নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনারা হয়ত অনেকেই জানেন না আমাদের খেজুরতলার লোকজন বেশ কুকুরভক্ত। এই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের অঞ্চলে কুকুর সংখ্যা লক্ষনীয় এবং রাস্তার পাশে তাদের বিষ্ঠাও সমান দর্শনীয়। মানুষের আদরে এরা খেয়ে-দেয়ে বেশ হৃষ্ট-পুষ্ট, চমৎকার লম্ফ-ঝম্প দিতে পারে। দিনের বেলা আরামসে ঘুমায় আর রাতের বেলা গলা ছেড়ে ঘেউ ঘেউ করে। এইসব নিয়ে আমাদের কারোরই মাথা-ব্যথা নাই। পথের ককুর পথে আছে, আমরা আছি আমাদের কাজে। নিজেদের চিন্তারই কুল করতে পারি না, কুত্তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় কই।
কিন্তু মাথা ঘামাতে হল। মহল্লার সকলকে কুকুর নিয়েই ভাবিত হতে হল। কুকুরদের সাম্প্রতিক কার্যক্রম যথেষ্ট ভাবনার উদ্রেক করে। রাতে এরা সবাই দল বেঁধে ৭৪ নাম্বার বাসার সামনে হাজির হয় এবং সেই বাসার সামনে এরা ঠ্যাং উচিয়ে হিসু করে। এলাকার সমস্ত কুকুর একজোট হয়ে কাজটি করছে। এর আগে কুকুরের বিষ্ঠা নিয়ে নিয়ে কেউ কেউ ভাবিত হলেও কুকুরের মুত্র নিয়ে ঠিক কাউকে ওভাবে চিন্তিত হতে দেখা যায় নি। সারাদিন কুকুরেরা যে যার মত ঘুরছে-ফিরছে খাচ্ছে দাচ্ছে যেখানে সেখানে প্রয়োজনমত প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারছে। ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা রাত দুটোয়। দুটার পরে সবাই চুয়াত্তর নম্বরধারী নাইটকুইন নামের বাসাটার সামনে হাজির হয়ে দলবেঁধে কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে, শুয়ে বসে থাকে। যেন তাদের নৈশ বিলাস। তারপর তারা ওখানে একসাথে ঠ্যাঙ উচিয়ে হিসু মেরে যে যার মত চলে আসে। দেখে মনে হয় চুয়াত্তর নম্বরের সাথে ওদের চরম শত্রুতা।
এটা নিত্যদিনের ঘটনা। প্রথমটায় কেউ খেয়াল করেনি। সবাই বিষয়টাকে ক্যাজুয়ালি নিয়েছিল। পরে সিরিয়াসলি না নিয়ে উপায় নাই। দরকারে বেদরকারে রাত্রিকালে কেউ ভয়ে বের হয় না। দারোয়ানরা দরজা বন্ধ করে চুপ মেরে বসে থাকে। দৈনিক মূত্রবিসর্জনের ফলে বাড়ির সামনে বিকট দূর্গন্ধ তৈরি হয়েছে। সে বাড়ি পার হতে গেলে নাকে হাত দিয়ে তবে পার হতে হয়। ৭৪ নম্বরের অনেক ভাড়াটিয়া বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দিয়ে দিয়েছে।
সমস্যা আরো গুরুতর, মহল্লার মুখেই চুয়াত্তর নম্বর বাড়িটি। সুতরাং আসা যাওয়ার পথে কুত্তার মুতের গন্ধ গায়ে না মেখে উপায় কম। ঢাকা শহরে থাকতে গেলে নানা রকমের দূর্গন্ধ না খেয়ে কেউ থাকতে পারে না। পথে ঘাটতে এখানে সেখানে নানান গন্ধ-দূর্গন্ধ লেগেই আছে। তাই কুকুরের গন্ধ নিয়ে এত মাথা ব্যাথার কিছু ছিল না। কিন্তু কুকুরের দলবেঁধে প্রস্রাব করার বিষয়টা জনমনে সহজে আগ্রহ তৈরি করে। এর আগে কবে ককুরেরা কখন ঠিক এই রকম কাজ কোথায় করেছে সেটা আমাদের কারোরই জানা নেই।
