নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েটি কি সেচ্ছায় গান ছেড়েছে ?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৩



''গান ছাড়ছে জাইমা নুর'' শিরোনামে একটি সংবাদ এসেছে গনমাধ্যমে। মেয়েটার গান আগে কখনও শোনা হয়নি। খবরটা পড়ে তার গান শুনতে ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখি অসাধারন সব গান গেয়েছে মেয়েটি। অসম্ভব সুরেলা কন্ঠ ও দরদ দিয়ে গান গায় মেয়েটি। ব্লগারদের অনুরোধ করছি মেয়েটির '' আমার একটা মন ছিল '' এবং '' বাবা'' গান দুটো শুনে দেখার। এত অসম্ভব সুন্দর গানগুলো আগে কেন শোনা হয়নি তাই ভাবছি। মেয়েটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গিয়ে জানলাম-

জাইমা নূরের জন্ম রাজশাহী বিভাগের চাপাইনওয়াবগঞ্জে। মাত্র ৬ বছর বয়সে ২০১৫ সালে রমজান মাসে বৈশাখী টিভির সংগীত প্রতিযোগিতা ‘লক্ষ প্রাণের সুর’-এ ইসলামী নাশীদ গাওয়ার মাধ্যমে যাত্রা শুরু হয় জাইমা’র। সুললিত কণ্ঠ, বিমোহিত সুরে প্রতিটি গানই অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গত ছয় বছরে বিভিন্ন টেলিভিশনে রমজানে সংগীতানুষ্ঠান থেকে শুরু বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চে গেয়েছে অসংখ্য গান। গতবছর রমজান মাসে বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে আয়োজিত কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠানে ‘বাবা’ গান গেয়ে ব্যাপক পরিচিতি পায় জাইমা। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এই গানটি প্রায় সাড়ে ১১ কোটি বার দেখা হয়েছে। জাইমা মূলত ইসলামী নাশীদ ও দেশাত্মবোধক গান গেয়ে থাকে। একটি সংগীত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানে হাতেখড়ি হয় তার। এখন পড়াশোনা করছে পঞ্চম শ্রেণিতে। সুত্র ইত্তেফাক''

এত চমৎকার গান গাইতে পারা মেয়েটি কেন হঠাত গান ছেড়ে দিল? মাত্র পঞ্চম শ্রেনীর একটি বালিকা গান ছাড়ার বিষয়ে যে ব্যখ্যা দিয়েছে তা নিতান্তই শিখিয়ে দেয়া বক্তব্য বলে মনে হচ্ছে। মেয়েটির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন কমেন্ট সেকশনে ধন্যবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে !! গান না ছাড়ার অনুরোধ সংক্রান্ত কোন কমেন্ট চোখে পড়েনি!

ইদানিং লোকদেখানো ধর্মের কালচার দিনদিন বাড়ছে যার মারাত্মক প্রভাব পড়ছে মানুষের জীবন যাত্রায়। আমাদের বাল্যকালে ধর্ম এবং সামাজিক জীবন যাপনের মাঝে একটা ব্যলেন্স ছিল। ধর্মকে আলিঙ্গন করাতে শেখানো হয়েছে আমাদের , জোড়পুর্বক চাপিয়ে দেয়া নয়। এর মানে কি আমাদের পিতা মাতা , ময় মুরুব্বীরা ধার্মিক ছিলেন না? অবস্যই তারা ধার্মিক ছিলেন। আমরা আমাদের পিতা মাতা , ময় মুরুব্বী সবাইকে নামাজ, রোজা, যাকাত , সামর্থনুসারে হজ্বসহ সকল ফরজ আদায় করতে দেখেইতো বড় হয়েছি যা এখন আমরা নিজেরাও পালন করে থাকি। আমাদের সময়ে ধর্মীয় রীতি পালনের তাৎপর্য শেখানো হত। ধর্মীয় আলোকে সততা, সত্যবাদিতার পাঠ পড়ানো হত। কিন্ত একই সাথে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনব্যবস্থাকেও গুরুত্ব দেয়া হত।

