নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইটা বুঝতে বুঝতেই জীবনের অর্ধেক পার হয়া যায়, মানুষের
যখন বুঝতে পারে, ততদিনে অনেক দেরী!
ভাবতেই পারেন, এইটা কেমন কথা?
আহেন, এক কাপ চা লন, ব্যাপারখানা অমনোযোগী হইয়াই না হয় শোনেন।
এ বংগ দেশে এভারেজ ১টা ছেলের নিজ পায়ে দাড়িয়ে, অর্থাৎ একখানা চাকরি বাগায়া বিয়ে করতে করতে বেশ বয়সই লেগে যায়, এবং সাধারণত এই বয়সে সে থাকে একধরনের অপদার্থ; মানে কোনো কামের না, ও দিয়া ভাব লওন আর "সহমত ভাই" ছাড়া কওন ছাড়া কিচ্ছু হয় না।
আর প্রেম প্রীতি যা দুইখান করে, হয় সে অভ্যেসে, মানে এক সাথে চলতে চলতে, নয়তো, বেটার অপশনের অভাবে, মেয়েদের বেটার অপশনের কতা কচ্ছি, এই বাঙাল ছাড়া কিছুই ত আর নাই এ মুল্লুকে।
মানি ম্যানেজমেন্ট স্কিল ও অন্যান্য স্কিলের মত থাকে না, থাকে না ম্যান ম্যানেজমেন্ট স্কিল ও, সে বাইরে হোক বা ভিতরে হোক, ঘরের বউ, যেখানে পারে জোড় খাটায়, বউয়ের কতা কচ্ছি, আর না পারলে প্যারা খায়, নট প্যারাসিটামল।
যদি ধরেন, সোনার ছেলে একখানা সোনার হরিন সরকারি চাকুরি জোটাইছে, এতক্ষণে আইস বিয়েশাদী করার জন্য ফিনানশিয়ালি সলভেন্সির নিশ্চয়তা হইছে, সোশ্যাল স্ট্যাটাস খানা ও উকি দিচ্ছে, বিয়া করন যায়...
ঠিক, ঠিক এইখানে আইসাই চদু ধরা খায়া যায়, ওর স্বল্প বেতনের সরকারি চাকরি নিয়া বিয়া করতে গিয়া দ্যাখে, বিয়ার যে সুবিশাল এন্তেজাম, উহা করণের অর্থ নাই, উপায় ঋণগ্রস্ত হওয়া, ঋণ করিয়া ঘৃত খাইবার মত আর কি!
মাইন্ড খায়েন না, সবাই ত আর আপনার মত সোনা/রুপার চামচ নিয়া জন্মায় নাই, কেউ কেউ চামচ ছাড়াই জন্মাইছে
এইখানে কেউ কেউ, লোকে বলে সবাই, আবার প্রচলিত।পথ ধরে, যাহা বড়ই প্র্যাক্টিক্যাল, কি কইতে চাইছি বুইঝা লইবেন, জ্ঞানীর জন্য ইশারা ই কাফি
তা ধরেন, আপনি বেসরকারি চাকরি নিছেন, অতটা আশাবাদী হয়েন না, পিকচার আভি বাকী।হ্যা
যাক, চদু বিয়া করল, সরকারি চাকরি, পোস্টিং স্বভাবতই দূরে; খেলা শুরু হয় ঠিক এইখান থেকে: যেহেতু চদু বিয়া করছে তার নিজের প্রয়োজনে, প্রয়োজনটা আগে থাকলে ও পরিবার বিয়া করায় নাই, বাট বিয়ের পরে প্রয়োজন টা নবদম্পতির না, বাট বরের পরিবারের
অর্থাৎ, বাপু, তুমি চাকুরী কর, কর, বাট তোমার বউ থাকবে যৌথ পরিবারের সাথে, পরিবার এতদিন তোমার পেছনে বিনিয়োগ করছে, বউ ও বেতনের একটা অংশ দিয়া তার কম্পেনসেট কর
এর সাপোর্টে বেশ কিছু প্র্যাক্টিক্যাল কারণ থাকে:
★ খরচ সাশ্রয়
★ পারিবারিক বন্ধন
★ সামাজিক ঐতিহ্য
★ একান্ত বাধ্যগত ছেলে
★ ধর্মীয় ও সামাজিক ভাবে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল
★ বাবা মায়ের সেবা
এর পরেও কিছু বেয়াদব, অসভ্য, ছোটলোক চাকুরী স্থলে বউরে নিয়া যায়, সে কি কি নেগোসিয়েশন করে, সে ওয় আর ওর আল্লা মালুম
এবং এই কেসে মেয়ের পরিবার ও ছেলের পরিবারের আচরণ খুব স্ববিরোধী, অর্থাৎ, যেই পরিবার নিজের মেয়েকে চাইবে স্বামীর সাথে কর্মস্থলে থাকুক, সেই পরিবারই চাইবে ছেলের বউ তাদের সাথে থাকুক!
