নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাদ্রাসা অধ্যক্ষরে কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় এক ছাত্রীর গায়ে আগুন লাগানোর ঘটনা এখন ঢাকার টক অব দ্যা টাউন। ছাত্রীটি খুব সম্ভবত বাচঁবে না কিন্ত অভিযুক্ত অধ্যক্ষ্য যে আইনের ফাক ফোকড় গলিয়ে বিস্তর টাকা পয়সা খরচ করে বেরিয়ে আসবে তা একপ্রকার নিশ্চিত বিচারহীনতার সংস্কৃতির এই দেশে। মাদ্রাসা ছাত্রীটি হয়ত মৃত্যূর মুখে পতিত হওয়ায় এই ঘটনা মিডিয়ায় এসছে কিন্ত প্রতিনিয়ত মাদ্রাসাগুলোর অভ্যন্তরে এইরকম হাজারো নোংরা আচরনের শিকার হচ্ছে অবুঝ শিশু কিশোর কিশোরীরা যার বেশীরভাগই প্রচারের আলোয় আসার সুযোগ পায় না।
র্ধম একটা বিশ্বাস যেটা ভালবেসে , অন্তরে ধারন করতে হয়। কিন্ত মাদ্রাসাগুলোতে র্ধম জোড়র্পুবক চাপানোর ব্যবস্থা করা হয়। ধরে নিলাম যে সকল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ্য বা শিক্ষকেরা অবস্যই এই সোনাগাজীর মাদ্রাসার অধ্যক্ষর মত নয়। কিন্ত ইসলাম নিয়ে পরিপুর্ন গবেষনা করা ,আধুনিক উচ্চশক্ষিত কোন মানুষ কি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন ? না করেন না। মোল্লা গোছের , কুসংস্কারছন্ন মানুষরো সেখানে শিক্ষকতা করেন যাদের একদিকে ইসলাম সর্ম্পকে পরিপুর্ন জ্ঞান নাই আবার আধুনিক শিক্ষার জ্ঞানও নাই। কোরআনে হাফেজ হওয়াটাই সেখানে সবচয়েে বড় যোগ্যতা কিন্ত আরবীতে মুখস্থ করা সেই কোরআনের পরিপুর্ন র্অথ তারা কেউ জানে না। আবার অন্ধকারছন্ন এইসব সিস্টেমের বিরুদ্ধে কথা বললইে বলা হয় যে '' ফিতনা '' করার চেষ্টা হচ্ছে। আরবী এই ফিতনা শব্দের র্অথ কয়জন বুঝে তাতে যথেষ্ঠ সন্দেহ আছে। মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা মুলত আমাদরে দেশে ভয়ভীতি প্রর্দশনের মাধ্যমে র্ধম পালন করার পরিবেশ সৃষ্টি করছে। বিদেেশে এসে বরং ধর্মের ব্যপারে অহতেুক ভয়ভীতি দূর হয়ছে।উচ্চশক্ষিায় শিক্ষিত ইসলামকি স্কলাররা বরং এখন কোরআন,হাদিসের ভাল ব্যখ্যা দেন যেগেুলো শুনলে মানুষরে মনে ভয়ের বদলে শ্রদ্ধার উদ্রেক হয়।
পরিপুর্ন ধর্মীয় জ্ঞান না থাকায় এই দেশের মানুষের মেয়েদের প্রতি সম্মানবোধ গড়ে ওঠেনি। আর তাইতো ইভটিজিং এর ঘটনা ঘটলে এই দেশের সংখ্যাগরষ্ঠি জনগন কেন সেই মেয়ে র্পদা করেনি তা নিয়ে সরব হইয়ে ওঠে। এই জাতীয় কথাবার্তা বলে তারা যে একটা অপরাধকে সমর্থন করছে এবং এইসব জঘন্য অপরাধীদের উলটো প্রশ্রয় দিচ্ছে সেটা ভাবছে না। এইসব পরস্পরবিোরিধী মানসিকতার ব্যক্তিদের আবার মাদ্রাসা ছাত্রীটির ঘটনায় মুখে কুলুপ আটতে দেখা যায়। মাদ্রাসা ছাত্রীটি যে কিনা সহি র্পদা করত, সে কেন এই পরিস্থিতিরি শিকার হল? আসলে এভাবে মানুষকে দোষারোপ করেও লাভ নেই। নীতি নৈতিকতার শিক্ষা না পাওয়া এবং কুসংস্কারছন্ন ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাবে এদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগনের এই ধরনের অপরাধপ্রবন মানসিকতা গড়ে উঠেছে।
ফেনীর সোনাগাজীর অগ্নিদগ্ধ মাদ্রাসাছাত্রী লাইফ সাপোর্টের যাওয়ার আগে চিকিৎসকদের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন গতকাল রোববার। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরিহিত চারজন তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এই খুনীরা বাইরের কেউ নয় , সেই মাদ্রসারই শিক্ষার্থী। ওই চারজনের একজনের নাম ছিল শম্পা। ভেবে দেখুন যে পরিপুর্ন পর্দা মেনে চলা এই মাদ্রাসার মেয়েরা অধ্যক্ষের প্ররোচনায় খুনের মত ভয়ঙ্কর অপরাধে লিপ্ত হয়েছে!!
সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠা উচিৎ কুসংস্কারছন্ন এই ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থার বিরুদ্ধে। যে শিক্ষাব্যবস্থা মেয়েদের সম্মান করতে শেখায় না, যে শিক্ষাব্যবস্থায় নীতি নৈতিকতার জ্ঞান দেয়া হয় না, যে শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থান আধুনিক শিক্ষা হতে কয়েক আলোক বর্ষ দূরে সেটা একটা ক্রুটিপুর্ন, অমানবিক শিক্ষা ব্যবস্থা।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: শুধু তাই নয় , মাদ্রাসায় সন্তান পাঠালে বেহেশত নিশ্চিত। এমন ধারনাও ঢুকিয়ে দেয়া হয় স্বল্প শিক্ষিত মানুষের মনে।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১২
নাসির ইয়ামান বলেছেন: আপনি যথার্থই অনুধীবন করেছেন!
কয়জনই বা এরকম ভাবতে চায়(?)
দেশের সবধরনের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে!
শয়তানী রাজনৈতিক চক্র মানুষকে মনস্তাত্তিক দিক থেকে চরমভাবে পরাধিন করে রেখেছে।
ধুনয়াবাদ!
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। দস্যু, লুটেরা শাষকদের শাষন টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন কুশিক্ষিত , নীতি নৈতিকতা বির্বজিত জনগন।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
মোগল সম্রাট বলেছেন: অধিকাংশ মাদ্রাসাগুলোতে ধর্মান্ধরা শিক্ষকতা করছে এবং কেমলমতি বাচ্চাদের ধর্মান্ধ তৈরী করছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: মাদ্রাসাগুলো যে শুধু ধর্মান্ধ ছাত্রছাত্রীই তৈরী করছে তা নয়, এরা সমাজে তাদের কুসংকারছন্ন ধ্যান ধারনাও ছড়িয়ে দিতে বিস্তর ভুমিকা রাখে। কোটি কোটি মানুষ কুসংকারছন্ন ধর্মীয় মূল্যবোধ নিয়ে বড় হয় এদেশে। দীর্ঘকাল ধরে চলে আসা একটা বাজে অন্যায়ের প্রতিবাদে মেয়েরা '' গা ঘেসে দাড়াবেন না'' টিশার্ট গায়ে দিয়ে বের হয়েছে, সেটাকে বাহবা দেয়ার বদলে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে এই মেয়েদের বিরুদ্ধে!!! এই মানসিকতাতো একদিনে গড়ে ওঠেনি। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে এই দেশে নারী নির্যাতন করা হচ্ছে।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
পোস্ট সুন্দর হয়েছে। সহমত। শুধু শিরোনামে... একজন অধ্যক্ষের নীতিহীন কর্মকান্ডের কারণে গোটা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ত্রুটিপূর্ণ বলাটা কি ঠিক?
এই ঘটনায় জড়িত সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ভালো থাকুন।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য।একজন অধ্যক্ষের নীতিহীন কর্মকান্ডের কারণে গোটা মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ত্রুটিপূর্ণ বলা হয়নি পোস্টে।
আপনিতো ইসলাম ধর্ম বিষয়ে নানান পোস্ট দেন। ধর্মীয় কুসংস্কার যেসব চালু আছে আমাদের দেশে সেগুলো সহি হাদিসের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনা করলে অনেকেই উপকৃত হত। উন্নত দেশে বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্য শুনলে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যেতে হয় যে, কত ভুল ধ্যান ধারনা নিয়ে বড় হয়েছি আমরা।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:০৭
ইনাম আহমদ বলেছেন: বাংলাদেশ-পাকিস্তান-ভারত এই এলাকা বাদে বাদবাকি মুসলিম বিশ্বের কোন কোন জায়গায় এমন বিজ্ঞানবিমুখ, পশ্চাৎপদসর, ধর্মের দোহাই দিয়ে চলা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রচলিত আছে জানতে পারলে ভালো হতো।
দেশে মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থাও দুইটা আলাদা খাতে প্রবাহিত।
