নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সোস্যাল মিডিয়ার এই যুগে সবাই কবি, লেখক, বুদ্ধিজীবি সাজতে চায়। কিন্ত কেউ কোন দ্বায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে রাজী নয়। ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটা মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনাকে যে যার মন মত ব্যখ্যা করে গনহারে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপড় দায় চাপানোর একটা অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার অনেকে ডক্টর ইউনুস সরকারকেও এই ইস্যূতে ব্যার্থ হিসেবে দাড় করাতে চাইছে। যারা বিগত স্বৈরাচারের দোসর , তাদের এই হীন প্রচেষ্টার উদ্দেশ্য খুবই ভালভাবে বোঝা যায়। আবার আরেক পক্ষ যারা লুটপাঠের ক্ষমতা পেতে মরিয়া , তারাও এই ঘটনা থেকে ফায়দা তুলতে চাচ্ছে। তারা বোঝাতে চাইছে যে, এই জাতীয় খুনে শিক্ষার্থীদের গনআন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার পতনের ক্রেডিট দেয়াটা একেবারেই ঠিক হয়নি। স্বৈরাচার হটানোর মুল ক্রেডিট আসলে তাদের!! কিন্ত আমরা সাধারন জনগন যেন ভুলেও বাংলাদেশের নোংরা রাজনীতিবিদদের পাতা ফাদে পা দেবার মত ভুল না করি, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকা দরকার। আসুন জানার চেষ্টা করি যে , দুই হলেই আদতে কি ঘটেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফজলুল হক হলের সাধারন শিক্ষার্থীর বরাতে জানা গেছে যে, ঘটনার দিন হলে ক্রিকেট ও ফুটবল খেলা চলছিল বিধায় হল মোটামোটি ফাকা ছিল। এফএইচ হলের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দুইজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন,গেস্টরুমে চোর সন্দেহে লোকটিকে কয়েক দফা পে*টা*নোর পর ক্যান্টিনে নিয়ে গিয়ে জোর করে বেশি পরিমাণে ডাল খেতে বাধ্য করা হয়। ক্যান্টিন থেকে গেস্টরুমে এনে আবার পেটানো হয়। মার খেতে খেতে সে শুয়ে যায়। এসময় তাকে আবার নাচতে জোর করেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। অথচ সেসময় লোকটার পিঠ থেকে রক্ত ঝরছে।জানা গেছে, লোকটাকে আহত অবস্থায় হল থেকে বের করা হয় রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে। অথচ নয়টার কিছু পরেই ঘটনাস্থলের (গেস্টরুম) বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিম এবং কয়েকজন হাউজ টিউটর উপস্থিত ছিলেন। ঐ মানুষটিকে যখন পৌনে আটটার দিকে ধরে এফএইচ হলের মেইন গেস্টরুমে আনা হয় সেটার ফুটেজ এবং সবশেষে যখন ১০টা ৫৭ মিনিটে সেই গেস্টরুম থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় বের করে মোবাইল টিমের হাতে তুলে দেওয়া হয় সেটির সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে। সুত্র ঃDU news
বেসরকারি সংবাদমাধ্যম চ্যানেলে কথা বলেন তোফাজ্জলের মামাতো বোন বলেছেন - '' তোফাজ্জলের মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ নাই। রাত ১১টার সময় আমার বাবাকে ফোন দেওয়া হইছে। আপনি কি তোফাজ্জলের মামা? আমার আব্বা ফোন ধরছে। তখন বলছে, ওরে (তোফাজ্জল) আমরা আটকাইছি, হলেই আছে, ওরে নিতে হলে টাকা দিতে হবে ৩৫ হাজার। ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ওরে ছাড়াই নেন, না হলে আমরা ওরে ছাড়ব না, আরও মারবো।’'তোফাজ্জলের মা-বাবা, ভাই-বোন কেউ নাই। রাত ১১টার সময় আমার বাবাকে ফোন দেওয়া হইছে। আপনি কি তোফাজ্জলের মামা? আমার আব্বা ফোন ধরছে। তখন বলছে, ওরে (তোফাজ্জল) আমরা আটকাইছি, হলেই আছে, ওরে নিতে হলে টাকা দিতে হবে ৩৫ হাজার। ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে ওরে ছাড়াই নেন, না হলে আমরা ওরে ছাড়ব না, আরও মারবো।’ সুত্র ঃ ইত্তেফাক
হামলার বেশ কিছু দৃষ্য ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। যে নারকীয় কায়দায় লোকটিকে পিটানো হয়েছে , সেটা একমাত্র বুয়েটের আবরার হত্যাকান্ডের সাথেই মিলে। ছাত্রগুলোর চেহারাও সাধারন শিক্ষার্থিদের মত নয়। নিহত তোফাজ্জেলের মামাতো বোন যে ছাত্রদের কিডন্যপিং কায়দায় টাকা চেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সেটাতো খুবই ভয়ঙ্কর অভিযোগ। ধৃত একজন শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতা ছিল। মুলত সেই সবাইকে মারতে উৎসাহ দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।।দেখুন যে কি বর্বর কায়দায় তোফাজ্জলকে মারা হয়েছে !
