নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
জুয়েলারি দোকান থেকে বিয়ে-শাদি বা অন্য কোনো প্রয়োজনে স্বর্ণের অলংকার কিনলেন। বিক্রেতাও আপনাকে বুঝিয়ে দিলেন, তারা ২২ ক্যারেট স্বর্ণের অলংকার দিয়েছে। আপনিও মনের আনন্দে অলংকার কিনে ঘরে ফিরলেন। কিন্তু কখনো পরখ করে দেখেছেন কী, আপনার কেনা অলংকার কতটা খাঁটি? হয়তো সেটি পরখ করেননি।
আর এ সুযোগে ২২ ক্যারেট বলে জুয়েলারি মালিক হয়তো আপনাকে ১৮ ক্যারেট বা সনাতনী স্বর্ণের গয়না গচিয়ে দিয়েছে। যার দামের ব্যবধান আকাশ-পাতাল। সুতরাং বাজার থেকে স্বর্ণের গয়না কেনার আগে অবশ্যই যাচাই করে নিন, সেটি খাঁটি সোনার কিনা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন আপনার কেনা গয়না খাঁটি সোনার? এ ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপায়ে আপনি যাচাই করে নিতে পারেন। কিন্তু তার আগে দেখে নেওয়া যাক, বাজারে কত প্রকারের স্বর্ণ পাওয়া যায়। আর কোন ধরণের স্বর্ণ কতটা খাঁটি?
সাধারণত ২৪ ক্যারেট স্বর্ণই হলো খাঁটি। ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ মানে ৯৯.৯ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ। কিন্তু দোকানে সাধারণত ২২ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়েই অলংকার তৈরি হয়। আপনি সেদিকটা খতিয়ে দেখে নেবেন, যাতে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ দেওয়া হয়। ২২ ক্যারেট স্বর্ণ মানে ৯১.৬ শতাংশ খাঁটি স্বর্ণ। ২১ ক্যারেটে থাকে ৮৭ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে থাকে ৭৫ শতাংশ এবং সনাতনী স্বর্ণ পুরাতন গয়না ভেঙে বানানো হয়। তবে আমাদের দেশে ২২ এবং ২১ ক্যারেট স্বর্ণ দিয়েই বেশি গয়না তৈরি করা হয়।
এবার দেখা যাক, কীভাবে খাঁটি সোনা আপনি চিনতে পারবেন। এখন বড় বড় স্বর্ণালংকারের জুয়েলারি দোকানে খাদ মাপার মেশিন চলে এসেছে। স্পেকট্রোমিটার নামের ওই মেশিনে মাপার পর স্বর্ণে খাদ থাকলে সহজেই ধরা পড়ে যাবে। মেশিনই বলে দেবে কত ক্যারেটের স্বর্ণ আপনাকে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং স্পেকট্রোমিটার মেশিনে মেপে স্বর্ণ কত ক্যারেটের এবং কতটুকু খাদ রয়েছে, তা নিশ্চিত হয়ে তবেই কিনুন।
সাধারণত খাঁটি সোনা নরম। এই নরম সোনা দিয়ে গয়না করা যায় না। এতে মেশাতে হয় সিলভার, তামা, দস্তার মতো ধাতু। তাই খাঁটি স্বর্ণ কিনতে হলে স্বর্ণের নমনীয়তা খেয়াল করুন। তাছাড়া স্বর্ণের গায়ে ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ডস ব্যুরো, যা সংক্ষেপে `BIS’ লেখা চিহ্ন দেখে স্বর্ণ কিনুন। সাধারণত, স্বর্ণ কেনার আগে হলমার্ক দেখেই মানুষ কেনে। খাঁটি স্বর্ণ চেনার এটাই নিয়ম। এছাড়াও `BIS’ চিহ্ন দেখে স্বর্ণ কিনুন। তাতে আপনি নিশ্চিত থাকবেন যে আপনার স্বর্ণ সত্যিই খাঁটি। তাছাড়া ফ্লুরোসেন্স মেশিনে এক্সরে করিয়ে নিতে পারেন। যদিও এই পদ্ধতিতে সোনা যাচাই করাটা একটু কঠিন। কারণ সব জায়গাতে সচরাচর এমন সুযোগ আপনি নাও পেতে পারেন। তবুও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
তবে আপনি যদি এমন কোনো মার্কেট থেকে সোনা কিনেন, যেখানে উপরের কোনো পরীক্ষাই করা সম্ভব হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে নিম্নের কয়েকটি সহজ উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
যেমন- আগুন পদ্ধতি। সাধারণ একটি লাইটারের আগুন বেশ কিছুক্ষণের জন্য অলংকারটির উপর ধরুণ। যদি আলংকারটির উপর কালো আস্তরণ পড়ে সেক্ষেত্রে বোঝা যাবে অলংকারটি সোনার নয়। আর যদি কোনোরকম কালো দাগ না পড়ে তাহলে বুঝবেন অলংকারটি সোনার। আর এভাবে নিশ্চিত হয়ে তবেই কিনুন খাঁটি স্বর্ণের গয়না।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:১২
হাফিজ রাহমান বলেছেন: নতুন কিছু জানতে পারলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:২৪
নিকোলাস- রাহাদ বলেছেন: ভাল বলেছেন
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩১
যুক্তি না নিলে যুক্তি দাও বলেছেন: উপকারী পোস্ট।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬
ক্স বলেছেন: বিক্রেতা দেবে আপনাকে আগুনে পোড়াতে?
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০২
হাঙ্গামা বলেছেন: সোনাতে এত জটিলতা?
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬
প্রামানিক বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।
ধনবাদ।
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৮
সুমন কর বলেছেন: ক্স বলেছেন: বিক্রেতা দেবে আপনাকে আগুনে পোড়াতে? -- তাই তো !!
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৩:৫১
বরুন মালাকার বলেছেন: সোনাতে এত জটিলতা?!!?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪১
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ভাই! আগুন পদ্ধতি কাজ করছে না?