নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

Founding Fathers

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৭

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক মনে করে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে ক্ষমতায় ছিল। মানুষের ভোটাধিকার হরণ ও গুম-খুন করে এবং গণহত্যা করে তারা ক্ষমতায় ছিল। কাজেই কারা তাঁকে জাতির পিতা বলল, তারা কোন দিবসকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করল, নতুন বাংলাদেশে সেটার ধারাবাহিকতা থাকবে না। আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গঠন করতে চাচ্ছি। ফলে ইতিহাসের প্রতি আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনতে হবে।'

নাহিদের এই বক্তব্য আসলে তার ব্যক্তিগত মতামত নয়। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য। তবে এই বক্তব্যের বিশ্লেষনে নাহিদ যা বলেছে তা শুনে চমকপ্রদ হয়েছি। মাত্র ২৪/২৫ বছরের বাচ্চা ছেলেগুলো যে এত পড়াশোনা করেছে , নির্মোহভাবে ইতিহাসকে জানতে চেষ্টা করেছে , তা আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।

একটা দেশ কখনই একজনের প্রচেষ্টায় স্বাধীন হয় না। তাই জাতির পিতা কখনই একজন হতে পারে না। নাহিদ এই কথাটাই বলেছে তার বক্তব্যের বিশ্লেষনে। বাংলাদেশতো একসময় এই উপমহাদেশের অংশ ছিল। আসুন দেখি ভারত ও পাকিস্তানের ইতিহাসে জাতির পিতা কারা।

The founding fathers of the Indian republic are Mahatma Gandhi, Jawaharlal Nehru, B. R. Ambedkar, Subhas Chandra Bose and Vallabhbhai Patel steered ।


Founding Fathers of Pakistan are Muhammad Ali Jinnah , Allama Muhammad Iqbal , Ashraf Ali Thanwi , Shabbir Ahmad Usmani , Zafar Ahmad Usmani , Aga Khan III , Liaquat Ali Khan , Fatima Jinnah, Qazi Muhammad Isa ,Fazlul Huq, Khawaja Nazimuddin, Naseer Ahmad Malhi , Naseer Ahmad Malhi ,Bahadur Yar Jung ,Raja Ghazanfar Ali Khan ,Muhammad Arif Khan Rajbana Sial , G. M. Syed ,Abdur Rab Nishtar, Huseyn Suhrawardy, Mohammad Ali Jouhar,Shaukat Ali, Jalal-ud-din Jalal Baba, Zafar Ali Khan,Jogendra Nath Mandal, Victor Turner, Syed Amir-uddin Kedwaii, Khaliq-uz-Zaman, Jahanara Shahnawaz

সিঙ্গাপুরে জাতির পিতা কনসেপ্ট আরেকটূ ভিন্ন ধরনের। সিঙ্গাপুরের ইতিহাসে Lee Kuan Yew Widely regarded as the founding father of modern Singaporeক্ষুদ্র এক দরিদ্র জেলে পল্লী থেকে আধুনিক সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে লি কুয়ান ইউ। স্বাধীনতার জন্ম লগ্ন থেকেই দেশটি শাষন করছে লি কুয়ানের রাজনৈতিক দল পিএপি পার্টি এবং তা সম্পুর্ন গনতান্ত্রিক ভাবে। প্রতিবারই জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয় তার দল। কেন বার বার এই এক দলই নির্বাচিত হয় তা দেখার জন্য , বোঝার জন্য কয়েকদিন সিঙ্গাপুরে থাকতে হবে। দরিদ্র জেলে পল্লী হিসাবে পরিচিত একদা সিঙ্গাপুর দেশটি প্রথম বিশ্বের কাতারে সামিল হওয়া অত্যন্ত সভ্য একটি দেশ। দেশটিকে এমন উচ্চতায় পৌছে দেয়া মহান নেতা লি কুয়ানের কোন ভাস্কর্য সিঙ্গাপুরে নেই। তার জন্মদিবস , মৃতূদিবস রাস্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। এমনকি মৃত্যূূর আগে তিনি তার বাসভবন গুড়িয়ে ফেলার উইল করে গেছেন যাতে তার নামকে ব্যবহার করে তার উত্তরাধিকারীরা ভবিষ্যতে কোনদিন ক্ষমতার অপব্যবহার করতে সক্ষম না হয়।

