নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দুই টাকার হালুয়া রুটির জন্য নিজের আত্মা বিক্রি নাই বা করি!!

২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৪৭



আমি কখনই কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দেইনি বা কখনই কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থনে কিছু করিনি। কারন আমি “আই হেইট পলিটিক্স” এর দলে। আমি একজন পুরোপুরি বাংলাদেশী। দেশের পতাকা হাতে অনেকবারই দেশকে রিপ্রেজেন্ট করেছি। আমার দেশ আমার ভালোবাসা। কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলো গেলো তা নিয়ে কখনই চিন্তিত না, শুধু দেখতে চাই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের মাঝে গর্বভরে নিজের দেশের পতাকা যেন তুলে ধরতে পারি।

কিন্তু আমি জীবনভর যেটা করেছি তা হলো কালোকে কালো বলেছি, সাদাকে সাদা। দীর্ঘ বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বাইরে যেকোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি দাঁড়িয়েছি এবং এখনো দাঁড়াই। হলের সূর্যাস্ত আইনের বিরুদ্ধে, নেতাদের হস্তক্ষেপে সিট বন্টনে বৈসম্য অথবা ডাইনিং এর খাবারের মান নিয়ে আন্দোলনে কিংবা শাহবাগ আন্দোলন সবসময়ই আমি সোচ্চার ছিলাম।

গতবার যখন দেশে গেলাম চারপাশের দেশের উন্নতি দেখে অসম্ভব ভালো লেগেছিল ও সেটা নিয়ে একটা লিখাও লিখেছিলাম। জ্বালাও পোড়াও এর রাজনীতি থেকে বের হয়ে দেশে স্থিতিশীল রাজনীতির দিকে হাঁটছে, এটাইতো চেয়েছিলাম সারাটা জীবন।

আমাদের দেশের দূর্নীতি প্রায় জগৎ বিখ্যাত। সবসময়ই কিছু না কিছু ছিল। তাই ভাবছিলাম দেশ যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে সামান্য দূর্নীতির প্যারা না হয় সহ্য করি। কিন্তু দূর্নীতির এ প্যারার কিছু নমুনা দেখে মারাত্বক ধাক্কা খেলাম। দেখলাম এক পুলিশের আইজি হাজার কোটি টাকার মালিক, একজন কাস্টমস্ কর্মকর্তা শত কোটির মালিক, প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন চারশ কোটির মালিক। নিজেকে প্রশ্ন করলাম তাহলে বাকি মন্ত্রী মিনিস্টার, এমপি, ছাত্র নেতারা কত কোটির মালিক? এর মাঝেই খবর আসলো বিসিএস ড্রাইভার চক্র প্রশ্নপত্র ফাঁস করে কোটি টাকার মালিক। আরে দেশেতো দেখি কোটিপতির অভাব নেই।

এত কোটিপতির খবরের মাঝে কোটা আন্দোলন আবার সামনে আসলো। কারন যা বাতিল করেছিলো ২০১৮ তে তা আবারো ফিরিয়ে আনলো। তাই ছোট ছোট বাচ্চাগুলো কোটা বরাদ্দ বাতিলের দাবীতে মাঠে নামলো। ছোট বাচ্চা বল্লাম কারন ঠিক এ বয়সী আমারো একটি ছেলে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। আর একজন মায়ের কাছে সব সময়ই সন্তানই ছোট বাচ্চা।

ভাবতে বসলাম, এ বাচ্চাগুলো কেন এরকম স্বতস্ফূর্তভাবে মাঠে নামলো কোটা বরাদ্দ বাতিলের দাবীতে? কি এমন বিষয়?? চাকরী পাবে তার ঠিক নাই কিন্তু তা নিয়ে এমন হৈচৈ। উত্তরটা খুঁজতে লাগলাম ও পেয়েও গেলাম। এই যেমন;

স্বাধীনতার পরবর্তীতে দেশে চাকরীর বাজার বলতে গেলে তেমন করে তৈরী হয়নি। লাখ লাখ ছেলে-মেয়ে ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে পাস করে বেকার। প্রচন্ড হতাশাগ্রস্থ তারা। তাইতো দেশে একমাত্র নির্ভরযোগ্য চাকরী এখন সরকারী চাকরী। আর সেখানে কোটা আর দূর্নীতির জন্য সে সামান্য চাকরীও তাদের ভাগ্যে জুটছে না।

