবেন না যেন! একটুখানি অসাবধানতা আপনার পুটুতে আরো দু'চারটা এক্সট্রা ফুটার কারন হয়ে যেতে পারে!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫০
মাগুর বলেছেন: দারুন লিখে তো আর কাম হচ্ছে না স্বপন ভাই! ঘটনা যা ছিলো তাই আছে
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:১৪
ভাইটামিন বদি বলেছেন: ডাক দেয়ার অপেক্ষায় আর কতকাল থাকবেন????
......ডাক দেয়ার মত কাউরে দেখছেন আমাদের এই নষ্ট সময়ে???? নাই ...কেউই নাই। সব শালাই চুতিয়া।।।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৬
মাগুর বলেছেন: কারো ডাক দেওয়া লাগবে না। আপনি থাকছেন তো? সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে উঠে দাঁড়ালেই হবে।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫০
জীনের বাদশা বলেছেন: বাঘের বাচ্চার মতই লেখছেন। চালিয়ে যান।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫৮
মাগুর বলেছেন: আমি ব্লগে বাঘের বাচ্চার মতো লিখলে তো লাভ নাই
ঐ দিকে তো বর্ডারে ইন্দুরের মতো মরছে দেশের মানুষ!
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২২
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: আমাদের বিজিবি কি এতই দূর্বল?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৭
মাগুর বলেছেন: বিএসএফ আমাদের আনসারের মতো ট্রেইনিং পায়। কিন্তু ওদের হাতে মিনিমাম হলেও একে-৪৭ থাকে।
বিজিবি আমাদের আর্মির মতো ট্রেইনিং পায়। কিন্তু ওদের হাতে এখনো সেই চাইনিজ রাইফেল!
ওপারে যদি এ প্লাটুন বিএসএফ থাকে তো এপারে থাকে ছোট একটা বিজিবি ক্যাম্প!
ওদের আছে বড় বড় ওয়াচিং টাওয়ার, সার্চ লাইট আর আমাদের আছে মাটিতে খোঁড়া ছোট ছোট পরিখা!
তারপরো বিএসএফ কখনো সম্মুখ সমরে বিজিবিকে হারাতে পারেনি
বিজিবি দুর্বল না মহামান্য প্রিন্স, দুর্বল আমাদের সিস্টেম!
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুর্বল আমাদের সিস্টেম!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৫০
মাগুর বলেছেন: হুম
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২০
তোমোদাচি বলেছেন: হুর মিঞা থামেন! /
ইন্ডিয়ান গান না শুনলে আপনার ঘুম আসে না, হিন্দি না জানলে আপনার সম্মান থাকে না, একটা সিরিয়াল মিস হইলে আপনি চিক্কুর পাইড়া কান্দেন, আইপিএলে জুয়ার বোর্ডে টাকা দিতে মিস হয় না, বলিউডি পোশাক না কিনলে ঈদ-পূজা হয় না, ইন্ডিয়ান ১৫০ সিসির বাইক না থাকলে স্টাইল হয় না, বিড়ির পুটকি ডন সিনেমার শাহরুখ খানের মতো ফিকা না মারলে আপনার ভাব আসে না, কানের হেডফোনে বাজে ক্যাটরিনার জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি, ইন্ডিয়ান বলদ না হইলে আপনার কুরবানী হয় না, কারো কারো তো আবার ইন্ডিয়ান ডাইল ছাড়া পিনিকই আসে না! তাইলে হুদাই এত চিল্লাচিল্লি কিসের?
সহমত
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২০
মাগুর বলেছেন: সহমত প্রকাশ করার জন্য ধন্যবাদ ভাই
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৩৬
সুমন কর বলেছেন: বর্তমানে অনলাইনে চলছে ইস্যু কালচার। সবাই ঘুম থেকে উঠে অনলাইনে ঢুঁ মেরে জেনে নেয় আজকের ইস্যু কি?? তারপর শুরু হয় পোস্ট, স্ট্যাটাস, কমেন্ট, লাইক আর শেয়ারের বন্যা! সাথে তর্ক বিতর্ক, একে অপরকে দোষারোপ, গালাগালী, নোংরামী, মিথ্যাচার পুরাই ফ্রি!
