নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
চেম্বারে রোগী দেখা শেষ, মাস্ক/গাউন খুলে ওয়াশ নিয়ে ব্যাগ গোছাচ্ছি। এমন সময় রুমে এক মহিলা প্রবেশ করলেন, সাথে ৭-৮ বছরের এক বাচ্চা। মহিলার বেশ শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, বুক হাঁপরের মত উঠানামা করছে... সমস্যা কি জিজ্ঞেস করলাম। জানালো ১-২ দিনের গলা ব্যাথা, জ্বর আর শ্বাসকষ্ট। মেজাজটা খারাপ হলো, একটু আগেই মাত্র মাস্ক আর গাউনটা খুললাম...
জিজ্ঞেস করলাম, রিসেন্টলি পরিবারের কেউ দেশের বাইরে থেকে এসেছে কিনা। মহিলা ডিনাই করলেন... প্রেসার চেক করলাম, লাংস চেক্ করলাম। অবস্থা সুবিধার না, ARDS এর প্রাথমিক অবস্থা মনে হলো। কোভিড-১৯ নয়তো! যেহেতু দিনকাল সুবিধার না, কাজেই মহিলাকে রুমের বাইরে বসতে বললাম, জানালাম প্রেসক্রিপশন লিখে বাচ্চার হাতে দিয়ে দিবো। মহিলা চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে টলে উঠলেন, আমি তাকে ধরার জন্য চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠলাম। মহিলাটিকে রুমের বাইরে বসানো হলো...
প্রেসক্রিপশন লিখতে লিখতে মহিলার হাজব্যান্ডের উপর মেজাজ খারাপ হলো। কেমন স্বামী এটা! এরকম খারাপ রোগীকে কোন আক্কেলে তিনি এক বাচ্চা ছেলের সাথে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিলেন! আমি বাচ্চা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলামঃ তোমার বাবা কই? বাচ্চা ছেলেটি উত্তর দিলোঃ "বাবা তো বিদেশ থেকে আসছে"... আমার মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো... রুম থেকে বের হয়ে মহিলা হাসপাতালের যেসব জায়গায় গিয়েছে, সেসব জায়গাকে ডিসইনফেক্ট করালাম। স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলাম। 16263 নাম্বারে ফোন করে বিষয়টি জানানো হলো।মহিলাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে রেফার করলাম...
তো এই হলো আমাদের দেশের অবস্থা... স্পষ্ট করে দু'টো কথা বলিঃ আমরা প্রথম ভুল করেছি এদেশে দেদারসে প্রবাসীদের আসতে দিয়ে। মানুষ খাল কেটে কুমির আনে, আমরা খাল কেটে হাঙর আর অ্যানাকোন্ডা নিয়ে এসেছি... আমরা এখন দ্বিতীয় ভুল করছি এই দেশকে সঠিক সময়ে লকডাউন না করে। আমরা মনে করেছি এই হাঙর এবং অ্যানাকোন্ডারা বেতের বাড়ি ছাড়াই কোয়ারেন্টাইনে থাকবে। এরা কোয়ারেন্টাইনে থাকে নাই। মাস কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র...
প্রিয় বাংলাদেশ, একটি ভয়াবহ ম্যাসাকার এর জন্য তুমি কতটুকু প্রস্তুত?...