এদিকে চারপাশে কোটিপতিদের ছড়াছড়ি রাস্তায় লেটেস্ট মডেলের গাড়ি, হাতে আইফোন ১৫ নিয়ে ঘুরে কিন্তু সাধারন মানুষগুলো সামান্য চাল ডালের হিসেব কষতে কষতে দিশেহারা। ঘরে ভাত নেই, সন্তানের চাকরী নেই, চিকিৎসা নেই, শীতে কাপড় নেই।

এমন অবস্থায় যারা পারছে দেশ ছাড়ছে কিন্তু যারা পারছে না তারা মরিয়া হয়ে গেছে। আর দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় তখন কি করছে বা করবে তার হিসাব কষা কঠিন। তাইতো এ ছেলেগুলো মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছিল।

এখন আমার প্রশ্ন;

এ ছেলেগুলোর সাথে একটু ঠান্ডা মাথায় কথা বলে একটা সমাধানে কি আসা যেত না? এমনতো কোন কঠিন দাবী তাদের ছিল না।
মাঠে গুন্ডা নামিয়ে, পুলিশ আর্মি দিয়ে তাদেরকে থামানোর চিন্তা কেন আসলো?
তারা আমার দেশের শক্তি, দেশের সম্পদ তাদের বিরুদ্ধে বন্দুক ট্যাংক নিয়ে কেন মাঠে নামতে হলো, কেন তাদেরকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করা হলো?

সঠিক উত্তরটা হয়তো আমরা জানি না কিন্তু অনুমান করতে পারি। তবে আবারো প্রশ্ন, এর পর কি হবে? কিছু মরেছে আর বাকি বাচ্চাগুলো মার খেয়ে ঘরে ফিরে গেছে। এভাবে গলা টিপে কতদিন পর্যন্ত সবার মুখ বন্ধ রাখা যাবে?

তবে অবাক হয়েছি কিছু মানুষের নির্লিপ্তটা দেখে বা এতগুলো মৃত্যুকে স্বাভাবিক ধরে নেয়াকে, প্রতিবাদ না করে উল্টো উপহাস করাকে। আরো একপক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে প্রতিবাদকারীদের থ্রেট দিতে। নির্বিচারে হত্যাকে বৈধতা দিতে। এতো ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে হত্যা নিয়ে তাদের দু:খবোধ নেই।

সামান্য হালুয়া রুটির ভাগের জন্য নিজের আত্মাকে বিক্রি করতে আপনাদের লজ্জা লাগে না???? ধিক্ আপনাদের।

একটাই প্রশ্ন তাদের কাছে আমার, সাঈদের মৃত্যুর ভিডিও টা দেখেছেন কি?
একবারও কি আপনাদের বুক কাঁপেনি তার মৃত্যুতে?
মায়ের কান্না কি একটি বারও আপনাকে বিচলিত করেনি?
নিজের সন্তানকে একবার সাঈদের জায়গায় দাঁড় করিয়ে ভাবুন!!!!! আপনি কি মানুষ??

আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে এ বাচ্চাগুলোর জন্য। হে দেশ, তোমার কাছে আমি আর ফিরে যাবো না। ভালো থাকো আমাকে ছাড়া।

সোহানী
জুলাই ২০২৪

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:২৫

মেঠোপথ২৩ বলেছেন:

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

সোহানী বলেছেন: না, আমি খুনীদের মানুষ বলতে রাজি না। হাত পা মাথা আর হাতে অস্ত্র থাকলেই তারা মানুষ হতে পারে না। মানুষ হতে হলে বিবেক লাগে।

২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩২

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু, অসাধারন এই পোস্টের জন্য। আওয়ামি সুবিধাভোগীরা আন্দলোনকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলবেই। তবে এখন জাতির শীড়দাড়ার পরীক্ষা । যারা এই চরম জুলুমের দিনে নির্লিপ্ত বা চুপ করে আছে ,তাদের আর আওয়ামী সুবিধাভোগীদের মাঝে কোন পার্থক্য দেখি না। এতগুলো তরতাজা তরুনের রক্ত বৃথা যাবে যদি আমরা শীড়দাড়ার পরীক্ষায় অনুর্তীন হই।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৩

সোহানী বলেছেন: কেউ ভয়ে আর বাকিরা ভবিষ্যত লাভের আশায় বিবেককে বন্ধক রেখেছে।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: সরকারের এক শীর্ষ স্থানীয় নেতা বলছে যারা বন্দুকের সামনে বুক পেতে ছিল তারা নাকি নেশা গ্রস্থ ছিল! কিছু মানুষ উঠে পরে এগুলোকে ডিফেন্ড করছে! তবে আশার কথা এরা সত্যিই মাইনোরিটি! সব কিছুই আর্কাইভ হিসেবে থেকে যাবে!

