নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
গিয়েছিলাম কাপড় কিনতে… পছন্দ করে দাম দেওয়ার সময় দেখি দামের সাথে ১৫% ভ্যাট যোগ করেছে।
সাথে সাথে ধরলাম, এই ভ্যাট কিসের?
– এটা সরকারকে দিতে হয়।
– ঠিক আছে। আপনাদের ভ্যাট নাম্বার কত?
একটা নাম্বার দেখাল লোকটা।
এবার আমি বললাম, মুসক ১১ ফর্ম অর্থাৎ ভ্যাট চালান দেন।
সেলসম্যান অবাক।
আবার বললাম, কি হল? আমি সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছি, আর সরকার আমাকে এর রিসিপ্ট দিবে না? যান, নীল রঙয়ের ভ্যাট চালানটি নিয়ে আসুন।
এরপর সে তাদের বসকে ডাকল। তিনি এসে,
– কি সমস্যা ভাই?
– সমস্যা তো আপনার। মুসক বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী আমি আপনার মাধ্যমে সরকারকে ভ্যাট দিলাম, আর আপনি আমাকে চালানের কাগজ তো দিলেন না।
– এটা তো নাই আমাদের কাছে?
– নাই মানে? তাহলে কোন আইনে আপনি আমার কাছে ভ্যাট আদায় করলেন? আপনার বিরুদ্ধে তো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
লোকটি চুপ। পরে ১৫% ভ্যাট ছাড়াই কাপড় দিল।
শুধু এটি নয় হাজার হাজার শপ, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ইত্যাদি এভাবে ভ্যাটের নামে অর্থ আত্মসাৎ করছে। আর সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকাচ্ছে।
নিয়ম হল, যখনি কেউ আপনার বিলে ভ্যাট হিসেবে টাকা কেটে নিবে, সাথে সাথে সে আপনাকে একটি চালানের সরকারি কাগজ (নীল রঙয়ের) দিয়ে দিব। আপনি যে সরকারকে ভ্যাট দিলেন, আর সরকার যে বুঝিয়ে পেল সেটার প্রমাণ এটি। ভ্যাট নিবন্ধিত প্রত্যেক দোকান বা রেস্টুরেন্টে এই সরকারি কাগজ থাকে।
অনেক সময় শুধু প্রিন্ট করা বিল আমাদের দেয় যেখানে ভ্যাটের টাকার পরিমাণও উল্লেখ থাকে… কিন্তু এটি ভ্যাটের সরকারি কাগজ নয়। নীল রঙয়ের চালান কাগজটিই হল ভ্যাটের কাগজ।
কেউ যদি প্রিন্টেড বিলে ভ্যাট নিয়ে আলাদাভাবে এই চালান কাগজ না দেয়, তাহলে বুঝবেন সেই টাকা সেই প্রতিষ্ঠান নিজের পকেটে ঢুকালো, অথচ আপনি সরকারকে ঠিকই ভ্যাট দিলেন। খাবার রেস্টুরেন্টগুলোতে এই দুই নম্বরি কাজগুলো বেশি করে।
আবার অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নাম্বারই নেই, তারাও অযথা ভ্যাটের নামে টাকা আদায় করে।
কেউ চালান কাগজ দিতে অস্বীকার করলে, তাকে আইনের কথা উল্লেখ করে আর ভ্যাট দিবেন না। বেশি তেড়িবেড়ি করলে এনবিআরে সরাসরি ফোন দিয়ে অভিযোগ করবেন।
আমরা কষ্টের ইনকামের টাকা থেকে প্রতিনিয়ত সরকারকে ভ্যাট দিচ্ছি কিন্তু সে টাকা সরকার পর্যন্ত যাচ্ছেই না, কারণ বেশিরভাগ লোকই এটা জানে না…আর এই সুযোগে এসব দুষ্ট লোকগুলো সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে দিচ্ছে চোখের সামনে।
আইন জানুন, সচেতন হোন,
শেয়ার করে আপনার ওয়ালে সংরক্ষণ করুন এবং লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করে অপরকে জানাতে সহায়তা করুন
নিজে তো জানলেন, শেয়ার করে বন্ধুদেরও জানিয়ে দিন।।
[সংগৃহীত]
২| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো, চোরদের সুযোগ কমায়ে আনুন।
৩| ২৩ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৫১
তার ছিড়া আমি বলেছেন: আসলে এই সব ব্যাপারে কয়জন জানে? খুবই উপকারী পোষ্ট।
৪| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৭:৩৫
শুভ্র বিকেল বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট। শুভ কামনা।
৫| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
রাসায়নিক প্রানী বলেছেন: সচেতনতামুলক লেখা। ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য। পরিচিতদের মধ্যে শেয়ার করে দিবো
৬| ২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সরকারের দুর্বল ও অদূরদর্শী আইন এই ভ্যাট ফাঁকি দিতে সহায়তা করছে। ট্যাক্স খাজনা কিভাবে নিতে হয়, সেটাও সরকারের মাথামোটা আমলারা জানে না।
৭| ২৩ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৩
খরতাপ বলেছেন: আপনার ভাগ্য ভাল, তাই ভ্যাট ছাড়াই কাপড় দিয়েছে। আমি অভাগা যেখানেই মুসক ১১ চেয়েছি, আমাকে তা ধরিয়ে দিয়েছে। কেউ পয়সা কম নেয়নি।
৮| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:২৬
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: তুই কি কেনতে গেছিলি ? এই গরমের দিনে সোয়েটার ?
৯| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো পোষ্ট। সুন্দর সচেতনতা। প্রিয়তেই থাকুক।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ২:০০
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: চলছে এবং চলবে প্রিয়দেশটা।।