সিকিউরিটিরা কুকুরদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে তাদেরকে তাড়া খেতে হয়। এমনিতেই এলাকার কুকুরগুলো বেশ শান্ত নিরীহ প্রকৃতির। কাউকে তাড়া করে না, কামড়ায় না, কেউ শুধু হাত জাগালেই বরং দৌড়ে পালায়। কিন্তু রাতের বেলা দলবদ্ধ মূত্র বিসর্জনের সময় তারা বেশ মারমুখী ভঙ্গীতে নাকি থাকে। রাতের বেলা আসেপাশের কৌতুহলী লোকজন জানালাখুলে এই কুকুরকান্ড প্রত্যক্ষ করে।
শক্তি প্রয়োগে যখন ছত্রভঙ্গ করা গেল না তখন আসে কৌশলের কথা। তখন আমাদের হারিস ভাই আমদের বুদ্ধি দিল বাঁশের বেড়া দিয়ে দাও কুকুরেরা সেখানে যেতেই পারবে না। বিষয়টা নিয়ে হারিস ভাইয়ের উৎসাহ লক্ষ্যনীয়। চুয়াত্তর নম্বরের বাড়িওয়ালা রাসেল মিয়া নাকে তেল দিয়ে ঘুমালেও হারিস ভাই সেটা পারছেন না। তাঁর মতে খেজুরতলা সোসাইটির কমিটির মুরুব্বীরা কোন কাজের না। তাদের পক্ষে দুনিয়ার কোন সমস্যার সমাধান সম্ভব না। তারা তো মানুষের গু-মুতের সমস্যারই সমাধান করতে পারে না, কুকুরের গু-মতের সমস্যা কিভাবে দূর করবে! আমাদেরই বরই এই কমিটি পালটানো দরকার। এবং পরিবর্তিত কমিটিতে তাঁকে সেক্রেটারী করা দরকার। তার উৎসাহ দেখে নিন্দুকেরা বলল, ঘটনার পেছনে তাঁর হাত আছে, অর্থাৎ তার নির্দেশেই কুকুরেরা এই অপকর্ম সাধন করছে। হারিস ভাই চতুর মানুষ হলেও তাঁর কথায় কুকুরেরা কারো বাসার সামনে গিয়ে দলবেঁধে মূত্র বিসর্জন করবে, এটা আমার বিশ্বাস হয় না। শুধুমাত্র চতুরতা দিয়ে দুনিয়াসুদ্ধ কুকুরদের বশ করা যায় না।
নিন্দুকের কথায় দমে যাওয়ার লোক হারিস ভাই না। তার মতে দুনিয়াতে একটা জিনিসের কোন অভাব নাই, আর তা হল নিন্দুক। সুতরাং চুয়াত্তরের বাড়িওয়ালা রাসেল মিয়াকে সকাল বিকাল দুটো করে গালি দিয়ে তিনি আমাদের মত উৎসাহী ছেলেদেরকে দিয়ে দুইটা অস্থায়ী বাঁশের বেড়া তৈরি করিয়ে নিলেন। আমরা রাতে বেলা সেগুলো দিয়ে দুদিকে দুইটা ব্যারিকেড দিয়ে দিলাম। কিন্তু রাতের বেলা দেখা গেল নানা চিপাচাপা দিয়ে ফাঁকফোকর গলিয়ে তারা ঠিকই জায়গামত মিলিত হচ্ছে।
চুয়াত্তর নম্বরের বাড়িওয়ালাকে বলেকয়ে সব ফাঁকফোকর বন্ধ করানো হল। এবার কুকুরদের আর আসার কোন উপায় রইল না। কিন্তু রাতের বেলা কুকুরেরা বাঁশের বেড়ার সাথে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করে দিল। ওরা সবাই দলবেঁধে ছুটে এসে বাঁশের বেড়ার উপর আছড়ে পড়তে লাগল। এভাবে পড়ে পড়ে তারা সেই বেড়া ভেঙ্গে ফেলল। সে এক দেখার মত দৃশ্য। কেউ যেন ওদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে, এক একটা কুকুর দূর থেকে ছুটে আসছে আর বেড়ার উপর ঝাপিয়ে পড়ছে। ওদের উপর যেন জালিম ভর করেছে। সবগুলো যে পাগলা কুকুর। আর ঠিক এই জায়গায় এসে হিসু করতে না পারলে ওরা বোধহয় মরে যাবে এমন একটা বিষয়। প্রতক্ষ্যদর্শীদের অনেকে ভয় পেয়ে গেল। অনেকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে লাগল। সমস্যাটা এখন আর শুধু চুয়াত্তর নম্বরের নাই। সার্বজনীন হয়ে উঠল।
