নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
সদ্য কেনা নতুন গাড়ীটা যখন পরিষ্কার করছিলাম তখন আমার ছয় বছরের ছেলেটা ধাতব কিছু দিয়ে গাড়ীটাতে কিছু লিখছিল । খুব শখের গাড়ী তাই রাগ সামলাতে না পেরে লিখা অবস্হায় ছেলের হাতের উপর আঘাত করলাম । রাগের মাথায় খেয়াল করেনি যা দিয়ে আঘাত করেছি সেটা ছিল লোহার একটা পাইপ!
আমার ছোট্ট ছেলেটা হাসপাতালের বেডে শুয়ে ঘুমাচ্ছিল আর আমি ওর পাশে বসে কাঁদছি । লোহার আঘাতে চারটা আঙুল ভেঙে গেছে। আর ঠিক হবে না কখনও । আমার চোখের পানি ওর গালের উপর পড়ে ঘুম ভেঙে যায় ওর । ব্যান্ডেজ করা হাতের দিকে চেয়ে আমায় বলে 'সরি বাবা, আমি আর গাড়ীর উপর লিখব না । আমার আঙুলগুলো কি আবার ফিরে পাব-বাবা?'
বাসায় ফিরে পুরো গাড়ীটা দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলি । তারপর ক্লান্ত হয়ে বসে পড়ি । আমার চোখ পড়ে গাড়ীর গায়ে ছেলের লিখাটার উপর-' Love u Dad ' !
পরদিন সকালে সেই হতভাগ্য বাবা আর বেঁচে নেই । ভীষণ কষ্টে আত্মহত্যা করেন। তার নিথর দেহের পাশে একটা চিরকুট পড়ে ছিল।
তাতে লিখেছিল :
'Anger & love have no limits. The choice is yours!'
সত্যিকার অর্থে মানুষের রাগ , ইগো মানুষকে এবং তাদের সম্পর্ক গুলোকে নস্ট করে দেয় । আমাদের সবার মধ্যে ছাড় দেয়ার মানুষিকতা একদম ই নাই, রাগ অভিমান ইগো এগুলা ছেড়ে যদি একটু মানসিকতা পরিবর্তন করতে পারি তাহলেই প্রতিটা পরিবার , সম্পর্ক অনেক সুন্দর হয়ে যায় সবার মাঝে শান্তি চলে আসে । মানুষ কতদিন ই বা বাচে ! ৬০ ৭০ ৮০ বছর । এই অল্প সময়ে অন্যর দোষ না ধরে ক্ষমা করতে শিখি,যার সাথে যা সম্পরক তাদের মুল্যায়ন করি । এই অল্প সময়ে কে কি করলো না করলো এই অভি্যোগ না করে পরবর্তন টা নিজের থেকে শুরু করি এতে নিজে ভালো থাকবেন আপনার আচরনে আপনার সাথে খারাপ করা মানুষ টাও লজ্জিত হবে । সো নিজের পরিবারের সাথে কোন কিছু নিয়ে রেগে যাওয়া যাবেনা ।
প্রতিনিয়ত সমাজে এই রাগ ইগোর কারনে বাবা-মা , ভাই-বোন , হাজবেন্ড-ওয়াইফ , বৌ-শাশুরি, নন্দ-ভাবি এরকম অনেক সুন্দর সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । মনে রাখবেন রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন ।
জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে সবার কাছে মিনতি রাগ ইগো দূর করুন , মাফ করতে শিখুন এবং সম্পর্ক গুলো সুন্দর করার দায়িত্ত আপনার ।
#রেগে_গেলেন_তো_হেরে_গেলেন
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
কিছু লিখতে গিয়ে, অপ্রয়োজনীয় উদাহরণ টানতে হয় না; আপনার এই অপ্রয়োজনীয় লেখার জন্য অমন করুণ উদাহরণ (পিতার পাইপের আঘাতে পুত্রের ৪ আংগুল বিনষ্ট) দরকার ছিলো না; লেখাকে চরম অবস্হার মাঝে টানতে হয় না।
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
নতুন বলেছেন: গাড়ীতে স্ক্রাচ করার জন্য কেউ যেমন বাচ্চার আঙ্গুল ভাঙ্গেনা.... তেমনি ছেলে সরি বলেছে এবং গাড়ীতে Love u dad দেখার পরে আত্নহত্যা করেনা...
বাবা আত্নহত্যা করার পরে পুরো পরিবার আরো কঠিন অবস্থার মধ্যদিয়ে যাবে... হয়তো ছেলের জীবনই পরিবত`ন হয়ে যাবে...
আমার মনে হয় না গল্পটা সত্যি... আর হলেও এটা কোন ভালো উদাহরন হতে পারেনা।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৮
বাকপ্রবাস বলেছেন: সুন্দর
৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সহমতদাদা আপনার সঙ্গে। খুব ভালো কথা,বলেছেন। তবে ঠিক ক্রাইসিস সময়ে আমাদের আদিম বর্বরতা যে বার করে ফেলি। দুটি জায়গায় সেটা প্রয়োগ করি, বাচ্চা ও গিন্নির উপর। আপনার প্রাসঙ্গিক গল্পটা বেশ মধুর হয়েছে। তবে বাচ্চাকে ধাতব দন্ড দিয়ে মেরে বাবা পরেরদিন য়েমন পুত্রের ব্যান্ডেজ দেখে অনুশোচনায় দগ্ধ হয়েছে, তেমনি গাড়িটি শেষ করে আবার নিজেকেও শেষ করে সেই আদিম বর্বরতার জয়গান গেয়ে স্বার্থপরের মত বিদায় নিয়েছেন। সেই বাবার পক্ষে অমন সুন্দর চিরকুট লেখাটা বড় বেমানান । আপনার কোনও পোষ্টে আজ কমেন্টে একটু সমালোচনা করলাম। আমার ব্লগ বাড়িতেও আপনার সমালোচনার অপেক্ষা করবো।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৮:০৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে পারিবারিক জীবন আরো মধুর হবে। আমাদের দেশে রাগ আর ইগোর কারণে এখন ঘরে ঘরে পারিবারিক অশান্তি মহামারি আকার ধারণ করেছে...
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: কালের সাক্ষী হয়ে
সমকালের নিপীড়নের ইতিহাস
ভুলি কি করে হে বুদ্ধিজীবী সমাজ?
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৪
স্রাঞ্জি সে বলেছেন:
রাগ কে ঝেড়ে পেলুন।
দায়িত্ব হবে দায়িত্ত না