সরকারী আলিয়া মাদ্রাসা একরকমভাবে চলে, আর বছর বছর ক্বওমী মাদরাসায় পাশ করে ফুলটাইম হুজুরও হাজার হাজার তৈরী হয়। আর সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা যাই হোক, শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অর্থসাহায্য চাননা। কিন্তু ব্যতিক্রম মাদরাসাগুলি। টাকাপয়সা চাইতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধর্মের নামে ভিক্ষা করাটা এদের অভ্যাস। অনেকটা হিজড়াদের চাঁদাবাজির মতোই বলা যায়।
খ্রিস্টানেরা মিশন স্কুল চালায়, সেখানে বাইবেল-টাইবেল পড়ানো হয়না, সরাসরি এবিসিডি। আমি নিজেও মিশন স্কুলের ছিলাম।
আর এই পশ্চাৎপদসর মাদ্রাসাপাশ আলেমরাই আবার শারিরিক ও স্বাস্থ্যশিক্ষা সম্পর্কিত বই সংস্কারের জন্য আন্দোলন চালায়। অবশ্য তাদের আন্দোলনের য়ৌক্তিকতা আছে বৈকি। যৌন ব্যপার স্যপার সম্পর্কে ছোট শিশুরা শিখে গেলে তখন তারা মজা নিতে পারবে না যে আর। বিষয়টা অনেকটা "গা ঘেষে দাঁড়াবেন না" স্লোগান বিরোধীদের গলাবাজির মতো।
যারা এখানে মাদ্রাসাশিক্ষার সাফাই গাইছেন তাদের ভেতরের লুকানো পেডোফাইলগুলোর জন্য আমার একরাশ ঘৃণা।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: একেবারে হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন বলা যায়। মাদ্রসা শিক্ষা ব্যবস্থার এইটাই আসল চেহারা।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬
করুণাধারা বলেছেন: অবশ্যই ত্রুটিপূর্ণ এক শিক্ষা ব্যবস্থা, কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন করা হয় না। সেই যে কথা আছে না, "যত বেশি জানে, তত কম মানে", তাই নানাভাবে শিক্ষাকে কম জানানোর শিক্ষা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। পুরোপুরি একমত আপনার সাথে।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:০০
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা একটি ত্রুটিপুর্ন শিক্ষাব্যবস্থা
শিরোনাম দিয়ে যখন আপনি কিছু লেখেন তখন, ইহা আপনার দায়, মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা কি? কেন এর উদ্ভব? বর্তমান পরিস্থিতিতে কত পার্সেন্ট মাদ্রাসায় আপনার তুলে ধরা সমস্যাগুলো আছে? সেগুলো লেখা।
আমি মাদ্রাসায় পড়ি নাই, আমার ভালো ধারণা নেই, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে আমি আরো বিভ্রান্ত হলাম।
প্রথম প্যারার শেষ লাইনে আপনি বলছেন, মাদ্রাসায় যৌন হয়রানির কথা। কিন্তু চোখ কান খোলা রেখে পরিসংখ্যান দেখলে, আপনি চমকে যাবেন। আপনার দাবি "হাজারো নোংরা আচরন" বাংলাদেশের অন্যান্য স্কুল কলেজে যে পরিমানে হয়, এবং যে পরিমানে স্টোরিগুলো লিক হয়। তাতে, বলা যায়, মাদ্রাসায় যে পরিমানে এই হয়রানি হয়, অন্য সাধারণ স্কুলে কম নয়, বরং বেশি। পরিমলের নাম শুনেছেন?
এক বুদ্ধীজীবি ৫ নং এ মন্তব্য করছেন, যারা এখানে মাদ্রাসাশিক্ষার সাফাই গাইছেন তাদের ভেতরের লুকানো পেডোফাইলগুলোর জন্য আমার একরাশ ঘৃণা। এই ধরনের ব্লগারও আছে, যারা মাদ্রাসাশিক্ষকদের গনহারে পেডোফাইল বানিয়ে দিচ্ছে!!
মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা একটি ত্রুটিপুর্ন শিক্ষাব্যবস্থা-------আপনার দেশের সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা কি খুব ভালো?
ইংলিশ মিডিয়াম, বাংলা মিডিয়াম সাপোর্ট করেন? আপনার দেশে সবার শিক্ষার অধিকার আছে? কয়টা স্কুলে এতিমদের ফ্রি পড়ানো হয়? কয়টা রিকশাওয়ালার ছেলে সাইন্সে পড়তে পারবে? আপনার দেশে স্কুল কলেজে সাইন্স পড়ায়, তাদের ব্যাপারে আপনি কতটুকু জানেন?
মাদ্রাসাতে ঐ শিশুগুলোকে বড় হয়ে মিলাদ পড়ানোর জন্য হলেও কিছু সূরা শেখানো হয়! যা দিয়ে সামনে সে কিছু করতে পারে! আপনি কোনদিন অবৈতনিক শিক্ষার কথা বলেছেন? এখন প্লিজ বলবেন না, মাদ্রাসায় সব শিশুকে যৌন হয়রাণি করা হয়!
যে দেশে আপনি মূলধারার শিক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় ঝুলিয়ে রেখেছেন, সেখানে আপনি ধর্মীয় শিক্ষায় কি বিপ্লব আনতে পারবেন?
