নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবার জনৈক বুদ্ধিজীবী বনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একদল শেয়ালের সাথে উনার দেখা হল। এত শেয়াল একসাথে দেখে তিনি ভয় পেয়ে গেলেন। তিনি দৌড়ে পালাবেন কিনা সেটা ভাবতে ভাবতে দেখলেন, সে পথ নাই। পেছনের দিকেও আরো একপাল এসে হাজির হয়েছে। এত শেয়াল দেখে তাঁর ভিরমি খাওয়ার উপক্রম। তিনি ঠিক কোন দিকে দৌড় দিবেন সে সিদ্ধান্ত নিতে নিতে তারা তাঁকে চারদিকে ঘিরে দাঁড়াল। এই প্রেক্ষিতে কি করনীয় সেটা নির্ধারণে তিনি তাঁর উৎকৃষ্ট মগজ হাতড়ে কোন উপায় বের করতে পারলেন না। ভয়ে নিজের চোখ বন্ধ করে নিজেক শেয়ালের পালের হাতে সমর্পণ করে দিলেন।
দীর্ঘক্ষণ চক্ষু বন্ধ রাখার পরে দেখলেন নিজের উপর কোন ধরনের আক্রমন এমন কি আঁচড়েরও আভাস পাওয়া গেল না। তখন তিনি চোখ খুললেন। খুলে দেখলেন, সব শেয়াল সামনের ডান পা কপালে তুলে তাঁকে স্যালুট দিচ্ছে। তাদের মধ্যে নেতা শেয়ালটি সামনে এসে বলল, হে মহাজন, আপনি আমাদের সালাম গ্রহন করুন।
'আমরা শেয়াল নিখিল বাংলার
সকলেই আপনার ফলোয়ার।।'
বাকী শেয়ালগুলা বলল, হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া, হুক্কা হুয়া।
শেয়ালদের ধ্বনিতে আকাশ বাতাস বন বাঁদাড় মুখরিত হল। মাননীয় বুদ্ধিজীবির দেহে প্রাণ আসল। তিনি হাত তুলে তাদের সালাম গ্রহন করলেন।
সহসা এক শেয়াল চিৎকার দিয়ে উঠল। বাঘ, বাঘ আসছে বাঘ। সাবধান! সাবধান!! শেয়ালগুলো সব এদিক সেদিক পালাতে লাগল। এদিকে বুদ্ধিজীবী সাহেব মরিয়া হয়ে বললেন, 'আমাকে রেখে যেওনা। প্লিজ।‘
শেয়ালনেতা, দাঁড়িয়ে বলল, 'হুজুর, একটা কাজ করুন, আপনি সমস্ত কাপড় চোপড় খুলে দাঁড়িয়ে থাকুন। ভাল হয় যদি, ন্যাংটা হয়ে গাছের ডালে ঝুলে থাকেন। বাঘেরা ন্যাংটা মানুষ দেখেনি কোনদিন। সে আপনাকে ভূত ভেবে আর কিছু করবে না।' বলে সেও লুকিয়ে গেল।
তখন মাননীয় বুদ্ধীজীবি মহাশয় আর কি করবেন, কাপড়-চোপড় সব খুলে সম্পূর্ন নগ্ন হয়ে আদি ও আসল চর্ম সম্বল করে গাছের ডালে ঝুলে পড়লেন।
পাশের গাছে দুষ্ট বান্দরেরা তখন হাসতে লাগল।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৮
আনু মোল্লাহ বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত। এটা কোন বুদ্ধিমান মানুষ লিখেনি, আমি লিখেছি। আমি বেকুব কিসিমের মানুষ। অতএব এখানে শেয়াল আছে, তারা কথা বলে এবং শেষ পর্যন্ত লিখাটি ইন্টারেস্টিং না।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।
২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: এক হিসেবে সব মানুষই বুদ্ধিজীবি।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
আনু মোল্লাহ বলেছেন: এখানে আসলে আমরা বুদ্ধিজীবী হিসেবে যাদেরকে চিনি তাদেরকেই বুঝানো হয়েছে।
ধন্যবাদ রাজীব ভাই।
৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মেটাফর ভালো হয়েছে!
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯
আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় প্রান্ত ভাই
৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২
মা.হাসান বলেছেন: খুব ভালো লেগেছে, পোস্টে + ।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন প্রিয় হাসান ভাই।
৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: বুদ্ধিজীবিটারেতো বড়ই চেনা চেনা লাগছে সেই সাথে শেয়াল আর বান্দরগুলারেও
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫০
আনু মোল্লাহ বলেছেন: হা হা হা।
একেবারেই ঠিক ধরেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই।
৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৭
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমার ভয় নাই। কারণ আমি বুদ্ধিজীবী না, কামলা খাটা মানুষ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৪
আনু মোল্লাহ বলেছেন: বুদ্ধিজীবী না হইলে তো কোন চিন্তা নাই, বুক ফুলিয়ে চলবেন।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা প্রিয় বড় ভাই।
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:০২
Hafiz Anwar বলেছেন: চাঁদগাজী ঠাকুরমার ঝুলি মার্কা গল্পেও বিজ্ঞান খুজতে আসছে।এই হলো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের অবস্থা!!!
দারুন লিখেছেন।অল্প পড়ে বেশি ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৫
আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় হাফিজ আনোয়ার ভাই। আপনার ভাল লাগা আমার আনন্দের।
অনেক শুভেচ্ছা নিবেন।
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
@Hafiz Anwar,
আপনি বলেছেন, " চাঁদগাজী ঠাকুরমার ঝুলি মার্কা গল্পেও বিজ্ঞান খুজতে আসছে।এই হলো আমাদের বুদ্ধিজীবীদের অবস্থা!!!"
-আপনি নিশ্চয় নিজকে বুদ্ধিমান হিসেবে সন্মান করেন না!!
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:২৭
আনু মোল্লাহ বলেছেন: আমার মনে হয় আপনার ও হাফিজ আনোয়ার এর দৃষ্টিভঙ্গিতে বিভিন্নতা রয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
বুদ্ধিমান মানুষ কিছু লিখলে, ওখানে শিয়াল থাকবে না; থাকলেও, মানুষের সাথে কথা বলতে পারবে না। ইন্টারেষ্টিং হয়নি