নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
আমার ১ কোটি টাকা আছে, আমি ব্যাংক থেকে আরো ১ কোটি টাকা লোন নিলাম,
টোটাল ২ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিস্কুট কোম্পানি বানালাম, এর নাম দিলাম "ABC Limited" .
এবার একটা মার্চেন্ট ব্যাংকে গেলাম, সোনালী ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বললাম আমার বিস্কুট কোম্পানি ABC Limited কে স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করতে চাই,
কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জ এর নিয়ম হচ্ছে মিনিমাম ৪০ কোটি টাকার নিচের কোন পেইড-আপ ক্যাপিটাল এর কোম্পানিকে লিস্টেড করা যায় না, কিন্তু আমার কোম্পানি তো মাত্র ২ কোটি টাকার কোম্পানি!!
মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, "সমস্যা নাই ভাই, আপনার কোম্পানি আমরা লিস্টেড করে দিবো, কিন্তু শর্ত হচ্ছে আপনি আমাকে ৮ কোটি টাকা দিবেন, আমি কষ্ট করবো, আমার পারিশ্রমিক হিসাবে আপনি আমাকে আলাদা ২ কোটি টাকা দিবেন, এইটা আবার আমার ব্যাঙ্ক যেন না জানে, টোটাল ১০ কোটি টাকা".
আমি জবাব দিলাম, " আমি কিভাবে ১০ কোটি টাকা দিবো !!"
মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, "আপনার নিজের পকেট থেকে এক টাকাও দিতে হবে না, আমরা মার্কেট থেকে আপনাকে টাকা তুলে দিবো, আপনি ওখান থেকে আমাকে ১০ কোটি টাকা দিবেন, আপনি আপনার ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার বিক্রি করবেন আর বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার নিজের কাছে রেখে দিবেন".
আমি ওনার শর্তে রাজি হলাম,
এবার ওই মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন অডিট ফার্ম এ গেলো, গিয়ে বললো," এই ABC Limited স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করবো".
অডিট ফার্ম বললো, " কি করতে হবে শুধু হুকুম করেন".
হেড অফ অপারেশন বললেন, "বেশি কিছু না, কেবল এই ২ কোটি টাকার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ভ্যালুয়েশন করে দেখাতে হবে".
অডিট ফার্ম বললো," কোনো সমস্যা নাই, তবে বস এবার কিন্তু একটু বাড়িয়ে দিতে হবে, স্টাফদের স্যালারি দিয়ে মাস শেষে লোকসান হচ্ছে, এবার ২ কোটি টাকার নিচে পারবো না ". শেষ পর্যন্ত নেগোসিয়েশন করে ১ কোটি টাকায় রাজি হলো ২ জন.
এবার হেড অফ অপারেশন সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান এর পিওনকে ফোন দিল ( পিওন ভেবে অর্ডিনারি পিওন ভাবার সুযোগ নাই, এই পিওন বাকি ১০০ টা পিওনের মতো অর্ডিনারি পিওন না , এই পিওন অনেক পাওয়ারফুল). পিওনকে বল্লো নতুন একটা বিস্কুট কোম্পানি মার্কেটে লিস্টেড করতে হবে, কাজ টা করে দিতে হবে, পিওন বললো, " স্যার কিন্তু এখন ২.২০ কোটি টাকার নিচে কোনো কাজ পাশ করে না, এর নিচে কাজ হবে না, আর জিনিষপাতির দাম বাড়ছে, বউ বাচ্চা নিয়ে না খাওয়ার অবস্থা, মেয়েটার ভার্সিটির বেতন বাকি পড়ছে আমার দিক একটু দেইখেন."
হেড অফ অপারেশন বললো, "ওকে ডিল ফাইনাল কাজ করে দেন"
হেড অফ অপারেশন এবার স্টক এক্সচেঞ্জ এর টপ লেভেল এ যোগাযোগ করলো, বলল, " এই বিস্কুট কোম্পানি অপ্প্রভ করে দিতে হবে".