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উদ্ভব যেভাবেই হোক না কেন এটা পুরোপুরি অনগ্রসর এবং পশ্চাৎমুখী শিক্ষাব্যবস্থা।সরকারের প্রশ্রয়ে, বিবেকবান মানুষের নিস্ক্রিয়তা এবং উগ্র ধর্মীয় মতবাদ উত্থানের কারনে এই শিক্ষাব্যবস্থার প্রসার ঘটেছে বিগত কয়েক বছরে। কয়েক বছর আগেও এত মাদ্রাসা ছিল না দেশে। দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নানান অনিয়ম আছে, বাজে শিক্ষকও আছে , আছে হাজারো সমস্যা । কিন্ত তারপরেও সেখানে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু আছে। মিলাদ পড়ানোর জন্য গাদাগাদা হুজুর তৈরী করা কি কোন ইতিবাচক কাজ? এটা কি মেধার অপচয় নয়? কত মেধাবী ছাত্র ছাত্রিদের যে এইভাবে ভবিষ্যত নষ্ট হয় তাদের খবর কে রাখে।
এছাড়া মাদ্রাসাগুলো ধর্মীয় কুসংস্কার লালন করে সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার কাজ করে।আর ধর্মীয় কুসংস্কারের প্রধান বলি হয় মেয়েরা।ফেসবুকই খুলেই দেখুন যে ধর্মকে ব্যবহার করে মেয়েদের কিভাবে অসম্মানিত করে কমেন্ট করা হয়। এই মন মানসিকতার উৎস কি। ৫নং কমেন্টের ব্লগার যা বলেছে তা মোটেও বাড়িয়ে বলেনি। এটাই মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার আসল চেহারা।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭
আনু মোল্লাহ বলেছেন: সামগ্রীকভাবে আমাদের শিক্ষা ও শিক্ষাগুরুদের মান হারিয়ে গেছে। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা এবং ইউনিভার্সিটিতে যথেষ্ট পরিমানে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। একবার ভিকারুন্নিসা স্কুল এর পরিমল নামে এক শিক্ষক ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন করে সেটার ভিডিও করেছিল।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে চারিত্রিক হিসাব নিকাশ ও নেয়া উচিত।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: সাধারন স্কুল, কলেজ বা ভার্সিটিতে যে সব ঘটনা ঘটছে সেগুলো অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সচেতন পিতামাতার সন্তানেরা এসব জায়গায় যায় তাই সেখানে এসব অপকর্ম করার সুযোগ এত নাই। এই মাদ্রাসার কথাটাই ভাবুন যে অধ্যক্ষর নোংরা আচরনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করায় সেই অধ্যক্ষ্য তারই বোরখা পড়া অন্য ছাত্রীদের বাধ্য করে মাদ্রাসার হাত্রীটির গায়ে আগুন ধরিয়ে দিতে। এই ঘটনা কি আপনি অন্য আর কোন প্রতিষ্ঠানে ভাবতে পারেন? এই ধরনের আরো কত যে নোংরা আচরনের সম্মুখীন হতে হয় মাদ্রাসা ছাত্র ছাত্রীদের যা জনসম্মুখে আসেও না।সবচেয়ে ঘৃন্য ব্যপার হচ্ছে যে এরা ধর্মের দোহাই দিয়ে এসব করে।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পোস্টের বক্তব্যের সাথে ১০০% সহমত।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৮
মা.হাসান বলেছেন: কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা ইসলামী চেতনার সঙ্গে সংঘর্ষ পূর্ণ। ব্যাখ্যা স্বরূপ বলা যায় নামাজ পড়া ফরজ। নামাজে রুকু সিজদা করা ফরজ। আসতাগগফার পড়া খুব ভালো কাজ। কিন্তু কেউ যদি নামাজে রুকু সিজদায় যেয়ে রুকু সিজদার তাসবিহ বাদ দিয়ে আস্তাগফিরুল্লা পড়ে তবে তা নিঃসন্দেহে ঠিক হবে না, নবীর শিক্ষার বিপরীত হবে। যে কোন ধর্মিয় কাজ করতে গেলে নবীর শিক্ষার মতো পদ্ধতিতেই হওয়া উচিত। বর্তমানে মাদ্রাসা গুলোতে যে পদ্ধতিতে শিক্ষা দেওয়া হয় এটি হাদিস দ্বারা সমর্থিত বলে কোন প্রমাণ বা দলিল আমি এখন পর্যন্ত দেখিনি। মাদ্রাসাগুলো কথায় কথায় ইহুদি নাসারদের দোষ দেয়; কিন্তু তারা আবার ইহুদিদের পদ্ধতিই অনুসরণ করে (এক বছর পর পর উপরের ক্লাসে উত্তরন, ১০, ১২ ও ১৬ বছর শিক্ষা শেষে সার্টিফিকেট এই সবই ইহুদি নাসার প্রবর্তিত পদ্ধতি)।
মুঘল আমলে ভারতবর্ষের সরকারি ভাষা ছিল ফারসি। ভাগ্যবান কিছু লোকের পক্ষেই এই শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ ছিল। শিক্ষার কারিকুলামে ধর্ম, দর্শন , রাজনীতি, গণিত, অর্থশাস্ত্র, চিকিৎসাশাস্ত্র সবই অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমনকি মোগলদের আগমনের আগেও নালন্দার সিলেবাসও একই রকম পরিপূর্ণ ছিল। ব্রিটিশরা উপমহাদেশে আসার পর সামান্য কিছুদিন ফারসি ভাষা সরকারি ভাষা হিসেবে প্রচলিত ছিল। পরবর্তীতে সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ভাষা চালু করা হয়। মুসলমানদের অধিকাংশ ইংরেজিতে পিছিয়ে ছিল। এমনকি এক শ্রেণীর ওলামারা সেই সময়ে 'ইংরেজি শেখা হারাম' এই ফতোয়াও দিয়েছিলেন। শিক্ষায় এবং স্বাভাবিকভাবে অর্থনৈতিক ভাবেও মুসলমানরা অনেক পিছিয়ে ছিল । পিছিয়ে থাকা মুসলমানদের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ব্রিটিশরা আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু কট্টরপন্থি কিছু মুসলমান এই শিক্ষা ব্যবস্থায়ও আপত্তি জানায়। তারা এর প্যারালাল হিসেবে কওমী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। এর সিলেবাসে এর হাদিস , কোরআন, ফিকাহ ফরায়েজীর বাহিরে প্রায় কিছুই নেই। হাতে গোনা দুয়েকটা বাদ দিলে বেশিরভাগ কওমি মাদ্রাসায় এমনকি সেই অপুর্নাঙ্গ শিক্ষা প্রদান করার উপকরনও নেই। ছাত্ররা পড়ে অমুক বইয়ে এই কথা আছে, কিন্তু সেই বই না সে দেখেছে না তার ওস্তাদ দেখেছে না তার ওস্তাদের ওস্তাদ দেখেছে।