অত্যন্ত দুঃখজনক যে লোকদেখানো ধর্মীয় কালচারের নিষ্ঠুর শিকার হচ্ছে ইদানিং শিশুরা। যে বয়সে শিশুদের খেলাধুলা করার কথা, গান গাইবার কথা , দুরন্ত শৈশবকে দারুনভাবে উপভোগ করার কথা সেই বয়সে তারা ধর্মীয় বুলি আউড়াচ্ছে!! এসবতো তাদের নিজের কথা নয়, তোতা পাখির মত শেখানো কিছু বুলি। গান যে গাইতে পারে তার পক্ষে কোনদিনও গানকে ভুলে থাকা সম্ভব নয়। জাইমা নামের এই দুর্দান্ত ক্ষুদে গায়িকার গান গাইবার পরিবেশ যদি নিশ্চিত করা সম্ভব হত, তাহলে মেয়েটি কোনদিনও গানকে বিদায় জানাতো না।

পোস্টটা একটু এডিট করে একজন মুসলিম স্কলারের গান বাজনা সম্পর্কিত বক্তব্য যুক্ত করছি।

The Muslim scholar al-Qaradawi states that singing and music in itself is permissible and pleasurable. He places several restrictions on them though. The content of the song should not be against the morals and teachings of Islam or be accompanied by other forbidden things in Islam like alcohol.

মন্তব্য ৭১ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৭১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

লেখার খাতা বলেছেন: বস আপনি গান গুলোর ইউটিউব ভিডিও পোস্টে সংযুক্ত করে দিন।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ইউটিউবে জাইমা নুর সার্চ দিলেই তার সব গানগুলো পাবেন। তবে মনে হচ্ছে সামনে গানগুলো হয়ত সরিয়েও নেয়া হতে পারে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ধর্ম বাংগালীদের সকল মেধাকে থামিয়ে দিচ্ছে, সম্ভব হলে, মেধাকে ধ্বংস করছে।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধর্ম নয় লোক দেখানো ধর্ম ।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বাবা মানে হাজার বিকেল আমার ছেলে বেলা............. অসম্ভব সুন্দর একটি গান যা জাইমা গেয়েছে। এটা নিয়ে আমি পোস্টও দিয়েছি। দুঃখ জনক সে আর গাইবেনা।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই অসম্ভব সুন্দর সব গান গেয়েছে মেয়েেটি। আপনার পোস্টের লিংকটা দেয়ার অনুরোধ করছি।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

অপু তানভীর বলেছেন: বর্তমানে সময়ে সত্যিই অনলাইনে ধর্ম নিয়ে এতো উগ্রমনভাব সৃষ্টি হয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না । এবং দিন দিন এটা বাড়ছেই । আমাদের সময়, আমরা যখন স্কুলে পড়েছি তখনও কিন্তু এমন কিছু ছিল না !
সামনে ভয়ংকর দিন অপেক্ষা করছে !

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এইভাবে ধর্মের দোহাই দিয়ে বাচ্চাদের স্বর্নালী শৈশব কেড়ে নিলে ভয়ংকর দিন অপেক্ষা করছে বলেই মনে হয়।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মেয়েটি গানের গলা দারুণ।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই ----

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দুঃখ জনক

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক । দায়ী আমরা সবাই

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



কোরান তেলাওয়াতও বন্ধ করছে?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: গান ছাড়া ঘোষনা সংক্রান্ত ইউটিউব ভিডিওর কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৪৪

মোগল সম্রাট বলেছেন: মেয়েটি তার বক্তব্যে কি বলেছে?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১২

ঢাবিয়ান বলেছেন: https://mzamin.com/news.php?news=12082 লিংকে

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৩

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি এই শিল্পীর গান কিম্বা নাম আগে শুনিনি। তবে গান ছাড়ার নিউজ পড়ে ইউটিউব সার্চ করে ওর গান শুনেছি। চমৎকার গায়! এই শিল্পীর এভাবে হারিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: মনেতো হচ্ছে ইউটিউব থেকেও অসাধারন গানগুলো শীঘ্র্র সরিয়ে নেয়া হবে।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬

লেখার খাতা বলেছেন: বস মেয়েটির গার্ডিয়ান মনে করছে গান গেলে সে পর্দার বরখেলাপ করছে। তিনি নিজে স্বেচ্ছায় হয়ে গান গাওয়া ছাড়ছে আমি জেনেছি। কারণ ধর্মীয় বারণ। একটি মেয়ে সৃষ্টিকর্তার ভয়ে গান ছেড়ে দিয়েছে নাকি কেউ তাকে বাধ্য করেছে ভাবতে হবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বয়সে নিজের ইচ্ছা প্রাধান্য্ পায় না, চাপিয়ে দেয়া ইচ্ছেই প্রাধান্য পায়।

১১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




ঢাবির পোষ্ট পড়ে দেখলাম গান দুটো ।
হ্যাঁ অনেক সুন্দর ভোকাল । ভালো গায় ।
যদি নিজের ইচ্ছায় গান ছেড়ে থাকে, তাহলে নো কমেন্টস ।
যদি অন্যরা এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই কাজটা ঠিক না ।
মেধার সঠিক মূল্যায়ন হওয়া উচিৎ ।


১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বয়সে কি নিজের সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব ? পারাপার্শিকতাই বাধ্য করেছে বলে মনে হয়।

১২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: ধর্ম নয় লোক দেখানো ধর্ম ।

-এর বাইরে কি বাংলাদেশে অন্য কিছু আছে?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: দারুন গান গাইতো।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই --

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

তানভির জুমার বলেছেন: ইসলাম ধর্মে মেয়েদেের পর্দা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। শর্তশাপেক্ষে কন্ঠ, মুখ মন্ডলও পর্দার আওতাধীন। ইসলাম ধর্মে অভিভাবক তার প্রাপ্ত বয়স অথবা নাবালোক সন্তানের শরীয়া সম্মত যে কোনন ডিসিশন নিতে পারে। ইসলাম ধর্মে অভিভাবকগন তার সন্তানের গুনাগের জন্য জিজ্ঞাসিত হবে। পশ্চিমা আর সেকু্লার ইসলামের সাথে কোরআন হাদিসের ইসলাম মিলবে না।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই যে কথাগুলো আপনি লিখেছেন তাও শেখানো বুলি মাত্র। ইসলাম ধর্ম জীবনকে সহজ ও সুন্দর করার জন্য্ এসেছে জীবনকে কঠিন করার জন্য নয়। একে কঠিন করছে কিছু সংখ্যক মানুষ যারা ধর্মকে মনে করে তাদের বাপ দাদার সম্পত্তি। তাদের কথা মত চললে ধার্মিক আর না চললে অধার্মিক। এই ভয়ঙ্কর মানসিকতা কোন দেশের জন্যই মঙ্গলজনক নয়।

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১১

শায়মা বলেছেন: হায়রে গান গাইলে ধর্ম যাবে!!! :-/

এতই সহজ ধর্ম যাওয়া!!!

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে এলেন আপু। ধর্মকে কিছু মোল্লা তাদের ঠিকাদারী সম্পত্তিতে পরিনত করেছে।সাম্প্রতিককালের এক বিখ্যাত ওয়াজী হুজুরের কথা জানি যিনি অনলাইনে তার বক্তব্যের জন্য্ খুবই বিখ্যাাত। হাজার হাজার শেয়ার হয় তার ভিডীওর। বাস্তবে দেখেছি তিনি বিদেশে অসাধু উপায়ে অর্জিত অতি ধনী বাঙ্গালীদের আমন্ত্রনে বিদেশে এসে তাদের আরাম আয়েশের বন্দোবস্তে থেকে ওয়াজ শোনাান।

১৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা একান্তই তাদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। গান, বাজনা, খেলাধুলা ইত্যাদিতে যেমন অভিভাবকের প্রভাবে বাচ্চারা পথ বেছে নেয়, আবার অভিভাবকের প্রভাবে সে পথ থেকে ফেরতও আসতে পারে। অন্য সব সিদ্ধান্ত যদি অভিভাবকের ইচ্ছার উপর নির্ভর করতে হয়, তাহলে এই সিদ্ধান্ত নেয়ার পর কেন অভিভাবকের চাপিয়ে দেয়ার কথা আসছে?

