নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে, তারে বৈরাগী মন কেন দিলা রে....
এস এস সি পরীক্ষার ফল বেরিয়েছে। অনেকেই জিপিএ ৫ পেয়েছে। যারা পায়নি তারা খুব কচ্টে আচে।
অনেকে আবার ৪.৮ পেয়েও জীবনটাকে ব্যার্থ ভাবছে। কেউ কেউ নাকি খাওয়া দাওয়া ছেড়ে বিছানায় চিৎপটাং। অনেকে আত্মহত্যাও করে। কিন্তু আসলে এই জিপিএ কি?? এটি কি জীবনের চেয়েও বেশী গুরুত্বপূর্ন? মোটেই না।
অনেক নায়ক নায়িকাকে বা খেলোয়ারকে বলতে শুনি বয়স একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই না। ইচ্ছে করলে অনেক বয়সেও অনেক কিছু করা যায়।
আসলে জিপিএ-ও একটি সংখ্যা ছাড়া আর কিছু না। একজন ছাত্র মেধাবী কি মেধাবী নয়, কতটুকু পরিশ্রমী সেটি কি জিপিএ দিয়ে বুঝা যায়??
যায় না। জিপিএ শুধু ভর্তি পরিক্ষায় কাজে লাগে, আর কোথাও নয়।
খারাপ জিপিএ নিয়েও অনেক ছাত্রছাত্রী আজ ভালো অবস্থায় আছে। কারন মেধা জিপিএ তে নয়। মেধা থাকে মাথায়। শুধু পুথিগত বিদ্যা দিয়ে কিছু হয় না। সাথে সাধারন জ্ঞান, আই কিউ, সামাজিক জ্ঞান বিভিন্ন জিনিসের দরকার আছে।
আমার নিজের জীবন থেকে আমি জানি, পরীক্ষা ও রেজাল্ট তেমনি একটি গাধা যেমন ক্রিকেটের স্কোরবোর্ড একটি গাধা।
আমি এসএসসি তে মোটামুটি ভালো রেজাল্ট করেছিলাম কিন্তু এইচএসসিতে তেমন ভালো করতে পারি নি। ছাত্রজীবনের স্বপ্ন বুয়েটে পড়ার, কিন্তু সেখানে ভর্তি পরীক্ষা দেবার যোগ্যতাও হয়নি। কিন্তু তাই বলে ভেংগে পরিনি বা হতোদ্যম হই নি। আমার সব সময় লক্ষ্য ছিল পড়া নয় জ্ঞান অর্জন করা। আমি কখনো শুধু পরিক্ষার খাতায় লিখার জন্য কিছু শিখিনি। যেটুকু শিখেছি সেটুকুতে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ফলাফল, আমার সমবয়সী অনেকের চেয়ে আমি অনেক ভালো আছি। জীবনে যে কয়টি চাকুরী করেছি সবগুলোতে নিয়গ পরীক্ষায় প্রথম হয়ে নিয়োগ পেয়েছি। অথচ আমার চেয়ে অনেক ভালো রেজাল্টধারী অনেক আমার সাথে চাকুরীর পরিক্ষা দিয়েছিল।
আসলে নিজের ঢোল পিটানোর জন্য এই লিখা নয়। আমি আসলে এখনকার শিক্ষার্থীদেরকে বুঝাতে চাই যে, শুধু পরিক্ষা ও রেজাল্ট নয়, ভালো করতে হলো শিখার আগ্রহ থাকতে হবে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তোলার ইচ্ছা থাকতে হবে। শুধু পরীক্ষার খাতায় লেখার জন্য নয়, জীবনে প্রয়োগ করার জন্য জ্ঞানার্জন করতে হবে। এবং স্কুল কলেজের বইয়ের বাইরেও অনক অনেক বই পড়তে হবে। নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তহলেই সাফল্য আসবে। কোন বাধায় পিছিয়ে গেলে হবে না, কারন ফেইলার ইজ দ্যা পিলার অফ সাক্সেজ।
নিজের প্যাসন থাকতে হবে কিন্তু গোয়ার্তুমি নয়। ভালোকে গ্রহন করতে হবে, খারাপকে নয়। নকল করে বা প্রশ্ন ফাস করে ভালো রেজাল্ট করা যায় কিন্তু যোগ্যতা অর্জন করা যায় না। জীবনের ম্যারাথনে অযোগ্য মানুষ টিকে থাকতে পারে না।
সবশেষে থ্রি ইডিয়ট-এর একটি ডায়লগ দিয়ে শেষ করি:
বাছা, যোগ্য হও, সাফল্য পিছে পিছে ঘুরবে।
১৩ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮
রাজীব বলেছেন: ধন্যবাদ। তবে যাদের জন্য লিখা তাদের সামান্য উপকার হলেও নিজেকে ধন্য মনে হবে।
২| ১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৩২
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশের শিক্ষার সুযোগ কমায়ে দিয়েছে কইছু দুস্টলোক ও সরকার; ভর্তির জন্য মানুষ পাগলের মতো হয়ে গেছে, বাচ্ছারা হচ্ছে হতাশ।
১৪ ই মে, ২০১৬ রাত ১০:৪৩
রাজীব বলেছেন: শিক্ষা এখন খুব ভালো একটা ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।
৩| ২৯ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
মহা সমন্বয় বলেছেন: ফেইলার ইজ দ্যা পিলার অফ সাক্সেস।
৪| ৩১ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
জে.এস. সাব্বির বলেছেন: কাবিল হোনে কে লিয়ে নেহি ,কামিল হোনে কে লিয়ে পড়ো... সাকসেস ঝাঁক মারকে তোমহারা পিস আজায়েগা....! - বাবা র্যান্ছোরদাশ স্যামলদাশ চ্যাসর
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:১০
সুখ আহমেদ বলেছেন: অসাধারন
১৭ ই জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২১
রাজীব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:৩১
চাঁদগাজী বলেছেন:
শিক্ষাংগনের মালিক হবে ছাত্রদের পরিবার।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২
বিদ্রোহী চাষী বলেছেন: ভালো লেগেছে কথাগুলো।