নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপরুপ গ্রাম বাংলা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪০

ডিসেম্বরে প্রায় এক মাসের ছুটিতে বেড়িয়ে এলাম দেশ থেকে। অনেক ঘোরাঘুরির মাঝে একদিন বেড়াতে গিয়েছিলাম গ্রামে। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যের ভান্ডার আমাদের গ্রাম বাংলা। ছবি তুলেছি প্রচুর। তার মাঝে অল্প কিছু ছবি শেয়ার করছি সবার সাথে।

১। পুকুর পাড়ে পাখিদের কলতান


২।লাউয়ের মাচা। সদ্য তুলে আনা এই লাউ শাকের তরকারী খেয়েছি যে স্বাদের কোন তুলনা হয় না।


৩। লাউ এর ফুল। দুই চোখ জুড়িয়ে যায় এসব দৃষ্যে

,
৪। ফলটার নাম বেলুম্বা। খুবই টক। তবে ছোট মাছ এর টক রান্না করা হয় এই ফল দিয়ে। বহু আগে বেলুম্বার জেলিও খেয়েছিলাম।


৫। কলা গাছের পেছনে শুকিয়ে যাওয়া এই নদী বর্ষার সময়ে অপরুপ রুপ ধারন করে।


৫। শহড়ে বাড়ীর সামনে জায়গা থাকলে তাকে বলা হয় লন, আর গ্রামে বলা হয় উঠোন । আজকাল অবস্য শহড়ে আর কারো বাড়ির সামনেই লন দেখা যায় না, তবে গ্রামের বাড়ির উঠোন এখনও টিকে আছে। কবে যে এটাও বিলুপ হয়ে যায় কে জানে !



৬। চালতা গাছ থেকে চালতা পাড়া হচ্ছে



৭। চালতা


৮। সেই চালতার আচার


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রকৃত গ্রামের চিত্র।


৩। লাউ এর ফুল। দুই চোখ জুড়িয়ে যায় এসব দৃষ্যে
এটি লাউ না, সম্ভবতো শশা।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। মনে হয় শশা

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চালতার আচার আমার প্রিয়। আপনার দেশের বাড়ি সম্ভবত বাংলাদেশের দক্ষিণে না।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই চালতার আচার খুবই মজার। দেশের বাড়ি ঢাকার কাছেই, কুমিল্লা ।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ছবিগুলো দৃষ্টিনন্দন না হলেও ভালোই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৩৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ছবিগুলো ভালো লাগল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৫

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

পুকুর পাড়ে পাখিদের কলতান বইলা আমাদের ছবি দেখাইতাছেন। (কলার কথা বইলা মুলা খাওয়াইতাছেন X( B:-) ) নিশ্চিত ভিডিও আছে। সাথে হয়তোবা মনোমুগ্ধকর কন্ঠে গাওয়া কারো গানের মিশ্রণ রয়েছে। এমন যদি থেকে থাকে, তবে সামনের ব্লগ পোস্টে তা প্রকাশ কইরেন!

আপনি এই যে ছবি ব্লগটা করলেন তাতে একেকটা ছবিরে নিয়া অন্তত একেকটা কমেন্ট করা লাগবো। কিন্তু অযোগ্যতাই সমস্যা! যাই হোক, আপনে কি লাউয়ের পাতা ও লতের প্রথমাংশ দিয়ে শুটকির মিশ্রণে তরকারি খেয়েছেন? খেয়ে থাকলে এর স্বাদ কেমন বলুন তো!
আর লাউ গাছের ফুলকে হালকা ময়দার মিশ্রণে ভাজা খেয়েছেন?
আপনার বেলুম্বা কি জলপাইয়ের মত? জলপাই দিয়ে কিন্তু মজার টকের তরকারি হয়। আচ্ছা এই বেলুম্বার কি অন্য নাম আমলকি? অনেকটা আমলকির মত দেখতে কিন্তু।
নদীর প্রতি কলাগাছের এই সমবেদনা প্রকাশের তরিকা কিন্তু যথেষ্ট কাব্যিক।


উঠোন একসময় বিলুপ্ত না হলেও উঠোনের সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া শরু হয়ে গেছে। পাকা করে মাটির উপর শক্ত চাদর বিছিয়ে মাটিকে লুকিয়ে রেখে গরমের দিনে আবহাওয়ার উত্তপ্ততা বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করছে এই উঠোন পাকা করার কৌশল। যা শীতের দিনেও খুব একটা সুবিধাজনক নয়। উঠোন থাকবে মাটির। কর্ণারে থাকবে ফুল গাছ। তুলসি পাতার গাছ। বৃষ্টির দিনে স্যাঁতস্যাঁতে থাকবে। বৃষ্টিতে ভেজার জন্য উঠোনে নামলে কাদামাটি খেলা করবে পায়ের পশম, আংগুলগুলো নিয়ে। তবেই না উঠোনের বেঁচে থাকা।
আর চালতা। সে তো ভাই এক বনলতা সেন। তাকে নিয়ে কিছু বলার পূর্বেই জিবে জল চলে আসে। আমাদের গ্রামের বাড়ির ঠিক পেছনের পুকুর পাড়ে এরকম একটা চালতার গাছ আছে৷ ছোটকালে দেখতাম চাচী-কুকু-মায়েরা কাজের ছেলেকে দিয়া চালতা পেরে আচার তৈরি করতেন। আহ! তখন ভুলে যেতাম পৃথিবীর অন্য সব স্বাদ! আসলে চালতার আচারের স্বাদই আলাদা। খুব মিস করছি আজ এগুলো।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দেশের এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্যগুলো তুলে ধরার জন্য। ধন্যবাদ সামুকে। এমন একটি প্লাটফর্ম থাকায় মোটামুটি আমরা আবেগ প্রকাশ করতে পারছি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, দেশের সৌন্দর্য উপভোগ করুন পূর্ণ সুস্থতার সাথে। অনুরোধ থাকবে বাহিরে না যাওয়ার জন্য।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার কমেন্টই পুরো একখানা পোস্ট। ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্টের জন্য। বেলুম্বার অপর নাম আমলকি নয়। গ্রামাঞ্চলে দেখেছি এই ফল অসম্ভব টক হওয়ায় ছোট মাছ দিয়ে রান্না করে। খুবই স্বাদ হয় সেই মাছের তরকারী। তবে অনেক আগে শহড়ে এক বাসায় ঘরে বানানো বেলুম্বার জেলি খেয়েছিলাম। লাউ এর পাতার ভর্তা খেয়েছি, ছোট মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারী খেয়েছি । শুটকি দিয়ে কখনো খাইনি। উঠোনের বিষয়ে যা বললেন , তা ঠিকই বলেছেন। অনেকেই দেখেছি উঠোন পাকা করে। তবে এখনও অধিকাংশ বাড়িতেই কাচা উঠোন। সেখানে শব্জি, ফল ফলারির গাছ লাগায়।

