নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনপ্রিয় সোস্যাাল মিডিয়া ফেসবুক শীতকাল এলেই সেজে উঠে প্রকৃতির বিচিত্র রঙ রুপ নিয়ে। আমেরিকা, ইউরোপে বসবাসকারী প্রবাসীরা স্নো ফলের শ্বেত শুভ্র ছবি নিয়ে হাজির হয় আর বাংলাদেশের মানুষ হাজির হয় সরিষা খেতের আগুন ঝড়ানো রুপ আর পিঠা পুলির ছবি নিয়ে। আমার বসবাস যে দেশে সেখানে সামারই একমাত্র ঋতূূ। তাই দূরে বসে শী্তকালের ছবি দেখতে বড় ভাল লাগে। স্নো ফ্লেক্স দিয়ে সেজে থাকা বাড়ির উঠোন , রাস্তা ঘাট এর দৃৃষ্য দেখতে বড়ই মনোরম লাগে। ভার্সিটির একটা গ্রুপে দেখলাম বরফের মাঝে শারী পড়া এক তরুনীর নাচ এর ভিডিও। কি যে অপরুপ সেই দৃষ্য বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে বরফের দেশে বাস করা বন্ধু বা আত্মীয়রা বলে যে স্নোফল দেখতে সুন্দর লাগলেও শীত এলে নাকি তাদের কাজের কোন শেষ থাকে না। সেদিক দিয়ে আবার আমাদের দেশে শৈ্ত্য প্রবাহের দিনগুলো বাদ দিয়ে পুরো শীতকালটা খুবই আরামদায়ক।
শীতে আমাদের দেশে আরেক বড় আকর্ষন হচ্ছে পিঠা পুলি। শীতের সকাল শুরুই নানা রকমের পিঠা দিয়ে নাশতা করে। এত হরেক রকমের পিঠা আর কোন দেশে আছে বলে মনে হয় না। মালোয়েশিয়ানদের কালচারে পিঠাকে কোয়ে বলে। ময়দা, গুড়, নারিকেল ব্যবহার করে তারাও বিভিন্ন ধরনের কোয়ে প্রস্তুত করে, তবে তাদের কোয়ে আমাদের দেশের পিঠার মত এত সুস্বাদু নয়। তার্কিশদের জনপ্রিয় পিঠা বাকলাভাও খুব সুস্বাদু কিছু নয়। আমাদের খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা , ভাপা, পাটিশাপটা, মেরা , চিতই , পাকন ,খোলাজা পিঠার স্বাদ অতুলনীয়। ছোটবেলায় শীতকাল মানেই আমাদের বাসার সকালের নাশতা ছিল খোলাজা পিঠা দিয়ে গরুর মাংশের পাতলা ঝোল। কি যে অসাধারন একটা খাবার তা দূরে বসে পাউরুটি চিবাতে চিবাতে আজও টের পাই। ইদানিং আমাদের দেশে চিতই দিয়ে বিভিন্ন ভর্তা খাওয়ার চল হয়েছে। আমাদের ছোটবেলায় চিতই শুধু দুধে ভিজিয়ে নাহয় গরু বা মুরগীর মাংশের সাথে খেতে দেখেছি। ভর্তার সাথে আগে কখনো খাইনি। তবে ইদানিং কালের ভর্তার সাথে চিতই খেয়ে মনে হয়েছে যে এটার স্বাদই বরং বেশী।
ব্লগ ইদানিং ঝিমিয়ে পড়েছে। পাঠক, লেখক সবাই তেমন একটা সক্রিয় নয়। সবার ঝিমানি দূর করতেই শীতকাল নিয়ে এই পোস্ট দেয়া । দেশে বিদেশে যে যেখানে আছেন, শীতের ছবি নিয়ে হাজির হন ।কানাডা, আমেরিকা ও ইউরোপের ব্লগারদের স্নো ফলের ছবি দেখতে চাই । আগে ব্লগার ওমেরা আপু সব সময় সুইডেন এর শীত এর ছবিসহ সেখানকার জীবনযাত্রার গল্প লিখতেন। কোথায় হারিয়ে গেল সেই আপু।
দেশে থাকা ব্লগারদের কাছে ডিমান্ড কুয়াশা ঢাকা ভোর, সরিষা খেত, খেজুরের রস, পিঠা পুলির ছবি ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: শীতের সবজি দিয়ে মাছ রান্না আমারো খুব প্রিয়। বিশেষ করে ফুলকপি টম্যটো দিয়ে কৈ মাছ। লাউ শাক দিয়ে দিয়ে ছোট মাছ , কচি মুলা দিয়ে চিংরি মাছ আরো কত কি।
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ওমেরা আপুকে অনেক মিস করছি। আপু যেখানেই থাকো ভালো থাকো। আমাদেরকে দেখে যেয়ো প্লিজ