স্টক এক্সচেঞ্জ বললো, " ঠিক আছে কিন্তু ২ কোটি টাকা নিব, এর নিচে হবে না"
২ জনে রাজি হলো, ডিল ফাইনাল
এবার ২ কোটি টাকার বিস্কুট কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা দেখিয়ে আইপিওর জন্য এপলাই করা হলো, ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার মানে ২০ কোটি টাকার শেয়ার মার্কেট এ ছাড়া হলো, প্রিমিয়াম প্রাইস ৫ টাকা যোগ করে, সো ৩০ কোটি টাকা.
মানে ১ কোটি টাকার অরিজিনাল শেয়ার বিক্রি করে মার্কেট থেকে তোলা হলো ৩০ কোটি টাকা.
এবার আমি আমার কথা মতো ১০ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক এর মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বুঝিয়ে দিলাম, আর বাকি টাকা আমার, মানে আমার পকেটে ঢুকলো ২০ কোটি টাকা.
হেড অফ অপারেশন স্টক এক্সচেঞ্জকে ২ কোটি টাকা দিলো, আর স্টক এক্সচেঞ্জ এ যারা আছে তারা এই ২ কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলো, অডিট ফার্মকে দিলো আরো ১ কোটি টাকা,আর বাকি টাকা সোনালী ব্যাংক এর কমিশন হিসাবে নিলো, নিজের জন্য বাকি টাকা.
আর ২.২০ কোটি টাকা দিলো সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর চেয়ারম্যান এর পিওনকে, সাথে পিওনের মেয়ের ভার্সিটির বকেয়া বেতন বাবদ দিলে আরো ১০ লক্ষ টাকা
পিওন তার স্যারকে বলল, " স্যার দুনিয়ায় এখন আর মানুষ নাই, সব অমানুষ হয়ে গেছে, আমাকে বলছিলো ২ কোটি টাকা দিবে কিন্তু ২০ লক্ষ টাকা কম দিছে, আমারে বলছিলো কিছু টাকা দিবে, একটা টাকাও দিলো না স্যার". সে তার স্যারকে ১.৮০ কোটি টাকা দিলো, স্যার পিওনকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের কাছে ১ কোটি টাকা রেখে বাকি টাকা কয়েকটা খামে ভরে তার কলিগদেরকে পাঠিয়ে দিলো
এইটুকু পর্যন্ত অনিয়ম আর কারসাজির প্রথম স্টেজ শেষ,
এবার দ্বিতীয় স্টেজ,
ABC Limited মার্কেট এ লিস্টেড হলো আর আইপিও প্রাইস হলো ১৫ টাকা.
ট্রেড শুরু হলো, এক একটা ১৫ টাকার শেয়ার পাবলিক ৫০ টাকা করে বাই করলো,
আমার তো মাথা খারাপ, আমার বাকি অরিজিনাল ১ কোটি টাকার শেয়ার এর মার্কেট ভ্যালু ১০০ কোটি টাকা !!! আর অলরেডি তো ২০ কোটি টাকা পকেটে ঢুকাইছি, এবার আমি আমার বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার ও বিক্রি করা শুরু করলাম, কিন্তু এতো শেয়ার বিক্রি করবো, পাবলিক তো খাবে না, তাই একাউন্টেন্টকে বললাম, " লাস্ট ৩ মাসের আর্নিং দেখাও ২.৪০ কোটি টাকা লাভ".
একাউন্টেন্ট বললো, " স্যার, সারা বছর কোম্পানি লাভ করে ১.২০ কোটি টাকা, আর ৩ মাসে কিভাবে ২.৪০ কোটি টাকা লাভ দেখাবো?".
আমি জবাব দিলাম, " ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে কি নকল করে পাশ করছো? ৩ মাসের লাভ দেখাবা ২.৪০ কোটি টাকা, এরপরের ৯ মাসের আর্নিং এ ১.২০ কোটি টাকা লস দেখিয়ে এডজাস্ট করে দিবা,সোজা হিসাব."
মাত্র ১ পিস্ শেয়ার মানে ১০ টাকার একটা শেয়ার কেবল নিজের কাছে রাখলাম, আর বাকি সব শেয়ার বিক্রি করে দিলাম, নিজের পকেট এ ঢুকলাম আরো ১০০ কোটি.
