নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশি নব্বই দশকের বইমেলা ও আজকের বইমেলা

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১২

নীচের ছবিটি ১৯৮৭ সালের বইমেলার ছবি



নীচের ছবিগুলো এবারের বইমেলার।









নীচের ছবিটি কোলকাতার বইমেলায় বাংলাদেশ স্টলের


কোলকাতায় এবারে আন্তর্জাতিক বইমেলা হয়েছে যেখানে বিভিন্ন দেশের স্টল বসেছিল। মেলা শেষে সেখানে বিভিন্ন ক্যটাগরীতে বিভিন্ন দেশের কবি সাহিত্যিকদের পুরুষ্কৃত করা হয়। বাংলাদেশও একটি পুরুষ্কার পেয়েছে সেটা হচ্ছে মেলার ''সবচেয়ে বড় ও সুন্দর প্যাভিলিয়নের''। এবারের একুশে বইমেলার ছবি দেখেও চমকে গিয়েছি। চিরচেনা সেই বইমেলা এখন আমুল বদলে গেছে। বিভিন্ন প্রকাশনীর চোখধাধানো সব স্টলে এখন ভরপুর বইমেলা। এই ধরনের স্টল বানাতে যে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয় তা বলাই বাহুল্য। যদি সরকারী অনুদান ছাড়াই এইসব জাকজমকপুর্ন স্টল বানানো হয়, তাহলে বলতে হবে যে প্রকাশনী ব্যবসা এখন রমরমা।

এদেশে কবি সাহিত্যিকদের নাম জানতে চেয়ে নেটে সার্চ দিলে যেসব নাম আসে তারা সবাই সত্তর, আশি ও নব্বই দশকের। এদের অনেকের বই আমাদের পাঠ্যপুস্তকে সংযোজিত হয়েছে। আজো সেই জমানার কবি, সাহিত্যিকদের মৃত্যূ হলে শোকের আবহ সৃষ্টি হয় সারা দেশজুড়ে। কারন এইসব নামকরা কবি সাহিত্যিকদের অমর সব সৃষ্টির সাথে আমাদের কমবেশী সবারই পরিচয় আছে। সেই জমানায় ইন্টারনেট ছিল না, শত শত পত্রিকা/ টিভি চ্যনেল ছিল না, আজকের মত এরকম জাকজমকপুর্ন বইমেলাও ছিল না। কিন্ত তারপরেও তাদের প্রতিভা ঠিকই বিকশিত হয়েছে এবং তাদের অমর সব সৃষ্টি মানুষের হ্রদয়ে স্থান নিতে পেরেছে।

বর্তমানে দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, গত দশকে কোন উদীয়মান প্রতিভাবান কবি সাহিত্যিকের আগমন ঘটেনি আমাদের সাহিত্যিক অঙ্গনে। যদিও কবি সাহিত্যিকের কমতি নেই এদেশে।কিন্ত আবুল মনসুর আহমেদ,সৈয়দ মুজতবা আলী,আবুল ফজল ,আসাদ বিন হাফিজ,আবদুল হাই শিকদারআবুল হাসান, আহমদ শরীফ, আহমেদ ছফা, আহসান হাবীব,আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সেলিনা হোসেন, সৈয়দা আনোয়ারা হক ,হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন আহমে্‌দ, জাফর ইকবাল .... দের স্থান নিতে পারছে না আজকের কবি সাহিত্যিকেরা। অথচ প্রতিভাবানদের জন্মতো সব যুগেই হবার কথা। এই যুগেও নিশ্চই হচ্ছে। কিন্ত কেন যেন মনে হচ্ছে হাজারো কবি সাহিত্যিকের ভীরে সম্ভাবনাময়দের গুনের কদর হচ্ছে না। আমাদের গৌরবময় বাংলা সাহিত্যের ঐতিহ্য বজায় রাখতে হলে এই বিষয়ে গবেষনা হওয়া প্রয়োজন। চোখ ধাধানো বই এর স্টলে ভরপুর বইমেলা বা রাশি রাশি কবি সাহিত্যিকদের ভীড় আমাদের সাহিত্যিক অঙ্গনকে সমৃদ্ধ না করে বরং এক গহবরের সৃষ্টি করেছে যেখান থেকে বের হয়ে আসছে না কোন প্রতিভাবান লেখক।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৭

