নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত ক্ষিদে তোদের মিটিয়ে যা মাগনায়

২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০১

ক্ষিদে মিটিয়ে যা মাগনায় সম্প্রতি এপার ওপার দুই বাংলাতেই ধর্ষণের ঘটনা যেন ডাল ভাত হয়ে গেছে। প্রতিদিন যেমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে তেমনি বিচার হচ্ছে ধর্ষকদের। তারপরেও সামাজিক এই সমস্যা কমছেনা বরং বেড়েই চলেছে।

বিষয়টি নিয়ে তুলেছে দুই বাংলার লেখক, বুদ্ধিজীবি ও সুশীল মহলে। তেমনই একটি লেখায় ওপার বাংলার লেখিকা শ্রীতমা সেনগুপ্ত স্পর্শ করেছেন পাঠকের হৃদয়। লেখনিতে তিনি তুলে ধরেছেন বর্তমান অন্ধকার সময়।বিছানাতেই হড়হড় করে বমি করে ফেলল গনেশ। চোলাই টা আজ বেশী টানা হয়ে গেছে। সাথের ফুলুরি টাও শালা ঠান্ডা ছিল, অম্বল হয়ে গেছে নির্ঘাত।

শালা ঢ্যামনা, দিলি তো শালা বিছানা ভাসিয়ে? সকাল থেকে গিলে বসে আছিস নাকি বে? চুল্লুখোর শালা। সন্ধে সন্ধে দিল শালা সব একশা করে। ধুপ দিলাম এই সবে, দিল হারামী টা বারোটা বাজিয়ে….

বকবক করেই চলেছে বিজলী। গনেশ জানে এখন কিছু বলতে গেলেই আরও খিস্তি খাবে। তাই কাচুমাচু হয়ে চুপ করে রইল।
এই শালা,শুয়োরের বাচ্চা, বসে আছিস কি? ওঠ। নাম খাট থেকে। তোর বাপ এসে সব পরিস্কার করে দেবে নাকি রে গান্ডু…

তড়িঘড়ি খাট থেকে নেমে এল গনেশ। বাথরুমে যেতে হবে একবার, বলতে সাহস হলনা।চুপচাপ নিজেই চলে গেল।ভালো করে মুখ হাত ধুতে ধুতে ভাবল, কিছু টাকা এক্সট্রা দিয়ে দেব বিজলী কে। আজ টোটো চালিয়ে নেহাত মন্দ রোজগার হয়নি।

এই শালা,আর বমি করলে কেলিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেব।
..না না আর হবেনা
বিজলী এইটুকু সময়ের মধ্যেই সুন্দর করে চাদর পাল্টে,সব ধুয়ে,বেশ কটা ধুপ জ্বালিয়ে দিয়েছে।
আধখন্টা পর….
..নে নে…এবার ফোট। অন্য খদ্দের আসবে।
গনেশ পকেট থেকে পাঁচটা একশ টাকার নোট বের করল।
..এই নে।
..পাঁচটা কেন বে? আজ কি এমন মধু পেলি বাবা যে একশ বেশি?

ওসব না। তোর ঘর নোংরা করলাম। আর আজ রোজগার ভালোই হয়েছে রে।এক বিয়েবাড়ির ভাড়া ছিল…
..আজ কিছুই লাগবেনা।ফিরি।
..ফ্রি? কি?
..হ্যাঁ, ফিরি। কানের মাথা খেয়েছিস নাকি?
..কিন্তু কেন?এরকম তো কোনদিন….
আজ, কাল দুদিন ফিরি করে দিয়েছি আমরা। এই পুরো মহল্লা। ওই যে, রেপ হয়েছে না কোথায়, তাই।
হাসি চাপতে গিয়েও পারলনা গনেশ।
তার জন্য তোরা ফ্রি কেন করলি? প্রতিবাদ? তা মোমবাতি নিয়েও নামবি নাকি? ভুখ হড়তাল করবি?
..না। ওসব শালা পতিবাদ টতিবাদ না। এত ক্ষিদে নিয়ে ঘুরছিস তো তোরা…আট বছরের বাচ্ছাটাও বেশ সুড়সুড়ি দিল তোদের..এতই কামড় তোদের। তাই আর কি।এই দুদিন তোদের মতো ব্যাটাছেলেদের জন্য আমরা ফিরি। কত ক্ষিদে তোদের মিটিয়ে যা মাগনায়।বাচ্ছাগুলোকে ছাড়ান দে, এই দুদিন না হয়….!!

কথা নেই গনেশের মুখে।ব্যাটাছেলে হয়ে জন্মে,এই প্রথম লজ্জা করছে। নির্বিকার বিজলি…..
..নে নে।অনেক ভড়ং হল।ফোট এবার।পরের মালকে আসতে দে……

বেশ্যাপট্টি থেকে বেড়িয়ে গনেশের মনে হল, এরকম ভাবে সবাই যদি ভাবতে পারত। ওই বেশ্যাগুলোর জন্য একজনও যদি রেহাই পায়….. কপালে দুহাত ঠেকিয়ে প্রণাম করল গনেশ।কার উদ্দেশ্যে?
জানেনা।।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আগেও এক বার পড়েছি। তবে কোথায় মনে নেই।

২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

ক্স বলেছেন: বিচার হচ্ছে ধর্ষকদের - এই কথায় আমার প্রবল আপত্তি। কেন? জানতে হলে পড়ুন

ধর্ষণের মহামারি ছড়ানোর কারণ তাহলে এই

৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৮

হাঙ্গামা বলেছেন: লাভ নাই।
কুত্তার বাচ্চারা গাছেরটা ও খাবে তলারটা ও কুড়াবে।
মাগনা লাগাবে আবার রেপ ও করবে আরকি !!

৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: মনে হলো কোলকাতার লেখকের পোষ্ট পড়লাম।

৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মন্দ কখনো মন্দ দিয়ে দূর হয় না ,মন্দ দূর হয় ভালো দিয়ে। অন্ধকার কখনো অন্দকারে দূর হয় না , অন্ধকার দূর হয় আলো দিয়ে !

অবৈধ প্রেম, যৌনতা , পরকীয়া ,সিরিয়াল, মুভি , কাছে আসার গল্প , লিটনের ফ্লাট, সাহিত্য-সংষ্কৃতিতে ধর্ষণ , যৌনতার সুড়সুড়ি দিয়ে সমাজটাকেই বেশ্যাবাড়ি বানাইলে ধর্ষণ দূর হইবে কেমনে ?

পুরুষের খাঁড়া সবসময় উড্ডয়ন রাখিবার চেষ্টা হইলে, নৈতিকতা না থাকিলে, শাস্তির ভয় না থাকিলে, তাহারা কোপাইবার বলি খুঁজিবেই , দুর্বল নিরাপত্তাহীনদের উপরে খাঁড়া নামিবেই ! তাই ধর্ষণ বন্ধ করিতে হইলে খাঁড়া উড্ডয়নের সংষ্কৃতি বন্ধ করিতে হইবে , যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করিতে হইবে, দুর্বল নিরাপত্তাহীনদের নিরাপত্তা দিতে হইবে, নৈতিকতার চর্চা করিতে হইবে।

৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পাঠক কী আর বলিবে????

চোরেরা কি ভাল কথা শুনিবে???

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.