জাতিকে সবদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে এমন লিডার তৈরি করাই শিক্ষা ব্যবস্থার লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল। শুধু মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে পাস করা লোকদেরকে যদি কোন একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী , সচিব এবং সব উচু পদে বসিয়ে দেওয়া হয় আর তারা যদি দেশটিকে ভালোভাবে চালাতে পারে তবে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্যালুট। যদি তা না হয় তবে এই শিক্ষা ব্যবস্থায় অবশ্যই গলদ আছে।
যেমনটি ব্লগার করুণাধারা বলেছেন, দেশের জনগণ অশিক্ষিত হলে দেশ চালানোতে নেতাদের সুবিধা হয় এটা সত্য। তবে এই সত্য বুঝার মত জ্ঞান আমাদের নেতাদের আছে কিনা আমার সন্দেহ।
দেশের একটা উল্লেখযোগ্য না জনসংখ্যা চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে। সাধারণ শিক্ষা এদের জন্য বিলাসিতা। খুব কম বয়সেই এদেরকে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়। অথবা পড়তে চাইলে একমাত্র অবলম্বন লিল্লাহ বোর্ডিং চালিত এই মাদ্রাসাগুলি। এছাড়া আরো কিছু লোক আছে যাদের বিশ্বাস মাদ্রাসায় ছেলেকে পড়ালে তাদের চোদ্দপুরুষ স্বর্গে যাবে। বস্তুত ধর্ম সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কম হওয়ায় (কারন প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্ম শিক্ষা অবহেলিত)।এ সমস্ত মাদ্রাসা থেকে পাশ করা লোকদের পাত্তা দিতে হয়। মানুষের প্রয়োজনীয় ধর্মীয় জ্ঞান থাকলে তারা মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে পাস করা লোকদের পাত্তা দিতো না।
মাদ্রাসার প্রায় সবসময় ক্ষুধার্ত থাকা এই ছেলেগুলোকে দিয়ে তাদের ওস্তাদরা যা খুশি তাই করে নিতে পারে। ওস্তাদের কথা না শুনলে এক বেলা দুবেলা বা তিন বেলা খাবার বন্ধ থাকে। ওস্তাদ নির্দেশ দিলে তারা মিছিলে যায় এবং যে কারো পক্ষে বা বিপক্ষে স্লোগান দেয় । সুস্থ মানবিক জীবন যাপন এদেরও অধিকার। এজন্য অতি জরুরী এদের সিলেবাস আপডেট করা । বর্তমান সরকারের একটা বিশাল সাফল্য হল মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কিছুটা হলেও তারা হাত ঢুকাতে পেরেছে। সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে তবে খুব পজিটিভ কিছু করতে পারবে। আর সরকার যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে তবে যা হয়ে আসছে তাই হোতে থাকবে, হয়তোবা আরো খারাপ হবে।
ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি লুটেরা, চোর, দুর্নীতিবাজ, ধর্ষকদের প্রায় সবাই ই জেনারেল শিক্ষায় শিক্ষিত, জোর দিয়ে বলতে পারি না কেননা আমার জানা মতে এবিষয়ে কোন স্টাডি নেই। আর যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপনি এ লেখা লিখছেন সে ঘটনার মূল নায়ক একজন এলেমদার লোক, এমনকি জামাতের মতো চরিত্রহীন দলও তাকে অনৈতিকতার কারনে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। গত ১০ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের সোল এজেন্টরা ক্ষমতায় থাকলেও অপকর্ম চালাতে তার কোন অসুবিধা হয়নি ।
(জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থার বর্তমান হাল যে খুব ভালো তা না, তবে টপিক অনুসারে মন্তব্য কওমি জননীর কওমি মাদ্রাসাতেই সীমাবদ্ধ রাখলাম।)
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪২
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার এই তথ্যবহুল কমেন্টের পরতো আমার পোস্ট এর আর কোন প্রয়োজনীয়তাই নাই ।
এতিম শিশুদের জন্য যারা মাদ্রাসা চালায় সেটাকে নাহয় তাও একটা মহৎ অবদান হিসেবে স্বীকার করা যায়। তবে কতটা যে মহৎ সে বিষয়েও প্রশ্ন আছে। ৫ই মে শাপলা চত্বরে , মাদ্রাসার দুস্থ এতিম ছাত্রদের জড়ো করা হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে । এর পরের ইতিহাস কওমী জননীর ইতিহাস।
আজ থেকে পনের বিশ বছর আগেও দেশে এত মাদ্রাসা ছিল না। এখন শুনি যে ঢাকা শহড়ে বিভিন্ন এলাকার ভেতরে বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে মাদ্রাসা চালু হয়েছে । আর গ্রাম ও মফস্বল শহড়েতো ভুড়ি ভুড়ি আছেই। এসব জায়গায় মাসিক বেতন দিয়ে পড়তে যেতে হয়। ভ্রান্ত ধর্মীয় বিশ্বাসে ভরপুর এই দেশের মানুষ নিজের বেহেশ্ত যাবার টিকিট নিশ্চিত করতে চায় সন্তানকে কোরআনে হাফেজ বানানোর মধ্য দিয়ে!!