আমাদের দেশের বিভিন্ন ফলের আচার আসলেই অসম্ভব আচার। তবে আম, জলপাই এবং চালতার আচার মনে হয় বেশি জনপ্রিয়। আর হ্যা সামু ব্লগকে ধন্যবাদ আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করার চমৎকার একটা প্ল্যটফর্ম দেয়ার জন্য।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫২

শায়মা বলেছেন: বিলুম্বা যে কি ভয়ানক!!!

বাপরে!!!


আর চালতার আচার অনেক মজা..... :)

কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর গ্রাম বাংলার ছবি।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু , আসলেই বেলুম্বা অস্মভব টক। তবে ছোট মাছ দিয়ে একবার রান্না করে দেখবেন । আমাদের গ্রাম বাংলা আসলেই অসম্ভব সুন্দর।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫০

জটিল ভাই বলেছেন:
ঠিক যেনো ছবির মতোই সুন্দর :)
শ্যাম্পু আবার অন্যকিছু ভাইবেন না! =p~

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ্জটিল কমেন্ট :)

৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৩:০৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বেলুম্বা এই প্রথম দেখলাম। গাছ আপনার হলে পাঠাবেন। আর দেয়াল রং আমার গ্রামের বাড়ির একই , মিলে গেল।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেলুম্বা খুব টক হওয়ায় মনে হয় এই গাছ খুব বেশি লাগানো হয় না। তাই অনেকেই চেনে না। আপনার গ্রাম এর ছবি ব্লগ নিয়ে পোস্ট দিন।

৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,




কতোদিন যে গ্রামে যাওয়া হয়না! আপনার দেয়া ছবি দেখে নষ্টালজিক হয়ে পড়তে হয়!
গ্রামের পুকুরের জলে ঝাঁপাঝাঁপি, মাচা থেকে লাউ ফুল, পুঁইয়ের লাল লাল বিচি ছিঁড়ে দুষ্টুমিতে মেতে ওঠা সবই মনে পড়ছে ছবির মতো।
চালতের আচার খেয়েছি অনেক কিন্তু স্কুল জীবনে বাঘার মা'য়ের দু'পয়সার চালতের আচারের স্বাদ আজও যেন লেগে আছে মুখে!

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুভব ভাল লাগলো আপনার স্মৃতিচারন।

শহড়ের যান্ত্রিক জীবন থেকে অবসর নিয়ে মাঝে মাঝে গ্রামে গেলে আসলে অসম্ভব ভাল লাগে। অনেক মানুষই ইদানিং গ্রামমুখী হচ্ছে। গ্রামে সুন্দর বাড়ি বানিয়ে সেখানে গিয়ে থাকছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা এখন গ্রামে পৌছে যাওয়াতে মানুষ সেখানে প্ল্যানড ওয়েতে ছিমছাম বাড়ি করে ফুল/ ফলের বাগান করছে।

১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: চমৎকার।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২৭

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের গ্রাম বাংলা

খুব সুন্দর ছবি ব্লগ

১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:

জানেন, ইদানীং ছোট মাছ খুব মিস করি। ছোট মাছের তুলনা অন্য কিছুতে হয় না। অসম্ভব স্বাদের মাছ ছোট মাছ। সেটা যে কোন মাছই হোক।

আমাদের সিলেট অঞ্চলের গ্রামগুলোর উঠোনের সৌন্দর্য বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে৷আচার আমার সবচেয়ে পছন্দের খাবার। আমি না আচার পেলে অল্প অল্প করে খাই যেন দ্রুত শেষ না হয়ে যায় =p~

১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: " একি অপরুপ রুপে মা তোমার হেরিনু পল্লী জননী" - সহজ-সরল প্রাকৃতিক গ্রাম বাংলার ছবি বরাবরই মনোমুগ্ধকর ।

সবগুলি ছবিই চমতকার হয়েছে তবে চালতার ;) আচারটাই সবচেয়ে মজাদার হয়েছে।

১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০২

আমি পরাজিত যোদ্ধা বলেছেন: সব গুলো ছাবি সুন্দর হয়েছে, আরও ছবি ব্লগ চাই।

১৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর ছবি ব্লগ।

১৬| ২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: তরতাজা লাউ শাকের ছবিটা খুব সুন্দর; চোখ জুড়িয়ে যায়! আর চালতার আচারের ছবিটা রসনা উদ্রেককারী। অন্য ছবিগুলোও ভালো হয়েছে।
পোস্টে নবম প্লাস। + +

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.