ভালো বলেছেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৬
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন ভাই
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৭:২৫
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: আমাদের বাজে সিস্টেমের জন্য কি আমরা নির্যাতিত হয়েই যাব
আমাদের বাজে সিস্টেমের জন্য কি আমরা নির্যাতিত হয়েই যাব !
আর কত ফেলানী , মন্টুরা মরলে আমাদের সিস্টেম চেঞ্জ হবে !
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
মাগুর বলেছেন: দরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন, সচেতনতা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এগুলো নিশ্চিত করা গেলেই আমাদেরকে আর ফেলানী অথবা মন্টুদের লাশ দেখতে হবে না। বিচারও চাইতে হবে না, হতাশ হতে হবে না।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: সিষ্টেমের মায়রে টুট টুট। শালা আমরা বাঙালিরা সারাজীবন গুলি খাইয়া যাব আর তারা সিষ্টেম চালায়? সব কয়টারে মাইরা কাটাতারে ঝুলানো উচিৎ।
আর্মির জন্য নেভির জন্য বিএএফ এর জন্য সরকার ভালোই ইকুইপমেন্ট কিনেছে। বিজিবির জন্য কিনতে পারে না?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২
মাগুর বলেছেন: বিজিবির আর্মস দরকার আছে কিনা সেটা নিশ্চিত না তবে সীমান্ত এলাকার স্থানীয় প্রশাসন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দৌরাত্ম থামানো না গেলে এরকম অপরাধ বাড়তেই থাকবে। বিএসএফ বা ভারতকে সকাল বিকাল গালি দেওয়া যায়, কিন্তু আমাদের যে মানুষ গুলো পেটের দায়ে বর্ডার ক্রস করছে তাদেরকে তো আর থামানো যাচ্ছে না
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০৮
এম ই জাভেদ বলেছেন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সই করা দরকার।এর পরও হত্যা বন্ধ না হলে বিষয়টা জাতিসংঘের ফোরামে তোলা যায়। সীমান্ত হত্যা নিঃসন্দেহে এক ধরণের আগ্রাসন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩
মাগুর বলেছেন: দ্বিপাক্ষিক চুক্তি আর জাতিসংঘ ফোরাম ঠক কতটুকু কাজে দিবে জানি না। তবে এই মুহূর্তে দরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন, সচেতনতা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এগুলো নিশ্চিত করা গেলেই আমাদেরকে আর ফেলানী অথবা মন্টুদের লাশ দেখতে হবে না। বিচারও চাইতে হবে না, হতাশ হতে হবে না।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৭
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আমি তো গল্প ভেবে পড়া শুরু করছিলাম ! এনিওয়ে, সীমান্তের হত্যাকান্ড নিয়ে সঠিক সমাধান আমাদের দেশে কবে আসবে এবং ভারত - বাংলাদেশের গোপন চুক্তি গুলো কতদিন জনসাধারণের অন্তরালে থাকবে জানা নেই। ফেলানি হত্যাকাণ্ড লাইম লাইটে আসছে ব্যাপক লেখালেখির ফলে , অথচ এরকম আরও নাম না জানা মানুষ পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে মারা যায় এভাবে, সে খবর জানা হয় না আমাদের। যদিও আমি টিভি, নিউজ পেপার কিছুই পড়ি না। ভালো লাগে না এতো খারাপ খারাপ খবর নিয়ে আপডেট থাকতে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
মাগুর বলেছেন: সীমান্তের জীপন-যাপন খুব কঠিন আপু
সবসময় জীবন হাতে নিয়ে পেটের ভাত জোগাড় করতে হয়। অথচ তারা আমাদের কাছে শুধুই একটা ইস্যু!