এই সরকার মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন আনবে , এমনটা আশা কেবলই দুরাশা। বরং মানুষ ভ্রান্ত ধর্মীয় বিশ্বাস ঝেড়ে ফেলে সন্তানদের এমন জায়গায় পাঠানোর চিন্তা পরিত্যাগ করলেই সবচেয়ে ভাল হয়।
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৭
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: যে দেশে আপনি মূলধারার শিক্ষাকেই প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় ঝুলিয়ে রেখেছেন, সেখানে আপনি ধর্মীয় শিক্ষায় কি বিপ্লব আনতে পারবেন?
ভালো আলোচনার জন্য এ বিষয়ে আলাদা পোষ্ট দিবো।
নিমন্ত্রন
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: গতকাল ফেনীর ঐ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের মুক্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঐ মাদ্রসার ছাত্রীরা। আর আজ অগ্নিদগদ্ধ ঐ ছাত্রীটি মারা গেছে। ধর্মকে ব্যবহার করে কি ধরনের অমানুষ বানিয়ে দেয়া হচ্ছে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রিদের , ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। মুলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় এইরকম ব্রেইনওয়াশ কোনভাবেই সম্ভব নয়।
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৪
আফসানা মারিয়া বলেছেন: আসলে এই লোকগুলো মুনাফেক। এরা যে কোনো ধর্মের জন্য ভয়ঙ্কর।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৪২
ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপনার সাথে ।
১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান ,
অনেক সত্যই তুলে ধরেছেন। আমার তো মনে হয় কওমী মাদ্রাসাগুলো এক একটা ব্যবসায়ের আখড়া। তাই অলিতে গলিতে এমন মাদ্রাসা গজিয়ে উঠেছে রাতারাতি। এর ভুরি ভুরি প্রমান পাবেন আপনি ঐসব মাদ্রাসার এতিম খানায় থাকা অসহায় শিশু কিশোরদের কথায়। আর একটি ব্যাপারে আশ্চর্য্য হয়েছি আমি .. ঢাকার একটি ব্যস্ত রাস্তায় পাশের মসজিদ পরিচালিত এতিমখানার ৪/৫ জন খাদেম বাস/প্রাইভেট কার/পথচারীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলে মসজিদের উন্নয়ন ও এতিম শিশুদের জন্যে। কথায় কথায় এদেরই একজনকে জিজ্ঞেস করে জানা গেল, এই চাঁদার ৭০% পায় যে তোলে সে আর বাকী ৩০% পায় মসজিদ ও এতিমখানাটি। মসজিদটি ১০ বছর আগেও যেমন দেখেছি এখনও তেমনই আছে। আশ্চর্য্য!!!!!!