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: ট্যলেন্টকে যদি কোন অভিভাবক বা পারিপার্শিক পরিস্থিতি এগিয়ে নিতে সাহায্য না করে উলটো থামিয়ে দেয় তবে তা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য্ নয়। মেয়েটির গাওয়া '' আমার একটা মন ছিল '' গানটা শুনে দেখতে পারেন ।

১৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

কামাল৮০ বলেছেন: গান বাজনা হারাম এটা আগে আমরা জানলেও মানতাম না।এখন মানানোর লোকসংখ্যা বেড়ে গেছে।আরো অনেক কিছুই মানাবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: গান বাজনা হারাম হলে হামদ , নাথ তৈরী হত না। কোরআন বা আজান সুর করে পড়া হত না।

১৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমাদের দেশের সামনে ভয়ংকর সময় আসছে :(

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপু।

১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৫

শাহ আজিজ বলেছেন: প্রথমবারের মত অনেকক্ষণ ধরে শুনলাম । অসাধারন ওর গলা । কেন বাদ সাধল আমিও বুঝে উঠতে পারছি না । হয়ত জ্বিহাদে যোগ দেবে । সুশীলরা এগিয়ে আসছে না কেন ।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: গান গাওয়া যে থামিয়ে দেয়া হয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নাই।

২০| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: তার মা-বাবা যদি তাকে বারণ করেও থাকে, সেখানে ভুল কিছু হয়েছে বলে আমি মনে করি না। বাচ্চার অভিভাবক হিসেবে তাদের অবশ্যই সেই অধিকার রয়েছে। একটা বাচ্চা মেয়েকে তার মা-বাবা যদি কোন দিক নির্দেশনা দিয়েও থাকেন সেটাকে "চাপিয়ে দেয়া" কেন বলা হচ্ছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। মেয়েটি কি তার নিজের ভালো-মন্দের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো পরিপক্ক? তার সামনে অবারিত সময় রয়েছে নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার। সে চাইলে অবশ্যই আবার গাইবে, সেটা তার সিদ্ধান্ত হবে। তার বাবা-মা সেটাই করেছেন, যেটা তারা ভালো মনে করেছেন। গেট ওভার ইট।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:০৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: মেয়েটির পিতা মাতাও সম্ভবত সামাজিক চাপের শিকার। কারন তারা যদি গান বাজনা বিরোধি হত তাহলে মেয়েকে গানের তালিম দিতে কোন সঙ্গীত প্রতিষ্ঠানে পাঠাতেন না, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পাঠাতেন না। এই বিষয়টাকে '' গেট ওবার ইট'' বলে পাশা কাটিয়ে দিলে ধর্মীয় উগ্রপন্থাকেই সাপোর্ট দেয়া হবে।

২১| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২২

জ্যাকেল বলেছেন: কতিপয় কুলাংগার আছে যারা উঠতে বসতে ধর্ম তথা ইসলাম বিদ্বেষ উগড়ে দেয়। এদের রক্তে মনে হয় সমস্যা আছে। সামাজিক ধ্যান ধারণার কারণে কেহ গান ছেড়ে দিলে তার জন্য ইসলাম ধর্ম দায়ী নয়, সেই সমাজের ব্যবস্থা দায়ী। ইসলামের নামে যদি ক্রিয়েটিভিটি চর্চাকে হারাম করে তবে এটা প্রকাশ্য শিরক। কারণ একমাত্র আল্লাহই হারাম ডিফাইন করবেন, সে জন্য আছে কুরআন।
ধর্মকে দায়ী না করে ঐসকল মোল্লাদের দায়ী করেন, তাইলে সেটা হবে ব্লগার/জ্ঞানীর কাজ। আর ঢালাওভাবে ইসলামকে দায়ী করলে সেটা হবে মুর্খের কাজ।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরোপুরি একমত আপনার সাথে। আপনারা বয়োজোষ্ঠ মানুষ । ৭০/ ৮০ বা ৯০ দশক কেমন ছিল আমাদের চেয়ে আপনারা আরও ভালভাবে বলতে পারবেন। ইন্টারনেট আবিষ্কৃত হবার পর ওয়াজি হুজুর ও তার অন্যসারীদের কাজ কারবার দেখলে মনে হয় আমাদের ময় মুরুব্বীরা সবাই অধার্মিক ছিলেন!!