১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
আমিনুর রহমান বলেছেন:
হুর মিঞা থামেন! /
ইন্ডিয়ান গান না শুনলে আপনার ঘুম আসে না, হিন্দি না জানলে আপনার সম্মান থাকে না, একটা সিরিয়াল মিস হইলে আপনি চিক্কুর পাইড়া কান্দেন, আইপিএলে জুয়ার বোর্ডে টাকা দিতে মিস হয় না, বলিউডি পোশাক না কিনলে ঈদ-পূজা হয় না, ইন্ডিয়ান ১৫০ সিসির বাইক না থাকলে স্টাইল হয় না, বিড়ির পুটকি ডন সিনেমার শাহরুখ খানের মতো ফিকা না মারলে আপনার ভাব আসে না, কানের হেডফোনে বাজে ক্যাটরিনার জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি, ইন্ডিয়ান বলদ না হইলে আপনার কুরবানী হয় না, কারো কারো তো আবার ইন্ডিয়ান ডাইল ছাড়া পিনিকই আসে না! তাইলে হুদাই এত চিল্লাচিল্লি কিসের?
উপরের একটা না করলেও আমার কিছু যায় আসে না।
যদিও আমি এর অনেক কিছুই করিনা হয়ত আমার ২/১টার ছোঁয়া যে আমার মধ্যে বিদ্যমান । যেমন আমি ইন্ডিয়ান ছবি দেখি বা গান শুনি অথবা আইপিএলও দেখি। এগুলোও না করলেও আমার কিছু যায় আছে না। কিন্তু এসব আমি করলে কি একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে পারবো না ! যে পাকিস্তানের নাম নিতেও আমাদের ঘৃনায় মুখ ভরে যায় কিন্তু সে পাকিস্তানের ক্রীড়া সামগ্রী কিন্তু ব্যবহার না করলে প্রফেশনালদের চলবে না। আজকে ইন্ডিয়ান টিভি ছাড়া আমাদের উপায় নাই। না হয় সিরিয়াল দেখলাম (যদিও দেখি না) না কিন্তু ডিসকোভারী, মুভি, স্পোর্ট চ্যানেল সবই ইন্ডিয়ান চ্যানেল প্রায় সব চ্যানেলগুলো মালিকানা ইন্ডিয়ান।
এতকিছুও কখন ঘটতো না যদি আমাদের বর্তমান ও বিগত সরকারগুলো ইন্ডিয়ার পা না চাটতো। তাদের মাথায় এতখানি কি ঘিলু নেই যে ইন্ডিয়ার উপর আমরা যতখানি না নির্ভরশীল তারচেয়ে অনেক বেশি ইন্ডিয়া আমাদের উপর বেশী নির্ভরশীল। আমাদের পিঁয়াজ, গরু, মোটর সাইকেল, পোশাক কিংবা অন্যন্যা প্রসাধণী না হলেও চলবে কিন্তু তাদের আমাদের ট্রানজিট না হলে তাদের চলবে না। সাধারণ মানুষ সাধারণই তারা এতকিছু বুঝার মধ্যে নেই। দেশের সরকার তাদের যে নীতিমালার মধ্যে রাখবে তারা সেভাবেই চলবে।
বর্তমানে অনলাইনে চলছে ইস্যু কালচার। সবাই ঘুম থেকে উঠে অনলাইনে ঢুঁ মেরে জেনে নেয় আজকের ইস্যু কি?? তারপর শুরু হয় পোস্ট, স্ট্যাটাস, কমেন্ট, লাইক আর শেয়ারের বন্যা! সাথে তর্ক বিতর্ক, একে অপরকে দোষারোপ, গালাগালী, নোংরামী, মিথ্যাচার পুরাই ফ্রি!
