নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেখানে বিজ্ঞান ও বিশ্বাস মিলে যায় --

০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৩

সিঙ্গাপুরে আগামীকাল ঈদ । এই দেশে দুই ঈদের তারিখই ফিক্সড অর্থাৎ বছরের শুরুতেই আমরা জানি যে , কত তারিখে ঈদ হবে। এখানে The Majlis Ugama Islam Singapura (MUIS) নামের সরকারী প্রতিষ্ঠান মুসলিম সংশ্লিষ্ট সকল ইস্যূ দেখভাল করে থাকে।চাঁদ দেখা ইসূ্তে এরা Where science and faith meet বিষয়টায় বিশ্বাস স্থাপন করে। আর তাই চাঁদের astronomical calculations উপড় ভিত্তি করেই রমজান ও দুই ঈদের তারিখ নির্দিষ্ট করা হয় বছরের প্রথমেই।

সিঙ্গাপুর বহু জাতির সংমিশ্রনে গঠিত একটা কসমোপলিটন সিটি। এখাননার জনসাধারনের Chinese 74.3%, Malay 13.5%, Indian 9%, other 3.2% । স্থানীয় মালেরা হচ্ছে এখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠী। মালেরা ইসলামিক রীতিনীতি বেশ কঠোরভাবে পালন করে থাকে। কিন্ত ঈদের এই ফিক্সড তারিখ নিয়ে তাদের মাঝে কখনও কোন দ্বন্দ দেখিনি। চাইনিজদের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন উৎসব লুনার চাইনিজ নিউ ইয়ারও চাঁদ এর উপড় নির্ভরশীল। তাদের উৎসবের তারিখও ফিক্সড। অর্থাৎ তারাও এই বিষয়ে astronomical calculations এর উপড় নির্ভর করে।

চান্দ্র পঞ্জিকা (ইংরেজি: Lunar calendar) হলো এমন একটি পঞ্জিকা যেখানে দিনসমূহকে হিসাব করার জন্য চাঁদের ঘুর্ণন পদ্ধতির ফলে উদ্ভূত গণনাকে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু প্রতিটি চন্দ্রাবর্তন প্রায় ২৯+১⁄২ দিন,চন্দ্র ক্যালেন্ডারের মাসগুলি ২৯ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হয়। ১২ টি চন্দ্রের সময়কাল, একটি চান্দ্র বছর, ৩৫৪ দিন, ৮ ঘন্টা,৪৮ মিনিট, ৩৪ সেকেন্ড। আর তাই চাঁদ যখন উঠার তখন উঠবেই, পুর্নিমা , আমাবশ্যা , ভরা কটাল , মরা কটাল যখন হবার তখন হবেই। কারো খালি চোখে তা দেখার উপড় নির্ভর করে না।

পবিত্র ঈদের শুভেচ্ছা সবাইকে। ঈদ মুবারক। যাদের স্বপ্ন বাড়ি গেছে , তাদের ঈদ অনেক অনেক বেশি আনন্দময়। আমার মত যাদের স্বপ্ন বাড়ী যায়নি ,তাদের ঈদও আনন্দময় হোক এই কামনাই রইল।

তথ্য সুত্র ঃ উইকিপিডিয়া ও The Straits Times


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ঈদ মোবারক!!

১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঈদ মোবারক

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:০৯

শায়মা বলেছেন: ঈদ মুবারাক ভাইয়া।

স্বপ্ন সবার বাড়ি যায়না।

যাদের যায় তারা আসলেই কত যে আনন্দে থাকে।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:২৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা। আগে যখন ছোট ছিলাম তখন এই এখনকার মতই বাসে , ট্রেনে করে স্বপ্ন দাদাবাড়ী যেত। সেসব ঈদ যে কতটা আনন্দময় ছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৪০

অহরহ বলেছেন: আপনি ভাইয়া আমাদের নবীর উপর পাঁকনামি করছেন!! নবী বলেছেন, " মরুভুমিতে দাড়িয়ে খালি চোখে(সে যুগে চশমা ছিল না) ঈদের চাঁদ দেখতে হবে। তারপর রোজা শেষ হবে। পরদিন ঈদ। পৃথিবীর ২০০ কোটি মুসলিম কি এমনি এমনি উটমূত্র খায়? আপমার কথা ঠিক ধরলে, বাংলাদেশ কবেই সিঙ্গাপুর হয়ে যেত।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই ঈদের দিনেও আমার পোস্টে এসে আমার বাপ দাদার চৌদ্দ গুষ্টির ধর্মকে অশ্রদ্ধা ও অবমাননা করলেন!!

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:১৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: বিজ্ঞান এবং বিশ্বাস বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। বিজ্ঞান প্রমান ছাড়া কোনো কিছু বিশ্বাস করতে নিরুৎসাহিত করে।
আপনাকে ঈদ মোবারক, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। গরু খাওয়ার দাওয়াত দিলে ছাড়া যাবে না।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৭:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঈদ মুবারক। আজ থেকে ২০/২৫ বছর আগেও ধর্ম যার যার উৎসব সবার কন্সেপ্টে বিশ্বাষী ছিলাম। তখন নন মুসলিম প্রতিবেশী , বন্ধুরা যেমন ঈদ ও ইফতারের দাওয়াতে অংশগ্রহন করত তেমনি আমরাও পুজার নারু সন্দেশ , লুচি, নিরামিশ খুব মজা করে খেতাম কিংবা ক্রিশ্চিয়ান বন্ধুদের ক্রিমাসের কেক পেস্ট্রির দাওয়াতের অপেক্ষায় ্থাকতাম। তবে বর্তমানে সেই কনসেপ্টে বিশ্বাস স্থাপন করার কোন সুযোগই আর নাই ।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: এভাবে দিনপঞ্জিকা ঠিক করলে আমাদের তা অনুসরণে কোন আপত্তি নেই। আমাদের আপত্তি সৌদী আরবের চাঁদ দেখার পদ্ধতি নির্ণয়ের উপর। সূর্য গ্রহণের পর চাঁদ দর্শন উপযোগী হতে মিনিমার ২০ ঘন্টা সময় প্রয়োজন - সেখানে সৌদী জ্যোতির্বিদেরা সূর্য গ্রহণের ঘটনার দিনই চাঁদ দেখার চেষ্টা করেছেন - এটা বিজ্ঞানের কোন নিয়ম মেনে করা?

১১ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: The moon is not visible in the sky immediately before or after a total solar eclipse because the moon's “dark side” faces the Earth । ২০ ঘন্টার কথা কোথাও দেখিনি। হয়ত খালি চোখে দেখতে কয়েক ঘন্টা লাগতে পারে , তবে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ ব্যবহার করে দেখা সম্ভব। সৌদি জ্যোতির্বিদেরা বেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন টেলিস্কোপ ব্যবহার করছে চাঁদ দেখার জন্য। আসলে মুসলিম বিশ্বের মাঝে একতা নাই । লুনার ক্যলেন্ডার ফলো করলেই সব ঝামেলা মিটে যায়। কারন এই ক্যলকুলেশন নির্ভুল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.