নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামাত/শিবির মিথ্যাচার ট্যগিং কালচার এর অবসান হোক

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪



সত্য ও মিথ্যা আসলে কি ? সত্য হচ্ছে কোন কিছুর বাস্তব নমুনা বা আসল রূপ। আর মিথ্যা হচ্ছে সেই বাস্তব বা আসল রুপকে অস্বীকার করে ভিন্ন কিছু বলা। আসলে সত্য বা মিথ্যার ফারাক সাদা কালর মতই পরিষ্কার। কে সত্য বলছে বা কে মিথ্যা বলছে তা মানুষ মাত্রই ধরতে পারে। আমাদের দেশের প্রধান একটা সমস্যা হচ্ছে মিথ্যাবাদিরা খুব বেশি সরব এবং সত্যবাদীরা নিশ্চপ। সভ্য দেশে এর উল্টো চিত্র দেখা যায়। সভ্যতার অন্যতম শর্তই হচ্ছে সত্যবাদিতা। মিথ্যাকে তাই সভ্য দেশে অসম্ভব ঘৃ্নার চোখে দেখা হয়। বাচ্চা বয়স থেকেই স্কুলে বাচ্চাদের সত্য কথা বলার উপড় অত্যন্ত জোড় দেয়া হয়। সমাজের সর্বস্তরে মিথ্যাকে কোন প্রকার প্রশ্রয়ই দেয়া হয় না।

বিগত স্বৈরাচারী সরকার ও তার সমর্থকদের ক্ষমতায় টিকে থাকার অন্যতম এক অস্ত্র ছিল মিথ্যাচার। সৎ ও সত্যবাদী মানুষ এতকাল কোন ধরনের সমস্যায় যাতে না পড়তে হয় , তাই চুপচাপ থাকাটাই শ্রেয় মনে করত। গুমের যেই ভয়ঙ্কর কালচার চালু ছিল দেশে, তাতে মানুষের বোবা কালা হয়ে থাকায় দোষও দেয়া যায় না। কিন্ত নীরিহ ছাত্র জনতার এত রক্তপাতের বিনিময়ে স্বৈরাচারী সরকার পতনের পরেও যদি আপনি মিথ্যাচার দেখে চুপ থাকেন বা প্রশ্রয় দেন তাহলে আপনি সুবিধাবাদি শ্রেনী হিসেবেই চিহ্নিত হবেন।

এই ব্লগে বয়োজোষ্ঠ ব্লগার সোনাগাজি , কামাল ১৮ দিনের পর দিন মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। ব্লগারদের ব্যক্তি আক্রমন করার জন্য ব্লগার সোনাগাজী বিখ্যাত। এ বিষয়ে বিগত বছরগুলোতে প্রচুর পোস্ট এসেছে। আজ আমি বলব , উনার প্রতিনিয়ত মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। সাবেক তথ্যমন্ত্রী আলী আরাফাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী, জঙ্গি ও মাদকাসক্ত আখ্যা দিয়েছিল। ব্লগার সোনাগাজীও এই ধারাবাহিকতায় ছাত্রদের শুরু থেকেই ব্যঙ্গাত্বকভাবে কোমলমতি ডাকছেন। তাদেরকে ভেড়ার চামরা গায়ে দিয়ে শিবির হিসাবে সঙ্গায়িত করছেন। বলছেন বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের মাষ্টার-মাইন্ড হচ্ছে পাকিস্তান মিলিটারীর ইন্টেলিজেন্স, আইএসআই!!! আরেক ব্লগার কামাল১৮ এর প্রতিটা কমেন্টে মিথ্যাচারে ভরপুর। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের দেখুন ইনি কি বলেছেন -
কামাল১৮ বলেছেন: আন্দোনকারীরা শীবিরের চেলা- চামুন্ডা।দেড়শ জনের মতো সমন্বয়কের মধ্যে একজন হিন্দু নাই এক জন বামপন্থী নাই।


কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন -’ ‘মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? ‘’ মুলত এই কথার পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষার্থীরা বারুদের মত জ্বলে উঠে শ্লোগান দিতে থাকে ‘আমি কে তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার; কে বলেছে, কে বলেছে, স্বৈরাচার, স্বৈরাচার’ । আসলে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভুত জমা ক্ষোভের উদগিরন হয়েছে এই শ্লোগানের মাধ্যমে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই এই জামাত/ শিবির ট্যগিং হয়ে উঠেছিল বিগত সরকারের অন্যতম এক হাতিয়ার। মিথ্যাচারের এক চরম রুপ হচ্ছে এই ট্যাগিং । এই ব্লগেও শুধু সোনাগাজী বা কামাল১৮ নয় , আরো বেশকিছু লীগপন্থী ব্লগার দিনের দিনের পর দিন ব্লগারদের জামাত/শিবির ট্যগিং করেছেন এবং এখনও করে যাচ্ছেন।

১৯৭১ এ পাকিস্তানের পক্ষালম্বন করা জামাতকে এ দেশের জনগনের পছন্দ করার কোন কারনই নাই। তবে জামাতের সবাই যুদ্ধপরাধি বা রাজাকার নয় ।রাজাকাররা ছিল পূর্ব পাকিস্তানি আধা সামরিক বাহিনী যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধে সাহায্য করতো। তাই জামাত বা শিবিরের সবাইকেই গনহারে রাজাকার বলাটাও একটা মিথ্যাচার। ১৯৭১ এ যারা শিশু বা যাদের জন্ম ১৯৭১এর পরে তারা কিভাবে রাজাকার হয়? সত্য আপনার /আমার অপছন্দ হলেও যা সত্য সেটা বলতেই হবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশে ইসলামি শাষন ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখিয়ে জামাত মুলত এক শ্রেনীর মানুষের কাছে প্রিয়ভাজন হয়েছে । তবে জামাতের এই আদর্শ দেশকে আফগানিস্তান বানানোর পায়তারা বলেই মনে হয়। আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কোন মানুষ জামাতকে সমর্থন করার কথা কোন অবস্থাতেই ভাবতে পারে না। অথচ ভেবে দেখুন যে এই জামাত শিবির ট্যগিং কত মানুষকে করা হয়েছে স্রেফ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায়! কত মানুষকে গুম, খুন করা হয়েছে এই ট্যগিং করে! এত বড় রক্তক্ষয়ী এক আন্দোলনের পর এবার এই মিথ্যাচার বন্ধে পার্মানেন্ট কোন ব্যবস্থা নেয়া হোক।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮

জুল ভার্ন বলেছেন: খুবই ভালো লিখেছেন। সব দলেই ভালো-মন্দ নেতা কর্মী সমর্থক আছে। কিন্তু আওয়ামী লীগে এ টু জেড কেউ ভালো না- ওরা ওদের সকল অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সব সময়ই উদোর পিন্ডি বুঁদোর ঘাড়ে চাপায়।।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। বাংলাদেশে আর কোন দল মিথ্যাচার ও অপকর্মে লীগের সাথে পাল্লা দিয়ে পারবে না।

২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রামছাগলদের ম্যাৎকারে কি যায় আসে? আওয়ামী লীগের চেয়ে বড় কোন রাজাকার এই মূহুর্তে বাংলাদেশে নাই। জামাত যদি পাকিদের দাস হয়, আওয়ামী লীগ হলো রেন্ডিয়ার পা-চাটা কুত্তা। কিন্তু বাস্তবতা হলো, জামাত বদলে গিয়েছে। তাদের কর্মকান্ডই প্রমাণ। আর আওয়ামী লীগ এতোটাই পচে গলে গিয়েছে যে, তাদের কারনে দেশ তো বটেই, এই ব্লগটাও দুর্গন্ধে ভরে গিয়েছে।

আজকের শ্লোগান হলো.........নব্য রাজাকারদের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে!!!!! =p~