২২| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩২

রসায়ন বলেছেন: এগুলো মোল্লাদের কীর্তি, কোরআন বিরোধী লিটারেচার দিয়ে মানুষের সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। কোরআনের আয়াতের অপব্যাখা করে এই কাজটা করেছে।

আসুন বিস্তারিত দেখে নিই,

মূলত কোরআনের ৩১ নাম্বার সূরা, লোকমানের ৬ নাম্বার আয়াত দিয়ে তারা এই কাজটা করেছে। আয়াতটা দেখে নেওয়া যাক

একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা ( لَهْوَ الْحَدِيثِ/লাহওয়াল হাদীস) সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [সুরা লুকমান - ৩১:৬]

এই আয়াতে আল্লাহ لَهْوَ الْحَدِيثِ লাহওয়াল হাদীসের কথা বলেছেন যার অর্থ অধিকাংশ কোরআনের বঙ্গানুবাদে দেখবেন গানবাজনা লিখা, অথচ এর মানে গানবাজনা নয়, ফালতু কথা।

কোরআনকে আল্লাহ সর্বোত্তম হাদীস (আহসানাল হাদীস) বলেছেন এর বিপরীতে আছে لَهْوَ الْحَدِيثِ লাহওয়াল হাদীস যা মানুষের বানানো, সংগৃহীত, সংকলিত এবং আল্লাহর ও রাসূলের নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রচলিত হাদীসগ্রন্থগুলো যেমন সুন্নীদের সিহাহ সিত্তাহ তথা বুখারী, মুসলিম ইত্যাদি...শিয়াদের কুতুবে আরবা (চার হাদীসের কিতাব)। এগুলো হলো লাহওয়াল হাদীস।

নবী দাউদের মুজেজা ছিলো তার অসাধারণ গায়কী। তার Psalms of David হলো ১০০টা গানের সমষ্টি। তাইলে একজন নবীকে আল্লাহ একটা খারাপ জিনিস মুজেজা হিসেবে দিতে পারে /:)

তাহলে কিসের থেকে কি বানালো ভাবেন একবার :(

১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:২২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভাল ব্যখ্যা দিয়েছেন। বিদেশে বেশ কিছু ইসলামিক স্কলারের লেকচার শুনেও জানতে পেরেছি যে আমাদের সমাজে প্রচলিত ধ্যান ধারনায় অনেক গলতি রয়েছে।আমাদের দেশে এমন অনেক রীতিনীতির প্রচলন আছে যা অন্য দেশের মুসলিমদের মাঝে দেখতে পাই নি। কিন্ত যদি বলেন যে তারা কেমন মুসলিম , তাহলে বলব যে তাদেরকেই প্রকৃতমুসলিম বলে মনে হয়। সততা, সত্যবাদিতা, হারাম , হালালের যে চর্চা আমরা ধর্মীয় আলোকে শিখে এসেছি তার প্রতিফলন দেখতে পাই তাদের মাঝে , যা দুঃখজনক যে আমাদের দেশে অনেক ক্ষেত্রেই অনুপস্থিত । ধর্মকে এক শ্রেনীর হুজুররা লোক দেখানো রীতিতে পরিনত করেছে , কিন্ত কর্মে ধর্মের ছিটেফোটাও প্রতিফলন নাই।

২৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৫৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: চার ইমামের ভাষ্য
গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান- বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।

ইমাম মালেক রাহ. কে গান-বাদ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেবল ফাসিকরাই তা করতে পারে।- কুরতুবী ১৪/৫৫

ইমাম শাফেয়ী রাহ. বলেছেন যে, গান-বাদ্যে লিপ্ত ব্যক্তি হল আহমক।তিনি আরো বলেন, সর্বপ্রকার বীণা, তন্ত্রী, ঢাকঢোল, তবলা, সারেঙ্গী সবই হারাম এবং এর শ্রোতা ফাসেক। তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে না।-ইগাছাতুল লাহফান ১/১৭৯; কুরতুবী ১৪/৫৫

