নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।
"ধর্ষণ শরীরের কষ্ট ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। ব্যাথার ওষুধের সাথে সাথে এ কষ্ট চলে যায়। মানুষের সম্মান তার যোনিতে থাকে না। তাই ধর্ষণে কারো সম্মান যায় না।" শুধু এই কথাগুলো আপনার সন্তানের মনে গেথে দিন। ওর গায়ের জোর দশ গুন বেরে যাবে। ধর্ষিতার আত্মহত্যার প্রবনতা কমে যাবে। আর হ্যাঁ, সন্তানকে বলার আগে আপনি নিজে কথাগুলোকে বিশ্বাস করুন মনে প্রানে।
জীবন একটাই। অপরের অন্যায়ে সে জীবন নষ্ট হবার নয়, থেমে যাবার নয়।
বাতিঘরের যে ক্লাসে “আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী...” গান শেখাবার কথা ছিল সে ক্লাসে আমাকে ঢুকতে হল এ কথা বলতে – “তোরা হয়ত এখনো জানিস না, পৃথিবীতে কিছু খারাপ মানুষও আছে, আর তাদের থেকে ছোটদেরকেও সাবধান থাকতে হয়”।
আট-ন’ বছরের শিশুদেরকে আমার শেখাতে হচ্ছে “সকল মানুষকে বিশ্বাস করতে নেই”। মানুষ হয়ে জন্মাবার এটাই হয়ত সবচেয়ে বড় শাস্তি ঈশ্বর আমাকে দিলেন।
ক্লাসটা ছিল ফিজিক্যাল অ্যাবিউজ নিয়ে! হ্যাঁ নয় থেকে চৌদ্দ বছরের শিশুদের সাথেই!
দয়া করে যারা লেখাটি পড়ছেন তারা স্তম্ভিত হবেন না।
বাতিঘরের যে ক্লাসটি আমি নেই তার নাম বিশ্বপরিচয়। যে শ্রেণীতে নিচ্ছিলাম তার নাম আনন্দ (সবুজ)। ছাত্র-ছাত্রী এক সাথে তো বটেই ক্লাসে দু ভাই-বোনও আছে। গত দুই বছরে আমি ওদের কাছে অনেকখানি ওদের মায়ের মত। ঠিক যেভাবে পুরো ক্লাসটি নিয়েছি সেভাবেই হুবুহু এখানে তুলে দিচ্ছি-
- কেমন আছিস আজ তোরা?
- অনেক ভালো আছি। তুমি?
- আমি তো খুব বেশি ভালো নেইরে সোনা।
- ক্যান?
- সে কথা পরে বলি আগে ক্লাস শেষ করি?
- আচ্ছা।
- তোরা তখনও জন্মাসনি তাই তোরা দেখিসনি, তোদের মা বাবার বিয়েটা কি ধুমধাম করে নানা-নানু, দাদা-দাদু আর তাদের অনেক বন্ধু মিলে দিয়েছিল।
- আমরা তো ছবি দেখেছি। অনেক মজা হয়েছিল।
- দেখেছিস, বাহ। তারপর তোদের মা-বাবা একদিন দু'জন দুজনকে ভালবেসে স্রষ্টার কাছ থেকে তোদের চেয়ে নিল।
- জানি তো।
- এটাও জানিস? বাহ। আচ্ছা, এখন তো মামনি আর বাবা সবসময় একসাথে ঘুরতে যায়, হাত ধরে, গল্প করে,একসাথে ঘুমায়, তোদের আদর করে। কি সুন্দর সম্পর্ক তাই না?
- অনেক সুন্দর, আমাদের অনেক আদর করে দুজন মিলে।
- কিন্তু পৃথিবীতে কিছু মানুষ আছে যারা তাদের মা বাবা বন্ধুদের সাথে নিয়ে একটা মেয়েকে বিয়ে না করেই, মেয়েটার অমতেই তাকে নিয়ে ঘুরতে চায়, গল্প করতে চায়, ঘুমাতে চায়। (অস্বীকার করব না ঠিক এই কথাগুল বলার সময় আমার গলাটা একটু কাঁপছিল)।
- কেন? ?