সমাজবিরোধী বলেছেন: দেশে যুগে যুগে কিংবদন্তী আসবে এমন কিছু আশা করাটাই বোকামি। তাই আমি মনে করি শিক্ষিতদের আরো বেশি বেশি করে পড়ালেখা করা উচিত, জ্ঞানের পেছনে ছোটা উচিত

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: পুরানোদের স্থান নতুনদের নিতেই হয়। এটাই জগতের নিয়ম। না নিতে পারলে সেখানে একটা শূন্যতার সৃষ্টি হয়।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: কতদিন পর একটা পোষ্ট দেখলাম আপনার।
পড়ে ভালোই লাগলো।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। আপনাকে অনেকদিন পর ব্লগে দেখলাম।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: লেখক আছে, প্রতিভাও আছে। আমরা তাদের মূলায়ন করতে পারছি না/বের করে আনতে পারছি না।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত। এ কারনেই কেন মূল্যায়ন হচ্ছে না, সেটা নিয়ে বিস্তর আলোচনার প্রয়োজন আছে।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কলিকাতায় বাংলাদেশ পুরস্কার পেয়েছে "সুন্দর ষ্টলের" জন্য?

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রথম আলোয় এসেছিল খবরটা। পড়েননি ?

৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় ঢাবিয়ানভাই ,

বইমেলার একাল-সেকাল দেখে বেশ ভালো লাগলো । তবে লেখাগুলি পড়তে গিয়ে একটু হোঁচট খেলাম । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ূন আহমেদের মতো কিংবদন্তি সাহিত্যিকরা জীবদ্দশায় সুনাম অর্জন করতে পারলেও সবার ভাগ্যে সে সুযোগ আসেনি। বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রেও বহু বিজ্ঞানী নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। আমিদি আভাগাদ্র তিনি যে অ্যাভোগাড্রো প্রকল্পের জনক এই শিরোপাটা তিনি মৃত্যুর পর পেয়েছিলেন। ভ্যান গর্গ যে সান ফ্লাওয়ার তৈরি করেছিলেন, শিল্পীর অনাহারে মৃত্যু হয়েছিল। অথচ মৃত্যুর পর সানফ্লাওয়ার রেকর্ড পরিমাণ দাম পাওয়াতে গিনিজ বুকে নাম তুলেছিল। অর্থাৎ বলার উদ্দেশ্য যে বিজ্ঞান গবেষণা ওজন থেমে নেই তেমনি শিল্প-সংস্কৃতির থেমে নেই। সাধারণত জীবদ্দশায় যে মূল্যায়ন মেলে না মৃত্যুর পর মানুষ বহু ক্ষেত্রে তাদের সেই স্বীকৃতি দেয়। কে বলতে পারে যে আপনার চারপাশে যে সমস্ত মানুষ গুলো আছে আগামী 15 কুড়ি বছর পর তারা শিল্প সাহিত্যের ক্ষেত্রে একটি অবদান সাক্ষ্য বহন করবেন না ।


শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: পদাতিকদা, আপনাদের ওপারে পুজা বার্ষিকি ও লিটল ম্যগাজিনগুলো অনেক সম্ভাবনাময় লেখকের জন্ম দিচ্ছে নিয়মিত, যাদের অনেকেই সময়ের সাথে জায়গা নেবে সুনীল, সমরেশদের। আমাদের দেশে দুর্ভাগ্যজনকভাবে গত এক দশকে সেরকম সম্ভবনাময় লেখকদের নাম উঠে আসেনি। এর দায় কার তা গবেষনা হওয়া প্রয়োজন। মৃত্যূর পর জনপ্রিয় হবার ব্যপারটা আসলে খুব রেয়ার।

৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল বিষয়ের অবতারণা ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনারা যারা লেখালেখির জগতে আছেন, তাদেরই বেশি করে সরব হওয়া প্রয়োজন। গুনের কদর করার পরিবেশ তৈরীর প্রয়োজন যার দ্বায়িত্ব নিতে হবে এই দেশের সাহিত্যিক অঙ্গনকে।

