নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীয় স্বত্ত্বার সহিত সত্যের সন্ধানে সর্বদা সচেষ্ট
বিজ্ঞাপন নিয়ে এটা আজ আমার ২য় লেখা। প্রথম লেখাটি পাবলিশ করেছি দুপুর ০৩ টা ০৫ মিনিটে। তারপর থেকে এ লেখা যখন লিখছি তখন পর্যন্ত ৮২৬ জন লেখাটি পড়েছেন, ছয় জন প্রিয়তেও নিয়েছেন! অনেকে কমেন্ট করে উৎসাহ দিয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। বিজ্ঞাপন নিয়ে আমার মতো আগ্রহী মানুষ আরো আছে জেনে খুব ভালো লাগলো। তাই আনন্দে আরেকটি পোস্ট লিখতে বসে গেলাম! যারা বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রথম লেখাটি পড়েননি তারা ইচ্ছা হলে ঘুরে আসথে পারেন, লিংক দিয়ে দিলাম:
" বিজ্ঞাপন কাহিনী (পর্ব-১) বিজ্ঞাপনের বিজ্ঞাপন বিষয়ক পোস্ট।!! "
প্রতিনিয়ত রাস্তা-ঘাটে, বাজারে-দোকানে, যানবহনে, টিভি-রেডিওতে, পেপার-পত্রিকা, ইন্টারনেটে আমরা অসংখ্য বিজ্ঞাপন দেখি। যার একটি অন্যতম অংশ দখল করে আছে পোস্টার। আমাদের দেশে যেখানে-সেখানে দেওয়াল ভর্তি রং-চঙা বিভিন্ন আকার-আকৃতির পোস্টার দেখা যায়। আমরা কেউ হয়তো খেয়াল করি, আবার কেউ না তাকিয়েই চলে যাই। আজ আমরা জানবো সেই চিরচেনা পোস্টারের কাহিনী। ছবি এবং লেখার কারণে পোস্টটা মনে হয় একটু বেশীই বড় হয়ে গেল! আগ্রহ না থাকলে পড়ার দরকার নাই, ছবি গুলো দেখলেই হবে । এই পোস্টের বিষয় বস্তু:
বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসাবে পোস্টারের ব্যবহার এবং পুরাতন কিছু ঐতিহাসিক পোস্টার কালেকশন।
[সঙ্গে একটি ছোট্ট বিজ্ঞাপন বিরতি ফ্রি]
ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছেই যে বিজ্ঞাপন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসাবে এমন যে কোন কিছু ব্যবহার করা যায় যার সাহায্যে ভোক্তার নিকট পণ্যের বিভিন্ন তথ্য পৌঁছানো যায়। যেমন: রেডিও, টিভি, পেপার-পত্রিকা, ব্যানার, ফেস্টুন, স্টিকার, পোস্টার, বিলবোর্ড, ইন্টারনেট ইত্যাদি। আসুন জেনে নিই পোস্টারের কিছু অজানা তথ্য:
Soviet Union Communist propaganda poster, showing worker in front of construction sites. (১৯৮৬)
পোস্টার হলো প্রিন্ট করা বা হাতে লেখা বা হাতে আঁকা এমন একটি কাগজ যা যে কোন ওয়ালে ঝুলানো বা আটকিয়ে দেওয়ার মতো করে ডিজাইন করা হয়। মূলত পোস্টারে ছবি ও লেখা দুইটাই থাকে, তবে শুধু ছবি অথবা লেখা নিয়েই পোস্টার হতে পারে। বিভিন্ন কাজে পোস্টারের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে পোস্টার একটি অন্যতম হাতিয়ার, বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য, সেবা, সিনেমা অথবা সংগীতের ক্ষেত্রে। এছাড়াও রাজনৈতিক সভা, আন্দোলন, প্রতিবাদ, সমাজসেবামূলক কাজ ইত্যাদিতেও পোস্টার ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এই পোস্ট মূলত বিজ্ঞাপন নিয়ে, তাই আমরা বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে পোস্টারের কার্যক্রম ও ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবো।
ফরাসী ইতিহাসবিদদের মতে, প্রায় ২০০ বছর আগে পোস্টারের প্রচলন হয়। সে সময় পোস্টার তৈরি করা হতো রাজনৈতিক কাজ, মতাদর্শ প্রচার অথবা কোন পণ্য বা সেবার গুণাগুণ বর্ণনা করার জন্য। তবে আমরা এখন যেটাকে আধুনিক পোস্টার হিসাবে চিনি তার জন্ম ১৮৭০ সালের দিকে যখন প্রিন্টিং শিল্প আধুনিক রূপ লাভ করে এবং একসাথে বহু প্রিন্ট করার সামর্থ্য অর্জন করে।
১৮৯৬ সালের ফরাসী পোস্টার।
Powerful and beautiful image of blinded soldier holding his two girls, this rare poster promotes a charitable event for wounded soldiers.