এতগুলো লাশ পরেছে, সরাসরি সুবিধাভোগি ছাড়া সবার মনেই এবার দাগ কেটেছে, সামাজে এর বিরুপ এক প্রতিক্রিয়া পরবে!

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৬

সোহানী বলেছেন: "এতগুলো লাশ পরেছে, সরাসরি সুবিধাভোগি ছাড়া সবার মনেই এবার দাগ কেটেছে"।

আমি দেশের বাইরে থেকেও দেখছি, সুবিধাভোগীদের চামচামী। তারা ধন্যবাদ জানাচ্ছে এরকম হিংস্রতার জন্য। .......... হায়রে মানুষ, কি ভয়ংকর তাদের মানসিকতা।

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: অধিকার নিয়ে যখন কথা বলি তখনি সেটা রাজনীতি।প্রতিটা মানুষ রাজনৈতিক জীব।জন্মের পরে চিৎকার করে আমারা অধিকারের কথা জানান দেই।আমাকে খেতে দাও।শিশুদের ভিডিও দেখবেন,কি করে সে তার অধিকার পেতে চায়।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৭

সোহানী বলেছেন: অধিকার নিয়ে কথা বললেই সেটা রাজনীতি কখনই হতে পারে না। আপনার ধারনা বা জানা বা বিশ্বাসে বিশাল ভুল আছে। প্রথম থেকে আবার পড়ুন প্লিজ।

৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী বলবো। বলার ভাষা হারিয়ে গেছে আপু। :(

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৮

সোহানী বলেছেন: আমরা বাইরে থেকেও শকিং এর মাঝে গেছি।

৬| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮

রবিন.হুড বলেছেন: এই সমস্যা সমাধানের উপায় কি? সরকারকে কিভাবে নিচের ভালো কাজগুলো করতে বাধ্য করা যায়?
* গুণগত শিক্ষার মান বৃদ্ধি করে সকলের মাঝে সু শিক্ষা বিতরণ করা।
* দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা ।
* চোর, বাটপার ও দূর্ণীতিবাজদের শক্তহাতে দমন করতে হবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৯

সোহানী বলেছেন: স্বয়ং রবিনহুড এসেও এ কাজগুলো কতে পারবে না।

৭| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সীমাহীন দূর্ণীতিসহ বেশ কিছু বিষয় জনগনের সামনে চলে আসায় সরকার মনোযোগকে ডাইভার্ট করার জন্য এই আন্দোলন শুরুর ইন্ধন দিয়েছিল। বুঝতে পারে নাই, এটা এইভাবে বুমেরাং হয়ে যাবে।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৩৯

সোহানী বলেছেন: এরকম দূর্ণীতির খবরতো ডালভাত। তার জন্য বাচ্চাগুলোর প্রান নিবে?

৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কাছের-মানুষ ও ভুয়া মফিজ এর কমেন্টর সংগে সহমত।

২৫ শে জুলাই, ২০২৪ ভোর ৪:৪০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৯| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২০

নতুন বলেছেন: দেশে হালুয়া রুটির কাছে মানুষের জীবন কিছু না। :(

অবশ্য বিদেশে যারা ভালো কর্পরেট জবে আছে সেইসব অন্ধভক্তের কাছেও ২০০ মানুষের জীবন কিছুনা। তারা কান্না করছেন দেশের কতকোটি টাকা ক্ষতি হলো সেটা নিয়ে।

কিন্তু ঘটনা যেটা ঘটবে সামনে সেটা হলো, এই ক্ষতি ঠিক করতে কোটি কোটি টাকার টেন্ডার হবে, এবং এই কাজগুলি আয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাই করবে তাদেরই লাভ হলো দূনিতি করতে। ;)

আর কেন এমনটা হলো? কেন জনগন আয়ামীলীগের প্রপাগান্ডায় বিশ্বাস করছে?