কতিপয় বর্বর , খুনে সন্ত্রাসীর অপকর্মের দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন ছাত্রদের উপর চাপানো কোন অবস্থাতেই কাম্য নয়। তাছাড়া যে প্রশ্নটা সবার করা উচিত সেটা হচ্ছে , হল প্রসাষন ঐ ঘটনার সময় কি করছিল? প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের বয়ানে যে এসেছে নয়টার কিছু পরেই ঘটনাস্থলের (গেস্টরুম) বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল টিম এবং কয়েকজন হাউজ টিউটর উপস্থিত ছিলেন, তারা সেখানে নিষ্ক্রিয় ছিল কেন? এই সম্পূর্ণ সময় এবং হ*ত্যাকা*ণ্ডের পুরো রাত পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে আসেননি হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শাহ মো. মাসুম। ঘটনার সময় বা এর পরে তাকে কয়েকবার ফোন দেওয়া হয়েছেও বলে জানান শিক্ষার্থীরা। তারপরও রিচ করা যায়নি প্রাধ্যক্ষকে। প্রশ্ন উঠা কি উচিত নয় তার এমন দ্বায়িত্ব অবহেলার কারন কি? বিগত পনের বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাষন নীল দলের শিক্ষকদের দখলে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যরই কেবল পরিবর্তন হয়েছে , সার্বিকভাবে প্রসাষনে এখনও আগের ব্যক্তিরাই রয়ে গেছে।
জাহানাগীরনগরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় নেতৃত্বে ছিল ছাত্রদলের নেতাকর্মী ।বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ ভূঁইয়ার নির্দেশে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আতিককে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়। সুত্র ঃ যুগান্তর
উন্নত দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার মুল দায় বর্তায় প্রতিষ্ঠানের প্রসাষনের উপড়।দেশ এখন স্বৈরাচারমুক্ত। কাজেই দুই বিশ্ববিদ্যালয়েই সংঘটিত সকল হত্যাকান্ডে জড়িত ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হোক এবং প্রসাষনের গাফিলতির বিষয়েও উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হোক। দুটো ঘটনাই পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংঘটিত সকল অপকর্মের জন্য দায়ী হচ্ছে লেজুরভিত্তিক দলীয় ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি। বর্তমান সরকারের কাছে দাবী যে দেশের সকল শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র/ শিক্ষক রাজনীতি সম্পুর্ন নিশিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারী করা হোক।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: নিহত তোফাজ্জলের মামতো বোনের বক্তব্য পোস্টে আপডেট করেছি। এরাতো একাধারে খুনী ও কিডন্যপার ! এইসব কালপ্রিটদের অবিলম্বে আবরার হত্যাকারীদের মতই কঠিন সাজার ব্যবস্থা করা উচিত। তবে এইসব কাল্প্রিটদের ও সাধারন সব শিক্ষার্থীদের এক কাতারে ফেলাটা কিন্তু ঘোরতর অন্যায়। যারা দোষী তাদের কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক যাতে এ ধরনের ঘটনা আর কখনই না হয়। যাই হোক শিক্ষাঙ্গন এখনি আগাছামুক্ত করার সময়। দলীয় শিক্ষক/ ছাত্র রাজনীতি নিশিদ্ধ না করলে শিক্ষাঙ্গন, দেশ কোনভাবেই রাহুমুক্ত হবে না।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: সমন্বয়ক-সহ-সমন্বয়করা যে বড় ছাত্রলীগ হয়ে উঠছে এই প্রমাণ মাত্র একমাসেই বোঝা যাচ্ছে। আমরা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির ওপরে উঠে নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করতে পারি না; এটা দুঃখজনক।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: সমন্বয়ক-সহ-সমন্বয়করা যেন বড় ছাত্রলীগ না হয়ে উঠতে পারে , তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি সম্পুর্ন বন্ধ হওয়া দরকার। যাইহোক ভাল খবর হচ্ছে ঢাবি প্রসাষন আপাতত দলীয় রাজনীতি বন্ধ ঘোষনা করেছে। কিন্ত এটা পার্মানেন্টলি বাস্তবায়ন না করতে পারলে কোন লাভ হবে না। কেউই আইনের উর্ধে নয়। ঘটনায় জড়িতদের সাজা নিশ্চিত করা হবে বলেই সরকার জানিয়েছে।