আমাদের খেজুরতলার শত বছরের ইতিহাসে এই ধরনের জটিলতার জন্ম কখনো হয় নাই। অন্যভাবে ভেবে দেখলে জিনিসটা হয়তো ভালই। আমরা সকলেই এই জটিলতায় জড়িয়ে যাচ্ছি। কমবেশি সবাই এই নিয়ে কথা বলছি, মতামত দিচ্ছি। আগে যেমন একজন আরেকজনকে দেখলে হনহন করে ছুটে চলে যেতাম এখন আর সে অবস্থা নাই। সবাই সবার সাথে দুটো কথা বেশি খরচ করছি। হোক না তা রাস্তার কুকুর নিয়ে তবু তো সবাই কথা বলছে। আমাদের পঁচা মবিলের মত একঘেয়ে নাগরিক জীবনে হঠাৎ একটা মৌমাছি এসে পাখা নাড়তে শুরু করল।
সুতরাং আমরা সবাই হারিস ভাইয়ের নেতৃত্বে দলবেঁধে খেজুরতলা সোসাইটির অফিসে গেলাম। সোসাইটির সভাপতি সেক্রেটারীও এলেন। নানা ধরনের ব্যাখা বিশ্লেষণ চলল। সাইন্টিফিক, শরীরী, অশারীরী নানামুখী আলোচনা চলল। কুকুরদের কোন অসুখ-বিসুখ থাকতে পারে। সুতরাং সেটা ডায়াগনসিস করা দরকার। বায়োলজীর অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর আজমল স্যার এক অচিন্ত্যনীয় এক উপায় বের করলেন। তিনি বললেন, ভিনেগার এবং পেপারমিন্টের সংমিশ্রণ কুকুরের পক্ষে অসহ্য। চুয়াত্তর নম্বরের সামনে ভিনেগার ও পুদিনার মিশ্রণ প্রয়োগ করা দরকার।
খাদ্যমন্ত্রণালয়ের জয়েন্ট সেক্রেটারী রফিক সাহেবের বৃদ্ধ বাবা ফরিদ আংকেল বললেন, কুকুরদের উপর অশরীরী ভর করতে পারে। ভালো কোন তদবীর-টদবীর করা দরকার। পুরান ঢাকায় একজন কবিরাজ আছে। নজীর শাহ। বেশ কামেল লোক। আমাদের গ্রামের আজমল পাটোয়ারীর উপর একবার বদজ্বীনের নজর পড়ছিল। খুবই খারাপ অবস্থা। গায়ে কাপড়-চোপড় রাখত না। সবাইকে থুতু মারত। তখন নজীর শাহকে খবর দেয়া হয়। নজীর শাহ একরাতের মধ্যেই সেই জ্বীন বোতলে ঢুকায়ে মাটির নিচে পুঁতে ফেলল। পরদিন থেকে আজমল পাটোয়ারী সুস্থ। যেন কিছু হয় নাই। সবাই চাইলে আমি নজীর শার সাথে যোগাযোগ করতে পারি।
কেউ কেউ বললো, কুকুরদের সমস্যা থাকতে পারে। শারীরিক সমস্যা হতে পারে। মানসিক সমস্যাও হতে পারে। কুকুরদের প্রতি আমাদের আরো সহানুভূতিশীল হওয়া দরকার।
ইত্যাদি নানা মুখরোচক আলোচনা হল বটে তবে কোন সমাধান ও সিদ্ধান্ত ছাড়াই সভা শেষ হল। হারিস ভাই বললেন আমি আগেই কইছিলাম ছাগল দিয়ে কখনো হাল চাষ করা যায় না। এরা কিছুই করতে পারবে না। সবই কমিটির মুরুব্বিদের গাফিলতি। তারা চাইলে একটা সমাধান দিতে পারত। তবে তিনি হাল ছাড়লেন না। তাঁর ধারনা হল আজমল স্যারের সলিউশনটা বেশ কাজের হবে। তাঁর নির্দেশে কয়েকজন সিকিউরিটি গার্ড মিলে ড্রামভর্তি সিরকা আর পুদিনার রস মিক্স করল। রাতের বেলা সেইটা চুয়াত্তর নম্বরের সামনে স্প্রে করল। কুকুরেরা এটাকে পাত্তাই দিল না। রেগেমেগে পুরো ভিনেগার আর পুদিনার ড্রাম ছেড়ে দিয়ে বন্যা বইয়ে দেয়া হল। কুত্তারা মনের আনন্দে সেই ভিনেগারের উপরেই হিসু মেরে দিল।
হারিস ভাই তবু হাল ছাড়লেন না। এমনকি দিনের বেলা দুয়েকটা কুকুর ধরে নিয়ে মিটফোর্ডের কুকুর-বিড়াল হাসপাতালে নিয়ে টেস্ট করালেন। কুকুরেরা সম্পূর্ণ সুস্থ। কোন শারীরীক গোলযোগ নাই। কুকুরের মানসিক স্বাস্থ্য দেখার যেহেতু কেউ নাই সেহেতু সে লাইনে আর চেষ্টা করা গেল না। আর কুকুরের জ্বীন তাড়াতে পারে এমন কোন কবিরাজও পাওয়া গেল না। ফরিদ আংকেল বললেন, নজীর শাহ কুকুরের তদবির করে না। কুকুরের তদবির করা বহত দিকদারি ব্যাপার।
