নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলে দেয়া পঁচা গোশতের উপর একদল কুকুরকে হামলে পড়তে দেখে রিমি বলল, বাবা! তারা কি কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য কুরবানী করেছিলেন?

২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে রিমির মা রিমির বাবাকে বললেন, আমি তো পিঁয়াজ-মরিচ কেটে রেখেছিলাম, কেউ তো গোশত পাঠালো না! প্রতিবেশীরা আমাদের কথা ভুলে গেলো না তো? আপনি কি একটু গিয়ে দেখবেন?

বাবাঃ রিমির মা, তুমি তো জানো আজ পর্যন্ত কারো কাছে আমি হাত পাতি নি। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কোন না কোন ব্যবস্থা করে দেবেন।

দুপুরের পর রিমির পীড়াপীড়িতে বাবা বের না হয়ে পারলেন না। প্রথমে গেলেন বড় সাহেবের বাড়ীতে।

বললেন,বড়সাহেব! আমি আপনার পড়শী। কিছু গোশত দেবেন?

গোশত চাইতেই বড় সাহেবের চেহারা গোস্বায় লাল হয়ে গেল। তাচ্ছিল্যের সাথে বললেন, কি জানি কোত্থেকে গোশত চাইতে চলে আসে-বলেই ধরাম করে দরজা বন্ধ করে দিলেন।

অপমানে রিমির বাবার চোখে পানি চলে আসলো। ভারী পায়ে চলতে চলতে এবার গেলেন মিঁয়া সাহেবের ঘরের দিকে। দরজায় করাঘাত করে বিনীতভাবে কিছু গোশত চাইলেন। মিঁয়া সাহেব গোশতের কথা শুনেই বিরক্তিভরে তাকালেন। পলিথিনে কয়েক টুকরো গোশত দিয়ে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিলেন। গোশত চেয়ে যেন বড় অন্যায় করে ফেলেছেন। যাক অবশেষে ছোট মেয়েটাকে তো একটা বুঝ দেয়া যাবে-এমনটা ভাবতে ভাবতে রিমির বাবা ঘরে ফিরে এলেন।

ঘরে ফিরে পলিথিন খুলে দেখলেন শুধু দুটো হাড্ডি আর চর্বি। চুপচাপ রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

রিমির মা এসে বললেন, আপনি মন খারাপ করবেন না। আমি টমেটো দিয়ে চাটনি বানিয়ে ফেলি।

এরই মধ্যে ছোট্ট রিমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, বাবা! গোশত লাগবে না। আমি গোশত খাবো না, আমার পেট ব্যথা করছে।
মেয়ের একথা শুনে বাবা আর চাপা কান্না ধরে রাখতে পারলেন না।
ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

এমন সময় বাইরে থেকে সবজি বিক্রেতা আকরাম ভাই ডাক দিলো। আনওয়ার ভাই! ঘরে আছেন?
রিমির আব্বু দরজা খুলতেই আকরাম ভাই তিন-চার কেজি গোশতের একটি ব্যাগ হাতে দিয়ে বলল, গ্রাম থেকে ছোট ভাই নিয়ে এসেছে। এতো গোশত কি একা একা খাওয়া সম্ভব,বলেন? এটা আপনারা খাবেন।

আনন্দ আর কৃতজ্ঞতায় রিমির বাবা ভেজা চোখ মুছতে লাগলেন। অন্তর থেকে আকরামের জন্য দুয়া করতে লাগলেন।
গোশত রান্না করে সবাই মজা করে খেয়ে উঠতে না উঠতেই প্রচণ্ড তুফান শুরু হলো। বিদ্যুৎও চলে গেল। সারাদিন গেল, এমনকি দ্বিতীয় দিনেও বিদ্যুৎ এলো না। তুফানে ট্রান্সমিটার জ্বলে গিয়েছলো যে...

