নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
প্রেম নাকি পরকিয়া!
সমাজে যা স্বীকৃত, তা— ‘বৈধ’। আবার সমাজ যা স্বীকার
করে না, তা— ‘অবৈধ’। ‘বৈধ-অবৈধ’— এমন দু’টি শব্দ
আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। সে আছে, থাকুক।
কিন্তু, এই ‘বৈধ-অবৈধ’র মধ্যে ‘সম্পর্ক’ কেন নাকানি-
চুবানি খাবে? ‘সম্পর্ক’ তো শুধুই ‘সম্পর্ক’ তা আবার ‘বৈধ-
অবৈধ’ কি?
যেমন ‘পরকীয়া’— এই শব্দটি আমাদের সমাজে থাকলেও
আদৌতে এর স্বীকৃত নেই। যার কারণে ‘পরকীয়া’ মানেই
‘অবৈধ সম্পর্ক’! এর ফলে নারী বা পুরুষ উভয়ই এ সম্পর্কটা
লুকিয়েই করেন। ফলে এটিকে অনেকে ‘গোপন প্রেম’ বা
‘নিষিদ্ধ প্রেম’ও বলে থাকেন।
তবে কথা হচ্ছে, প্রেম— পরকীয়া, গোপন বা নিষিদ্ধ হবে
কেন? প্রেম মানেই তো দু’টি মনের যুগপৎ সিদ্ধান্ত। দু’টি
মনের ভালোলাগা, যেখানে— ছন্দ-তাল-লয় একদম
পরিপাটি। সুতরাং, এখানে কে নৈতিক সমর্থন দিল, আর
কে অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করল— তা কার কি আসে
যায়?
ইংরেজিতে ‘পরকীয়া’ বলতে ‘বৈধ-অবৈধ’ কোন ব্যাপার
পরিলক্ষিত নয়। ইংরেজিতে ‘পরকীয়া’ মানেই হচ্ছে
‘affair’। এখন যদি আমরা ‘পরকীয়া’র বাংলা সমর্থক শব্দ
খুঁজতে যাই, তবে এর অর্থ পাব— ‘অন্যের’, ‘অন্যসম্বন্ধীয়’,
‘নায়িকাবিশেষ’, ‘প্রণয়িনী কুমারী’, ‘প্রণয়ঘটিত
ব্যাপার’, ‘প্রেম’, ‘অপরের পত্নী’।
আবার এই ‘পরকীয়া’ তথা ‘affair’ শব্দের সমর্থক অর্থ
দাঁড়ায়— ‘matter’, ‘thing’, ‘affairs’, ‘phenomenon’,
‘occurrence’, ‘topic’, ‘theme’, ‘object’, ‘word’, ‘saying’,
‘accents’, ‘story’, ‘promise’, ‘tale’, ‘trade’, ‘traffic’, ‘love affair’,
‘love’, ‘commission’।
তবে মজার বিষয় হল, কোন বিবাহিত নারী যদি স্বামী
থাকা অবস্থায় অন্যের সাথে প্রেমঘটিত সম্পর্কে জড়ায়
তবে সেটিকেই ‘পরকীয়া’ বলা হয়। এর কারণ হচ্ছে, এই
শব্দটি স্ত্রী-লিঙ্গদ্বারা বিভাজন করা। আর পুরুষের
ক্ষেত্রে ‘পরকীয়’। তবে, ভালো করে খেয়াল করলে
দেখতে পাব— ‘পরকীয়’ কিন্তু কেউ বলছি না, সবাই বলছি
— ‘পরকীয়া’। অর্থাৎ— আঙুলটা পুরুষের দিকে নয়, নারীর
দিকেই তুলছি! পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা বলে কথা,
সবকিছু নারীদের উপরই চাপানো হয়।
সে যা হোক, শব্দগুলোকে লিঙ্গদ্বারা বিভাজনের পক্ষে
আমি নই। ‘পরকীয়া’ শব্দটিকেই আমি উভয় লিঙ্গের
ক্ষেত্রে বেছে নিলাম। তাই ‘পরকীয়া’ আর ‘পরকীয়’
বিতর্কে যাচ্ছি না। মূল বক্তব্যে ফিরে আসি। একটু
জানার চেষ্টা করি, ‘পরকীয়া’ কি? এর নেপথ্য কারণটাই
বা কি?
এর আগে বলে নেয়া ভালো, প্রতিটি মানুষের নিজস্ব
একটি ক্যানভাস থাকে। এ ক্যানভাসে মনের সব রঙ উজাড়
করে দিয়ে নিজের একটা জগত এঁকে যান। যা বাস্তবেও
তিনি তেমন চান। সে ক্ষেত্রে কল্পনার রঙের সাথে
বাস্তবতার রঙ খানিকটা এদিক-সেদিক হলে তা অনেকেই
মানিয়ে নেন, মেনে নেন। কিন্তু, কল্পনার রঙের সাথে
বাস্তবতা যদি বিপরীতমুখী হয়— তখন?