নব্য রাজাকারমুক্ত ব্লগ এখন সময়ের দাবী।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: নব্য রাজাকারমুক্ত ব্লগ এখন সময়ের দাবী। একমত আপনার সাথে। কিছু বেকারের এখন কর্ম সংস্থান হয়েছে লীগের হয়ে মিথ্যাচার জারী রাখার জন্য। আশেপাশে তাকালেই দেখতে পাবেন। ২৪ ঘন্টা ব্লগে বসে মিথ্যাচার ছড়ানোই এদের আসল কাজ।

৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জামায়াত/ শিবিরের প্রতি যাদের নূন্যতম সমর্থন থাকে তারাও রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী।
শুয়োরের বাচ্চা যেমন শুয়োর হয় ঠিক তেমনি রাজাকারের বাচ্চাও রাজাকার হয়। গোলাম আজম পুত্র আজমীর গতকালের বয়ানে তা আবারও প্রমাণ হল।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: মিথ্যাবাদীরা এভাবেই কথা বলে। তবে সময় কিন্তু এখন আর মিথ্যাচারের অনুকুলে নয়।

৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:



এই একই মাল বেইচা আর কয়দিন? ধান্ধাবাজি এবার বন্ধ করতে হবে । চেতনাবাজীদের ভণ্ডামি দেখতে দেখতে মানুষ বিরক্ত! কোন দাড়ি টুপি পরা লোক তো এতোদিন দেশ চালায়নি! তবুও ২৩+৫৩= ৭৬ বছর পরেও বিশ্ব ইনডেক্সে বাংলাদেশের তলানিতে থাকার দোষ কেন চাপানো হয়েছে দাড়ি টুপি পরা মানুষের উপর? অথচ এই মানুষগুলো ক্ষমতায় তো ছিলোই না, উপরন্তু এরা ক্ষমতার যাঁতাকলে হয়েছে নির্যাতিত নিষ্পেষিত। এদের মানবাধিকার টুকুও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। এখানেই শেষ নয়, এই নির্যাতন নিষ্পেষনের পর রাষ্ট্রীয়ভাবে দূর্নীতিগ্রস্থ ও পিছিয়ে থাকার দোষও তাদের ঘারেই চাপানো হয়েছে। শুধু তাই না, প্রচার করছেন এই মানুষগুলো ক্ষমতা পেলে দেশ আঁধারে ঢুবে যাবে। অথচ গত ২৩+৫৬ বছর তো প্যান্ট শার্ট পরা লোকেরাই ক্ষমতায় ছিল, তো তারা দেশকে কোন আলোটা দিয়েছে? এরমধ্যে ২৫ বছর তো স্বাধীনতার চেতনাবাজরাই শাসন করছেন। আবার এই ২৫ বছর শাসনের ১৫ বছর (৭২-৭৫ এবং ১৪-২৪) তো সংসদের শতভাগ আসন এবং ৫ বছর (০৯-১৩) সংসদের দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসন দখল করে স্বাধীনতার চেতনাবাজরাই রাষ্ট্র চালিয়েছেন। এতো সুযোগ পেয়েও স্বাধীনতার চেতনাবাজ পোগোতিশীল সেকুলার শক্তি দেশকে আলোকিত কোন আলোয় আলোকিত করেছে? সেই তো সবগুলো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে চোর ডাকাত দূর্নীতিবাজদের ক্ষমতা কায়েম করে দেশকে ভারতের ক্রীতদাস বানিয়েছেন।
তাই প্রস্তাব: যেসমস্ত বুদ্ধিজীবী সৈরাচারের ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে জামাত বিএনপি মৌলবাদী ট্যাগ বানিয়ে সেটাকে ডি-হিউম্যানাইজেশন করতে লেখালেখি এবং বক্তৃতা সহ বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে, সেসমস্ত বুদ্ধিজীবিকে সৈরাচারের গণহত্যার দায় নিতে হবে। এবং এখনো যারা জামাত বিএনপি মৌলবাদ ট্যাগ ব্যাবহার করছে তাদেরকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মুসলিম অনুশাষন কে মানবে আর কে না মানবে সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যপার। কিন্ত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে মুসলিম অনুশাশন মেনে চলা মানুষকে শিবির , জঙ্গী ইত্যাদি ট্যাগিং করাটা একটা প্রথায় পরিনত হয়ে দাড়িয়েছিল!! অথচ অমুসলিম দেশে মুসলিমরা দিব্বি তাদের ধর্মীয় কালচার বজায় রেখে চলছে। এইসব ট্যাগ ব্যাবহারকারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসেবে বিবেচনা করার সময় এসেছে।

৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

এম ডি মুসা বলেছেন: বাংলাদেশ কে ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়েছে। বাঙালি মুসলমান না দেওয়ার মানে হয়না। এই খুব দুঃখজনক।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: কি বুঝাতে চেয়েছেন ঠিক বুঝতে পারিনি।

৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

জ্যাকেল বলেছেন: ডার্ক ম্যান বলেছেন: জামায়াত/ শিবিরের প্রতি যাদের নূন্যতম সমর্থন থাকে তারাও রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী।
শুয়োরের বাচ্চা যেমন শুয়োর হয় ঠিক তেমনি রাজাকারের বাচ্চাও রাজাকার হয়। গোলাম আজম পুত্র আজমীর গতকালের বয়ানে তা আবারও প্রমাণ হল।


লো ক্লাসের কসাই মোদীর পা চাটা আম্লিক ভালু আর ৭১ এ পাকিস্তানের সমর্থক জামাত খ্রাপ। :-P

অন্তত পক্ষে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এখন সবাইকেই ভারত বিরোধী হইতে হইবে উহা আম্লিকের দ্বারা কক্ষনো সম্ভব না, জামাত দ্বারা সম্ভব। তাই জামাতকে কৌশলগত সমর্থন দেশের মানুষ করে যাইতেছে, যাইবে।
২৪ এর আন্দোলনের লাকড়ি ছিল জামাত - বিএনপি; ইহা ফেরাউনের শিষ্য থেকে আমাদের বাঁচাইছে।

কেমনে সম্ভব ম্যান, ২০২৪ এ এসেও র আমাদের এখানে প্রকাশ্যে তৎপরতা চালায়! মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভারতের গোলামি আর কত??

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: স্বার্বভৌমত্বই কি আর ছিল এদেশের ? মংলা বন্দর ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল, রেল ট্রাঞ্জিট চুরান্ত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের কথা কি আওয়ামিলীগের মুখে আর শোভা পায় ? মুক্তিযোদ্ধারা কি দেশের স্বার্বভৌমত্ব আরেক দেশের হাতে তুলে দেবার জন্য জীবন দিয়েছিল?

৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় টিকেই ছিল/আছে বৃটিশ পলিসি, " ভাগ কর ও শাসন কর'' এর উপর।তারা দেশকে চেতনার বড়ির বাজার বানিয়ে নিজেদের খায়েশ পূরণ করেছে এবং ঘরে ঘরে বিভাজন তৈরী করেছে।গণতান্ত্রিক দল হিসাবে নিজেদের দাবী করলেও তারা দেশে তৈরী করেছে ভয়ানক এক স্বৈরতান্ত্রিক পরিবেশ । আর সেই আপশাসন কিংবা স্বৈরশাসনকে জায়েজ করার জন্য তুলেছে এক জিকির '' জামাত/শিবিরের''।

লীগের দোশর তথা সুবিধাভোগীদের এখন খুব সমস্যা হচছে, তা বলাই বাহুল্য। তারাই এখন নানা রকম ছাগ কিংবা গরুর চর্ম ধারন করে নতুন ভেক ধরবে আর যাকে তাকে পাগলা কুকুরের মত কামড়াতে চাইবে ক্ষমতা হারিয়ে পাগলপারা হয়ে।

আওয়ামীলীগ যারা করে তারা বহূকাল পূর্বেই তাদের বিবেক-নীতি-নৈতিকতা ধুয়ে-মুছে খেয়ে ফেলেছে। তাইতো তারা আওয়ামীলীগ।আর একসময় ছিল সুশীল =p~ যাদের এখন ঘোষনা/বিবেচনা করা যেতে পারে নব্য রাজাকার হিসাবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই লীগই একসময় জামাতের সাথে জোট বেধে রাজনীতি করেছে। মন্ত্রী সভায় সুযোগ পেয়েছে অনেক রাজাকার। কিন্ত বিরোধী মত চেপে ধরতে আবার জামাত/শিবির ট্যগিং নামক এক অস্ত্র আবিষ্কার করে। তাদের মতাদর্শটা ছিল - সঙ্গে থাকলে সঙ্গী , বিপক্ষে জঙ্গী।