- ঐ যে বলেছি পৃথিবীতে কিছু খারাপ মানুষও আছে। তারা কারো মতের বা খুশির তোয়াক্কা করে না। আচ্ছা এখন আরও বড় কঠিন কথা শোন। সেই খারাপ মানুষগুলো সবসময় শুধু বড় বয়সের মেয়েদের সাথেই যে এমন করে তা নয়।
- তাহলে?
- কখনো কখনো তারা তোদের মত ছোট ছোট মেয়েদের সাথেও অমন করতে চায়।
- কি বল?!!!
- যা বলি খুব করে মনে গেঁথে নে। কেউ কেউ তোদের খুব আদর করার ছলে কাছে ডাকতে পারে। আপনজন ছাড়া তাদের কাছে না যাওয়াই ভালো। আর অপরিচিত জায়গায় তো অপরিচিত মানুষের সাথে কখনোই নয়।
ফারদিন (ছাত্র) – তাহলে কি রোদেলাকে (ওর বোন) আমি কারো কোলে বসতে দেব না?
- নিশ্চয়ই দিবি। সব মানুষ কি খারাপ হয়? খুব অল্প মানুষ খারাপ হয়। তাদের স্পর্শ টের পাবি তোরা। তেমন বুঝলে সাথে সাথে মা কে বলবি। খুব কাছের আত্মীয় হলে মা যদি বিশ্বাস নাও করে বা বলে তোমার ভুল হচ্ছে তবুও মাকে বলবি যে তুই ভালো ফিল করছিস না তার স্পর্শে। মা বাবারা তো তোদের সব কথা বোঝে। তোদের সবথেকে বড় বন্ধু তারা, তাদের কাছে সব বলে ফেলবি। এখন আরও একটা কঠিন কথা বলি?
- আরও কঠিন কথা?
- হ্যা রে সোনা, আরও কঠিন। সেই খারাপ মানুষগুলো শুধু যে ছোট বড় মেয়েদের সাথে এমন করে তাও কিন্তু না। তাদের কেউ কেউ তোদের বয়সী ছেলেদের সাথেও অমন করতে চায়। বাজেভাবে জড়িয়ে ধরতে চাবে, তোদের পার্সোনাল পার্টস এ হাত দিয়ে তারা বাজে রকম আনন্দ পায়!
- সত্যি? কি বল?
- সত্যি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সত্য হোল এমন মানুষের সংখ্যা খুব কম। পৃথিবী ভর্তি শুধু ভালো মানুষ। কিন্তু তবুও আমাদের সাবধান হতে হবে।
আর তার থেকেও বড় সত্যি, কোনদিন অন্য কারো অপরাধের কারণে নিজেকে দায়ী মনে করবি না। কেউ যদি তোদের সাথে এমন করে, তোদের শরীরে কষ্ট দেয় তবে....... উঠে দাঁড়াবি, এটা শরীরের কষ্ট ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। ব্যাথার ওষুধের সাথে সাথে এ কষ্ট চলে যায়। এ বিষয়ে যত অপমান যত শাস্তি যত ঘৃণা শুধু তার জন্য যে এই কাজ তোর সাথে করেছে।
তুই গায়ের ব্যাথাটা ওষুধ দিয়ে সেরে ফেলবি আর মনের সব শক্তি এক করে সকল সত্য কথা প্রথমে মার কাছে তারপর আইনের কাছে বলবি। পারবি না?
পারবো খালামনি। তুমি বলেছ, আমরা ঠিক পারবো।
ক্লাস শেষে তাকিয়ে দেখি আয়াত (ছাত্র) তার বোন তাসবিহকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে। নিষাদ নিজের সিট ছেড়ে ততক্ষনে আমার কোলে। বৈশাখী, রিমঝিম দুই বান্ধবীও তাদের দুজনের হাত শক্ত করে ধরে। আর আমাদের অন্বয়! সে হাসি মুখে আমাকে বলল- তুমি না বললে আমাদের লজ্জা না পেতে। লজ্জা পাবার কথা কোনটা ছিল?