যেমন, একজন স্ত্রীর পুরোটা পৃথিবীজুড়েই থাকে তার
স্বামী। তিনি মনের সমস্ত রঙ উজাড় করে দিয়ে নিজস্ব
ক্যানভাসে স্বামীকে রাঙাতে চান। কিন্তু, বাস্তবে যখন
কল্পনার রঙে রাঙানো স্বামীকে তিনি আর খুঁজে পান
না— তখন? একইভাবে পুরুষের ক্ষেত্রেও ঘটে। তবে পুরুষ
ব্যতিক্রম আর নারী উদাহরণ হিসেবেই বিবেচ্য।
নারী আর পুরুষের ‘পরকীয়া’র ধরণটা যদি আমরা একটু বিশ্লেষণ করি, তবে তা দাঁড়ায়— নারীরা মূলত পুরুষের বুদ্ধিবৃত্তিক, আবেগীয় ও অর্থ সম্পদের প্রতি আকৃষ্ট এবং শারীরিক চাহিদা থেকে ‘পরকীয়া প্রেমে’ জড়িয়ে থাকেন। অন্যদিকে পুরুষের ব্যাপারটা একেবারেই উল্টো, যেমন— পুরুষরা সাধারণত বহুগামী মানসিকতা থেকে ‘পরকীয়া’ করে থাকেন। তবে দু’ একজন পুরুষ ব্যতিক্রমও হয়, যা উদাহরণ নয়। আবার কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রেও
বহুগামিতার লক্ষণ পরিলক্ষিত। তবে তা একেবারেই
নগণ্য। সে হিসেবে ‘বহুগামী নারী’— ‘পরকীয়া’র ক্ষেত্রে এটা উদাহরণযোগ্য নয়।
(ধূসর ক্যানভাস— পাণ্ডুলিপি থেকে)
কার্টেসী: Ripon Hossain
২| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:২৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পরকীয়া না করে বিচ্ছেদ নিয়ে নতুন কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেই তো চলে। দুই দিকে ঠিক রাখতে গেলে তো সমাজে সমস্যা হবেই!...
৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৩৬
চাঙ্কু বলেছেন: কইতারিনা!
৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:৪৮
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @বিচার মানি তালগাছ আমার
সহমত।
কন্যা রাশি
কন্যা রাশির জাতক জাতিকার জন্য সবসময় কন্যা মকর ও বৃষ রাশির জাতক জাতিকা উত্তম। এদের মনের মিল খুব বেশী হয়। একে অন্যকে সহজেই বুঝতে পারে বলে বন্ধুত্ব গড়েওঠে তারাতারি। তবে সেই বন্ধুত্ব ও প্রেম এক নয়। কারন প্রেমের ক্ষেত্রে উভয়ই কোনো সিদ্ধান্তে আসতেপারেনা বলে প্রেমে ব্যর্থতা চলে আসে। কন্যা রাশির জাতক জাতিকার প্রেমের বিয়েতে সফলতা ও সুখি সুন্দর দাম্পত্য জীবন পেতে হলে অবশ্যই কর্কট , বশ্চিক বা মীন রাশির জাতক জাতিকাকে নির্বাচন করা উচিৎ। কন্যা রাশির জাতক জাতিকা যদি মেষ, সিংহ ও ধনু রাশিরজাতক জাতিকাকে ভালোবেসে জীবন সাথী করতে চান ,তাহলেথামুন। কারন আপনার জীবনে বিচ্ছেদ হবার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী । দুজনের ব্যক্তিত্বের সংঘাত বিচ্ছেদের প্রধান কারন হয়ে দাড়াবে।
সারমর্মঃ
অনেকের সাথেই মনের মিল/বন্ধুত্ব হয়, কিন্তু বিয়ে করলেই ইয়ে বাঁধে.....
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:২১
রাজীব নুর বলেছেন: বিশাল শিরোনাম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পুরুষরা সাধারণত বহুগামী মানসিকতা থেকে ‘পরকীয়া’ করে থাকেন। তবে দু’ একজন পুরুষ ব্যতিক্রমও হয়, যা উদাহরণ নয়। আবার কিছু কিছু নারীর ক্ষেত্রেও বহুগামিতার লক্ষণ পরিলক্ষিত।
তবে তা একেবারেই নগণ্য। সে হিসেবে ‘বহুগামী নারী’— ‘পরকীয়া’র ক্ষেত্রে এটা উদাহরণযোগ্য নয়।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আপনার এই বক্তব্যর সাথে সহমত পোষন করতে পারলাম না, যদি আমাদের মত গরীব দেশের কথা বলেন বা নিম্ন আয়ের দেশ নিয়ে বলে থাকেন তবে ঠিক আছে । উন্নত বা পাশ্চাত্য দেশের কথা বিবেচনা করুন , সেখানে মেয়েরা সমানে সমান সিদ্ধান্ত গ্রহনে পারদর্শী ।।
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,