নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একবার একলোকের মস্তিষ্ক কেনার দরকার পড়ল। আমরা অনেকেই রক্তের দরকার হলে যেমন ব্লাডব্যাংকে যোগাযোগ করি ভদ্রলোক তেমনি ব্রেইনব্যাংক এ যোগাযোগ করল। ব্লাড ব্যাংকে যেমন ব্লাড পাওয়া যায়, ব্রেইন ব্যাংকে তেমনি ব্রেইন পাওয়া যায়। ব্রেইন ব্যাংক বরং ঝামেলা মুক্ত। ব্লাড ব্যাংকে গ্রুপ মিলতে হয়, ক্রস ম্যাচিং করা লাগে, নানা রকমের পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তারপর ব্লাড দেয়া হয়। কিন্তু ব্রেই ব্যাংকে চাইলেই ব্রেইন পাওয়া। অর্ডারের সঙ্গে সঙ্গে সাপ্লাই। কোন ঝামেলা নাই। কারো ব্রেইন ডিফেক্ট হলে, বিকল হয়ে গেলে ব্রেইন ব্যাংকই ভরসা।
ব্রেইন ব্যাংকের চৌকষ বিক্রেতা ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করল, ‘আপনার কেমন ব্রেইন চাই?’
- ব্যাপারটা ঠিক বুঝিনি। বুঝিয়ে বল।
- স্যার, আমাদের এখানে তিন ধরনের ব্রেইন আছে। অব্যবহৃত, বেশি ব্যবহৃত, অতি বেশি ব্যবহৃত। ব্যাবহার অনুসারে দামের তারতম্য হয়। অতি বেশি ব্যবহৃত ব্রেইনের দাম একেবারেই কম। এই ধরনের ব্রেইনগুলোর মালিক ছিলেন মূলত লেখক সাহিত্যিক সম্প্রদায়। তাঁরা তাদের মস্তিষ্ক সর্বোচ্চ ব্যবহার করে গেছেন। এরফলে তাঁদের ব্রেইনে আর অবশিষ্ট বলতে কিছুই নেই। তাই দামে একদম সস্তা। বলতে গেলে জলের দাম। এর পরের অবস্থানে আছে ব্যবসায়ীদের ব্রেইন। ব্যবসায়ীরাও খুব বেশি মস্তিষ্ক খাটিয়েছেন। খুব বেশি একটা বাকী রাখেন নি। এটাও তাই আমরা সস্তায় বিক্রি করি।
- আর অব্যবহৃত অর্থাৎ আপনার ভাষায় বেশি দামী ব্রেইন গুলো কাদের?
- এই ব্রেইন গুলো সেনা অফিসারদের। তাঁরা তাদের ব্রেইন বলতে গেলে ব্যবহারই করেননি। তাই একেবারেই নতুন রয়েগেছে এই ব্রেইন। আমরাও তাই সর্বোচ্চ দামেই বিক্রি করি।
এই দোকানে যদিও সেনা অফিসারদের বলা হয়েছে তাঁরা মস্তিষ্ক ব্যবহার করেন না। তা ঠিক নয়। সেনা অফিসাররা যে কি পরিমান মাথা খাটান তা আজকের পত্রিকা পড়ে আমি টের পেয়েছি। ভারতে একটা প্রদেশে এক নিয়োগের পরীক্ষায় নকল এড়ানোর জন্য অভিনব পদ্ধতির উদ্ভাবন করে তারা। যারা নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এসেছে তাদের সবকাপড় চোপড় খুলে শুধু শুধুমাত্র অন্তর্বাস পরে পরীক্ষা নেয় সেনাবাহীনী। কেরানি নিয়োগের এই পরীক্ষায় একশ পরীক্ষার্থী ন্যাংটো হয়ে কোপায়া লিখিত পরীক্ষা দেয় বলে জানাগেছে।
সমালোচনা চললেও সেনাতরফ থেকে এরপক্ষে যথেষ্ট সাফাই গাওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে জামাকপড়ের ভেতরে এমনকি আন্ডারওয়ারের ভিতরেও নকল নিয়ে যাওয়া হয়। নকল রোধে এছাড়া তাদের আর বিকল্প ছিলনা।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২০
আনু মোল্লাহ বলেছেন: ডর খাইছি।
২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:১৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: জুক্সটা আগে হুনছিলাম। তবে আর্মির জায়গায় পলিটিশিয়ান ছিলো।
ভালো বুদ্ধি তো!
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
আনু মোল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ, ভাল বুদ্ধি :প :প
৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:০০
আজমান আন্দালিব বলেছেন: পরীক্ষা নেওয়ার অভিনব পদ্ধতি!
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:২৪
আনু মোল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ অভিনব।
ধন্যবাদ
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১:০৭
প্রামানিক বলেছেন: জোকসটা পড়ে মজাই পেলাম। ধন্যবাদ
২৬ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ২:৪১
আনু মোল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২
কথাকাহন বলেছেন: ভাইজান সাবধান। ব্রেইন ব্যবহার না করা সেনাবাহিনী বলা যায় না একই কায়দায় আপনার ও পরীক্ষা নিতে পারে।