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৩

জ্যাকেল বলেছেন: এই আন্দোলন ছিল ছাত্রদের পবিত্র এক আন্দোলন। দেখুন এই ভিডিও Click This Link

(আর জামাতের রাজনীতি নিয়ে আমার আপত্তি আছে, আমার সবশেষ পোস্টেই পাবেন।)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই গানটা আন্দোলনের সময় বেশ সারা জাগিয়েছিল

৯| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১

করুণাধারা বলেছেন: আশাকরি শিগগিরই এই ট্যাগিং বন্ধ হবে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: বে আপু ? এই ব্লগের প্রবীন ব্লগাররাতো এখনও ট্যগিং কালচার চালু রেখেছে।

১০| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: শুধু ভারত বিরোধী হবেন কেন, ভারতের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা করুন। আপনাদের পেয়ারের জামায়াতের আমীর ভারতের সমর্থন আদায়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন আর আপনি আসছেন ভারত বিরোধী হইতে।
ভারতের গোলামি তারাই করে যারা প্রকাশ্য ভারত বিরোধীতা করে।

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যারা এখনো ইনিয়ে বিনিয়ে আওয়ামীলীগের জয়ধ্বনি করার চেষ্টা করছে তাদের জন্মের সমস্যা আছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: সুযোগসুবিধাতো আর কম নেয়নি , তাই এখনো গর্জে যাচ্ছে।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:১৭

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: গত ১৫টা বছর বহু বহু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা আঃলীগের এই ট্যাগানোর স্বীকার। মাঝে মধ্যে মন চায় এদের মুখের ভিতরে মাটি ঢুকিয়ে রাখি।

গোফরানের নাম বাদ দিয়ে অপরাধ করে ফেলেছেন। এই ফাজিলটাও কথায় পেরে না উঠলেই মানুষকে রাজাকার ট্যাগায়!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এদের বিরুদ্ধে কোণ ব্যবস্থা না নেয়া হলে এরা ট্যগিং কালচার অব্যহত রাখবেই। তবে আমাদের এই ইস্যূ্তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১৪

জ্যাকেল বলেছেন: ডার্ক ম্যান বলেছেন: শুধু ভারত বিরোধী হবেন কেন, ভারতের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা করুন। আপনাদের পেয়ারের জামায়াতের আমীর ভারতের সমর্থন আদায়ের জন্য ব্যাকুল হয়ে আছেন আর আপনি আসছেন ভারত বিরোধী হইতে।
ভারতের গোলামি তারাই করে যারা প্রকাশ্য ভারত বিরোধীতা করে।


জামাতের রাজনীতির ঘোর বিরোধি আমি এই কথা আমার ব্লগ যাহারা নিয়মিত পড়ে তারা জানে। তাই ইহাদের সহিত আমারে টেগানি মানে ঐ গোফরান মার্কা টেগামি। থাক আর মুকক্রাপ করলাম না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: :(

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২২

আলামিন১০৪ বলেছেন: এ অস্ত্র বিএনপিও ব্যবহার করবে বলে মনে হচ্ছে

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিএনপি নামে যে একটা দল আছে দেশে, তা বোঝার কোন উপায়ই নাই। মাঠে ঘাটে কোথাও তারা নাই। অনলাইনেই কেবল আছে।এদের কাছ থেকে কোন কিছুই প্রত্যাশা করা যায় না। দ্রুত বৈষম্যিরোধী সমন্বয়কদের ছাত্র, পেশাজীবি ও বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে একটা একটা নতুন দল গঠন করা উচিত।