১৮৭০ সালে আধুনিক পোস্টারের প্রচলন হলেও ১৮৯০ এর দিকে বানিজ্যিক ভাবে এর ব্যবহার শুরু হয়। তখন ইউরোপ-আমেরিকায় বাইসাইকেল থেকে বুলফাইট পর্যন্ত পোস্টার ছাপানো হতো। Belle Époque যুগে, উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে পোস্টারকে শিল্প কর্মের মর্যাদা দেওয়া হয়। আধুনিক যুগে এসে বিজ্ঞাপন পোস্টার একটি বিশেষ ধরণের শিল্পকর্ম হয়ে গেছে। Théophile Steinlen, Albert Guillaume, Leonetto Cappiello, Henri Thiriet-দের মতো পোস্টার শিল্পিরা অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।
[সূত্র: উইকি]
বিজ্ঞাপনের মাধ্যম হিসাবে পোস্টার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। কেননা পোস্টার দিয়ে সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। আর তাছাড়া একটি পোস্টারে অনেক তথ্য দেওয়া যায়। পোস্টার দেখার ব্যাপারেও মানুষের একটা স্বাধীণতা থাকে। যার ফলে কারো ইচ্ছা হলে দেখবে, আবার কেউ নাও দেখতে পারে। পোস্টার ডিজাইনের ক্ষেত্রে সাধারণত পণ্যের গুণাগুণ, ছবি, বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্ট, সচেতনতামূলক তথ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তবে এক্ষেত্রে পোস্টার শিল্পির মেধার বিষয়টিই মুখ্য। প্রত্যেকটি পোস্টারই একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে করা হয় এবং এমন ভাবে ডিজাইন করা হয় যেন সহজে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং বার্তা পৌঁছে দেয়। পোস্টার হতে হয় এমন যে পোস্টারটি দেখামাত্রই যেন এর বার্তাটি বোঝা যায়। তবে অনেক সময় হেঁয়ালীপূর্ণ পোস্টারও দেখা যায়। যেহেতু পোস্টার সাধারণত ঘরের বাইরে লাগানো হয় তাই পোস্টার ডিজাইনরে জন্য উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয় যে গুলো সহজেই মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। যেমন: হলুদ, সবুজ, লাল, গোলাপী, কমলা ইত্যাদি।
একসময়ের মটরসাইকেলের বিজ্ঞাপন।
একটি মোবাইলের বিজ্ঞাপন।
পোস্টার পড়ে বা দেখে আমরা সহজেই যে কোন পণ্যের গুণাগুণ, মাণ, মূল্য, ডিসকাউন্ট, অফার সম্পর্কে জানতে পারি। আবার বিক্রতাও সহজে মানুষকে তার পণ্য সম্পর্কে জানাতে পারে। এছাড়াও এক সাথে একাধিক মানুষ একটি পোস্টার দেখতে বা পড়তে পারে বলে অনেক মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছানোর সহজ হয়। তাই বলা যায় বিজ্ঞাপন হিসাবে পোস্টারের ব্যবহার একটি অন্যতম এবং কার্যকরী হাতিয়ার। তবে পোস্টারে অনেক সময় পুরো তথ্য থাকে না, বা মিথ্যা তথ্য দেখা যায়। যা মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া, ছিঁড়ে ফেলা, ধুলায় ময়লা হয়ে যাওয়া, বিজ্ঞাপন ধারণার পরিবর্তন, ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জনপ্রিয়তা ইত্যাদি নানা কারনে পোস্টারের জনপ্রিয়তাও ইদানিং মনে হয় কমে যাচ্ছে। কাগজের এই পোস্টার কোন একদিন হয়তো ইতিহাস হয়ে যাবে। দেখা মিলবে তার মিউজিয়াম আর সংগ্রহশালায়।
_____________এবারে বিজ্ঞাপন বিরতি______________
আপনার বয়স কি ১৮ বা তার বেশী? আপনি কি শারীরিকভাবে সুস্থ্য?