সহব্লগার ইনাম আহমদ এবং মা.হাসান এর মন্তব্য সত্যেরই ছবি ।
মা.হাসান এর লেখার এই অংশটুকু ভেবে দেখার মতো- মাদ্রাসার প্রায় সবসময় ক্ষুধার্ত থাকা এই ছেলেগুলোকে দিয়ে তাদের ওস্তাদরা যা খুশি তাই করে নিতে পারে। ওস্তাদের কথা না শুনলে এক বেলা দুবেলা বা তিন বেলা খাবার বন্ধ থাকে। ওস্তাদ নির্দেশ দিলে তারা মিছিলে যায় এবং যে কারো পক্ষে বা বিপক্ষে স্লোগান দেয় । সুস্থ মানবিক জীবন যাপন এদেরও অধিকার। এজন্য অতি জরুরী এদের সিলেবাস আপডেট করা ।
আর তার এই সাজেশন ও যথার্থ ---বর্তমান সরকারের একটা বিশাল সাফল্য হল মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে কিছুটা হলেও তারা হাত ঢুকাতে পেরেছে। সরকারের যদি সদিচ্ছা থাকে তবে খুব পজিটিভ কিছু করতে পারবে। আর সরকার যদি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে তবে যা হয়ে আসছে তাই হোতে থাকবে, হয়তোবা আরো খারাপ হবে।
ভেবে দেখার মতো একটি পোস্ট।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:০৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। ধর্মভীরু অশিক্ষিত এবং স্বল্পশিক্ষিত মানুষ না জেনেবুঝে ধংস করছে সন্তানদের ভবিষ্যত। আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে এক সহপাঠিকে অল্পবয়সে মাদ্রাসায় ভর্তি করানো হয়েছিল। অসম্ভব মেধাবী সেই ছাত্রটি একটু বড় ক্লাসে উঠে বুঝতে পারে, দেশের মুলধারার শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব কিন্ত নিজের পিতামাতাকে বোঝাতে বের্থ হয়। পরে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়ী গিয়ে উঠে। সেই আত্মীয়ের প্রচেষ্টায় সে ফিরতে সক্ষম হয় মুলধারার শিক্ষাব্যবস্থায়। আজ সে জীবনে অত্যন্ত প্রতিষ্ঠিত । মাদ্রসায় পড়াশোনা করলে সে আজকের এই অবস্থানে আসতে পারতো না কোনভাবেই।
ইদানিং আবার তাব্লীগিরা বলছে যে মিলাদ পড়ানো , কুলখানি, চল্লিশা ইত্যাদি বিদাত। মাদ্রসার ছাত্রদের উপার্জনের মুল একটা পথ হচ্ছে এই সব অনুষ্ঠান। এখন এগুলোই যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তাদের রুজি রোজগারের পথতো অতি সীমিত। মুল্ধারার শিক্ষাব্যবস্থার ছাত্রছাত্রীদের সাথে প্রতিযোগিতা করেতো চাকুরি পাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাহলে কেন এই ত্রুটিপূর্ন শিক্ষাব্যবস্থা বজায় রাখতে হবে ?
১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩০
শিখণ্ডী বলেছেন: আমার এক আত্মীয় মাদ্রাসায় পড়ত। সে হঠাৎ পালাল, কিছুতেই আর মাদ্রাসায় যাবে না। আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম কেন যাবে না। উত্তরর দিল অন্য ছাত্রদের সাথে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোরবানির চামড়ার জন্য কাকুতি-মিনুতি করা সে মেনে নিতে পারছে না।
মাদ্রাসায় শুরু থেকেই ভিক্ষা করা শেখান হয়।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: মাদ্রসায় যাওয়া কোন ছাত্রছাত্রী নিজের ইচ্ছায় সেখানে যায় না। ধর্মের ভয় দেখিয়ে কিংবা দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তাদের সেখানে পড়তে বাধ্য করা হয়।
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:২৩
গোলাম রাব্বি রকি বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত হতে পারলাম না । সবাই লেখাপড়ে করে বিজ্ঞানমনস্ক, সচেতন, নীতিবান বা চরিত্রবান হয়না । বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া অনেক ছাত্র আছে যারা আপনার চাওয়া শর্তগুলো পুরণ করতে পারবে না । সব শিক্ষাব্যবস্থাই ত্রুটিপূর্ণ আমাদের দেশে । তাছাড়া আপনি যেভাবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানবান হওয়ার জন্য চাচ্ছেন সেটা সম্ভব নয় । বিশ্ববিদ্যালয় পড়লেও যেমন সবাই আপনার ভাবনার হবে না তেমনি মাদ্রাসায় পড়েও অনেকে অনেক সচেতন এবং চৌকস হয়। বুদ্ধিমান , বিবেকবান তথা মানুষের মত মানুষ সবসময় কমই হয় । হোক সে মাদ্রাসায় পড়ুয়া অথবা আপনার মত ঢাবিয়ান । মাদ্রাসার প্রধান উদ্দেশ্যেই ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শী করে তোলা । আপনি হয়তো এটা নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন যে, তারা সঠিক ভাবে ধর্মীয় শিক্ষা শিখছে কিনা । তার জন্য আপনার যথেষ্ট ধর্মীয় জ্ঞান এবং যথেষ্ট পরিমাণ মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের সাথে চলেফেরা করে তারপর বলা উচিত । যাইতোক যারা কোন বিষয়ে ঢালাও ভাবে সমালোচনা করে তারা সবসময় একচোখাই হয় ..