৭| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়,


ড. শ্রীকুমার বন্দোপাধ্যায় ১৯৫৯ সালে "বাংলা সাহিত্যের বিকাশের ধারা; আধুনিক যুগ" নামক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এবং এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হয়। মজার বিষয় হচ্ছে, ওই সময়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রধান বইগুলো অর্থাৎ দেশে দেশে, পঞ্চতন্ত্র, চাচা কাহিনী, ময়ূরকণ্ঠী ইত্যাদি প্রকাশ পেয়েগেছিল। কিন্তু তারপরও ডক্টর শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় তার বইয়ে বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুজতবা আলীর অবদানের কথা উল্লেখ করেননি, শুধু সৈয়দ মুজতবা আলী নয় বাঙলা সাহিত্য রেখে যাওয়া আরো অনেকের অবদান উনি এড়িয়ে গেছেন।
হয়তো আপনিও তেমন ;) , বর্তমান সময়ের সুসাহিত্যিকদের দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি এড়িয়ে যাচ্ছেন এটা আমি কখনো বলবো না।

অনেক অনেক ধন্যবাদ; সুন্দর একটি বিষয় আলোচনা করার জন্য

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি একজন অতি সাধারন পাঠক। আমি এড়িয়ে যাবার মত বিশিষ্ট কেউ নই।

৮| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

ফেনা বলেছেন: পড়ে মূল্যায়ন করা মত মানুষের যথেষ্ট অভাব আছে। নতুনদের লেখা পড়ুন তাদের উতসাহ দিন। দেখবেন একনদিন সঠিক প্রতিভাবান মানুষটি সবার সামনে হাজির হচ্ছেন।

ভাল থাকবেন সতত।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: এখনকার জমানা হচ্ছে ' 'লিখুন, বইমেলায় বই বের করুন।এরপর ফেসবুকে বই এর স্টলে দাঁড়িয়ে অটোগ্রাফ দেয়ার কিছু ছবি পোস্ট করুন। আর পাঠকের দ্বায়িত্ব হচ্ছে দারুনভাবে সেজেগুজে বইমেলায় বেড়াতে যান, এরপর বইমেলার বিভিন্ন প্রান্তে দারিয়ে সেলফি খিচুন, কিছু বই কিনুন এবং বইসহ আরো কিছু ছবি পোস্ট করুন''। সেই সাথে আরেকটি ব্যপার যোগ হয়েছে যেটা হচ্ছে ''লেখকেরা নিজেরাই একে অপরকে বাহবা দিচ্ছে''।

এভাবে কি আর সাহিত্যের মূল্যায়ন হয়? সাহিত্য মূল্যায়নের দ্বায়িত্ব বাংলা একাডেমী , পত্র পত্রিকা ও সাহিত্যিক অঙ্গনের। তারা দ্বায়িত্ব নিচ্ছে না বলেই সম্ভবনাময় লেখকেরা সাহিত্যিক অঙ্গনে জায়গা তৈরী করতে পারছে না।

৯| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি শুধু দেখি। দেখে যাই।
আর বুঝতে চেষ্টা করি।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: এটা খুবই ভাল একটা গুন।

১০| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৫১

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



এখনকার জমানা হচ্ছে ' 'লিখুন, বইমেলায় বই বের করুন।এরপর ফেসবুকে বই এর স্টলে দাঁড়িয়ে অটোগ্রাফ দেয়ার কিছু ছবি পোস্ট করুন। আর পাঠকের দ্বায়িত্ব হচ্ছে দারুনভাবে সেজেগুজে বইমেলায় বেড়াতে যান, এরপর বইমেলার বিভিন্ন প্রান্তে দারিয়ে সেলফি খিচুন, কিছু বই কিনুন এবং বইসহ আরো কিছু ছবি পোস্ট করুন''। সেই সাথে আরেকটি ব্যপার যোগ হয়েছে যেটা হচ্ছে ''লেখকেরা নিজেরাই একে অপরকে বাহবা দিচ্ছে''।

এভাবে কি আর সাহিত্যের মূল্যায়ন হয়? সাহিত্য মূল্যায়নের দ্বায়িত্ব বাংলা একাডেমী , পত্র পত্রিকা ও সাহিত্যিক অঙ্গনের। তারা দ্বায়িত্ব নিচ্ছে না বলেই সম্ভবনাময় লেখকেরা সাহিত্যিক অঙ্গনে জায়গা তৈরী করতে পারছে না।