দেশের জনগনের আইকিউ লেভেল বিশ্বের নিচের দিকে। ৭৬ তাই তাদের মেনুপুলেট করা সহজ। চেতনা বিক্রি করেই আয়ামীলীগ এতোদুর এসেছে।

যেই নেতাকর্মীরা কোটি কোটি দূনিতি করছে তারা কে " আমি কে রাজাকার" স্লোগান দিলো কেয়ার করে??? =p~ =p~ =p~ =p~

তাদের ভেতরে দেশপ্রেম থাকলে তারা দূনিতি কতো না। একজন দেশপ্রমিক নেতা ছাত্রদের বলতে পারে, তোমরা কখনোই স্লোগানে রাজাকার শব্দটাই ব্যবহার করতে পারো না।
এমন ১ টা নেতা আছে আয়ামীলিগে যে দূনিতি করো টাকা কামায় নাই?

আরেকট টা জিনিস হইলো কেন পুলিশ, ছাত্রলীগ এতোগুলি মানুষ মারলো????

সমাজে ১% সাইকোপ্যাথ, ৪% সোসিওপ্যাথ থাকাটা সাভাবিক। এখন ২০ কোটি মানুষের দেশে ২০ লক্ষের বেশি মানুষই আবেগহীন, হিংস্র থাকা সাভাবিক।

এই মানুষগুলি গত ১৫ বছরে আয়ামী রাজতিনির সাথে যুক্তি হয়েছে কারন নেতারা হিংসতার পক্ষে সাফাই গেয়েছে।

বন্দুক যার হাতে গুলিটা বুকে না ফাকা করবে সেটি সিদ্ধান্ত তার হাতে। পুলিশের বর্তমানের বুকে গুলি করার পক্ষে মানুষের সংখ্যা বেশি।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: দেশের হিসেব এখন খুব সহজ। এক পক্ষ বিবেকহীন আর আরেক পক্ষ বিবেকবান। বিবেকহীন হালুয়া রুটি খাওয়া নিয়ে ব্যাস্ত আর তা নিশ্চিন্ত করতে এরকম খুন হত্যা কোন ঘটনাই না। কোটির নীচে তাদের সংখ্যা নেই। আরেকপক্ষ বিবেক নিয়ে ধুকে মরছে না হয় গুলি খেয়ে মরছে।........... মাঝামাঝি কিছু নেই।

১০| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:




এই দেশ ছেড়ে কোন ভালো যেতে পারা অবশ্যই অনেক ভাগ্যের একটি ব্যাপার।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৩৬

সোহানী বলেছেন: আপনার আসার কি খবর?

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:৩৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



এই দেশ ছেড়ে কোন ভালো দেশে চলে যেতে পারা অবশ্যই অনেক ভাগ্যের একটি ব্যাপার।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: আশা করি ভালো আছেন।

১২| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ২:২৩

শায়মা বলেছেন: এই কথা সত্যি আমাদের দেশের রাস্তা ঘাট মেট্রো রেল,এলিভেটর এক্সপ্রেস, ব্যবসায়ীদের উন্নতি এসব অবশ্যই অনেক অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।


তবে ছাত্রদের এই নিউ জেনারেশনের সাথে কথা বলা, তাদের মনস্তত্ব বুঝে সামনে আগানো এসব নিয়ে আমাদের টিচারদেরকে যেমন ট্রেইনিং দেওয়া হয়। রাজনৈতিক লোকজনদেরকেও সেই টাইপ ট্রেনিং দেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি।

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৩৮

সোহানী বলেছেন: দেয়ালে পিঠ ঠেকা বলে একটি বিষয় আছে। দেশে ছাত্রদের এই নিউ জেনারেশনের তাই ঘটেছে।

১৩| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত নই। এটা সত্য সঠিক সময়ে সরকার সঠিক সিধান্ত নিতে ব্যার্থ হয়েছে তার ফল তারা হাতেনাতে পেয়েছে। ছাত্ররা তাদের দাবী কে যৌক্তিক প্রমান করে সফল হয়েছে তাদের অভিনন্দন কিন্তু ছাত্র সমাজের আন্দলন কে পুজী করে কিছু অসভ্য জানোয়ার যে সারা দেশের মানুষ কে জিম্মি করে রেখেছিলো! কেনো? এই আন্দলন মোটেও সরকার হটাও আন্দলন ছিলো না৷ এটাকে ছাত্রদের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কিছু স্বার্থনোষী মহল নিজেদের আখের গুছানোর জন্য জ্বালাও পোড়াও করলো এর কি বিচার হতে পারে। এই দেশের মানুষ খেয়ে না খেয়ে থাকে কই তাদের অভিযোগ নিয়ে তাদের জীবনমান উন্নয়নের বার্তা নিয়ে সেই সব মহল একদিন আধা বেলার জন্যও পথে নামলো না। কেনো?