এক ঝাক তরুন ন্যায় প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে রক্ত দিয়েছে সম্প্রতি আমাদের দেশে। এই তরুনদের রক্তের উপড় দাড়িয়ে আছে বর্তমান বিপ্লবী সরকার। স্রেফ ক্ষমতার পালাবদলের জন্য রক্ত দেয়নি আবু সাইদ, মুগদ্ধ , ফারহান , দীপ্তদের মত ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্ররা। ২২/২৩ বছরের এই তরুনদের কি এখন মরার কথা ছিল? তাদের সামনেতো সারাটা জীবন পড়ে ছিল। তাদের রক্তের উপড় দাড়িয়ে যেই সরকারই এই দেশকে শাষন করবে তাদের প্রধান দায়িত্ব ' ন্যায় প্রতিষ্ঠা'। আর তাই ইতিহাসকে নির্মোহভাবে বিশ্লেষন করে দেশের সঠিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করার দায়ও তাদের।

তথ্যসুত্র ঃ প্রথম আলো , উইকিপিডিয়া

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে আম্লিগ ভগবান না হয় ইশ্বর বানিয়েই ছাড়তো যদি না আমরা মুসলিম দেশ হতাম।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপনার সাথে

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: এক কথায়- অসাম লিখেছেন!!!

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:২১

রাসেল বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭১ সালের তথা যুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ের ভূমিকার জন্য সম্মান জানানো যেতে পারে, তবে যুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ভূমিকার জন্য নয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার রুপকার একজন নয়। তাই জাতির পিতা কোণভাবেই একজন হতে পারে না। In 1972 Constitution of Bangladesh declared Sheikh Mujibur Rahman to be "father of the nation।

আওয়ামিলীগ তাদের শাষন আমলে জাতির পিতা নির্ধারন করেছে। তাদের নেয়া সিদ্ধান্ত জোড়পুর্বক জাতির ঘাড়ে চাপানো হয়েছে। ৫৩ বছরের ইতিহাসে এই দেশে কখনই সঠিক ইতিহাস চর্চা হয়নি। এইবার হোক সঠিক ইতিহাস লিখন।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

পুরানমানব বলেছেন: শেখ মুজিবের হাত ধরে এই দেশে স্বৈরাচারের উৎপত্তি হইয়াছিল এটাই সত্য এবং শেখ মুজিব স্বাধীন দেশের প্রথম স্বৈরাচার।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ এর শাসষনামল এর চুলচেরা বিশ্লেষন হওয়া দরকার। তাহলেই বোঝা যাবে যে , কেন শেখ মুজিবকে স্বৈরাচার বলা হত।

৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: শেখ মুজিব দেশের জন্য কিছু করেছিল তবে আখেরে ছিল স্বৈরাচার। আবার তাহার পয়দাকৃত কন্যা হাসিনা ছিল মহা স্বৈরাচার। তবে বাপ-বেটি দুজনের এক জায়গায় গভীর মিল । উভয়েই লেবু কচলাইতে কচলাইতে এমন তিতা বানাইছে লেবু এখন জনগনের নিকট করললা ঐ X(( গেছে।

একটা দেশের প্রতিষ্ঠায় কিংবা গঠনে দেশের সকল জন-মানুষেরই ভুমিকা থাকে। সেখানে বাপ বানাইছিল বাকশাল (এক বেটার এক
দেশ) - আর বেটি বানাইছিল তার বাপের সালতানাত (স্বৈরাচারী সাম্রাজ্য)।