আপনার এই প্রতিমন্তব্যের বিষয়গুলি এখন বেশ দেখচ্ছি। এটার অবশ্য একটা ভাল গুন আছে, তবে আমাদের সাহিত্য সমৃদ্ধি করতে হলে অবশ্য পত্র-পত্রিকাগুলোর আরো বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। সাহিত্য পাতার জন্য ভাল মানের একজন ব্যাক্তি নিয়োগ দিতে হবে তবেই না তিনি মান-সম্মত লেখা প্রকাশ করবে। অনেক বিষয় আছে, আসলে আমাদের সমাজে পচঁন ধরেছে, ধীরে ধীরে সব প্রতিষ্টান শুধু ইনকামের ধান্দায় জড়িয়ে যাচ্ছে, সৃজনশীল বিষয় এখন তাদের কাছে মূল্যহীন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। ওপার বাংলাতেই দেখুন। তাদের ''দেশ, আনন্দবাজার, সানন্দা'' ইত্যাদি ম্যগাজিনগুলো প্রতিনিয়ত সম্ভাবনাময় লেখকদের লেখা ছাপিয়ে সাহিত্যিকঅঙ্গনে তাদের সুযোগ করে দেয়। এদের মাঝ থেকেই প্রতিভাবান লেখকেরা একটা সময়ে পাঠকহ্রদয়ে পাকাপাকি আসন গেড়ে নেয়।

আমাদের দেশেও একটা সময়ে এই ট্রেন্ড চালু ছিল। এখনতো সাহিত্য পাতাই দেখি না কোন পত্রিকায়। ছাপানো ম্যাগাজিনই বা কোথায়? আপনি ঠিকই বলেছেন যে '' আসলে আমাদের সমাজে পচঁন ধরেছে, ধীরে ধীরে সব প্রতিষ্টান শুধু ইনকামের ধান্দায় জড়িয়ে যাচ্ছে, সৃজনশীল বিষয় এখন তাদের কাছে মূল্যহীন।''

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৩০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী লেখা। সাধুবাদ জানাই সামনে নিয়ে আসার জন্যে। এখানে যারা পত্রপত্রিকার সাথে জড়িত, তারা কি কিছুটা স্বেচ্ছায় উদ্যোগ নিতে পারেন না সাহিত্যপাতাগুলো আবার চালু করতে? আর বাংলা একাডেমি আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মত সংগঠনেরও দ্বায়িত্ব নেবার সময় এসেছে এই ক্রান্তিকালে। তারা কি প্রতি বইমেলার আগে ভালো লেখার আহবান জানিয়ে প্রচার করতে পারেন না? শ্রেষ্ঠ লেখাগুলো দিয়ে নির্বাচিত গল্প, কবিতার সংকলন এমন কি উপন্যাসও বের করা যায়। সেগুলো বাছাইয়ের জন্যে দেশ বরেন্য কবি, সাহিত্যিকদের দ্বারস্থ হওয়া যেতে পারে। এতে করে যথাযথ জহুরি দিয়ে হীরা, মানিক যাচাই হবে। আমার ছোট, নারিকেল আকৃতির মাথায় আপাতত এই সমাধান ছাড়া আর কিছু খেলছে না। ছোট মুখে বড় কথার জন্যে আগাম ক্ষমাপ্রার্থী। ধন্যবাদ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলা একাডেমী যে তাদের দ্বায়িত্ব ঠিক মত পালন করছে না, তাতো পরিষ্কার। নাহলেতো আজকের এই পরিস্থিতি তৈরী হতে পারতো না। আর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল্লাহ আবু সাইদ স্যার এখন বৃ্দ্ধ হয়ে পড়েছেন। আলোকিত মানুষ চাই - শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই সংগঠনটির '' বই পড়া ও সৎ চিন্তা বিকাশ ঘটানোর'' দ্বায়িত্ব এখন কারা পালন করছে তাও জানা নেই।

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩২

বলেছেন: সময়োপযোগী লেখা, আসলেই ভালো কবি সাহিত্যিক বের হয়ে আসছেন না এটা খুবই দুঃখজনক।


১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য। আপনারা যারা লেখালেখির জগতে আছেন, তাদেরকেই দ্বায়িত্ব নিতে হবে এই ব্যপারে। পাঠকের আসলে এখানে করনীয় কিছু নাই।

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৬

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
শুভ সকাল প্রিয় ঢাবিয়ানভাই,