পাব্লিকের থেকে খাওয়ার আর কিছু নাই,
এবার কোম্পানি ফোকাস করা শুরু করলাম,
ABC Limited প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে.
আমি কোম্পানির এম.ডি. হিসাবে নিজের স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ৪০ লক্ষ টাকা, বৌ কে বানালাম চেয়ারম্যান, বউ এর স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ৫০ লক্ষ টাকা, ছেলে মেয়ে ২ টা আছে, ২ টা কে আরো ২ টা পোস্ট দিয়ে ওদের স্যালারী/রেমুনারেশন ধরলাম ১০ লক্ষ্য টাকা, টোটাল ১ কোটি টাকা আমার ফ্যামিলি স্যালারী/রেমুনারেশন বাবদই নেয়া শুরু করলাম, ABC বিস্কুট কোম্পানির আরো ২০ লক্ষ টাকা লাভ বাকি আছে, এইটা কিভাবে নেয়া যায়!!
কোম্পানির জন্য কষ্ট করতেছি কোম্পানি আমাকে বাড়ি ভাড়া দিবে না? নিজের বাড়িতে থাকি তো কি হইসে!! অন্য কোথাও থাকলে তো ভাড়া দিতে হতো, কোম্পানি থেকে বছরে ১০ লক্ষ টাকা বাড়ি ভাড়া বাবদ চার্জ করলাম, অফিস এ কষ্ট করে আসতেছি আমার ড্রাইভার কত কষ্ট করে গাড়ি চালায় ওর একটা বেতন আছে না? ড্রাইভার এর বেতন ৫ লক্ষ টাকা, গাড়ির তেল খরচ আরো হাবি জাবি খরচ কে দিবে!! ঐটাও আরো ৫ লক্ষ্য টাকা, বাসায় থাকলেই হবে!! খাওয়া দাওয়া করতে হবে না!! বাজার খরচ, কাজের বুয়ার বেতন গ্যাস বিল পানির বিল, ইলেকট্রিসিটি বিল কে দিবে!! ঐটাও আরো ৫ লক্ষ্য টাকা
এলাকার ছেলেরা ফুটবল টুর্নামেন্ট এর আয়োজন করছে, আমি প্রধান অতিথি, ওখানে টাকা চাঁদা দিতে হবে না!! শুধু টাকা কামালে হবে!! সমাজের প্রতি আমাদের একটা দায়িত্ব আছে না? সোশ্যাল ওয়ার্ক বাবদ আরো ৫ লক্ষ টাকা.
বউ বল্ল গাড়ি পুরানো হয়ে গেছে, এই গাড়িতে হবেনা নিউ মডেলের গাড়ি লাগবে, গাড়ি কিনে দিবো বৌ কে, কোম্পানির ব্যাংক এর রিজার্ভ এর টাকা দিয়ে গাড়ি কিনে দিলাম আর বাকি টাকা কোম্পানির নামে লোন, বিল করলাম কোম্পানির স্টাফদের ট্রান্সপোর্টেশন বাবদ বরাদ্দ, বাসার ফার্নিচার গুলা পুরানো হয়ে গেছে, নতুন ফার্নিচার দরকার, কোম্পানি থেকে টাকা নিয়ে বাসার ফার্নিচার কিনলাম, বিল করলাম অফিস এর সৌন্দর্য বর্ধন বাবদ বরাদ্দ, এমনকি নিজের ব্যবহার করা আন্ডার-গার্মেন্ট এর টাকা টাও পর্যন্ত কোম্পানি থেকে বিল করে নেই,
আমাদের স্যালারি নেয়ার পর খরচ দাঁড়ালো আরো ৮০ লক্ষ টাকা,
ABC Limited বছরে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে,
কিন্তু খরচ ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা মানে কোম্পানির উল্টো লোকসান ৬০ লক্ষ টাকা,
দ্বিতীয় স্টেজ শেষ,
এবার তৃতীয় স্টেজ,
স্টক এক্সচেঞ্জকে কেন মাসে মাসে ফি দিবো!! ধুর ফি দিবো না, যা পারে করুক, ৬ মাস পর স্টক এক্সচেঞ্জ ABC Limited কে ডিলিস্টেড করে দিলো, এবার আমি দেখলাম আগের মতো আর বিস্কুট ও বিক্রি হয় না, প্রফিট খুব কম, এক কাজ করি ২ কোটি টাকার কোম্পানি এইটা দেখি বিক্রি করতে পারি কিনা ১.৫ কোটি টাকায়,
ABC Limited কে বিক্রি করতে যাবো, কোম্পানির ম্যানেজার বললো," স্যার আপনার কাছে তো কোনো শেয়ার নাই, সব তো আপনি পাব্লিককেই বিক্রি করে দিছেন, তাহলে আপনি কোম্পানি বিক্রি করবেন কিভাবে? আর ব্যাংক ও তো আপনার কাছে ১ কোটি টাকা পায়" .