তবে এই সমস্ত কিছুর মধ্যে সবচেয়ে বেদনাদায়ক দিক হচ্ছে চুয়াত্তর নম্বর বাড়ির মালিক রাসেল সাহেব এখনো নির্বিকার। এমনকি সেদিনের সে মিটিংয়ে খেজুরতলার প্রায় সকলেই উপস্থিত থাকলেও তিনি ছিলেন না। অতি ব্যস্ত মানুষ তাঁর নাকি সময় হয় না। হাসির ভাই তার ব্যস্ততার বাপ-মাকে কিছুক্ষণ গালিগালাজ করে আমাদের ছোট একটা দল নিয়ে চুয়াত্তর নম্বরে গেলেন। রাসেল সাহেব আমাদেরকে চা-পানি খাইয়ে হাসি হাসি মুখে বললেন, ভাই, আমার কি করার আছে? আমি কি কম বিপদে আছি। কুত্তার গুষ্ঠিকে কি দাওয়াত দিয়ে এনেছি আমার বাড়ী নোংরা করতে? তা কেউ কখনো করে বলেন? আপনারা যদি কিছু করতে পারেন তো ভালই। আমি আপনাদের সাথে আছি।
ঘটনা আগের মতই চলতে থাকল। আমরাও প্রায় অভ্যস্থ হয়ে পড়েছি। বরং রাতের বেলা অনেকে শখ করে কুকুরের দলবন্ধ মুত্রকান্ড দেখতে আসে। রিকসাওয়ালারা এই গলি পার হওয়ার সময় হাসতে হাসতে প্যাসেঞ্জারকে গল্প শোনায়। এলাকার নামই চেঞ্জ হয়ে যায় কিনা আমরা এই নিয়ে ভয়ে আছি। কিন্তু হারিস ভাই এখনো লেগে আছেন। এই গুরুতর সমস্যা নিয়ে তিনি ছাড়া আর কারো কোন মাথান্যাথা নাই এই নিয়ে কিছুটা অভিমান করেছিলেন। তবে অভিমান নিয়ে বসে থাকলে তো আর তাঁর নেতৃত্বের বিকাশ হবে না। সুতরাং আবারো নতুন উদ্যমে লেগে পড়লেন। এবার তিনি আবার সবাইকে সোসাইটির অফিসে একত্র করলেন। খেজুরতলার প্রায় সব বাড়ীওয়ালা উপস্থিত হল, শুধু রাসেল মিয়া আসেনি। লোকটা হারিস ভাইকে কোন পাত্তাই দেয় না। হারিস ভাইও উপস্থিত জনতাকে বললেন, কুকুরদের এই আচরণের জন্য চুয়াত্তর নম্বরের মালিক রাসেল মিয়াই দায়ী। চুয়াত্তর নম্বর বাড়িটা অভিশপ্ত এই বিষয়ে তাঁর কোন সন্দেহ নাই। রাসেল মিয়া নিজে চরম কুকুর বিদ্বেষী লোক। এর আগে নাকি সে একবার দু-তিনটা কুকুর মেরে ফেলেছিল। তারই প্রেক্ষিতে কুকুরেরা দলবদ্ধ প্রতিশোধ নিচ্ছে। আমরা উপস্থিত জনতার প্রায় সকলেই হারিস ভাইয়ের সাথে একমত হলাম। একমত না হয়েও উপায় নাই। হারিস ভাই ছাড়া তো আর কেউ তো কিছু ভাবনা-চিন্তাও করে না। আর কুকুর মারার ঘটনাও সত্য। সে ঘটনার দু-চারজন সাক্ষীও আছে।
সোসাইটির বর্তমান কমিটি যেন রাসেল মিয়ার উপর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয় তার দাবীও তিনি উত্থাপন করলেন। এতেও আমরা ভোট দিলাম। সিদ্ধান্ত হল, আগামী কাল থেকে এলাকার সমস্ত কুকুরে খাবারের আয়োজনে দায়িত্ব রাসেল মিয়ার। আর রাসেল মিয়া যেহেতু সভায় উপথিত নাই, হারিস ভাই কমিটির পক্ষ থেকে এই আদেশ রাসেল মিয়াকে পৌঁছে দেবেন।
আমাদের কেন যেন মনে হল এইবার হয়ত কুকুরদের এই আকাম বন্ধ হয়ে যাবে।
এবং সত্যি সত্যি তারা সেই দিন রাতেই কুকুরেরা চুয়াত্তর নম্বর বাড়ির সামনে মূত্র বিসর্জন বন্ধ করে দিল।
আর তারা নতুন জায়গা বেচে নিল মূত্রবিসর্জনের জন্য। সেটা ছাব্বিশ নম্বর বাড়ি। বাড়িটার মালিক আমাদের প্রিয় হারিস ভাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। এখন ট্রান্সলেট করুণ- ঘেউ ঘেউ করা কুকুর কদাচিৎ কামড়ায়।