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েল। এখন কেউ যদি বলে...........আমার দোয়েল পাখি পছন্দ না, টিয়া পাখি পছন্দ; তাহা হইলে কি উহাকে রাজাকার বলা যাইবে? :P

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জামায়াত/ শিবিরের প্রতি যাদের নূন্যতম সমর্থন থাকে তারাও রাজাকার, স্বাধীনতা বিরোধী।
শুয়োরের বাচ্চা যেমন শুয়োর হয় ঠিক তেমনি রাজাকারের বাচ্চাও রাজাকার হয়।
অত্যন্ত মুল্যবান কথা। এই ফর্মুলাতে পতিতা হাসিনা যে রাজাকারদের নানি; আর রাজাকার বেয়াইকে সমর্থনের কারনে পতিতা হাসিনাও যে রাজাকার..........সেই ব্যাপারটা নিয়া ব্লগে বিশদ আলোচনা করা উচিত। এই আলোচনায় বিশিষ্ট আওয়ামী দালালদের অংশগ্রহন খুবই জরুরী। =p~

এই বিষয়ের কাছাকাছি একটা বিষয় নিয়ে একবার একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। খানিকটা প্রাসঙ্গিক মনে হওয়াতে এখানে দিলাম..........জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বর্তমান বিতর্ক কি আসলেই জরুরী?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাহ ভুলেই গিয়েছিলাম গায়ক নোবেল এর এই ঘটনা। ধন্যবাদ আবার শেয়ার করার জন্য। ব্রিগেডিয়ার আযামী জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা বলায়তো ব্লগে আয়নাঘরের বৈ্ধতা পর্যন্ত দিয়ে দেয়া হয়েছে !!!!

১৬| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

জুন বলেছেন: আপনার লেখার সাথে শতভাগ সহমত ঢাবিয়ান। আওয়ামী লীগ রাজনীতি পছন্দ না করলেই সে জামাত এটা কেমন কথা! আমার ক্লাসমেটরা যখন জানে আমি আওয়ামী রাজনীতি পছন্দ করি না তখন ওরা কেমন যেন ফেরোশাস হয়ে যায়।
ব্লগের মধ্যেও এই টাইপের লোক আছে প্রচুর। উহা তো সারাক্ষণই বসে ব্লগে দালালী মার্কা গার্বেজ লিখতেছে। ওনার গার্বেজ দেখলে ব্লগে আসতেও ইচ্ছে করে না, পোস্ট দেয়া তো দুরের কথা।
+

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: নিজেই একটা গার্বেজ বলে অন্য সবাইকেই তিনার গার্বেজ বলে মনে হয়!

১৭| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো দিন আমি বলেছি যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ঠিক হবে না। এটার কারণ হিসাবে বলেছি যে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সবার রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত। কিন্তু আমার এখন মনে হচ্ছে যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে আইন ক'রে চিরতরে বন্ধ করার সময় এসেছে। ফ্যাসিস্ট দলের রাজনীতি করার অধিকার কেড়ে নেয়া উচিত। হাসিনা এবং তার দল এখনও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ক'রে যাচ্ছে। ভারতের 'র' এখন আগের চেয়েও বেশী সক্রিয় হয়ে এই ব্যাপারে কাজ করছে। যে দলের প্রধান নেতা দেশদ্রোহী সেই দলকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার সময় এসেছে।

আওয়ামী লীগ না করলেই জামাত/ শিবির এই ট্যাগিং চালু করেছে আওয়ামী লীগ। ব্লগেও সেটা দেখা যাচ্ছে। কয়েকজন ব্লগার ২৪ ঘণ্টা মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। মিথ্যা কথাকে বাক স্বাধীনতার নামে অনুমতি দেয়া যাবে না। এই বারের ছাত্র-জনতার বিজয় একটা ঐতিহাসিক বিজয়। যারা এই বিজয়ের বিপক্ষে বলছে তাদেরকে আমি দেশদ্রোহী মনে করি। ২০/২৫ দিনের মধ্যে চোখের সামনে ১ হাজারের অধিক মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা এবং ১০/২০ হাজারের অধিক মানুষকে আহত/ পঙ্গু করার পরেও যারা আওয়ামী লীগের পক্ষে বলছে তারা পরিষ্কার অপরাধী। ব্লগে অপরাধীর স্থান থাকা উচিত না। ব্লগ কর্তৃপক্ষকেও এটা নিয়ে ভাবতে হবে। বাক স্বাধীনতার নামে মিথ্যা কথা বলা আর হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন দেয়া কখনই গ্রহণযোগ্য না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরোপুরি একমত আপনার সাথে। বাকস্বাধীনতা মানে মিথ্যাচারের স্বাধীনতা নয়, হেইট স্পীচ ছড়ানোর স্বাধীনতাও নয়। কিন্তু দুঃখনকভাবে এই ব্লগে এসব আমাদের আগেও দেখতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে।