- Dr zaman alex
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৩
অতনু কুমার সেন বলেছেন: হুম , ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনার কমেন্টের জন্য
২| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:২৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখীর সাথে যোগ করতে চাই, শুধু ইতালি প্রবাসীই নয়, সাথে সাথে যে কোনো প্রবাসী দেশে গেলে তাকে কোয়ারেন্টাইন করা হোক | প্রয়োজনে জেল জরিমানা |
আর সেই সাথে যে হুজুর লক্ষ মানুষ নিয়ে দুআ মাহফিল করেছে তাদের রিমান্ডে আনা হোক | আর যে সকল ইডিয়টগুলো মানবসভ্যতার এই দুর্যোগে আতশবাজি ফুটিয়ে সমাবেশ করেছে সেই ইডিওটগুলোরও জরিমানা করার প্রয়োজন রয়েছে |
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৪
অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৩৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এইসব ননসেন্সদের বাড়িতে তালা মেরে আটকে রাখা উচিত।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৪
অতনু কুমার সেন বলেছেন: হুম , ঠিক বলেছেন
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ইতালিতে আজ মারা গেছে ৬৫১ জন।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: হাসান ভাই
কোয়ারানটাইনে কেউ নিষেধ করে নাই।
ভাল ব্যবসথায় রাখার জন্য বলেছেন
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। মহামারিটির আমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নিশ্চিহ্ন করে ফেলছে। আমরা জানি না আমাদের আরও কী করতে হবে। করোনা ঠেকাতে পৃথিবীর সমস্ত আয়োজন শেষ। এখন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই। এখন শেষ ফয়সালা আকাশে।-ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৫
অতনু কুমার সেন বলেছেন: হু ধন্যবাদ
৭| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩০
ফয়সাল রকি বলেছেন: আমরা কেউই প্রস্তুত নই। একদল মানুষ এখনো বিশ্বাস করে আমাদের কিছু হবে না।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৬
অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মিষ্টার খাঁজা বাবা , ভাল ব্যাবস্থাটা কি জিনিষ? মাগ্না ৫তারকা হোটেল?
একই জাগায় হাজার হাজার হাজি থেকে গেছেন। চীন ফেরত দুই দফায় ৭-৮ শত বিনা বাক্যে ১৪ দিন কাটিয়েছেন।
কিন্তু গালিবাজগুলো কিছু মানুষের সমর্থন পেয়ে বাসায়ও কোয়ারানটাইনে থাকেনি, কক্সবাজারে, মটরসাইকেলে ঘুরে বেরিয়েছে।
বাংলাদেশে সকল করোনা এনেছে এইসব বেয়াদব ইটালিয়ান।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৭
অতনু কুমার সেন বলেছেন: কিছুই বলার নাই ভাই, এই স্টুপিড দেড়।
৯| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১২
কূকরা বলেছেন: খুবই খারাপ খবর।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৮
অতনু কুমার সেন বলেছেন: হমম
১০| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:২৮
কূকরা বলেছেন: এই একটা খবরে আমাদের কি সাংঘাতিক প্রতিক্রিয়া হইতেছে। মাস লেভেলে ইনফেকশন ছড়ায় পড়লে কতবড় মানবিক বিপর্যয় আসবে আমি চিন্তাও করতে পারতেছি না।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১:০০
অতনু কুমার সেন বলেছেন: কি আর করা এই স্টুপিডিটি দেখতে হব!
১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: কোয়ারেন্টাইনের প্রকৃত অর্থ বোঝে কয়জন? প্রকৃত অর্থ বুঝলেতো কোন প্রবাসির বাড়ী থেকে বেরিয়ে বেড়াতে যাবারও কথা না আবার শত শত মানুষের কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রবাসীকে দেখতে ভীড় করার কথাও না। শিক্ষার হার যে দেশে ১০% ও না সেই দেশে এই সব ইংরেজী শব্দ ব্যবহার না করে স্রেফ কার্ফু দিলেই অধিক কার্যকরী হত।
২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৫৯
অতনু কুমার সেন বলেছেন: হমম, কিছুই বলার নাই ভাই!
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে তুচ্ছ কারনে কোয়ারেন্টেন থাকতে অস্বীকৃতি জানানো সেই বেয়াদবদের সমর্থন করার লোকজন আছে।
একটি চিহ্নিত পক্ষ সামাজিক মাধ্যমে গালিবাজ বেয়াদবদের সমর্থন করে যাচ্ছে।
এই ব্লগেই একটি পোষ্টে প্রায় সবাই গালিবাজ ইটালিয়ানদের সমর্থন করেছে।
এই গালিবাজদের বস আসিফনজরুলও কোয়ারেন্টেন করতে অস্বীকৃতি জানানো ইটালিয়ান বেয়াদবদের সমর্থন করে লম্বা একটি লেখা লিখেছেন। বিশৃক্ষলা গালাগালি সমর্থন করে নিজেও গালি দিয়েছেন।
অতচ এই মুহুর্তে কোয়ারেন্টিন অর্থৎ সাম্ভ্যাব্য ভাইরাস ক্যারিয়ারকে ১৪ দিন পৃথক করে রাখা সবচেয়ে কার্যকর একমাত্র পদ্ধতি।
চীন এভাবেই ভাইরাস মুক্ত হয়েছে।