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: কিছু কমেন্ট মুছে ফেলেছি যেহেতু তা পোস্ট সম্পর্কিত নয়। সবার প্রতি অনুরোধ যে পোস্ট সম্পর্কিত কমেন্ট করুন।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার অনুরোধ জানাই।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাবির ভিসি বর্তমান পরিস্থিতি খুবই দক্ষতার সাথে সামলিয়েছেন। ঘটনার সাথে জড়িত শিক্ষার্থিদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। কমিটি গঠন করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করছেন। হলে হলে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আইন হাতে তুলে নিলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হল প্রসাষনের নিষ্ক্রিয়তার বিষয়ে পদক্ষেপ নিলে উনাকে ১০০/১০০ দেয়া যায়। নীল দলের শিক্ষকদের উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয়া তাহলে বন্ধ হবে।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: রাজনৈতিক দলের নেতারা যখন নীতি বিচ্যুত হয়, জনতাবিচ্যুত হয়, তখন দলের কোনো সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ দলের থাকে না, তখনই "কুকুর লেজ নাড়ে না, লেজ কুকুর নাড়ায়"! আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এহেন নৈরাজ্য থেকে রক্ষা পেতে পারে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা করাটাই বর্তমান সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সংস্কারের মাধ্যমে তারা যদি সেটা বাস্তবায়ন করতে সমর্থ হন, তবে এই দেশ এর চেহারাই বদলে যাবে।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৭
আদিত্য ০১ বলেছেন: বৈষম্যবিরোধী নামক এক দলটির (ঢাবি ও জাবিতে পুলিশ আটক করেছে,দেশের আনাছে কানাচে এমন মৃত্যুর মিছিল) যে নিরপরাধ মানুস মারছে, এগুলো শুধুই অপ্রীতিকর ঘটনা! বাহ! ৫ আগস্টের পর বিচারবহির্ভূত গনহত্যা হচ্ছে, হিসাব করলে ১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে, প্রতিদিন ২/৩ জনের বেশি কোন দিন আরও বেশি মরছে (কমই বলছি, এর বেশি হবে) মানুস বৈষম্যবিরোধী নামক মানুসখেকো দলটির হাতে মরেছে।
আমার শরিরে গোশত এই বৈষম্যবিরোধী নামক মানুসখেকো শকুনদের দিতে চাই যদি তাদের মানুস খাওয়ার ক্ষুদা মেটে
এই বাংলাদেশে এদেরও গনহত্যার বিচার হবে, বেচে থাকলে দেখে যেতে পারবেন আশা করি
৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই ধরনের প্রতিটা হত্যাকান্ডই প্রচন্ড রকমের নিন্দা করার মতো। খুনীদের অবশ্যই প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত। আপনাকে ধন্যবাদ যে, আপনিও এই হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ করেছেন। আসলে আমাদের দেশের কিছু ইতরসদৃশ্য মানুষ আছে, যাদের মানবতার দন্ড ইভেন্ট বেছে বেছে উত্থিত হয়। এরা মানবতা, বিবেক আর নীতি-নৈতিকতারও রাজনীতিকরণ করে ফেলেছে।
ব্লগে যেসব বর্তমান সরকার বিরোধী আছে, তারা ঘটনা ঘটার সাথে সাথে অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা না করে ''হায় হায়, দেখেন মেধাবীরা কি করেছে'' বলে মাতম শুরু করে দিয়েছে। এখন ছাত্রলীগের কানেকশান পাওয়াতে সূর বদল করে ভিন্নভাবে, ভিন্ন আঙ্গিকে কথা বলছে।
আপনার হয়তো মনে আছে, আবরারের হত্যাকান্ডের সময়ে আমি, করুণাধারা আপাসহ আরো অনেকে এর প্রতিবাদে যেসব পোষ্ট দিয়েছিলাম তাতে আওয়ামী লীগের দালালরা ইনিয়ে-বিনিয়ে সেটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেছিল। সেসব প্রমাণ এখনও ব্লগেই আছে। আমার পোষ্টেও আছে। সেই জাতের দালালেরাই এখন ''এই সরকার দেশের সর্বনাশ করছে'' বলে উল্টা মাতম শুরু করেছে। গত ১৬ বছরের হত্যাকান্ডগুলো বাদই দেন, এই হারামী দালালগুলো ২০২৪ এর জুলাই গণহত্যারও নিন্দা করে নাই, বা করলেও কি সূরে সেটা তাদের মন্তব্য খানিকটা বিশ্লেষণ করলেই পরিস্কার বোঝা যায়। এদের সুমতি হোক, এটাই কামনা করি আর এই ধরনের প্রতিটা বর্বর হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।