হাম্বলী মাযহাবের প্রখ্যাত ফকীহ আল্লামা আলী মারদভী লেখেন, বাদ্য ছাড়া গান মাকরূহে তাহরীমী। আর যদি বাদ্য থাকে তবে তা হারাম।-আহসানুল ফাতাওয়া ৮/৩৮৮

ইমাম শাফেয়ী রাহ. শর্তসাপেক্ষে শুধু ওলীমা অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশ আছে বলে মত দিয়েছেন। কেননা বিয়ের ঘোষণার উদ্দেশ্যে ওলীমার অনুষ্ঠানে দফ বাজানোর অবকাশের বর্ণনা হাদীসে রয়েছে।- জামে তিরমিযী হাদীস : ১০৮৯; সহীহ বুখারী হাদীস : ৫১৪৭, ৫১৬২

মনে রাখতে হবে, এখানে দফ বাজানোর উদ্দেশ্য হল বিবাহের ঘোষণা, অন্য কিছু নয়।-ফাতহুল বারী ৯/২২৬

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: গুগল আংকেলের সাহায্য নিলে হাজারটা মতবাদ দেখতে পাবেন। শিক্ষিত ও সচেতন মুসলিমরা আজকাল ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্যকে প্রাধান্য দেয়।

২৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, তাহলে কোন ইসলামিক স্কলার গান বাজনাকে হালাল করেছেন, আমাদের একটু সহি রেফারেন্স দ্যান প্লিজ।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টে একজন ইসলামিক স্কলারের বক্তব্য সংযুক্ত করে দিয়েছি।

The Muslim scholar al-Qaradawi states that singing and music in itself is permissible and pleasurable. He places several restrictions on them though. The content of the song should not be against the morals and teachings of Islam or be accompanied by other forbidden things in Islam like alcohol.

২৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৪৩

কোনেরোসা বলেছেন: কি সর্বনাশ, এইভাবে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে গান, শিল্পকলা এইগুলা ছেড়ে দেয়ার উদাহরণ স্থাপন করা হচ্ছে। ৩০ বছর পরে আর শিল্পী খুঁজে পাওয়া যাবে না।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: তালেবানি উগ্রপন্থা মতবাদের উত্থান ঘটেছে দেশে। অথচ তালেবানি শাষন ব্যবস্থা বা সৌদি রাজতন্ত্র ইসলামের ধারক বাহক নয় কোন অবস্তাতেই।

২৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:২৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: তাহলে দেখা গেল গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালেক, ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহ.-অভিন্ন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। সকলেই গান- বাদ্যকে হারাম বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আবার আপনার স্কলার বলেছেন গান বাজনা হালাল। তাহলে কারা সঠিক?? না সবাই সঠিক?? আসলে ইসলাম আর একক অভিন্ন ধর্ম নয়, আপনার ইসলাম আর ইসলামের চার ইমামের ইসলাম আলাদা। এরপর কামড়ানোর জন্য কাফের না থাকলে, নিজেরাই কামড়াকামড়ি করবেন। আল্লহর কাছে দোয়া করি আপনার জীবিতকালেই যেন বাংলাদেশে শরীয়া কায়েম হোক। ধন্যবাদ।

২৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৪৬

তানভির জুমার বলেছেন: লেখক বলেছেন: গান বাজনা হারাম হলে হামদ , নাথ তৈরী হত না। কোরআন বা আজান সুর করে পড়া হত না।

কিসের সাথে কি মিলাইলেন? কোরআন-হাদিসের কোন জায়গায় গান বাজনা হালালেের কথা বলা আছে? নিজের অজ্ঞতা কে ইসলামের নামে চালিয়ে দিয়েন না। ইসলাম ধর্ম নিজের মনমত পালন করার ধর্ম না।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: একজন ইসলামিক স্কলারের বক্তব্য পোস্টে সংযুক্ত করেছি। এছাড়া জাইমা নুর '' বাবা '' গানটি দেখলাম কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতায় গেয়েছে। আপনার কথা মোতাবেক সেখানে উপস্থিত বিশিষ্ট বিচারক হুজুররা সবাই অজ্ঞ!! আমার নিজস্ব মতামত কোথাও চালাইনি। বরং আপনারাই আপনাদের মতবাদ অন্যের উপর জোড়পুর্বক চাপাতে চাইছেন।

২৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: পারিপার্শ্বিক ও চাপিয়ে দেয়া ধর্ম সব থেকে বেশি ক্ষতিকর। বর্তমানে আমাদের শিশু তরুন ও তরুণীরা এর শিকার।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরোপুরি একমত। আবার ইদানিং কালে এও দেখেছি যে কোন কোন পরিবারে ধর্ম কেবল চাপানো হচ্ছে মেয়ে শিশুদের ওপর, ছেলেদের ওপর নয়।

২৯| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ১৪ নম্বর মন্তব্য টাই অধিকাংশের মত কি না। ভবিষ্যতে গান, নাটক, সিনেমার, চিত্রকলা এসবের ওপর কাঠমোল্লারা সরাসরি খড়কহস্ত হবে। এখনই তো এই অঙ্গনের লোকদের নিচু চোখে দেখা হয়। প্যান্ট-শার্ট পরা মুমিনরাও এ দলে আছে। মজার ব্যাপার হলো, এরা নিজেরাও এসব গান শোনে, নাটক-সিনেমা দেখে। কিন্তু মন থেকে ভালোবাসতে পারে না। সম্ভবত ধর্মীয় বিধান আছে।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৪ নম্বর মন্তব্যকারীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে যা রীতিমত উদ্বেগজনক।

৩০| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বাবা মানে হাজার বিকেল .........অসাধারণ একটি গান।

আমার পোস্টের লিংক দিলাম। মন ছুয়ে যাওয়া কথামালা।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার লিংকের জন্য। আসলেই মন ছুয়ে যাওয়া কথামালা।

৩১| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১২

তানভির জুমার বলেছেন: ইউসূফ আল-কারযাভী কি বলেছে আপনি নিজেও বুঝেননি এন্ড ওনি একজন বিতর্কিত আলেম। ইসলামী সংগীতের কিছু নিয়মনীতি আছে শর্তসাপেক্ষে ঐটা ইসলামে জায়েজ।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি কি বুঝলেন তাই নাহয় বলুন। যাই হোক ড: ইউসূফ আল-কারযাভী একজন বিশ্ব বিখ্যাাত মিশরীয় ইসলামিক স্কলার। আপনাদের মতাদর্শনুযায়ী তিনি বিতর্কিত কারন তিনি আপনাদের মতবাদ ধারন করেন না।

৩২| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৭

নতুন বলেছেন: মদ, সুদ, যেনা, শুকরের মাংস হারাম স্পস্ট উল্লেখ আছে...

তেমন করে গানবাজনা হারাম কোথাও আছে কি?

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশের হারামের সীমাবদ্ধতা মুলত খাবার এবং নারী অধিকারের মাঝেই নিহিত। এর বাইরে অন্য আরো কত কিছু যে ধর্মে হারাম সে ব্য্যপারে তেমন কিছু শোনা যায় না।

যাই হোক ইসলামিক বিভিন্ন স্কলারদের মতামত অনুযায়ী গান বাজনা হারাম নয়। তবে কিছু রেস্ট্রিকশন আছে। The Muslim scholar al-Qaradawi states that singing and music in itself is permissible and pleasurable. He places several restrictions on them though. The content of the song should not be against the morals and teachings of Islam or be accompanied by other forbidden things in Islam like alcohol.

৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

বিটপি বলেছেন: গান বাজনা করতে ইসলামের দৃষ্টিতে কোন নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও প্রকাশ্য মিডিয়াতে মেয়েদের গান বাজনায় নিষেধাজ্ঞা আছে। এটা কন্ঠের পর্দার স্পষ্ট খেলাপ। মেয়েটা যখন ছোট ছিল। তখন গান বাজনায় কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু যথেষ্ঠ বড় হয়ে যাওয়ায় তার এখন অবশ্যই কন্ঠের পর্দা করা উচিৎ।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: কন্ঠের পর্দার কথা জীবনে এই প্রথম শুনলাম। আরো কত কিছু শোনার বাকি আছে !!

