নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্

অতনু কুমার সেন

সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে মূল্যায়নঃ ভালো মানুষ হিসাবে নিজেকে দাবি করি না কখনোই, চেষ্টা করছি ভালো মানুষ হতে। জানিনা কবে ভালো হতে পারব! আর আমি এমনিতে বেশ ঠাণ্ডা, কিন্তু রেগে গেলে ভয়াবহ! একটু introvert টাইপের। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি, তার যদিও অধিকাংশই ভেঙ্গে যায়! আশার পিঠে আশা বেঁধে তবুও নির্লজ্জের মত স্বপ্ন দেখে যাই। স্বপ্ন দেখি আকাশ ছুবো, মেঘের ভেলায় উড়ে যাব, নিজের রঙে রাঙ্গিয়ে দিব, সত্য ও সুন্দরের আলো ফোটাবো। জানিনা পারব কি ব্যর্থ হবো। চেষ্টা তবু করেই যাবো।

অতনু কুমার সেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঁচাও আমাদের বাঁচাও, পানি দাও,একফোঁটা পানি দাও, পানি পানি

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৩

উলঙ্গ মেয়েদের গরুর মত লাথি মারতে মারতে, পশুর মত পিটাতে পিটাতে উপরে হেডকোয়ার্টারে দতলা,তিন তলা ও চারতলায় উলঙ্গ অবস্থায় দাড় করিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবী সেনারা সেনারা চলে যাওয়ার সময় লাথি মেরে আবার ঢুকিয়ে তালা বন্ধ করে রাখতো। বহু যুবতীকে ওপরের তলার বারান্দায় মোটা লোহার তারের উপর চুল বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হতো।
পাঞ্জাবীরা সেখানে নিয়মিত যাতায়াত করতো। কেউ এসে ঝুলন্ত উলঙ্গ যুবতীদের কোমরের মাংস বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতো, কেউ তাদের বক্ষের স্তন কেটে নিয়ে যেত;কেউ হাসতে হাসতে তাদের যোনিপথে লাঠি ঢুকিয়ে দিয়ে বিকৃত আনন্দ উপভোগ করতো; কেউ চেয়ারে দাঁড়িয়ে উন্নত বক্ষ নারীদের স্তনে মুখ লাগিয়ে ধারালো দাঁত দিয়ে স্তনের মাংস কেটে নিয়ে আনন্দে অট্টহাসি করতো!!!!!
কোন মেয়ে এসব অত্যাচারে চিৎকার করলে তাদের যোনিপথে রড লাগিয়ে তাদের হত্যা করা হতো।
প্রতিটি মেয়ের হাত পিছনের দিকে বাঁধা থাকতো। মাঝে মাঝে পাকিস্তানি সৈন্যরা এসে উলঙ্গ মেয়েদের বেদম প্রহার করতো।
প্রতিদিনের এমন বিরামহীন অত্যাচারে মেয়েদের মাংস ফেটে রক্ত ঝরছিল, কারও মুখেই সামনের দিকে দাঁত ছিল না; ঠোঁটের দুদিকের মাংস কামড়ে এবং টেনে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল; লাঠি ও লোহার রডের বেদম পিটুনিতে হাতের তালু ভেঙ্গে থেঁতলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল!! এসব অত্যাচারিত ও ঝুলন্ত মেয়েদের প্রস্রাব পায়খানা করার জন্যও হাত ও চুলের বাঁধন খুলে দেওয়া হতো না। এমন ঝুলন্ত আর উলঙ্গ অবস্থাতেই তাদের পায়খানা প্রস্রাব করতে হতো।
আমি প্রতিদিন সেখানে গিয়ে এসব পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করতাম............"/- সুইপার রাবেয়া,৭১ এর অভিজ্ঞতা বর্ণনায়!!!!
" মেয়েদের কারও লাশের স্তন পাইনি,যোনিপথ ক্ষত বিক্ষত এবং পিছনের মাংস কাটা দেখেছি। মেয়েদের লাশ দেখে মনে হয়েছে - তাদের হত্যা করবার পূর্বে স্তন জোরপূর্বক টেনে ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে........."/
ঢাকা পৌরসভার ছন্নু ডোম , ২৯ মার্চের অভিজ্ঞতা বর্ণনার অংশবিশেষ !!
পাঞ্জাবী, বিহারী ও পশ্চিম পাকিস্তানী পুলিশ জিভ চাটতে চাটতে ট্রাকের সামনে এসে মেয়েদের টেনে হিঁচড়ে জোর করে নামিয়ে নিয়ে তৎক্ষণাৎ কাপড় চোপড় খুলে নিয়ে উলঙ্গ আমাদের চোখের সামনেই ফেলে কুকুরের মতো ধর্ষণ করতো............!!! সারাদিন নির্বিচারে ধর্ষণ করার পর বিকেলে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের এনে উলঙ্গ করে লম্বা লোহার রডের সাথে চুল বেঁধে রাখা হতো। গভীর রাতে মেয়েদের ভয়াল চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে যেত।
ভয়ংকর, আতঙ্কিত আর্তনাদ ভেসে আসতো-
'বাঁচাও আমাদের বাঁচাও, পানি দাও,একফোঁটা পানি দাও, পানি পানি...............।!!!!!!!!" /
-রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আর্মস এএসাই, বিআরপি সুবেদার খলিলুর রহমান!!!!
(উৎস বইঃঃ১) মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্র
২) বীরাঙ্গনা ১৯৭১- মুনতাসির মামুন্‌.........।।

সংগ্রহিত ---

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪১

শেরজা তপন বলেছেন: আঃ! সবাইতো আমার মানুষ- আমাদেরই প্রজাতির একটা অংশ ক্যামনে এমন নিঃশ্বংস হয়????????????

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

কাজল কািন্ত কর বলেছেন: এটা নাকি সমরনীতি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.