নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘নিহাল ভাইয়া!’
তাকিয়ে দেখলাম একটা মেয়ে। বয়স কত হবে ঠিক বুঝতে পারছি না। তিরিশের কাছাকাছি হবে নিশ্চয়।
শাহবাগে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। পিজিতে গিয়েছিলাম। দুপুর বেলা শাহবাগ তুলনামূলক একটু ফাঁকা থাকে। আজ কি হয়েছে কে জানে, খালি মানুষ কোন বাস সি এনজি কিছুই নাই। মাঝে মাঝে দু একটা বাস যদিও বা আসে, সূচ ঢোকানের জায়গা নাই। আমার সূচাধিক শরীর নিয়ে তাই ঢোকার চেষ্টাও করি নাই। ঠিক ভীড়ের মাঝে না গিয়ে ফুটপাতে একটা গাছের নিছে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরাব কি না ভাবছিলাম। একটা সিগারেটের দাম দশটাকা। সিগারেট শেষ হওয়ার আগেই যদি বাস আসে তাহলে কতটাকা লস হয় তাই হিসেব করছিলাম। এই সময়ে নিজের অপরূপ সুন্দরী অপরিচিতার ডাক শুনে ঠিক মনে করতে পারছিলাম না সে কে। মেয়েটি আবার বলল, ‘নিহাল ভাইয়া। কেমন আছেন?’
যে ভাবে ও ভঙ্গিতে ডাকছে তাতে মনে যেন সে আমার কাছের কেউ। খুব আদুরে চাচাত-খালাত বোন থাকলে যেভাবে ডাকে। আমার ব্রেইন কোনভাবেই তাকে মনে করতে পারছে না, সে আমার কোন জনমের কোন মামা কাকার মেয়ে।
‘নিহাল ভাই আমি রিক্তা। আপনি চিন্তে পারেন নি।’
কোন রিক্তা এইটা কোনভাবেই মনে করতে পারছিলাম না। তবু যেন চিন্তে পেরেছি এমন ভঙগি নিয়ে বললাম। ‘আরে রিক্তা, তুমি কেমন আছো।’
‘আমাকে এখনও চিনেনে নি, নিহাল ভাই। আপনি কি সিনেমা বানাচ্ছেন এখন? নায়িকা বানাবার ভয়ে চিনতে পারছেন না? ভয় নেই আমার এখন নায়িকা হওয়ার শখ নেই। হা হা । দাড়িও রেখেছেন দেখি। অবশ্য আপনাকে মানিয়েছে বেশ। কবে থেকে দাড়ি রাখছেন?’
এইবার মনে পড়ল। রিক্তা আমার ছাত্রি। সেগুন বাগিচায় থাকত। তাকে একবার কথায় বলেছিলাম, ভার্সিটি থেকে বের হলে আমি সিনেমা বানাব।
সেই থেকে আমাকে মজা করে বলত, আমাকে আপনার সিনেমার নায়িকা বানাবেন?
আচ্ছা ঠিক আছে নায়িকা বানাতে হবে না, নায়িকার ছোটবোন বা বান্ধবী এই রকম একটা পাট দিলেও হবে। বান্ধবী হলে ক্লোজ বান্ধবী বানাবেন। লতা-পাতা বান্ধবী না।
স্যার জানেন আমার মাকে বলেছি আপনি সিনেমা বানাবেন। আমার বান্ধবীরাও জানে। ক্লাসে আমার বান্ধবীরা আমাকে নায়িকা ডাকে।
কেন?
আগাম ডেকে নিচ্ছে আরকি। আমি নায়িকা হলে আপনি কিন্তু আমার কাছে অটোগ্রাফ চাইবেন একদিন। আপনি আমার অটোগ্রাফ নিচ্ছেন এই ছবি বাঁধাই করে রাখব।
একদিন রিক্তা আমাকে একটা চিরকুট দিল।
আমাকে যে সিনেমার নায়িকা হিসেবে আপনার পছন্দ না সেটা আমি জানি। তাছাড়া সিনেমার নায়িকা হওয়ার কোন সাধও আমার নাই। সিনেমার নায়িকা না বানান, না বানালেন আপনার জীবনের নায়িকা বানাবেন আমাকে?’
সেইদিন যে আমি এসেছি আর যাইনি। সেই দিনের পরে আজ দেখা। মাঝখানে পনের বছর পার হয়ে গেছে। রিক্তা আমাকে চিনল কি করে সেটাই বুঝলাম না। দাঁড়ি রেখে দিয়েছি। আগের চেয়ে একটু স্লিম হয়েছি। চোখে চশমা উঠেছে।
এত কিছুর পরও রিক্তা আমাকে চিনল কি করে?
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৬
আনু মোল্লাহ বলেছেন: কিছু কিছু মুখের ছবি আজীবন মনের মধ্যে গেঁথে থাকে, ভোলা যায় ন--------- একেবারেই ঠিক বলেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানাই।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪০
সুমন কর বলেছেন: শেষটা ভালো হয়েছে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৪৭
আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নিবেন প্রিয় সুমন কর
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:৫৩
সায়ান তানভি বলেছেন: লেখার হাত ভালো ,আরও লিখুন ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সায়ান ভাই
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
মুসাফির নামা বলেছেন: গল্পটা ধরতে পারিনি।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালোই।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
আনু মোল্লাহ বলেছেন: অনেকদিন আগে নিহাল রিক্তার ভালবাসা থেকে পালিয়ে এসেছিল। বহু বছর পরে তাদের দেখা হলে নিহাল রিক্তাকে চিনতে পারে না। কিন্তু রিক্তার মনের গহীনে তখনো রয়েগেছে নিহালের ছবি। এটাই গল্প। যাকে ভালবাসা হয় তাকে ভোলা হয় না।
ধন্যবাদ
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবনের নায়িকা হতে চেয়েছে যার, তারে কি সহজে ভোলা যায়....!
অল্পতে বিস্তর।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১০
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: যে মানুষটার জীবনের নায়িকা হতে চেয়েছিলো, যুগ যুগ পরেও তাকে চিনতে পারাটা স্বাভাবিক। কিছু কিছু মুখের ছবি আজীবন মনের মধ্যে গেঁথে থাকে, ভোলা যায় না।
ভালো লিখেছেন।