এবারে কলকাতা বইমেলার বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন





আপনি সম্ভবত নেট থেকে ছবিটি নিয়েছেন যেটি এবারের নয় ।



১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পদাতিকদা আসল ছবিটা দেবার জন্য। নেট থেকে ভুল ছবি আপ্লোড করেছি।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: প্রখ্যাত্য লেখিকা নাসরিন জাহান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন -
গল্পপাঠ : তরুণ প্রজন্মকে ‘লেখক’ হতে হলে কোন বিষয়টিতে তাদের খুব বেশী মনযোগী হতে হবে বলে আপনি মনে করেন?

নাসরীন জাহান : বইমেলায় এখন সারাদিন ‘বই উন্মোচন’ হয় আর টেলিভিশনে দেখানো হয়। এদের অনেক বই-ই যাচ্ছে তাই। আমরা প্রচুর কষ্ট করে লেখা ছাপাতাম। সাহিত্য পাতায় লেখা ছাপতাম। এসব তরুণ প্রজন্মকে জানাই। সবসময় বলি, পত্রপত্রিকায় দিয়ে লেখাটা পরিচিত করো আগে সাহিত্য মহলে। আমরা কিন্তু অনেক জুনিয়র অবস্থায় আনিসুজ্জামান এবং আরো অনেকের কাছে যেতাম। জানতে চাইতাম লেখা কিছু হলো কিনা। তখন লেখকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করতেন। এখন তারা করে কিনা জানিনা।

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০১

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




আমি একজন সাধারন পাঠকের দৃষ্টিকোন থেকে বলছি, আজকাল দু কলম লিখতে পারলেই তিনি বই বের করে ফেলছেন । অথচ যে মানুষ টা পড়াশুনা করে অনেক কষ্ট করে একটা বই নিয়ে গবেষনা করে বই লিখছেন সে তার সঠিক মুল্যায়ন পাচ্ছে না । অন্যদিক লোকজন সৌজন্য কপির জন্য দৌড়াদৌড়ি করে ।

আর বাংলা সাহিত্যের জন্য এখন সত্যি একটা শুন্য স্থান চলছে বা আসবে । এখনও সেভাবে কেউই কিন্তু তার নিজের অবস্থান বাংলা সাহিত্যের দিকে নিয়ে আসতে পারেনি । কারন আমার মনে হয় তারা অন্য দিকে ব্যস্ত ।

লেখকদের চেয়ে পাঠকদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে তারা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে । যে বাংলা সাহিত্যের জন্য অশনি সংকেত ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর কমেন্টের জন্য। সাহিত্যকে এখন পন্য বানিয়ে ফেলা হয়েছে। বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে এখন চলছে এই পন্যের প্রসার। পন্যের মেয়াদ যেমন হয় অতি স্বল্প , এখনকার এই সাহিত্যের স্বায়ীত্বকালও অতি স্বল্প।

একজন লেখক হয়ে ওঠার যে ধাপগুলো আগের প্রজন্মের সাহিত্যিকেরা অনুসরন করতেন তা এখন পুরোপুরি অনুপস্থিত। এর দায় এককভাবে শুধু নবীন লেখকদের নয় , সাহিত্যিক অঙ্গনেরও। বাংলা একাডেমী, পত্র পত্রিকা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভাষা ও সাহিত্য ইন্সটিইউট কেউই তাদের দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না বলেই তৈরী হয়েছে আজকের এই পরিস্থিতি।

আপনি লিখেছেন যে ''লেখকদের চেয়ে পাঠকদের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। তারা সাহিত্যের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে যা বাংলা সাহিত্যের জন্য অশনি সংকেত''। পুরোপুরি একমত।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটার ব্যাখ্যা দেয়া কঠিন। পুরোনোর একটা লেভেল সেট করে গিয়েছেন। সেটা কেউ অতিক্রম করতে পারছে কিনা সেটাও জানা যায় না। আবার সুশীল এবং মিডিয়ারা এখনো ১০০ বছর আগের রবীন্দ্রনাথ নিয়ে পড়ে আছেন। যদিও অনেকে বলবেন, রবীন্দ্রনাথ এখনও সমসাময়িক। একটু ভিন্ন রকম করে রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইলেই সুশীলদের হায় হায় রব পড়ে যায়।
আবার এমনও হতে পারে আমরা নতুন কিছু গ্রহণ করতে রাজি নই। যে কারণে, ব্যান্ড সঙ্গীতে এখনও এলআরবি, মাইলস, নগর বাউল প্রথম সারির।
আর হুমায়ুন আহমেদ ছাড়া সাধারণ পাঠকদের মধ্যে আর কোন লেখক প্রিয় নন। হুমায়ুন আহমেদ যে নিম্নবিত্ত পরিবেশে থেকে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন, সে অভিজ্ঞতাও বর্তমান লেখকদের নেই বা হবে না। তাই আরেকজন হুমায়ুন আহমেদ পাওয়াটাও কঠিন...