যার সামান্যতম মানবতাবোধ আছে, সেই এ'ধরনের পৈশাচিক কর্মকান্ডের বিরোধীতা করবে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য । ব্লগের দালালদের কথা আর কি বলব! উপড়ে দেখেন যে , আদিত্য ০১ এর কমেন্ট!! মেজাজ আরো খারাপ হচ্ছে ফেসবুকে যারা স্বনামে লিখে তাদের লেখাও পড়ে। হলের কয়টা খুনে গুন্ডা মাস্তানের নিশৃংষ অপরাধের দায় তারা সামগ্রিকভাবে ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগরের সকল ছাত্রদের বিশেষ করে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উপড় চাপাতে চাইছে! অনেকটাই কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি অবস্থা।
আবরারের ঘটনার কথাতো মনে আছেই। ভাবেন যে সেই সময়েতো এসবের বিরুদ্ধে লেখাই কত বিপদজনক ছিল। কে কখন গুম হয় তার কোণ ঠিক ঠিকানা ছিল না। আওয়ামিলীগের বিরুদ্ধে কলম ধরাই ছিল অনেকটা জান হাতে নিয়ে লেখা। আর এখনতো অপরাধী সঙ্গে সঙ্গে ধরা পড়ছে। কিন্তু অপরাধীদের ধরা পড়াটা দালালদের একেবারেই সহ্য হচ্ছে না। ফেসবুকে এইরকম এক দালালের এক পোস্টে একজন কমেন্ট করেছে যে, অপরাধীরাতো ধরা পড়েছে । এখন আপনারা কি চান? তখন একজন রিপ্লাই দিয়েছে যে, উনারা চাচ্ছেন এই দায় নিয়ে সরকার পদত্যাগ করে উনাদের আপাকে চট করে ফিরিয়ে এনে আমার ক্ষমতায় বসিয়ে দিক
৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: আদিত্য কমেন্টে যাই বলুক উত্তর দিতে সমস্যা কি?
৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
ক্লোন রাফা বলেছেন: দুই মাসও হয় নাই কানধরে বের করে দিয়েছে ছাত্রলীগের সকল ছেলেদের। সমন্বয়করাই বলছে পুরো ভার্সিটি তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে আর আপনি বলছেন কোন দায় নেই সাধারন ছাত্র ও সমন্বয়কদের! শুরুটা এভাবেই হয় । প্রথম ১টা ২টা , তারপরই ুরু হবে সিরিজ। এই ব্যার্থতার দায় অবশ্যই বর্তমান সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কতৃপক্ষ সহ ছাত্র সমন্বয়কদের।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫০
ঢাবিয়ান বলেছেন: অপরাধ, বিশৃংখলা সব রাস্ট্রেই আছে। গনআন্দোলনের সময়ে গড়া সমন্বয়কদের বর্তমান পরিচয় কেবলই একজন ছাত্র। তাদের মাঝে , খারাপ/ ভাল সবরকম মানুষই থাকতে থাকে। জরুরী হচ্ছে যে কারো অপরাধ আড়াল করা হচ্ছে কি না ! ঢাবির ফজলুল হক হলের ঘটনায় জড়িত সব ছাত্রদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে এবং দ্বায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে প্রাধ্যাক্ষকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে। একটি রাস্ট্রের জন্য এই বিষয়গুলোই জরুরী। আইনের সঠিক বাস্তবায়ন হলে অপরাধের মাত্রা আপনাতেই কমতে থাকবে। এই সরকার তখনই ব্যর্থ হবে যেদিন আমরা দেখব যে, উনারা আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছেন যা এতকাল ধরে আমাদের দেশে হচ্ছিল।
১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৭
আদিত্য ০১ বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: আদিত্য কমেন্টে যাই বলুক উত্তর দিতে সমস্যা কি
কারন সত্য বলেছি, তাই লেখকের মাথায় আগুন লাগছে, ঢাবিয়ানের মত কিছু ব্লগার এখন সবকিছুই একটার ওপর দোষ চাপাবে, আর প্রতিদিন যে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে গণহত্যা হচ্ছে, কারা করছে, এগুলা সবই এখন প্রপেগেশন করে একটার ওপর দোষ চাপাবে, গণহত্যার সাথে আরও অনেক কিছু আছে
১১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৬
জটিল ভাই বলেছেন:
আমরা কি এই ট্যাগ সংস্কৃতি হতে বের হয়ে আসতে পারবো না?
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:০০
আমি সাজিদ বলেছেন: একজন ছাত্রলীগের নেতা না কি যেন। ওর উছিলায় বাকি কালপ্রিটগুলোকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসার দরকার নাই। আর জাবিতে তো ছাত্রদলের ছেলেপেলেও ইনভলভড ছিল, জাবির সমন্বয়ক ছিল। কাউকে ট্যাগ দিয়ে বাকিদের বাঁচানোর চেষ্টা করাও উচিত নয়। আর সোশাল মিডিয়ায় সবাই পন্ডিত হবে, সবাই মতামত দিবে, সবার মতামত দেওয়ার জন্য হাসিনাশাহীর মসনদ তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। এঞ্জয় করুন।