তবে এইটা জটিল বলেছো।
চমৎকার পোষ্ট +++
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬
মাগুর বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো আমিনুর ভাই। আসলে পণ্য বর্জন বা চ্যানেল বন্ধ কোন সমাধান নয়। ট্রানজিটের ব্যাপারটা অবশ্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবশী দেশ হওয়ার কারনে ব্যাবসা বানিজ্য, শিক্ষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি প্রভৃতির আদান-প্রদান হবেই। কিন্তু তাই বলে কেউ একতরফা সুযোগ ভোগ করবে তা হয় না।
তবে সীমান্ত হত্যা বন্ধে ভারত কি করছে সেদিকে না তাকিয়ে মানুষ যেন আর বর্ডার ক্রস না করে সে দিকে নজর দেওয়া উচিত। আমরা যদি আমাদের নাগরিককে বর্ডারে যাওয়া থেকে রুখতে পারি তাহলে হত্যাকান্ডও হবে নাম বিচারও চাওয়া লাগবে না।
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
লাবনী আক্তার বলেছেন: হুর মিঞা থামেন! /
ইন্ডিয়ান গান না শুনলে আপনার ঘুম আসে না, হিন্দি না জানলে আপনার সম্মান থাকে না, একটা সিরিয়াল মিস হইলে আপনি চিক্কুর পাইড়া কান্দেন, আইপিএলে জুয়ার বোর্ডে টাকা দিতে মিস হয় না, বলিউডি পোশাক না কিনলে ঈদ-পূজা হয় না, ইন্ডিয়ান ১৫০ সিসির বাইক না থাকলে স্টাইল হয় না, বিড়ির পুটকি ডন সিনেমার শাহরুখ খানের মতো ফিকা না মারলে আপনার ভাব আসে না, কানের হেডফোনে বাজে ক্যাটরিনার জারা জারা টাচ মি টাচ মি টাচ মি, ইন্ডিয়ান বলদ না হইলে আপনার কুরবানী হয় না, কারো কারো তো আবার ইন্ডিয়ান ডাইল ছাড়া পিনিকই আসে না! তাইলে হুদাই এত চিল্লাচিল্লি কিসের
খুব সুন্দর করে লিখেছেন। পোস্টে++++++্
আমাদের সরকার যে কবে জেগে উঠবে কে জানে?? এর আদৌ কোন প্রতিবাদ তারা করবেন কি??
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ লাবনী আপু। সরকার আন্তর্জাতিক ভাবে যেই পদক্ষেপই নিক না কেন সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন, সচেতনতা ও শিক্ষার ব্যবস্থা না করলে এ ধরনের হত্যাকান্ড চলতেই থাকবে
১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সব কিছু ছাপিয়ে সরকারের দোষ দেখা হচ্ছে।সরকারের কথা ভারত না শুনলে সরকারের দোষ দিয়ে কি লাভ হভে আমাদের পররাষ্ট্র কূটনীতি খুব দূর্বল।কেমন জানি তাবেদার একটা ভাব। এটার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে এগুলো জবাবদিহীতা করা সম্ভব হত। উল্টো যেদিন মরেছে সেদিন আসামী খালাস দেয়া মানে তাকে পুরষ্কৃত করা। ভারত বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালো !
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
মাগুর বলেছেন: আমরা বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখছি বলেই ওরা দেখাতে পারছে। আমি আগেও বলেছি সবাই সরকার বা ভারতের দোষ ধরায় ব্যস্ত। কিন্তু কিভাবে মানুষ গুলোকে বর্ডার ক্রস করা থেকে ফেরানো যায় সে চিন্তা করার কেউ নাই!
১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১২
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দুর্বল আমাদের সিস্টেম..............
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫
মাগুর বলেছেন: হুম
১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০২
আলিফ টিএসইউ বলেছেন: সিস্টেম জতই কড়া হোক কিংবা দূর্বল হোক,তাতে কিছু জায়-আসে না।আসলে আমাদের মধ্যে দেশ প্রেম বলতে কিছু নেই। সিস্টেম কিছু না।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭
মাগুর বলেছেন: দেশপ্রেম আমার-আপনার মনে অবশ্যই আছে। তবে যাদের মনে থাকা দরকার ছিলো তাদের মনেই নাই!
১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা লেখা!!!!!!! দূর্দান্ত লিখেছেন। মন খারাপ, প্রচন্ড ঘৃনা এবং প্রচন্ড ক্ষোভ হচ্ছে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।
আমারো একই অবস্থা, মন খারাপ, প্রচন্ড ঘৃনা এবং প্রচন্ড ক্ষোভ হচ্ছে।
১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
শিপন মোল্লা বলেছেন: আমারা আসলে এক অসহায় জাতী, বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যের প্রতীবাদ সবাই মিলে করা তো দুরের কথা, কেউ কেউ যদি সেই অন্যায়ের কোন মাধ্যম বেছে নেয় এই আমাদের প্রতীবাদের বিরুদ্ধেই বলতে অভাব হয় না আমাদেরই লোকের।
বাংলাদেশে হাজারও মানুষও পাবেন ভারতের দালালী করতে কিন্ত ভারতে একজনও পাবেন না আমাদের ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে। অদের আর দুষের কথা বলে ল্যাব আগে তো নিজেরাই ঠিক নাই।
চমৎকার পোস্ট, সুন্দর করেই সীমান্ত মানুষের দুখের আর অসহায়ের কথা তুলে ধরেছন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯
মাগুর বলেছেন: কিভাবে করবেন প্রতিবাদ? একদল ভারতের দালালি করছে তো আরেক দল দেশকে কিভাবে পূণরায় পাকিস্থান করা যায় সে ফন্দি আঁটছে!