৩৪| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

অক্পটে বলেছেন: এই মেয়েটির কন্ঠ আল্লাহ প্রদত্ত। এটাকে থামিয়ে দিচ্ছে বকধার্মিকেরা। বাংলাদেশের সকল মুসলমানই বকধার্মিক। ৯৫% মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ১০০% দুর্ণীতিতে আচ্ছন্ন। এই ধার্মিকরা কোথায় থাকে যখন সাবরিনা আরিফ সাহেদরা মহামারী করোনার সময় ইনসানিয়াতকে পায়ে দলেছে। ঐ শুকরগুলো সবইতো মুসলমানের বাচ্চা হবার কথা হলো কি! শুকরও কি এমন করে?

কারোর মধ্যেই কোন মুসলমানী অন্তর নেই। সব ফাকা বুলি। যদি থাকতো আর এই ধর্মের মানুষগুলো যদি এতোই ভালো হত তাহলে ৯৫% মুসলমানেরে দেশে এত দুর্ণীতি হয় কি করে? এর মানে ৯৫% ভাগই বোগাস! পথে ঘাটে অফিসে বিচারালয়ে সংসদে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রসাশনে পুলিশে-রেব এ হুজুরে হুজুরে শিক্ষকে শিক্ষকে সব খানে সবাই দুর্ণীতি ধর্ম পালন করছে নির্ভয়ে অনায়াসে। কোথায় বাটপারি নেই এরা তাহলে কারা মুসলমানের বাচ্চা কি এমন হয়?

পাখির গান কি মন্দ কিছু? এই মেয়েটির গান থামানোটা কি খুব দরকার ছিল। এই গান কি ওয়াজের চেয়েও ভাল নয়?

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: একেবারে আসল জায়গায় আঘাত করেছেন। ধর্মীয় আলোকে কর্মের ব্যাপারে খুব কমই আলোচনা হয় মসজিদ বা ওয়াজ মাহফিলে। আর তাইতো আমাদের দেশে মসজিদ কমিটির প্রধান ও মেম্বাররা হয় পাড়ার সবচেয়ে দুর্নিতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা। টুপি দাড়ি লাগিয়ে , নিয়মিত মসজিদে যাতায়ত করে এ দেশের মানুষেরা যে পরিমান দুর্নিতির সাথে জড়িত তা দুনিয়ার দ্বীতিয় আর কোন দেশে পাওয়া যাবে না।ধর্ম এখন আমাদের দেশে লোক দেখিয়ে মসজিদে যাওয়া, হজ্বে যাওয়া এবং মেয়েদের পর্দা প্রথা যে কোন মূল্যে নিশ্চিত করার মাঝেই নিহিত!!

৩৫| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

কোনেরোসা বলেছেন: এই মেয়ে বড় হয়ে একজন মৌলবাদি হবে, এর দেখাদেখি আরও অনেকে মৌলবাদি হওয়ার বিষয়ে উৎসাহ পাবে।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মৌলবাদী হবে কিনা জানি না, তবে অনেক দুঃখী একটি মেয়ে হবে যার অন্তরটা প্রতিনিয়ত গান ছেড়ে দেবার জন্য কাদঁবে।

৩৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৫

নতুন বলেছেন: নামে মুসলমান অনেক মানুষ আছে যারা বর্তমানে মদ পান করে। কিন্তু তাদের যদি আপনি শুকরের মাংসের চপ দেন তবে সেটা হারাম বলে খাবেনা।

তেমনি বর্তমানে অনেকেই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েনা কিন্তু গান বাজনা হারাম বলে নারীদের পর্দায় থাকতে বলে গান গাইতে নিষেধ করে।

২০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: মালয়েশিয়ান এক মন্ত্রী একবার বলেছিল যে মুসলিমরা আজকাল হালাল খোজে কেবল খাবারে , জীবিকায় নয়। অথচ জীবিকা যদি হালাল উপায়ে উপার্জিত না হয় তাহলেতো সেই পয়সার সকল খাবারই হারাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.