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৪০

সোহানী বলেছেন: এসব মহল টহলের কথা আমার জানা নেই বা জানার কোন ইচ্ছেও নেই।

আমি সাঈদের মৃত্যু দেখেছি। এটাই বড় সত্য। একটা ছাত্রের বুকেও কেন গুলি চলবে একটা গণতান্ত্রিক রাস্ট্রে? তার জবাব আগে দিন।

১৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সাঈদের মৃত্যুর পর একদল দলকানাকে দেখলাম তাকে জামাত শিবির হিসেবে চিহ্নিত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। কিছু হলেই জামাত-শিবির-ছাত্রদল-বিএনপি চক্রান্ত। সাদা দাগে দেশের ৩০-৪০ শতাংশ ভোটাধিকারের মানুষ এখনো বিরোধী দলীয় মনোভাবের সাথেই আছে। তাহলে তাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করে দিলেই হয়। কারণ, কিছু মানুষের কথাবার্তায় মনে হয় বিরোধী মতাদর্শের হলেই তাকে হত্যা করা জায়েজ হয়ে যায় এই দেশে।

বাজারে গেলে মাথায় হাত, ৮০ টাকা কেজি চাল, পেয়াজ ১২০-১৫০ টাকা কেজি, আলু ৬০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২৫০ টাকা কেজি। মানুষ তিনবেলা খেয়ে পরে বেঁচে থাকতেই দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে লুটপাট আর দুর্নীতির হিসেব এখন ব্যালেন্সশিটের "অল ফিগারস আর হান্ড্রেড ক্রোর" এ পরিণত হয়েছে। যারা দেশ ছেড়ে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছে তারা বেঁচে গেছে। যারা দেশে আছে, তারা মরে বেঁচে আছি, নাকি বেঁচে মরে আছি তা নিয়ে বড্ড ধোঁয়াশায় আছি।

একবুক দীর্ঘশ্বাস আর একরাশ নীরব অশ্রু ছাড়া আজ আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/hasras80/hasras80-1721820740-2fd7617_xlarge.jpg

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: ধ্রুব রাঠে এর ভিডিওটা দেখো....
https://youtu.be/DgIFVfTmd3Q?si=BUMq7_sJEoK5HwDI

অনেক উত্তর আছে এখানে।

১৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই হালুয়া রুটির দাম ২০০০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর পিয়ন যদি ৪০০ কোটি টাকার হালুয়া রুটি খেতে পারে বাকিরা নিশ্চয়ই ১০০০ বা ২০০০ কোটি টাকার হালুয়া রুটি খায়। সেই তুলনায় আত্মার দাম কম। :)

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: শুধু আওয়ামী সিল লাগালেই হলো, কোটির নীচে নামবে না সংখ্যা এটা নিশ্চিত।

১৬| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৯:৫২

আলামিন১০৪ বলেছেন: দুর্নীতির মূলোৎপাটন বিএনপিও করবে না, এ সরকার তো নয়ই কারণ তা করার চেষ্টা করলে নিজেই উৎপাটিত হয়ে যাবে। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের নামে রাজতন্ত্র কখনো জনগণের জন্য স্বার্থ হীনভাবে কাজ করবে না।

আমাদের নির্বাচন ব্যবস্খার আমূল পরিবর্তন দরকার, নির্বাচনে যদি নির্লোভ - সৎ ব্যক্তি না আসে, জনগণ যদি শুধু মার্কা দেখে ভোট দেয় তাহলে বাংলাদেশ কখনো দুর্নীতির কবল থেকে বের হতে পারবে না।

একটা উপায় হয়তো আছে, যদি সাহসী সৎ কোন ব্যক্তি বিপ্লব ঘটিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারে..আপনার কি মনে হয়? আছে এমন কেউ?