মাঝখানে সীমান্তে কে মরলো-বাঁচলো সেটা নিয়ে ভাবার মতো সময় ইস্যু কালচারে অভস্ত্য ডিজিটাল পোলাপাইনের থাকলেও অন্যকারো নাই।
১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
রাতুল_শাহ বলেছেন: বিজিবির যে অস্ত্র আছে সেটা দিয়েই বিএসএফের চৌদ্দগুষ্টি শেষ করে ফেলতে পারবে। কারণ বিএসএফ রা হলো পুরুষত্বহীন এক জাতি।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
মাগুর বলেছেন: সহমত ভাই রাতুল, কিন্তু বিএসএফের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করে তো লাভ নাই। তখন ভারতীয় ডাকাত আর চোরাকারবারীদের প্রকোপ বেড়ে যাবে!
এই মুহূর্তে দরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন, সচেতনতা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এগুলো নিশ্চিত করা গেলেই আমাদেরকে আর ফেলানী অথবা মন্টুদের লাশ দেখতে হবে না। বিচারও চাইতে হবে না, হতাশ হতে হবে না।
২০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৯
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: আশ্চর্য একটা মিল খুজে পেলাম। নোম্যান্স ল্যান্ড নামে ফেলানিকে নিয়ে একটা ডকূ ফিল্ম বানিয়েছিলাম, ইউটিউবে আছে। ভেবেছিলাম শেয়ার দেব কমেন্টে কিন্তু খুজে পাচ্ছিনা।
পোষ্টটা ভাল হয়েছে।
এই বিষয়ে আর কোন কথা বলবো না। বাস্তবে কারো কিছু করার ইচ্ছা থাকলে জানায়েন....
কিছু একটা করা তো উচিত! কিন্তু কি করা যাবে সেটা তো মাথায় আসেনা!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
মাগুর বলেছেন: ভিডিও লিঙ্কটা খুজে পেলে জানাতে ভুলবেন না।
আমরা হয়তো সীমান্ত এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন করতে পারবো না, তবে চেষ্টা করলে সীমান্ত এলাকার মানুষগুলোকে সচেতন করতে পারি। এছাড়াও সরকার ও এনজিও গুলোকে বাধ্য করতে হবে সীমান্ত এলাকা গুলোতে কাজ করার জন্য।
২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪
সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: সেম গল্প কোথায় যেন পড়েছি । যাই হোক, ভালো লাগলো ধন্যবাদ
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মাগুর বলেছেন: গত জানুয়ারীতে এটা নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। এই পোস্টেও তার উল্লেখ আছে। তবে এটা কোন গল্প নয় তানভীর ভাই, বাস্তব ঘটনা।
যাই হোক, আপনাকেও ধন্যবাদ।
২২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৬
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: মর্মস্পর্শী।
ছোটবেলায় একবার হিলি বর্ডার দিয়ে ট্রেনে যাবার সময় চোরাচালান দেখেছিলাম নিজের চোখে। এখনও মনে দাগ কেটে আছে। ঐখানে ট্রেন খুব ধীরে চলে আর ভারতের লোকজন কিসের যেন বস্তা দৌড়ে দৌড়ে ট্রেনে তুলে দিতো। পরে জেনেছিলাম সেগুলো ছিলো চিনি।
পোস্টে ভালো লাগা জানবেন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১
মাগুর বলেছেন: হিলি স্টেশনের রেল লাইন পার হলেই ইন্ডিয়া। আর একটু এগিয়ে বামে বিএসএফ ক্যাম্প। তার ঠিক উল্টা দিকেই বিজিবি ক্যাম্প। তারপরো দেশের চোরাচালানীতে শীর্ষ এলাকা গুলোর মধ্যে হিলি অন্যতম। এই সীমান্ত দিয়ে চোরাই মশলা যেমন জিরা, এলাচ, লং ইত্যাদি বেশী আসে। এর পাশাপাশি চিনি, ফেন্সিডিল, শাড়িও আসে প্রচুর।
তবে হিলি সীমান্ত দিয়ে প্রতি মঙ্গলবার ইন্ডিয়ার একটা হাটে যাওয়া যায়। হাটটার নাম এখন মনে পড়ছে না। দুই দেশের মানুষই সেখানে বেচা-কেনা শেষ করে যার যার ঘরে ফিরে যায়। জানি না এখন পর্যন্ত সেই হাট বৈধতা পেয়েছে কিনা!