তাহলে আর দেরী করছেন কেন? আজই যোগ দিন ফেইসবুকের প্রথম রক্তদান বিষয়ক পেইজ "Donate Blood/রক্ত দিন, জীবন বাঁচান" -এ আর স্বেচ্ছায় রক্তদান করে বাঁচতে সহায়তা করুন অসহায় প্রাণ গুলোকে।
বি: দ্র: আমরা রক্ত সংগ্রহ করি না। কেবলমাত্র রক্তগ্রহীতার সাথে স্বেচ্ছায় রক্তদাতার যোগাযোগ করিয়ে দিই। এখানে আর্থিক লেনদেন বা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
______ছোট্ট একটি বিজ্ঞাপন বিরতির পর আবার ফিরে এলাম_______
আপনারা কি আমার দীর্ঘ প্যাচালে বিরক্ত হয়ে গেছেন? ঠিক আছে, আর কথা নয়। সরাসরি ছবির অ্যালবামে চলে যাই, কি বলেন? চলুন দেখে আসি পৃথিবীর বিখ্যাত কিছু প্রাচীন পোস্টার:
একটি বিখ্যাত আমেরিকান শিশু বিষয়ক ম্যাগাজিনের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ছাপানো পোস্টার। পোস্টার শিল্পির নাম Geo. A. Willams, ১৮৯৮ সালে এ পোস্টারটি তৈরি করা হয়।
১৮৯৫ সালে ক্রিসমাস উপলক্ষে আঁকা Irwin Moorhead এর পোস্টার। বর্তমান মূল্য: ৩৯৫ ডলার।
The Nation's Journal, Harper's Weekly'র পোস্টার, ১৯০০ সালে পোস্টারটি তৈরি করা হয়।
Lyman H Howe's Travel Festival, ১৯১২ সালে তৈরি।
Outing for October, ১৮৯৫ সালে তৈরি।
The Century for April, ১৮৯৫ সালে তৈরি।
ules Chéret-Fete des Fleurs, ১৮৯০ সালে তৈরি।
l'Electricine (1897)
১৯০০ সালের আগে তৈরি একটি থিয়েটারের বিজ্ঞাপন।
Dudley Hardy-To Day (১৮৯৬-১৯০০)
Alphonse Mucha, Austrian Pavilion, Paris, 1900
এছাড়াও আরো কিছু প্রাচীন পোস্টার:
টুথপেস্টের বিজ্ঞাপন।
ভার্জিনিয়া সিগারেটের বিজ্ঞাপন।
পিয়ার্স সাবানের বিজ্ঞাপন।
সামাজিক সচেতনতা মূলক বিজ্ঞাপন।
নিশ্চয় বলে দিতে হবে না এটা কিসের বিজ্ঞাপন?
এটাও বলবো না!
কফির বিজ্ঞাপন।
বেকিং চকলেটের বিজ্ঞাপন
এবং সবার শেষে বিস্কুটের বিজ্ঞাপন
পোস্টার নিয়ে আজ অনেক আলোচনা হলো, অনেক ছবি দেখা হলো। আশা করি আপনাদেরকে সহজ ভাষায় বুঝাতে পেরেছি। কোন ভুল থাকলে অবশ্যই শুধরে দিবেন। বরাবরের মতোই আপনাদের মূলবাণ মতামতে অপেক্ষায় থাকলাম। আর পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনের আরো কিছ মাধ্যম সম্পর্কে জানাবো ইনশাল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন...সাথে থাকবেন
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
মাগুর বলেছেন: ধইন্যযোগ
পরের পোস্টে আবার দেখা হবে....
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৯
খোলাচোখে বলেছেন: প্রিয়তে
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৪
মাগুর বলেছেন:
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫
শের শায়রী বলেছেন: গ্রেট জব ব্রো। ভাল লাগা জানবেন
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩
মাগুর বলেছেন: ভালো লাগা জানলাম
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৩
রীতিমত লিয়া বলেছেন: সাথে ছিলাম। পোস্ট খুব ভাল লেগেছে। চালিয়ে যান