নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
একটা ছোট গল্প শেয়ার করি ......
এক বাড়িতে এক ইঁদুর ছিলো, আর তার সঙ্গী হিসাবে ছিলো কয়েকটি মুরগী, কয়েকটি শূকর আর ১ টা বড় ষাঁড়। একদিন ইঁদুরটি দেখলো তার বাড়ির মনিবের স্ত্রী একটা ইঁদুর ধরার যন্ত্র নিয়ে এসেছে। ইঁদুর তো মরার ভয়ে অস্থির !! কখন না জানি সেই ফাঁদে সে পড়ে তার প্রাণটা বেরিয়ে যায়।
ইঁদুর ছুটে চলে গেল তার বন্ধু মুরগীর কাছে। গিয়ে ইঁদুর ধরার যন্ত্রের কথা বলল সে। মুরগী তার কথা শুনে কিছুটা আফসোস করে বলে উঠলো "আহহারে, তোমার ভয়ের জন্য আমার খারাপ লাগছে। সাবধানে থেকো। কিন্তু আমার তো আর ঐ ফাঁদের ভয় নেই তাই তোমার জন্য আমি কিছু করতে পারছি না ভায়া"।
ইঁদুর হতাশ হয়ে চলে গেলো। এরপর সে তার আরেক পড়শী শূকরের পালের কাছে গিয়ে বলে উঠলো, "বাড়িতে বিপত্তি ঘটেছে, মনিব ফাঁদ নিয়ে এসেছে আমাদের ধরার জন্য।" সবাই তো চিন্তায় পড়ে গেলো কিন্তু যখন শুনলো যে ইঁদুর মারার ফাঁদ তখন তারা হো হো করে হেসে উঠলো। "আসলে এই ফাঁদটা তোমার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তোমার জন্য খারাপ লাগছে, কিন্তু আমাদের কিছু করার নেই। তুমি তোমার রাস্তা মাপো বাপু" বলে উঠলো তারা।
ইদুরের মন আরো খারাপ হয়ে শেষ মেশ হাজির হলো আরো শক্তিধর বন্ধু ষাঁড় এর কাছে। তার এই বিপদের কথা জানলো সে। কিন্তু ষাঁড়ও অন্যদের মত সমবেদনা দেখিয়ে সাফ সাফ বলে দিলো তার জন্য সে কিছু করতে পারবে না। অবশেষে ইঁদুর তার হাল ছেড়ে দিয়ে ঘরের মধ্যে চুপটি করে বসে রইলো। ভয়ে সে আর বাসা থেকে বের হলো না।
সেই রাতে একটা ঘটনা ঘটলো। সারা ঘরময় একটা চিক চিক শব্দ শোনা গেলো। মনিবের স্ত্রী মনে করলো নিশ্চয় ইঁদুর ধরা পড়েছে ফাঁদে। সে লাইট না জ্বালিয়েই হাত দিতে বসলো ওই ফাঁদে। আর অমনি একটা বিষাক্ত ছোবল তার হাত অনুভব করলো। আসলে সেটা ছিলো একটা বিষধর সাপ।
মনিব তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রীকে নিয়ে হাসপাতালে গেলো। সেখানে ২ দিন থাকার পর ডাক্তার বলল তাকে বাড়ি নিয়ে যে। যেহেতু শরীর অনেক দুর্বল তাই বাড়ীতে গিয়ে ভালোমন্দ খাওয়াতে। বাড়ির মালিক তার স্ত্রীকে বাসায় নিয়ে গেলো আর দেখলো যে তার তো অনেক মুরগী আছে। সে একটা একটা করে মুরগী রান্না করে, সুপ করে, ফ্রাই করে তার বউকে খাওয়াতে লাগলো।
এদিকে তার স্ত্রীর অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যেতে থাকলো মুরগীর পাল ও শেষ হয়ে গিয়েছে। তার স্ত্রীকে দেখার জন্য তার আত্মীয়রা তার বাসায় আসা শুরু করলো। আর তাদের আপ্যায়নের জন্য বাড়ির মালিক তার শূকরের পাল নিধন করতে লাগলো। এভাবে তার খামারের সব শূকর কয়েকদিনের মধ্যেই সাবাড় হয়ে গেলো।
কিন্তু কিছুতেই কিছু হলো না। অবশেষে তার স্ত্রী মারা গেলো। দূর দুরান্ত থেকে সবাই তার শেষকৃতিতে উপস্থিত হবার জন্য তার বাড়িতে হাজির হলো। তাদের খাওয়ানোর জন্য সে তার বড় ষাঁড়টিকে এবার খাবারের তালিকায় ওঠালো। এভাবে এক ইঁদুর বাদে সবাইই নিঃশেষ হয়ে গেলো।
গল্পের মর্মকথাঃ যখন আপনি আপনার নিকটেস্থ মানুষের বিপদ দেখে গুরুত্ব দেন না বা আপাত দৃষ্টিতে আপনার মনে হতে পারে সমস্যাটা তো তার , আমার তো কোন সমস্যা নেই, কিন্তু মনে রাখা উচিত যে তার সেই সমস্যা কিন্তু আপনার উপরও কোননা কোন ভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। হতে পারে সেটা ১ দিন পরে অথবা ১ যুগ পরে।
তাই অন্যের সমস্যা, দুঃখ বা কষ্টকে অবজ্ঞা না করে তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে তার সমস্যা সমাধান করাই শ্রেয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোটামুটি