নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আন্‌ওয়ার এম হুসাইন। বাংলাদেশী লেখক। দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক বাংলা ও কিশোর বাংলায় গল্প লিখি। প্রকাশিত গল্পের বইঃ প্রত্যুষের গল্প (পেন্সিল)\nউপন্যাসঃ এমনি এসে ভেসে যাই (তাম্রলিপি)।

আনু মোল্লাহ

আন্‌ওয়ার এম হুসাইন এর ব্লগ

আনু মোল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোহেল মুহম্মদ শরীফ

২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১

১৯৯৭ সালে এসএসসি পরীক্ষা শেষ। আমার অফুন্ত সময় আর অফুরন্ত স্বাধীনতা। এই স্বাধীনতায় যেখানে যে বই পাচ্ছি গোগ্রাসে গিলছি। একদিন রাত নটা-দশটার দিকে সম্ভবত খালাদের বাড়ি থেকে ফিরছিলাম। কি একটা কাজে মোড়ের চায়ের দোকানে ঢুকেছি। দোকানের ক্যাশের পাশে দেখি একটা বই। শত হাত বদলের চিহ্ন। সব পাঠক তাদের মনের কথা লিখে রেখেছেন বইয়ের গায়ে গায়ে। নানা জনের ঠিকানাও লিখা। দোকানদার হুদা ভাইকে বললাম বইটা নিতে পারি কিনা? তাঁর অনুমতিতে বইটা বাড়িতে নিয়ে আসি। বইয়ের নাম ভালবাসার ছন্দ পতন । বইয়ের আটপৌরে নামের মত প্রচ্ছদটাও নামী কাউকে দিয়ে করানো ছিল না। কিন্তু আটপৌরে মলাট আর প্রচ্ছদের ভিতরে সাজানো অনবদ্য এক কাহিনী। সাধারণ মধ্যবিত্ত শহুরে সুখ দুখ আর ভালবাসার কাহিনী। সাথে কয়েকটা তুলির আঁছড় নিম্নবিত্তের জন্যও ছিল। সমগ্র উপন্যাস জুড়ে অসাধারন কাব্যময়তা, সাবলীল বর্ণনা। চমৎকার সব সংলাপ। এর কিছুদিন পর একটি নামকরা জাতীয় সাময়িকীর ঈদসংখ্যায় এই লিখকের আরেকটি উপন্যাস দেখতে পাই। সেই উপন্যাসের নাম মনে নাই, কিন্তু উপন্যাসে ব্যবহৃত নজরুলের একটি কবিতার কথা মনে আছে, বেলা শেষে উদাস পথিক ভাবে/ সে যেন কোন অনেক দূরে যাবে। কিন্তু সেটি ছিল ভালবাসার ছন্দ পতনের চেয়েও শক্তিশালী সাহিত্য মান উত্তীর্ণ। তখন মনে করতে পারলাম ১৯৯০, ৯১ সালের দিকে কোম্পানীগঞ্জ নোয়াখালী হতে বের হওয়া নিম্নাঞ্চল নামক একটি ম্যাগাজিনে তাঁর লিখা দেখতাম। সেই সময়কার তাঁর একটি গল্পের নাম এখনো আমার মনে পড়ে দূর্নীতি জিন্দাবাদ। তারপর আর কোনদিন এই লেখককে খুঁজে পাইনি। কোন জাতীয়, আঞ্চলিক কোন দৈনিকে না, কোন সাময়িকীতে না। এখনো মনে আছে ভালবাসার ছন্দ পতনে তাঁর পরিচিতি লিখা ছিল তিনি সিএ (সিসি), পাহাড়তলী, চট্টগ্রামের কোন কলেজ থেকে বি, কম। এরকম একজন শক্তিশালী লিখক কিভাবে কোথায় হারিয়ে গেলেন। আমি মাঝে মাঝেই সোহেল মুহম্মদ শরীফকে খুঁজি। আমার প্রথম দিককার ভাললাগা উপন্যাসগুলোর মাঝে তার দুটি উপন্যাস অবশ্যই ছিল। আমি জানি না তিনি আদৌ লিখেন কিনা নাকি অন্য কোন নামে লিখছেন? নাকি অনেকের মতই কোন অজানা অভিমানে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন সাধের লেখালেখি। বই মেলায় নতুন নতুন লেখকদের লিখা দেখলে আমার সোহেল মুহাম্মদ শরীফের কথা মনে পড়ে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯

ইয়েলো বলেছেন: নাম শুনিনি আগে।অনেক রাইটার প্রচারের অভাবে হারায়ে যান

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

আনু মোল্লাহ বলেছেন: নাম শোনার কথা হয়ত নয়। কারন আজ থেকে পনের বিশ বছর আগে তিনি লেখা করতেন। তারপর তাঁর কোন লেখা কোথাও দেখিনি। হয়ত তিনি এখন আর লিখেন না।

২| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০১

মুসাফির নামা বলেছেন: যারে তুমি খোঁজ হয়তো সে তোমার পাশেই থাকে।

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

আনু মোল্লাহ বলেছেন: হয়ত।
আপনি কি কখনো এই লেখকের নাম শুনেছিলেন?

৩| ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৩৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: মাঝেমাঝে কিছুকিছু বই হঠাৎ চোখে পড়ে যেগুলো হয়তো নিম্নমানের কোন প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত, ছাপানো ভালো নয়, ভালো নয় বাঁধাইও কিন্তু পড়তে অনবদ্য লাগে।
আশা করি তিনি লেখালেখি ছেড়ে দেননি। তার কলম চলুক সাথে আপনারও।
শুভকামনা আপনার ও আপনার প্রিয় সেই লেখকের জন্য

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৭

আনু মোল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।
আমিও আশাকরি তাঁর কলম চলুক।

৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: তার লেখা পড়তে ইচ্ছে করছে। খুঁজে পেলে শেয়ার কৈরেন।

০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

আনু মোল্লাহ বলেছেন: জী স্যার, অবশ্যই করব :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.