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: মুলধারার শিক্ষা ব্যবস্থায় হাজারো অনিয়ম, হাজার সমস্যা সবার জানা আছে। সেটা আসলে অন্য ইস্যূ। আমি বা অন্যান্য ব্লগাররা ঢালাওভাবে মাদ্রাসাগুলোর সমালোচনা করিনি। যা সবাই চোখের সামনে দেখছে তাই তুলে ধরতে চেষ্টা করেছে। আপনি বলেছেন যে মাদ্রাসার প্রধান উদ্দেশ্যেই ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শী করে তোলা। প্রথমত ধরে নিলাম মাদ্রসার ছাত্র ছাত্রীরা ধর্মীয় শিক্ষায় পারদর্শি। এই ধর্মীয় পারদর্শিতা তাদের বাস্তব জীবনে চাকুরি পেয়ে সম্মানজনক জীবিনযাপন করতে কতটুকু সাহায্য করবে?্দ্বীতিয়ত আমাদের দেশের ধর্মীয় নিয়ন কানুন মুলত অনেকখানি কন্ট্রোল করে তাবলীগিরা। তাবলীগের সাথে কিন্ত মাদ্রাসা/ মসজিদের কাজকর্মের মিল নাই। তাবলিগীরা এতকাল ধরে চলে আসা শবে বরাত, শবে কদর পালন করা বিদাত বলে ঘোষনা করেছে। সেই সাথে মিলাদ মাহফিল, কুলখানি , চল্লিশা সবই এখন তারা বলছে বিদাত। যে দেশে ধর্ম নিয়ে এতমত সেই দেশে কে যে সঠিক বা কে যে বেঠিক তা নিয়ে কথা বলাইতো দায়। সেক্ষেত্রে কেন ধর্মের দোহাই দিয়ে এত লাখ লাখ ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিময়ে খেলা করা হবে?
১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুধু তাই নয় , মাদ্রাসায় সন্তান পাঠালে বেহেশত নিশ্চিত। এমন ধারনাও ঢুকিয়ে দেয়া হয় স্বল্প শিক্ষিত মানুষের মনে।
এই আধিনিক যুগে এসেও মানুষ এত নির্বোধ হয় কি করে? এবার ভেবে দেখুন তাহলে এই দেশের উন্নতি হবে কি করে?
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: নির্বোধ বলেইতো এই দেশের এই অবস্থা। আর সরকারের জন্যও সুবিধা। ধর্মকে আফিম বানিয়ে যদি সেই নেশা একবার মগজে ঢুকিয়ে দেয়া যায় তবে ড্রাগের চাইতেও ভয়ঙ্কর হয় সেই নেশা। সব কিছুতেই মানুষ তখন পরকাল দেখে, ইহকাল বাদ দিয়ে।
১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:১২
ল বলেছেন: শিরোনামের সাথে মূল লেখার কোন মিল নেই - আমাদের গোটা সিস্টেমটাই যেখানে ত্রুটিপুর্ন সেখানে মাদ্রাসা শিক্ষা ত্রুটিমুক্ত হবে কিংবা হতে পারে এটা ধারণা ভূল।
দেশে এতগুলো আালিয়া ও কওমী মাদ্রাসা যুগ যুগ ধরে চলছে তাদের সংস্কার ও যুগোপযোগী না করে শুধু স্বকৃীতি দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
একটা কথা মনে রাখা দরকার ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন ছাড়া কোন শিক্ষাই উদার মূল্যবোধ ও সুস্থ মানসিকতা সম্পন্ন মানুষ গড়ে তুলতে পারে না।
আমাদের রেগীর জন্য যেমন ডাক্তার প্রয়োজন, তেমনি রোগাক্রান্ত পার্থিব প্রয়োজনে দরকার একজন ভালো উস্তাদ যিনি তালিম দিবেন দ্বীনি শিক্ষা।
Surat Al-Roum: “Devote thyself single-mindedly to the faith, and thus follow the nature designed by Allah, the nature according to which He has fashioned mankind; there is no altering the creation of Allah.” [30:30]
কাউকে খাটো করে নয় সবার অবস্থান থেকে যেনে মানবিকতার ঝান্ডাটি তুলে ধরি।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি আমার পোস্ট পড়ে বুঝতে পারেননি। আমার পোস্টের শিরোনাম ''মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা একটি ত্রুটিপুর্ন শিক্ষাব্যবস্থা'' এবং কেন ত্রুটিপুর্ন তা ব্যখ্যা করা হয়েছে পোস্টে। অন্যান্য ব্লগাররাও কমেন্টে বাস্তব অভিজ্ঞতার উপড় নির্ভর করে এই শিক্ষাব্যবস্থার ত্রুটিগুলো তুলে ধরেছে। আর ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে কোথাও উপেক্ষা করা হয়নি।তবে ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করার একমাত্র পথ যদি হয় মাদ্রসায় যাওয়া তবে আপনি একটা ভ্রান্তির মাঝে আছেন। পারিবারিকভাবে সবাই সন্তানদের নামাজ , রোজার শিক্ষা দেন । এছাড়া ধর্মীয় শিক্ষা বিতরন করার জন্য মসজিদগুলোতো আছেই। উন্নত দেশগুলোতে ইসলামিক স্কলাররা যথেষ্ঠ গবেষনার মাধ্যমে ইদানিং কোরআন , হাদিসের ব্যখ্যা করছেন । সেগুলো অনুসরন করলে বরং ভাল ধর্মীয় শিক্ষা পাওয়া সম্ভব।
১৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:০৮
সোনালি কাবিন বলেছেন: সহমত
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১১
রাজীব নুর বলেছেন: স্কুল কলেজের শিক্ষা ইহকালের জন্য। মাদরাসার শিক্ষা ইহকাল পরকাল দুই জাহানের জন্য।