সে সকল কথা সহজ ভাবে নিয়েছে। কোন কোথায় সে লজ্জা পায় নাই !! কি আনন্দ আমার।
কথাগুলো সহজভাবেই বলতে হবে, সহজভাবেই নিতে হবে। সময়টা কঠিন। একে পার করতে হবে একে অপরের হাত ধরে। পৃথিবীটা সুন্দর। কিছু পথভ্রষ্ট মানুষ পৃথিবীটাকেও তাদের সাথে ভুল পথে নিতে চাচ্ছে। সে পৃথিবীর সিঁড়িতে আপনি আপনার শিশুর হাত শক্ত করে ধরে থাকুন। ওকে সাবধানে ওপরে উঠতে দিন।
ক্লাস শেষ করে আমি বের হতেই ওদের আটকে থাকা গানের ক্লাস শুরু হয়েছে। সমস্বরে ওরা গাচ্ছে-“আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী...”
কথা তো মিথ্যে নয়- আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরীই বটে। এখানে একদিন স্বপ্নের চারাগুলো বড় হবে, ফুল ফোটাবে। সেই পর্যন্ত একটু সাবধান হয়ে.......... একে অপরের হাত ধরে.... ব্যাস।
****বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয়ের লালমাটিয়া এবং উত্তরা-- দুটি শাখাতেই ৩-১৪ বছর বয়সী শিশুদের ভর্তি চলছে।
আরও জানতে ফোন করুন- ০১৬৭৫৬২১০৯৯ নাম্বারে।
(বাতিঘর সাংস্কৃতিক বিদ্যালয় ~ তামান্না সেতু)
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৯
অতনু কুমার সেন বলেছেন: সম্পূর্ন পরছেন ? আমি কি বুজাতে চাইছি তা বুজছেন ? মেয়ে বা নিজ বোন আছে আপনার ? তাহোলে হয়তো এই কমেন্স করতেন না
২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: কথাগুলো ভালো লেগেছে, তবে এটা যদি একটা বিজ্ঞাপন হয় তাহলে হয়তো ততোটা ভালো লাগবে না।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬
অতনু কুমার সেন বলেছেন: ধনাবাদ ভাই বিজ্ঞাপন হবে কেন ?
৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: "ধর্ষণ শরীরের কষ্ট ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। ব্যাথার ওষুধের সাথে সাথে এ কষ্ট চলে যায়। মানুষের সম্মান তার যোনিতে থাকে না। তাই ধর্ষণে কারো সম্মান যায় না।" শুধু এই কথাগুলো আপনার সন্তানের মনে গেথে দিন।
একমত হতে পারলাম না। দুঃখিত।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৫
অতনু কুমার সেন বলেছেন: আপনার মন্তব্য কে সাধুবাদ জানাই । মনেকরেন আপনার মেয়ে, বোন বা wife এই জাতিয় accident হয়েগেল তার পর সে সুইসাইড করল । কেমন লাগবে আপনার ??
৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মোটেই ভালো লাগবে না। কিন্তু তার সুইসাইড করার ব্যাপারটা তার মানসিক সমস্যা। এর সাথে তার সম্মানের বিষয়টিকে টেনে আনা ঠিক নয়।
মানুষের সম্মান তার যোনিতে থাকে না। তাই ধর্ষণে কারো সম্মান যায় না।
একদম একমত নই। লজ্জাস্থান হেফাজতের মধ্যেই মানুষের সম্মান নিহিত।
৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৮
নতুন বলেছেন: "ধর্ষণ শরীরের কষ্ট ছাড়া আর কিচ্ছু নয়। ব্যাথার ওষুধের সাথে সাথে এ কষ্ট চলে যায়। মানুষের সম্মান তার যোনিতে থাকে না। তাই ধর্ষণে কারো সম্মান যায় না।" শুধু এই কথাগুলো আপনার সন্তানের মনে গেথে দিন।
ধষ`নকে পাগলা কুকুরে কামড় দেবার মতনই ব্যপার হিসেবে দেখা উচিত সমাজে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২০
অতনু কুমার সেন বলেছেন: সহমত
৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২
জুয়াড়ি বলেছেন: বাল বোঝান মিয়া। ভালো কিছু শিখান বাচচাদের। অগ্রীম কাজ কাম
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনারা নিজে কি জানেন, কি শিখাচ্ছেন কে জানে, গোলেমালে চলছে