আমি জবাব দিলাম, " আরে ধুর এইটা বাংলাদেশ, ওই ১ কোটি টাকা ব্যাংককে আজীবন বাকির খাতায় লিখে রাখতে বল".
"আর পাবলিক !!পাবলিক কোর্ট এ দৌড়াবে, রায় আসতে আসতে ওদের নাতি-পুতিও দুনিয়া থেকে চলে যাবে, বুঝ নাই ব্যাপারটা??"
Copied @Riyad Mahmood
২| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৫৮
সোহানাজোহা বলেছেন:
পোস্ট টি ব্লগ এডমিনের কাছে সরাসরি রিপোর্ট করছি। ব্লগ এডমিরে কাছে অুনরোধ পোস্ট টি সরিয়ে নিন।
সু শিক্ষার অভাব হলে যা হয় তা হচ্ছে ব্লগে এই ধরণের একটি পোস্ট। মাথা নষ্ট গালগপ্পের জন্য বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ব্লগে এভাবে দেওয়া যায় না। ABC Limited বাংলাদেশের বিল্ডিং কন্সট্রাকশন জগতে প্রথম শ্রেণীর একটি প্রতিষ্ঠান, যারা ১৯৭২ হতে অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করছেন। এই ধরণের লেখাতে ব্লগের অতুনু কুমার সেন এর মতো অশিক্ষিায় আচ্ছন্ন মানুষের সমস্যা হবে না বদনাম হবে সামহোয়্যারইন ব্লগের! সামহোয়্যারইন ব্লগে এই ধরণের কপিকৃত ফেসবুক মার্কা লেখা থেকে মুক্ত হোক এই প্রত্যাশা করছি।
আর ডাহা মিথ্যা ও কাল্পনিক একটি গালগপ্পের সাথে বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি ব্যাংকের নাম উল্লেখ করা যায় না। অতনু কুমার সেন গেট ওয়েল সুন।
৩| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১১
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের সিস্টেম সুন্দর না।
তাই তো আজ দেশের এই অবস্থা।
৪| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৫
রামু দাস বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা
৫| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: রক্তচোষা জোক দেশের শাসক। এদের টাকা ও পরিবার সব বিদেশে।
৬| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এ ধরণের একটা গল্প শুনেছিলাম অনেক আগে। কিভাবে বিনা পয়সায় বড় লোক হওয়া যায়। গল্পে বলা হচ্ছে এরকম;
বাবা ছেলেকে বলছে; আমি আমার পছন্দের একটা মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে দিতে চাই।
ছেলেঃ আমি আমার জন্য পাত্রী নিজে পছন্দ করব।
বাবাঃ মেয়েটা কিন্তু বিল গেটসের মেয়ে।
ছেলেঃ সেক্ষেত্রে আমি রাজি আছি।
বাবা তখন বিল গেটসের কাছে গিয়ে বললেন;
বাবাঃ আমি তোমার মেয়ের জন্য একটা ছেলের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
বিল গেটসঃ আমার মেয়ের এখনও বিয়ের চিন্তা করিনি।
বাবাঃ ছেলেটা বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
বিল গেটসঃ তাহলে তো এগোনো যায়।
এর পর বাবা বিশ্ব ব্যাংকের প্রধানের কাছে গেলেন এবং বললেন;
বাবাঃ আমি বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে একজন তরুনের নাম সুপারিশ করছি আপনার কাছে।
বিশ্ব ব্যাংক প্রধানঃ কিন্তু আমারতো কয়েকজন ভাই প্রেসিডেন্ট আছে। তাই আর দরকার নেই।
বাবাঃ কিন্তু ছেলেটা কিন্তু বিল গেটসের জামাতা।
বিশ্ব ব্যাংক প্রধানঃ তাহলে তো ঠিক আছে।
গল্পের মরাল হলঃ এভাবেই সফল ব্যক্তিরা বিনা পয়সায় ব্যবসা করে। ( এই পদ্ধতিটা নৈতিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে)
আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ দুর্নীতিবাজ কর্তৃক দখলের ক্ষেত্রে অনেক সময় এধরণের অপকৌশলের প্রয়োগ দেখা যায়।
৭| ২৭ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের দুর্নীতিবাজরা যেভাবে বিনা পয়সায় বড় লোক হয়;
ঠিকাদার বড় প্রজেক্টের টেন্ডার ডাকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলছেঃ স্যার, যেকোনো মূল্যে আমাকে কাজটা দিতে হবে স্যার। বলেন কি করতে হবে।
বড় স্যারঃ কাজ পেতে হলে কিছু খরচ করতে হবে। ৫% দিলে ভেবে দেখতে পারি।
ঠিকাদারঃ স্যার, এটা নিয়ে আপনি একদম টেনশন করবেন না। কখন দিতে হবে বলুন।
বড় স্যারঃ টাকা জোগাড় করুন। টাকাটা বিদেশের একটা একাউন্টে পাঠাতে হবে। দেখা যাক আপনার জন্য কি করা যায়।
ঠিকাদার আনন্দ চিত্তে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় তার শিল্পপতি বন্ধুর কাছে টাকা জোগাড়ের জন্য।
ঠিকাদারঃ বন্ধু, একটা সরকারি বড় কাজতো পেলাম কিন্তু টাকায় কিছু টান পড়েছে। তুমি কি কিছু বিনিয়োগ করতে পারবা নাকি?
বন্ধুঃ বল কি। এরকম একটা কাজে আমি তো বিনিয়োগ করতে এক পায়ে খাড়া। তবে দোস্ত আমাকে কিন্তু কমপক্ষে ৩০% দিতে হবে পুরো বিনিয়োগের।
ঠিকাদারঃ বন্ধু তুমি নিশ্ছিন্ত থাক। তবে টাকাটা তোমাকে দেশের বাইরে সুইস ব্যাংকে পাঠাতে হবে আমি যখন বলব।
তো এভাবে সব ব্যবস্থা হয়ে টাকা ছাড়া। ( বুদ্ধি থাকলে বৈধ, অবৈধ সব ভাবেই বিনা পয়সায় ব্যবসা করা যায়)।
তবে সংক্ষেপে এই ব্যবসার নাম দালালি ব্যবসা। এরকম শুন্য বিনিয়োগে বিশাল মুনাফার ক্ষেত্রে Return on investment কত বলেন তো?
৮| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: ঘটনা ঠিকই আছে। এভাবেই সব কিছু সেটিং হয়, মাঝখান থেকে ^^^^ খাই পাবলিকে।
সাড়ে চুয়াত্তর তো তিন আনা হয়েই গেছে....
৯| ২৭ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ পদ্ম পুকুর - এই পোস্টে আসলে অনেক কিছু শিক্ষণীয় আছে। এটাকে বড়লোক হওয়ার তরিকা বলা যেতে পারে। চেষ্টা করলে ষোল আনা লাভ করা যায়।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এভাবেই লুট হচ্ছে আম জনতার ভাগ্য
সুইস ব্যাংকের ভল্ট ফুলে ফেঁপে মোটা হচ্ছে!!!
দু:খজনক!