রিমির বাবা তৃতীয় দিন রিমিকে নিয়ে হাঁটতে বেরুলেন। বাবা-মেয়ে দেখলো, বড় সাহেব ও মিঁয়া সাহেব গোশতে ভরা অনেকগুলো পোঁটলা ডাস্টবিনে ফেলছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রীজে থাকা সব গোশত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ফেলে দেয়া পঁচা গোশতের উপর একদল কুকুরকে হামলে পড়তে দেখে রিমি বলল, বাবা! তারা কি কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য কুরবানী দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করে রিমির মা রিমির বাবাকে বললেন, আমি তো পিঁয়াজ-মরিচ কেটে রেখেছিলাম, কেউ তো গোশত পাঠালো না! প্রতিবেশীরা আমাদের কথা ভুলে গেলো না তো? আপনি কি একটু গিয়ে দেখবেন?

বাবাঃ রিমির মা, তুমি তো জানো আজ পর্যন্ত কারো কাছে আমি হাত পাতি নি। আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই কোন না কোন ব্যবস্থা করে দেবেন।

দুপুরের পর রিমির পীড়াপীড়িতে বাবা বের না হয়ে পারলেন না। প্রথমে গেলেন বড় সাহেবের বাড়ীতে।

বললেন,বড়সাহেব! আমি আপনার পড়শী। কিছু গোশত দেবেন?

গোশত চাইতেই বড় সাহেবের চেহারা গোস্বায় লাল হয়ে গেল। তাচ্ছিল্যের সাথে বললেন, কি জানি কোত্থেকে গোশত চাইতে চলে আসে-বলেই ধরাম করে দরজা বন্ধ করে দিলেন।

অপমানে রিমির বাবার চোখে পানি চলে আসলো। ভারী পায়ে চলতে চলতে এবার গেলেন মিঁয়া সাহেবের ঘরের দিকে। দরজায় করাঘাত করে বিনীতভাবে কিছু গোশত চাইলেন। মিঁয়া সাহেব গোশতের কথা শুনেই বিরক্তিভরে তাকালেন। পলিথিনে কয়েক টুকরো গোশত দিয়ে দ্রুত দরজা বন্ধ করে দিলেন। গোশত চেয়ে যেন বড় অন্যায় করে ফেলেছেন। যাক অবশেষে ছোট মেয়েটাকে তো একটা বুঝ দেয়া যাবে-এমনটা ভাবতে ভাবতে রিমির বাবা ঘরে ফিরে এলেন।

ঘরে ফিরে পলিথিন খুলে দেখলেন শুধু দুটো হাড্ডি আর চর্বি। চুপচাপ রুমে গিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

রিমির মা এসে বললেন, আপনি মন খারাপ করবেন না। আমি টমেটো দিয়ে চাটনি বানিয়ে ফেলি।

এরই মধ্যে ছোট্ট রিমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল, বাবা! গোশত লাগবে না। আমি গোশত খাবো না, আমার পেট ব্যথা করছে।
মেয়ের একথা শুনে বাবা আর চাপা কান্না ধরে রাখতে পারলেন না।
ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাঁদতে লাগলেন।

এমন সময় বাইরে থেকে সবজি বিক্রেতা আকরাম ভাই ডাক দিলো। আনওয়ার ভাই! ঘরে আছেন?
রিমির আব্বু দরজা খুলতেই আকরাম ভাই তিন-চার কেজি গোশতের একটি ব্যাগ হাতে দিয়ে বলল, গ্রাম থেকে ছোট ভাই নিয়ে এসেছে। এতো গোশত কি একা একা খাওয়া সম্ভব,বলেন? এটা আপনারা খাবেন।

আনন্দ আর কৃতজ্ঞতায় রিমির বাবা ভেজা চোখ মুছতে লাগলেন। অন্তর থেকে আকরামের জন্য দুয়া করতে লাগলেন।
গোশত রান্না করে সবাই মজা করে খেয়ে উঠতে না উঠতেই প্রচণ্ড তুফান শুরু হলো। বিদ্যুৎও চলে গেল। সারাদিন গেল, এমনকি দ্বিতীয় দিনেও বিদ্যুৎ এলো না। তুফানে ট্রান্সমিটার জ্বলে গিয়েছলো যে...