আর যারা পারে না, ওরা সপ্তাহান্তে মহাপবিত্র বিষ্যুদবার পালন করে, আর ফাকে কোনো স্ক্যান্ডাল হয়া গ্যালে, যে পক্ষেই হোক, দোষ ঐ নন্দঘোষীর
এইবারে ফ্যামিলি ম্যানের ফ্যামিলি দুইটা, যেহেতু সরকারি চাকরি করে, বৈধ এবং অবৈধ (এইটা সবারই আছে, না থাকলে ওয় বলদা) আয় ব্যাপক, চারিপাশে চাহিদা ও ব্যাপক, ২ টা পরিবার, সাথে সাব-পরিবার, সামাজিক চাহিদা মিলাইতে গিয়া ফ্যামিলি ম্যানের নাভিশ্বাস
ভাবতাছেন, প্রাইভেট চাকরি করেন, বেতন ও ভালো, অত।চাহিদা নাই, আপনার বেতন যে ভালো, এইটা আমরা জানি, এবং আপনার পরিশ্রম, সাফারিং শুধু আপনার হইলেও বেতন আমাদের সবার
যদি কেউ শেয়ার না করে, ওরে নিয়া সালিশ বিচার পাড়ার চায়ের দোকানে
ত বেচারা বিয়া করল হুক্কুরে হুক্কুরে ২ দিন, ৩য় দিনে হ্যাতেগো নাতির মুখ দেহন লাগত, আরে ওরা ত ওগোর মুখ দেইখা ই কুলাইতারে নাই
বিবিধ নাটক, আলোচনা, টক শো, পানি পড়া তেল পড়া ডাক্টার দেখায়া সংসারে আরেকজন সদস্য বাড়ল, আমিন।
এইবারে প্রশ্ন করেন, যারা সদ্য পিতামাতা হইল, তারা নিজেরা এই বাচ্চা পালনের জন্য মানসিক ভাবে প্রিপেয়ার্ড কিনা?
অবশ্য বাচ্চা কখনোই তাদের সিদ্ধান্তে নেয়া হয় নাই
* সবাই নেয়, তারা ও নিছে
* ছেলে/মেয়ের মন উরুউরু, সংসারে মন বসেনা, বাচ্চা নাও
* কনের বয়স কম, বাচ্চা বাচ্চা আচরণ করে, বাচ্চা নাও
* সংসার টিকতাছে না, বাচ্চা নাও
* বাসায় একা লাগে, বাচ্চা নাও
নতুন শিশু আসছে,
খরচের টালি খাতা নিয়া, সংসার ত পূর্বের থেকে আছেই, আছে চাহিদা ও; চাহিদা মূলত বাড়ছে
ত, এইখানে আইসা নব্য ফ্যামিলি ম্যান কইতাছে (মনে, মনে, বাথরুমে বইসা) বালের জীবন!
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
মৌন পাঠক বলেছেন: মেয়েদের নিয়া ও ভিন্ন আলাপ আছে
২| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬
এম ডি মুসা বলেছেন: দেখা যাক,
০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
মৌন পাঠক বলেছেন: দেখা যাক
৩| ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:৩০
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: "পারফেক্ট" কম বা বেশী বলে কোন বিষয় আছে বলে আমার জানা ছিলো না। বিয়ে করার জন্য কিছুটা যোগ্যতা অবশ্যই থাকা প্রয়োজন যদিও সেটা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর। বিয়ে করা বা না করাটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। বিয়ে করলে কিছু দায়-দায়িত্ব অবশ্যই বেড়ে যায় আর সেটা পালন করার "ক্যাপাসিটি নেই" মনে করলে ক্যাপাসিটি অর্জন করে তবেই বিয়ে করা উত্তম বরে আমার মনে হয়। সেটা অর্জন করাটা খুব বেশী কঠিন কিছু না তবে কোন কিছু অর্জন করার প্রচেষ্টাও সবার সমান নয়। আত্মবিশ্বাস না থাকলে নতুন কোন পথ না মাড়ানোই ভালো। ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন:
রনি মিয়ার পোস্টে একটি লাইক দিলাম, আর আপনার পোস্টেও একটা লাইক দিলাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: একই চিন্তা মেয়েটাকেও করতে হয়।তারো স্বাবলম্বী হতে একই সময় লাগবে।স্বাবলম্বী না হয়ে ,ছেলে বা মেয়ে কারো বিয়ে করা উচিত নয়।এতে শুখের বদলে বিড়ম্বনাই বাড়ে।