নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজীব

মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন....

রাজীব

যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, তারে বৈরাগী মন কেন দিলা রে....

রাজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের সংস্কৃতি কি ধ্বংসের মুখে নাকি আইসিইউতে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

অনেকদিন ধরেই আমরা সংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার। উপনিবেশিক সময়ে ইংরেজদের অনেক ষড়যন্ত্রের পরও আমাদের সংস্কৃতি টিকে ছিল। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় সংস্কৃতিক আগ্রাসনে আমাদের সংস্কৃতি মৃতপ্রায়। আমি বড় প্রবন্ধ না লিখে ছোট কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই।

১। আমরা কি আমাদের দেখা সর্বশেষ ৫ টি ভালো সিনেমার নাম মনে করতে পারি?
২। আমরা কি আমাদের দেখা সর্বশেষ ৫ টি ভালো নাটকের নাম মনে করতে পারি?
৩। আমাদের শোনা সর্বশেষ ৫ টি ভালো গান মনে করতে পারি?
৪। আমাদের পড়া সর্বশেষ ৫ টি ভালো গল্প/উপন্যাসের নাম মনে করতে পারি?
৫। আমাদের পড়া সর্বশেষ ৫ টি ভালো কবিতার নাম মনে করতে পারি?

অন্তত আমার ক্ষেত্রে আমি হুমায়ুন আহমেদের পর কোন ভাল নাটক, সিনেমা ও গল্প/উপন্যাস পাইনি।
কবিতা আমি একটু কম বুঝি।
আর ভালো গান মনে করতে হলে কমপক্ষে ১৫ বছর আগে চলে যেতে হচ্ছে।

এতেই বুঝা যায় আমাদের সংস্কৃতি কি অবস্থা!


মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার এমন মনে হবার কারণ কি যে আমাদের সংস্কৃতি কি ধ্বংসের মুখে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব বলেছেন: আমাদের শীল্প সাহিত্য হারিয়ে যাচ্ছে।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিজ ভাষায় সাহিত্য পড়া, নিজ দেশে উৎপাদিত সিনেমা দেখা, জাটীয় সংগীত গাইতে পারা, নববর্ষে ইলিশ পান্তা খাওয়া মানে সংস্কৃতি নয়।

সংস্কৃতি হলো, স্বজাতির ট্রেডিশন, আচরণ, নীতিমালা, জীবনযাত্রাকে উন্নত স্তরে রেখে সমসাময়িক পরিবেশের সাথে তাল মিলিয়ে শান্তিতে থাকা।

জাতি নিজস্ব ট্রেডিশন, নীতিমালা বাদ দিয়ে অন্য জাতিকে অনুসরণ করার শুরু করেছে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

রাজীব বলেছেন: বড় ধ্বংসের সূত্রপাত কিন্তু ছোট কিছু থেকেই হয়। যেমন ছোট একটি স্ফুলিংগ থেকে বড় আগুনের সৃষ্টি হয়। আমাদের সংস্কৃতি খুব সুক্ষ্ম পরিকল্পনা করে ধ্বংস করা হচ্ছে।
বিদেশী সাহিত্য পড়ে বিদেশী নাটক সিনেমা দেখে অলরেডি আমরা বিদেশী জীবনধারায় অভ্যাস্ত হচ্ছি। সেজন্যই পাখি ড্রেসের জন্য এখন আমাদের দেশে মানুষ আত্মহত্যা করে। আমাদের পোশাক আসাকে ও আচরনে বিদেশী অনুকরন চলে আসছে।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমাদের সংস্কৃতি:

ধর্ম আমাদেরকে বেদুইনদের সংস্কৃতিতে নিয়ে গেছে, রাজনৈতিক আচরণ পাকীদের মতো, বিনোদন ভারতীয়, সততা মগের মুল্লুকের মতো, শিক্ষাদীক্ষা আফগানদের মতো।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: এতটা আশাহত হলে হবে না।

৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৯

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: লেখক প্রথম কমেন্টে আপনি নিজেই শিল্প (শীল্প) বানান লিখতে ভুল করেছেন!
নিজেদের সংস্কৃতি শিল্প সাহিত্য নিজেদেরই বাচিয়ে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে বিদেশী সংস্কৃতি কে দোষ দিয়ে লাভ নেই। মানুষ আজীবন ভালর খোজে ছিল। এখন আমার অত্যন্ত সমৃদ্ধ সংস্কৃতি থাকার পরও যদি মানুষকে ভাল কন্টেন্ট দেয়া না যায় তাহলে তারা বিদেশী জিনিসের প্রতি আকৃস্ট হবে এটাই স্বাভাবিক। মুল কথা হচ্ছে মেধার বিকাশ। বাংলাদেশের শিক্ষা থেকে শুরু করে সকল সিস্টেমগুলোই একে একে ভেঙ্গে গেছে। যার কারনে মেধাবীরা আর তৈরী হচ্ছে না। তার ওপর পাশের দেশের প্রায় সেম-টু-সেম ভাষা ও কালচারে নির্মিত হওয়া কন্টেন্ট গুলো সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় ভোক্তাকুলও আর দেশের দিকে তাকাচ্ছে না। ফলাফল তো দেখছেনই।
আরোও একটা ব্যপার হচ্ছে আমাদের দেশের বর্তমান শিল্পীদের সেলিব্রেটি হওয়ার প্রবনতা। তারা শিল্পের সাধনা না করে আগেই জনপ্রিয় সেলিব্রেটি হতে চায় তারপর পশ্চিমাদেশ ভ্রমন করে পাসপোর্ট ভারি করতে চায় যেন যেদিন ইন্ডাস্ট্রি থেকে হারিয়ে যাবে সেদিন যাতে সহজেই অভিবাসী হযে যেতে পারে। ভালো করে খোজ নিয়ে দেখুন আমাদের দেশের প্রায় ৯০ ভাগ জনপ্রিয়-অজনপ্রিয় শিল্পীরাই এখন পশ্চিমা প্রবাসী।
ওহ আরো একটা জাতিগত স্বভাব আমাদের আছে তা হলো নিজেরাই নিজেদের পেছন মারার। বিদেশে লিংকিন পার্ক, আয়রন মেডেন, ওয়ান রিপাবলিক, মেরুন ফাইভ সহ আরো অনেক কিংবদন্তি ব্যান্ড আছে যারা একে অপরের কুৎসা না করে যুগ যুগ ধরে দুর্দান্ত সব মিউজিক করে চলেছে। তাদের প্রতিটা গানই একেকটা মাইলস্টোন। আর আমাদের? মাইলস-এলআরবি-জেমস-অর্থহীন এর মতো প্রথম সারির ব্যান্ড গুলো নোংরা কাদা মাখামাখিতে ব্যস্ত। ব্লাক- আর্টসেলের অবস্থাতো আর খারাপ, তারা নিজেদের দলের মধ্যেই এক থাকতে পারেনি, ভেঙ্গে গেছে। জন - তাহসান অভিনয় করে আর বাকিরা কোথায় কেউ জানেনা।
সিনেমাতেও একই অবস্থা, এফডিসিতে বছরজুড়ে সিনেমার চে বেশি হয় নির্বাচন মিছিল রাজনীতি আর বিদেশী ছবির বিরুদ্ধে আন্দোলন। সেদিন ইউটিউবে দেখলাম, মাসুদ রানা চরিত্রের জন্য ট্যালেন্ট হান্ট প্রোগ্রামে আসা এক কেন্ডিডেটের সাথে ফাহমী নামের এক দুশ্চরিত্রবান "পরিচালক" যা-তা দুর্ব্যবহার করছে কারন সে প্রবেশের পর "মে আই কামি ইন স্যার " না বলে আসসালামওয়ালাইকুম বলেছে। অথচ এই ফাহমী সামান্য কটা ফালতু নাটক ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। পশ্চিমা দেশ তো দুর, সামান্য কলকাতার টলিউডেও সে ডি গ্রেড এর ওপরে উঠতে পারবে না।
তাহলে বলেন এত সমস্যার সমাধান কোথায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.