দেশের ব্যপারেও আমি খুবই হতাশ। বিচারের কোন নামগন্ধইতো দেখা যাচ্ছে না। এই কারনেইতো গনহত্যা সমর্থনকারীদের মত ভয়ঙ্কর অপরাধীদের হুঙ্কার আমাদের এখনও শুনতে হচ্ছে।

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:৪৪

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি জামাতের ঘোর বিরোধী। জামাতের রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনার সাথে আমি মোটেও সমপৃক্ত নই কিন্তু জামাত কে শুয়ারের পাল বললে আমার বুক খা খা করে ওঠে।

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আপনার লেখার সাথে শতভাগ সহমত ঢাবিয়ান ভাই। মিথ্যা সে মিথ্যাই যেই বলুক। ওনারা ব্লগে প্রবীণ বলে অনেকেই শ্রদ্ধা করে। সাথে অনেকের মুক্তিযুদ্ধা দাবী করার গুনেও। তবে এমন করে আর কতো বলেন! ১৬ বছর একটা জাতিকে মিথ্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এখন সাধু চর্চার করছে কিছু লোক।

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০

জটিল ভাই বলেছেন:
সোনাগাজি লক্ষণ সেন আর আওয়ামীর ডামি। পেছন দরজা দিয়ে বের হয়ে যেতে ঝুঁকে আছে। শুনলাম ফেইসবুকে নাকি আশ্রয় খুঁজছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে বখতিয়ার খিলজী বা জেন-জেড এর মতো উহার পশ্চাতে লাথি দেবার কেউ কি ব্লগে আছে? আর সেই সুযোগে উহা ছাত্রদের ঠ্যাঙ্গাতে চায়!!!

২১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:





কেমন আছে ঢাবি?
আমরা যারা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না, সত্যি বলতে রাজনীতি ভালো করে বুঝিও না, সাধারণ মানুষ হিসেবে সব দলের সময়েই কমবেশি ভুক্তভোগী, তারা কিন্তু সকল দলেরই সমালোচনা করি। ভালো কিছু করলে সেটাও বলি, মন্দটাও বলি।

এখন কথায় কথায় এই জামাত শিবির ট্যাগিং যেমন নিন্দনীয়, ঠিক একইভাবে বিএনপি জামাতের কোন সমালোচনা করলেই আওয়ামীলীগার ট্যাগিং দেয়া বা আওয়ামীলীগের অপকর্মের সাপোর্টার বলে অভিযুক্ত করাও ঠিক না।
সব ধরণের ট্যাগিং সমানভাবে অগ্রহণযোগ্য।

আরেকটা বিষয়, একই মানুষ ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ধরণের মন্তব্য করতে পারে, তার মানেই না সুবিধাবাদী।
মানুষের ভাবনা চিন্তা, কথার প্রকাশ কোন অংকের ফর্মুলা না, যে কখনও চেঞ্জ হবে না।
It depends on what we are talking about based on a particular situation or time.

আমাদের সবারই উচিত অনুমান নির্ভর হয়ে কাউকে জাজ না করা, ট্যাগিং না দেয়া।
মতের অমিল থাকবেই, যুক্তি দিয়ে সমালোচনা করবে, এবং অবশ্যই সেটা রেস্পেক্টের সাথে।

ভালো থাকবে ঢাবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.