রিমির বাবা তৃতীয় দিন রিমিকে নিয়ে হাঁটতে বেরুলেন। বাবা-মেয়ে দেখলো, বড় সাহেব ও মিঁয়া সাহেব গোশতে ভরা অনেকগুলো পোঁটলা ডাস্টবিনে ফেলছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রীজে থাকা সব গোশত নষ্ট হয়ে গিয়েছে।

ফেলে দেয়া পঁচা গোশতের উপর একদল কুকুরকে হামলে পড়তে দেখে রিমি বলল, বাবা! তারা কি কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য কুরবানী করেছিলেন?

বাবা মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। পাশ থেকে মিঁয়া সাহেব ও হাজী সাহেবও ছোট মেয়েটির কথা শুনে লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেললেন।

হ্যাঁ, এটিই আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের বাস্তবচিত্র। আমরা যেন মিঁয়া সাহেব আর বড় সাহেবদের মতো না হই। লাইনে দাঁড় করিয়ে নয় বরং (সম্ভব হলে) অভাবীদের ঘরে ঘরে কুরবানীর মাংস পৌঁছে দেই-আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে উত্তম বিনিময় পাওয়ার আশায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন,
আমাদের ভূল-ত্রুটিগুলো মার্জনা করুন।?

বাবা মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলেন। পাশ থেকে মিঁয়া সাহেব ও হাজী সাহেবও ছোট মেয়েটির কথা শুনে লজ্জায় মাথা নুইয়ে ফেললেন।

হ্যাঁ, এটিই আমাদের সমাজের অধিকাংশ মানুষের বাস্তবচিত্র। আমরা যেন মিঁয়া সাহেব আর বড় সাহেবদের মতো না হই। লাইনে দাঁড় করিয়ে নয় বরং (সম্ভব হলে) অভাবীদের ঘরে ঘরে কুরবানীর মাংস পৌঁছে দেই-আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে উত্তম বিনিময় পাওয়ার আশায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমস্ত নেক আমলগুলো কবুল করুন,
আমাদের ভূল-ত্রুটিগুলো মার্জনা করুন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ঈদ মোবারক।

গোশত না খেলে কি হয়?

শুভ হোক প্রতিটি মুহূর্ত।

২| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এটা একটা থার্ড ক্লাস চুলকানিযুক্ত গল্প। বাস্তবতার সাথে কোন মিল নেই। চুলকানি দিতে গিয়ে টাইপেও সমস্যা হয়েছে। লেখা ২/৩ বার এসেছে।

৩| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

স্রাঞ্জি সে বলেছেন:

ঈদ মোবারক।

৪| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৩১

বর্ণা বলেছেন: লোক দেখানোই এখন সব

৫| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এ জিনিসটা হতে পারে! তবে না হলেই ভালো। ঈদ মোবারাক

৬| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখায় আগ ক্ষোভ সবই আছে।
শিরোনামটা কি আরেকটু ছোট করে দেওয়া যেত না?

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪

বিজন রয় বলেছেন: লেখাটি পোস্টে সমস্যা আছে, কিছু লেখা দুবার করে এসেছে। এডিট করে ঠিক করে দিন।

আপনি ধনী আর গরিবের পার্থক্য বোঝাতে চেয়েছেন।
কিছু লোক ঈদকে ফ্যাশন মনে করে তাদের কথা বলতে চেয়েছেন।

২৮ লাখ টাকায় কেউ কেউ গরু কেনে, ভাবা যায়!

৮| ২২ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:২৮

সনেট কবি বলেছেন: ঈদ মোবারক।

৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৩

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: শুধু সমাজের বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলার জন্য, লগইন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.