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলে কোথায় যে হারিয়ে গেলেন এই আপু। আশা করি আপুর চোখে পড়বে এই পোস্ট।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
শাহ আজিজ বলেছেন: বাঙ্গালীর অনেকগুলো গলা উচু করে বলার মত জিনিস আছে তার একটা হচ্ছে পিঠা সংস্কৃতি । এটা শুধুই বাঙ্গালীদের । খেজুর রসের পিঠা তাদের মধ্যে অন্যতম । এটা অনেকটা ষোড়শী কুমারীর মত , জিহবার সংস্পর্শে এলেই গলে যায় , কখনো সখনো ছলকে গায়ের চাদর নষ্ট করলেও আমরা মাইন্ড খাই না বরং হাত চেটে চুটে পিঠার কৌমার্য বিলীন করি রীতিমত গ্রীক পুরানের যোদ্ধার মত । বেশ ক'ধরনের পিঠা যেমন ভাপা , পান পিঠা , কুলি পিঠা এবং রসের সমাহারে কয়েক পদ বাঙ্গালিকে আমোদিত করে রাখে । ধন্যবাদ ঢাবিয়ান আমাদের উস্কে দেবার জন্য ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: হা হা হা আপনি পিঠার দারুন ভক্ত। ডাইবেটিস না থাকলে ইচ্ছেমত খেতে পারেন ।
৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২১
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিশেষ করে ষরিসা বাটা(ভর্তা)দিয়ে চিতই দারুন লাগে।+++
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০০
ঢাবিয়ান বলেছেন: শুটকি ভর্তা দিয়েও দারুন লাগে চিতই। তবে একসাথে কয়েক পদের ভর্তা সহকারে খেলে বেশি মজাদার হয়।
৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৮
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শীতকাল আমার বরাবরই প্রিয় ঋতু, চকচকে রোদ্রউজ্জল দিনে শরিষা ক্ষেতের ধারে ছবি তুলতে না পারলে যেন শীতকাল পরিপূর্ণতা পায় না। শীতের কুয়াশা মাখা ধোঁয়াশা সন্ধা আমার সবচেয়ে প্রিয় প্রাকৃতিক দৃশ্য।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই এই সৌন্দর্যের তুলনা হয় না। ছবি আপ্লোড করেন সরিষা খেতের
৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: জনাব ব্লগ মোটেও ঝিমিয়ে পড়েনি। বেশ ভাল চলছে ব্লগ। হ্যাঁ কিছু পোষ্ট কম আসছে। মন্তব্যও কম আসছে। তবে আকচা আকচি বন্ধ হয়েছে। ব্লগে এখন শান্তি বিরাজ করছে। বছরের এই সময়টায় সামুতে পোষ্ট কিছুটা কম আসে। এর কারন কাভা ভাল বলতে পারবেন।
সামুতে যদি কেউ না থাকে, দুইজন মানুষ সব সময় থাকবে। একজন হচ্ছে চাদগাজী আরেকজন হচ্ছে আমি। রাজীব নূর খান।
পোষ্ট টা ভাল দিয়েছেন। বাংলাদেশে এবং বিদেশের শীতের কথা বলেছেন। ফেসবুকে তুষার নিয়ে বিলাসিতা করা বাঙ্গালীদের ছবি দেখেছি। দেখতে ভাল লাগে। এক বাঙ্গালী মেয়ে শাড়ি পড়ে নেচেছে, সেটা অতি মনোরম হয়েছে। এবার ঢাকায় শীত ভালোই পড়েছে। গত কয়েকদিন খুব শীত ছিলো। আজ আবার সুন্দর রোদ উঠেছে। শীত কম।
আমাদের বাসায় অনেক রকমের পিঠা তৈরি করা হয়েছে। একদম ধোয়া ওঠা ভাপা পিঠা খেয়েছি রান্না ঘরে বসেই। আমাদের অঞ্চলের একটা পিঠা আছে। বিবিখানা। অতি উত্তম খেতে। দেশে আসুন খাওয়াবো আপনাকে।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: বিবিখানা পিঠা খাইনি কখনো। ছবি দিয়েন ।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
স্নোফলে বসে পিঠা খেতে খেতে মিডিয়ায় পোস্ট করলে ভালো হয়।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল আইডিয়া। বরফের দেশের ব্লগারদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