সে তার বাপেরে জোর কইরা ১৮ কোটি মানুষের বাপ বানাইতে চাইছে-বানাইছে। ইডা আমি মানুম কি মানুম না ইডা আমার ব্যাপার। সেই জায়গা থেকে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদের সাথে আমি একমত।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার মুরুব্বীদের বয়ানে বলছি যেহেতু আমার জন্ম ১৯৭১ এর পরে। শেখ মুজিবুর রহমান এর ভুমিকা ১৯৭১ ও তার পুর্ববর্তী সময়ে বীরোচিত ছিল তাতে কোন সন্দেহ নাই। তিনি ছিলেন তুখোর বক্তা এবং প্রতিবাদী নেতা। কিন্তু দেশের শাষক হিসাবে তিনি চরম ব্যার্থ ছিলেন। ১৯৭৪ এর বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষই বলে দেয় যে, তার শাষনামল কেমন ছিল।

৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:২৬

উদাসীন মেঘ ১২১৯ বলেছেন: যতোই ভুল ক্রটি থাকুক, মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে 'জাতির জনক' হিসেবে এই দেশের মানুষ মেনে নিতো, মেনে নিয়েওছিলো। কিন্তু ২০০৮ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে শেখ মুজিবকে নিয়ে যে অশালীন বাড়াবাড়ি শুরু করে, তাতে দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে। মুুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা অর্জনের সব অবদান একজন মুজিবের মধ্যে কেন্দ্রীভূত করা হয়। দেশব্যাপি হাজার হাজার ভাস্কর্য, মুজীব বর্ষ উদযাপনের নামে সহস্র কোটি টাকার অপচয়, কয়েক সহস্র কোটি টাকা খরচ করে অপ্রয়োজনীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, সব সরকারি অফিসে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, পাঠ্যপুস্তুকে এক তরফা মুজীব বন্দনা, মুজীবকে নিয়ে প্রায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ এসবই মানুষকে মুজীব নামটির প্রতি বীতশ্রদ্ধ করে তোলে। বিপরীতে বীর উত্তম মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্থানের চর বলে অপপ্রচার চালানো হয়।
শেখ হাসিনার এই অতি বাড়াবাড়ি শুধু তার পতনের কারণই হয়নি, তার পিতার ভাবমূর্তিকেো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। পরিশেষে শুধু এই কথাই বলি, শেখ মুজীবকে 'জাতির পিতা' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে সেটা সব দলের ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে করতে হবে, জোরজবস্তি করে চাপিয়ে দিয়ে নয়।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: জাতির পিতা, জাতির জনক কখনই একজন ব্যক্তি হতে পারে না। এটা স্রেফ চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। যাইহোক সাংবাদিকদের কাজ হওয়া উচিত বর্তমান নিয়ে। কিন্ত বিক্রি হওয়া সাংবাদিকেরা বর্তমান বাদ দিয়ে অতীত নিয়ে টানাটানি করে উপদেষ্টাদের অযথা বিব্রত করার চেষ্টা করছে বারবার। আপনি লীগের যেসব অপকর্মের কথা বললেন সাংবাদিকের দল কি একবারো সেসব বিষয়ে কোণ প্রশ্ন করেছে ? এইসব সাংবাদিকদের ইন্টারভিউ দেয়ার মত ভুল উপদেষ্টাদের আর করা উচিত নয়। তাদের উচিত এদের জিজ্ঞাষাবাদের আওতায় এনে তাদের ঠিকুজির সন্ধান করা। এরা কাদের হয়ে কাজ করছে এসব বের করা জরুরী।

আমরা গনমাধ্যম ও সাংবাদিকদের সমাজের আয়নারুপে দেখতে চাই, স্বৈরাচারের দোসর রুপে নয়। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বায়িত্ব সাংবাদিকদের সঠিক অবস্থান চিনিয়ে দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.