ধন্যবাদ মহামহোপাধ্যায়, আপনার দেখাদেখি আমিও একটু হিলির স্মৃতি মনে করে নিলাম
২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: এই মুহূর্তে দরকার সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন, সচেতনতা এবং শিক্ষার ব্যবস্থা করা। এগুলো নিশ্চিত করা গেলেই আমাদেরকে আর ফেলানী অথবা মন্টুদের লাশ দেখতে হবে না। বিচারও চাইতে হবে না, হতাশ হতে হবে না।
সীমান্ত এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা জরুরী। পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগটা সহজ করে দিতে হবে। অন্যথায় বুঝছেন তো।
আর আমাদের অতিথি পরায়ণ ভাব থেকে সরে এসে, নিজ পরায়ণ হতে হবে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৫
মাগুর বলেছেন: সহমত ভাই রাতুল। শুধু হত্যার প্রতিবাদ করলেই হবে না, এ ধরণের হত্যাকান্ড যেন আর না ঘটে সে ব্যাপারে রুট পর্যায়ে উন্নয়ন করতে হবে।
২৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: হায় !! হায় !! আপনে দেখি হিলি হাতের তালুর মত চেনেন। আমি ঐ একবারই গিয়েছিলাম, সৈয়দপুর থেকে খুলনা যাবার পথে ট্রেনে !!
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
মাগুর বলেছেন: হিলি পালপাড়া আমার নানুর জন্মস্থান। সেই সুবাদে বেশ কয়েকবার গেছি। রাতের অন্ধকারে ট্রাকের পর ট্রাক জিরা আনলোড হতে দেখেছি। বড় বড় গোডাউন আছে হিলিতে! আর আগের কমেন্টে যে হাটের কথা বললাম সেখানেও গেছি
আসলে কোথাও গেলে আমি পর্যটক নয় পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করি
২৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার লিখসেন। সবাই সহমত জানাচ্ছে। কিন্তু শাহরুখ খান আইসা ঠিকই টাকা নিয়া যাইবো :-<
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৬
মাগুর বলেছেন: সহমত হামা ভাই
২৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ধুর ভাই বাদ দেন এইসব চলেন টিভিতে মুন্নিবদনাম নাচ দেখি অনেক ফায়দা হবে আর উচ্চ কণ্ঠে বলি মেরা ভারাত মহান হোতা হয়। ভারাত মাতা কি জয়।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৮
মাগুর বলেছেন:
২৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯
শান্তির দেবদূত বলেছেন: লেখাটা পড়তে পরতে অনেক কষ্ট হচ্ছিল! কত সহজেই না একটা মানুষকে মেরে ফেলা যায়! আর একটা মানুষ কি শুধুই একটা মানুষ! না কি একটা পুরা জগত? এসব দেখার কি কেউ নাই? এগুলোর কি শেষ নাই? দুঃখজন্ম খুবই দুঃখজনক!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২০
মাগুর বলেছেন: এসব দেখার দায়িত্ব যাদের তারা সবাই চোখ বন্ধ করে আছে!
আমরাও
২৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার লিখসেন। সবাই সহমত জানাচ্ছে। কিন্তু শাহরুখ খান আইসা ঠিকই টাকা নিয়া যাইবো :-<
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২১
মাগুর বলেছেন: বাস্তবতা আসলে এটাই দাঁড়াচ্ছে! সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:০৯
স্বপন খাঁন বলেছেন: দারুন লিখেছেন, ভাই।ধন্যবাদ আপনাকে।