আমাদের খেজুরের রসে ভেজানো পিঠা , ভাপা, পাটিশাপটা, মেরা , চিতই , পাকন ,খোলাজা পিঠার স্বাদ অতুলনীয়।
সত্যি আমাদের পিঠার তুলনা নেই, অত্যন্ত সুস্বাদু।
মেরা পিঠাকে ভাপাপুলি নামে চিনি।
খোলাজা পিঠা নাম শুনিনি কিন্তু ছবি দেখলাম প্যানকেকের মতো।
ইদানিং আমাদের দেশে চিতই দিয়ে বিভিন্ন ভর্তা খাওয়ার চল হয়েছে।
ইদানিং কেনো হবে চিতই পিঠা ঝাল বিফ ভুনা বা চিকেন দিয়ে, আবার ঝাল ভর্তা দিয়ে বহুকাল থেকেই চলছে।
শীতের ছবি নিয়ে হাজির হন
সবার যখন শীতকাল, আমাদের তখন সামার।
ওমেরা, রামিসা, সামু পাগলা সবাই যে কোথায় গেলো
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, ঠিকই বলেছেন খোলাজা পিঠা দেখতে অনেকটা প্যানকেকের মত। আরো কাছাকাছি হচ্ছে ইন্ডিয়ান দোসা। তবে দোসা বিভিন্ন প্রকার ডাল দিয়ে করা হয় আর খোলাজা পিঠা তৈরী করা হয় চালের গুড়ি ও ডিম মিশিয়ে। মাটিির হাড়িতে তৈরী করা হয় এই পিঠা।
চিতই আমি আগে কখনই ভর্তা দিয়ে খাইনি। গত কয়েকবছর ধরে দেশে গিয়ে দেখছি যে বিভিন্ন প্রকার ভর্তা দিয়ে খাওয়ার চল শুরু হয়েছে।
আসলেই ব্লগার ওমেরা, সামু পাগলাদের ব্লগে বহুকাল আর দেখি না।
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের শীতকালটা গ্রামে যাওয়ার জন্য উৎকৃষ্ট সময়। কয়েকদিন আগে গ্রামে গিয়েছিলাম। বিভিন্ন রকম পিঠা খেলাম। বাচ্চারা খুব মজা করেছে। ফিরে আসতে চাচ্ছিল না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই শীতকাল গ্রামেই বেশী ভাল লাগে। ২০২১ এর ডিসেম্বরে গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়িতে। খুব ভাল লেগেছিল।
১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৮
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে এখন বরোধানের সময়, শীতে উহার অবস্হা কি?
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: এ ব্যপারে কিছুই জানা নাই।
১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:২৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শীত এখন সহ্য হয় না।
১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪০
ঢাবিয়ান বলেছেন: খুব বেশি শীত আসলেই কষ্টদায়ক। ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে যায়।
১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিবিখানা পিঠা খাইনি কখনো। ছবি দিয়েন ।
এই তো গত পরশু বাসায় বানানো হয়েছে। কিন্তু ছবি তোলা হয়নি। এরপর বানালে ছবি তুলে এবং পুরো রেসিপি সহ আপনাকে দিবো।
বিবিখানা অসাধারন এক পিঠা। তৈরি করার পর কেকের মতো টুকরো টুকরো করে খেতে হয়।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: গুগল সার্চ দিয়ে দেখলাম বিবিখানা পিঠা। কেক বলে মনে হল ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
জুল ভার্ন বলেছেন: শীতকাল মানেই পিঠাপুলির ব্যাপার। আমার দূর্ভাগ্য আমি পিঠা খেতে তেমন একটা পছন্দ করিনা। শীতের সময় খাল-বিলের পানি কমে যায়- তখন প্রচুর পরিমাণের দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়- সেই মাছের প্রতি আমার লোভ বেশী।