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আরেকজন ''হুমায়ুন''পাওয়ার প্রশ্ন উঠছে কেন? প্রতিটি লেখকই পুরোপুরি ভিন্ন সত্ত্বা। প্রত্যকের সৃষ্টিই হতে হয় ''ইউনিক''। হুময়ুন আহমেদদের তিন ভাইকেই দেখুন। হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল, আহসান হাবীব প্রত্যেকেই একে অপরের চেয়ে পুরোপুরি আলাদা। এখানেই তাদের স্বকীয়তা ,স্বার্থকতা ও সফলতা।

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কোন জিনিসের কোয়ান্টিটি বাড়িলে কোয়ালিটি কমিয়া যায়। আগে লেখক-কবির সংখ্যা ছিল হাতে গোনা ! এখন কাক আর লেখক-কবির সংখ্যা সমান বিধায় কোয়ালিটি জিপিএ পাইপের সমান হইয়া গিয়াছে ! :D

আবালেরা আগে কলম ধরারই সাহস পাইতো না ! তাহার পর নতুন সূত্র আবিষ্কার হইলো , গাইতে গাইতে গায়েন হইলে লিখতে লিখতে লেখক হইবে না কেন ! তাই আবালেরা লিখতে লিখতে প্রাপ্তবয়স্ক হইতে চেষ্টা করিল ! বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধ হইলেও বাল্য প্রেম, বাল্য যৌনতা প্রসিদ্ধ হওয়ার মতন বাল্য প্রকাশনাও প্রসিদ্ধ হইয়া গিয়াছে বিধায় জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মতন প্রকাশনার বিস্ফোরণ ঘটিতেছে ! উহারা প্রয়োজনে কলমের আগায় কন্ডোম পড়াইতে জানে না ! :(

অপরদিকে পরিবেশ দূষণের কারণে প্রাপ্তবয়স্ক হইবার সময় বাড়িয়া গিয়াছে। আগের লেখক-কবিদের জীবন ঘনিষ্ঠ অভিজ্ঞতা ছিল। এখনকার ব্রয়লার প্রজন্মের তাহা নাই বিধায় পুতু পুতু প্রেম কাহিনী, চুলকানীমূলক লেখনী বা কায়কাউসের পোলার মতন গুপ্ত লেখনীও পুরস্কার পাইতেছে ! X((

আবার যেহেতু জীবন যন্ত্রণার কারণে কেহ ভার্জিন থাকিতে পারিতেছেনা, তাই টারজানের ;) (!) মতন নো-বেল লরিয়েটরাও লিখিবার ফুসরত পাইতেছে না ! একারণে কেজি দরে বিক্রয়যোগ্য প্রকাশনার লেখক- কবিরাই শূন্যস্থান পূরণ করিতেছে !

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: টারজানের ;) (!) মতন নো-বেল লরিয়েটরাও লিখিবার ফুসরত পাইতেছে না ! একারণে কেজি দরে বিক্রয়যোগ্য প্রকাশনার লেখক- কবিরাই শূন্যস্থান পূরণ করিতেছে ।:) :):)

১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৩

অগ্নি সারথি বলেছেন: বাহ! সবকিছু কেমন জানি কমার্শিয়াল হয়ে যাচ্ছে। স্টল থেকে শুরু করে লেখক এমনকি পাঠক পর্যন্ত। এবারের বই মেলায় আমার উপলব্ধিটা ছিল, আপনি যদি আপনার বইয়ের ভালো কাটতি চান তবে লেখক হবার আগে আপনার অনলাইন সেলিব্রেটি হওয়া জরুরী!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.