নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছয় মাস চেষ্টার পরে এক হাজার টাকার জাল নোটটি চালিয়ে দিতে পারার হাসি - ঘুষ || রম্যগল্প

২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৩১

শশুরের বাইক নিয়ে লং ড্রাইভে বের হয়েছি। উদ্দেশ্য রিক্সা ভাড়া বাঁচানো। বাইক নিয়ে শশুর বাড়ির লিঙ্ক রোড ছেড়ে কুমিল্লা বিশ্বরোডে উঠলাম।

পুরো রোড ফাকা পেয়ে ও তেল বেশি খরচ হওয়ার ভয়ে একেবারেই ধীর গতিতে বাইক চালাচ্ছি। বাইক নিয়ে একটু সামনে যেতেই তাকিয়ে দেখি বাইকের লম্বা সিরিয়াল দাঁড় করিয়ে রেখেছে। পুরো রাস্তা ফাকা থাকার পরে ও সবাই সিরিয়ালে কেন দাড়িয়ে আছে তা দেখার জন্য আরেকটু সামনে যেতেই দু'জন পুলিশ হাত দিয়ে বাইক থামিয়ে ধমক দিয়ে বললো, দেখোস না সবার ড্রাইভিং লাইসেন্স চেক করছি! সবাই দাঁড়িয়ে আছে দেখে ও সামনে আসলি কেন ? দেখি তো তোর ড্রাইভিং লাইসেন্স ?

বাইকের পিছনের সিট থেকে কাগজ দিয়ে মোড়ানো শশুরের ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড বের করে পুলিশের হাতে দিলাম। পুলিশ লাইসেন্স কার্ড হাতে নিয়ে একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার কার্ডের দিকে তাকাচ্ছে। অবশেষে অনেক বিশ্লেষন করে বললো, এই কার্ড তো কোনভাবেই তর হতে পারে না!

কেন পারে না ?

কার্ডে দেওয়া ব্যাক্তির ফটোতে মুখভর্তি দাড়ি আর তর মুখে তো কোন দাড়িই নেই !

আমি নরম স্বরে বললাম, এগুলো আমারই দাড়ি, বিয়ের আগে কেটে ফেলেছি। যেনো সিস্টেমে বয়স বউয়ের চেয়ে ও কমিয়ে আনা যায়।

পুলিশ আগের চেয়ে কঠিন গলায় ধমক দিয়ে বললো, তর যে বিয়ের আগে মুখভর্তি এতো বড় বড় দাড়ি ছিল এটার প্রমান দেখা।

আমি মানিব্যাগ থেকে এক হাজার টাকার একটি নোট পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললাম, এই নিন তার প্রমান।

ঠিক আছে, এবার তাহলে যাও। এই বলে আমাকে ছেড়ে দিলো। আমি একটু সামনে গিয়ে পিছনের দিকে তাকিয়ে হাসলাম। এই হাসি আন্তরিকতার হাসি নয় , ছয় মাস চেষ্টার পরে এক হাজার টাকার জাল নোটটি চালিয়ে দিতে পারার হাসি !

লেখকঃ- Motiur Miazi



মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ৩:৩৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অসততাকে এভাবে ঠকিয়ে দেবার মধ্যে
আত্নতৃপ্তি থাকতে পারে, তবে

................................................................
কখোনই বাহবা পাবার মানদন্ডে আসে না ।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


দরকারী পদক্ষেপ

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

সারিয়া তাসনিম বলেছেন: এই পুলিশ হয়তো নোটটা কোন খেটে খাওয়া রিকশাওয়ালাকে বা সবজিওয়ালাকে দিয়ে আরেকটা তৃপ্তির হাসি দিবে।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সকাল ১১:১১

করুণাধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: হা হা হা----

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫

শেহজাদী১৯ বলেছেন: যে যা নকল নোট পাবে সব পুলিশকে দেবার জন্য জমিয়ে রাখবেন।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জুন বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতা দারুন লাগলো ।
জাল নোট চিনি না, দেইও না তবে ছেড়া দাগওয়ালা এই সব নোট পেট্রল পাম্পে দেই। ওরা আমাদের যে তেল্টুকু কম দেয় তার জন্য :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.