নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীয় স্বত্ত্বার সহিত সত্যের সন্ধানে সর্বদা সচেষ্ট
(ছেলেধরা সন্দেহে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে এলাকাবাসী মারধর শুরু করলে রক্ষার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি)
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সিনাবহ এলাকায় গত শনিবার পুলিশের সামনেই পেটানো হয় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে। গণপিটুনিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
ভিডিও লিংক: এখানে
এলাকাবাসীর মুঠোফোন থেকে পাওয়া ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, উত্তেজিত জনতা ছেলেধরা সন্দেহে ওই নারীকে নিষ্ঠুরভাবে পেটাচ্ছেন। এমনকি গলায় বাঁশ চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে তাঁর।
(কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আবার তাঁকে পিটুনি দিতে থাকে একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক)
ওই নারীর নাম মর্জিনা আক্তার (৩৫)। তাঁর বাড়ি কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তনুরাম গ্রামে। তিনি কালিয়াকৈরের সিনাবহ খন্দকারবাড়ি এলাকার তাঁর আত্মীয় জোসনা আক্তারের ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশের কাছ থেকে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে স্থানীয় জনতা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মর্জিনাকে ছেলেধরা সন্দেহে মারধর করেন। এ সময় কয়েক ব্যক্তি তাঁকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে রেখে পুলিশে খবর দেন। পরে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল খালেকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য মর্জিনাকে উদ্ধার করেন। তাঁরা মর্জিনাকে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে গণপিটুনি দেন। খবর পেয়ে মর্জিনার আত্মীয় জোসনা তাঁকে বাঁচাতে এলে তিনিও গণপিটুনির শিকার হন। পরে পুলিশ মর্জিনাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে। মর্জিনা জোসনার দূরসম্পর্কের চাচাতো বোন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর এলাকার মজিবুর রহমান স্ত্রী জোসনাকে নিয়ে সিনাবহ খন্দকারপাড়া এলাকায় আবদুল করিমের বাড়িতে প্রায় দেড় বছর ধরে ভাড়া থাকেন। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। গত দুই মাস আগে জোসনা মর্জিনাকে গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁদের বাসায় নিয়ে আসেন।
বাড়ির মালিক আবদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত প্রায় দুই মাস মর্জিনা আমার বাড়িতে ছিলেন। আমাদের বাড়িতে বেশ কয়েকটি শিশু আছে। কিন্তু তাদের কোনো অসুবিধা হয়নি, বরং মর্জিনা শিশুদের দেখে রাখতেন। এলাকাবাসী তাঁকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করায় আমরা সবাই মর্মাহত।’ ওই বাড়ির বাসিন্দা কারখানাশ্রমিক রুবিনা আক্তার বলেন, ‘আমার তিন বছরের ছেলেকে অনেক সময় তাঁর কাছে রেখে কাজে যেতাম। এতে কখনো সমস্যা হয়নি।’
গতকাল রোববার ওই এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীর মুঠোফোনে কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ পাওয়া যায়। ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, গ্রামবাসী মর্জিনাকে ঘিরে রেখেছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ১৪ থেকে ১৫ জন যুবক তাঁকে বিবস্ত্র করে লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছেন। মর্জিনাকে যাঁরা মারধর করেছেন, তাঁদের মধ্যে দু-তিনজন স্থানীয় একটি স্কুলের পোশাক পরা ছিল।
(সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ার পরও তাঁকে এভাবে পেটানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়)
জনতা পুলিশের কাছ থেকে মর্জিনাকে ছিনিয়ে নিয়েছে—এ কথা স্বীকার করে মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা উপস্থিত থাকলেও এলাকাবাসীর উত্তেজনার কারণে কিছু করতে পারিনি।’ তিনি বলেন, ছবি দেখে চিহ্নিত করে খুনিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
সূত্র: প্রথম আলো
আমি অতি আবেগপ্রবন মানুষ নই। তারপরও চোখের পানি আটকে রাখতে পারলাম না। মানুষ এতো নিষ্ঠুর হতে পারে? উনি হতে পারতেন আমার মা, বোন.... আমার না হোক তিনি কারো মা কিংবা বোন.... একজন মমতাময়ী নারী .... । এভাবে বর্বরের মতো নির্দয়ভাবে মানুষ খুন হয়ে যেতে পারে তা কল্পনাই করা যায়না। এই দেশের মানুষের কি হল ? এর বিচার কে করবে ? সরকারী ও বিরোধী দল একে অপরকে নিয়ে কুমন্তব্য করে দিন পার করে, কখনো তো এই অমানবিক ঘটনা , ধর্ষনের ঘটনার বিষয়ে শক্ত কোন কথা বলতে শোনা যায়না। এরা কি মানুষ না কি ? স্কুলের বাচ্চারা্ও এখন অমানবিক আচরণ করছে! ৫ জন পুলিশ মিলে ২জন নারীর নিরাপত্তা দিতে পারছে না! পুলিশকে পিস্তল রাইফেল কি (বিপ)..... ছিঁড়তে দেওয়া হয়! আর অয়্যারলেস গুলো কি শুধু ভাব দেখানোর জন্য! ব্যাকআপ কল না দিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হত্যাকান্ড দেখলো! এভাবে এদেশে বাঁচা যায় না। এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত, যারা প্রতক্ষ্যদর্শী এবং সেই ৫ পুলিশ প্রত্যেকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি!!!
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: পৃথিবীর নিকৃস্টতম স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর অধিকতর নিকৃস্ট অদক্ষ অকর্মন্য অশিক্ষিত পুলিশরা শিক্ষকদের গায়ে গরম পানি আর পিপার স্প্রে ছুড়তে পারে কিন্তু এইসব অমানবিক কাজের হোতাদের কিছুই করার সামর্থ রাখেনা বরং মজা লুটে, ওদের বলেই দেয়া হয় এসবে নাক গলাবিনা। আর খুব সম্ভব ওরা ছাত্রলীগের মাস্তান ছিল।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৫
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: সন্দেহ লাগে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আসলে সেই নারী ছিল নাকি যারা তাকে এভাবে মাড়ছে তারা? আমার তো মনে সেই নারী যথেষ্ট বুদ্ধিমান যারা তাকে মেরেছে তাদের চাইতে।
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪
িট.িমম বলেছেন: কি বলব ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছি। আমি যে মানুষ এটা ভাবতে বিষম কষ্ট হচ্ছে। কেন আমি মানুষ হলাম ? কেন আমি হায়না হলামনা। তবেতো এই বিভৎসতা চোখে দেখতে হতো না। হায় কেন মানুষ হলাম......
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: manush kotota nishtur hole erokom kicu korte pare!