২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫

সোহানী বলেছেন: " দুর্নীতির মূলোৎপাটন বিএনপিও করবে না, এ সরকার তো নয়ই কারণ তা করার চেষ্টা করলে নিজেই উৎপাটিত হয়ে যাবে। আমাদের দেশে গণতন্ত্রের নামে রাজতন্ত্র কখনো জনগণের জন্য স্বার্থ হীনভাবে কাজ করবে না।"

সবাই নিজ স্বার্থেই দুর্নীতি পালে। কারন সবাই নিজ স্বার্থ চিন্তা করে, দেশের স্বার্থ না।

১৭| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: আওয়ামী লীগ হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যবসা করা একমাত্র দল। তাই মুক্তিযুদ্ধ ব্যবসার ক্ষতি হয় - এমন কোন কিছু বিন্দুমাত্র তারা বরদাশত করবেনা। সরকারী চাকুরিতে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে এই আন্দোলনকে তাই তারা নিয়ে গেছে মুক্তিযুদ্ধ অবমাননা আন্দোলনে। স্বভাবতই এই আন্দোলনকারীরা হয়ে গেল রাজাকার। আর রাজাকারদের সাথে কিসের আদর আপ্যায়ন? তাদের সাথে চলবে কেবল ডান্ডাবাজি। এইজন্য চেতনার একমাত্র ধারক বাহক ছাত্রলীগ নেমে গেল ডান্ডা নিয়ে। আর তাতেই বাধলো বিপত্তি।

আন্দোলনকারীদের কোনমতেই উচিত হয়নি মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে কিছু বলতে চাওয়া। মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা চাকরি পেলে তাদের অসুবিধা কি ছিল?

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

সোহানী বলেছেন: কথাতো সেটাই। বেকুবগুলো আবরারকে দেখে শিখলো না। আবার কথা বলে কোন সাহসে।

১৮| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১১:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিন্তু অনেকেই কম টাকায় আত্মা বিক্রি করে দেয়, দেশের মানুষ আজ ভাল নেই।

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৩৭

সোহানী বলেছেন: যেকোন মূল্য পেলেই হলো। আত্মা এখন সুলভ মূল্যে বিক্রি হয়।

১৯| ২৫ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: খুবই অবাক লাগে যখন দেখি আন্দোলনের কারণে ভাঙচুর হওয়া দালানকোঠার জন্য হাহাকার করতে দেখি! বিদেশী কূটনীতির নিয়ে সেই সব দালান কোঠা ভ্রমণ করিয়ে দেখানো হয়েছে!! বাচ্চা ছেলে যেন খেলার মাঠে মার খেয়ে এসে মা-বাবার কাছে নালিশ দিচ্ছে!

মনে হয় এদেশের মানুষটা যেমন বোকাসোকা, যা কিছু বলা হচ্ছে সব বিশ্বাস করে নিচ্ছে এই কূটনীতিকরাও তেমনি বোকা। এরা যেন জানেই না, এদেশে পুলিশের গুলি খেয়ে মানুষ মরেই চলেছে... যাদের অনেকেই শিশু! গতকাল দেখলাম ১টা ১০ বছরের শিশু ঘরের মধ্যে গুলি খেয়েছে, আজকে দেখলাম পাঁচ বছরের শিশু ছাদে গুলি খেয়েছে... তারপর এরা মা-বাবায় জীবন শূন্য করে দিয়ে মারা গেছে। ভালো লাগছে না সোহানী। :((

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: সরি আপু, এতো বেশী আপসেট যে অনলাইনে আসতেই ভয় পাই। এতো সুন্দর ফুটফুটে ছেলেগুলোর মৃত্যু আমাকে তাড়া করে ফিরে। নিজে সবসময়ই প্রতিবাদী ছিলাম তাই তাঁদেরকে অনুভব করতে পারি। আজ মা হয়েছি তাই তাঁদের মায়েদের কষ্টটাও বুকে এসে লাগে।

২০| ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১:০০

মুক্তা নীল বলেছেন:
সবকিছুতেই ধান্দাবাজ ও স্বার্থ রক্ষা করাই বড় করে দেখে এরা অথচ এতগুলো মানুষ মারা গেল এবং কত মানুষ আহত অবস্থায় পড়ে আছে ভাবতেই যেন কেমন লাগে । আর সাঈদ সহ অসংখ্য মৃত্যুর ভিডিওটা দেখে আমি তো সহ্যই করতে পারছিলাম না আপু

৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ৮:৪১

সোহানী বলেছেন: কোন বিবেকবান মানুষ এরকম হত্যাকান্ড সমর্থন করতে পারে না। এরা মানুষ হতে পারে না কিছুতেই, এরা সব মানুষ নামের হিংস্র প্রানী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.