নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
‘দোস্ত, তোরা তো চন্দ্রে ও মঙ্গল-ফঙ্গলে রকেট-মকেট পাঠায়ে একাকার করে দিয়েছিস। ওদিকে শাহরিয়াররা তো গোটা বিশ্বে ভিক্ষুক-মিক্ষুক পাঠায়ে ভজগট অবস্থা’--আমার ইজ্ঞিতপূর্ণ কথা মনীশ প্রথমে বুঝতে পারেনি। একটু খোলাসা করে বলতেই বিরাট অট্টহাসিতে ভূকম্পন তোলার দশা। প্রতিউত্তরে হাসতে হাসতে বলে--’শালে, ইয়ে কাব হোগা! এরপর আরো নানাবিষয় নিয়ে হাসাহাসি-কাশাকাশি। দুজনেই এ সময় শাহরিয়ার-খলিলদের উপস্থিতি মিস করছিলাম। তাদের গোরা চেহারা, শক্তপোক্ত দশাসই শরীর আর জাত্যাভিমানীর ‘হোগা’য় থুক্কু ঠুনকো আস্তরণে হাতুড়ির করাঘাত করা যেত।
২
একটি সম্ভাবনাময় জাতি অদূরদর্শীতা, উন্নয়নগত অপরিকল্পনা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপচিন্তার দ্বারা যে খাদের কিনারে যেতে পারে তা ‘পাকিস্তান’ নামক রাষ্ট্রটি বিশ্ব ইতিহাসে একটি ‘কেসস্টাডি’ হতে পারে।
অথচ ৮০’র দশকেও পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় (৩৫০ ডলার-১৯৮২) ভারতের (২৭৫ ডলার) প্রায় দেড়গুণ ও বাংলাদেশের (২০৯ ডলার) প্রায় দ্বিগুণ ছিল। এখন ঠিক তার অপোজিট। ৯০’র দশকে যখন বাংলাদেশ তো দূর কী বাত, ভারতও বিশালাকার অবকাঠামো নির্মাণে দ্বিধান্বিত ছিল, তখনই পাকিস্তানে বিলিয়ন ডলার ক্রেডিটে বিরাট বিরাট ৪/৬ লেনের মোটরওয়ে নির্মাণ করে। লাহোর টু ইসলামাবাদ, করাচী টু হায়দারাবাদ ঝাঁ চকচকে রাস্তা। তারবেলার মত হস্তিকায় হাইড্রোইলেকট্রিক প্রজেক্ট। শান-সৈকতে ভরপুর জৌলুসপূর্ণ নগরী করাচী। বড় বড় গার্ডেনসহ গোছানো নগরী লাহোর। বিশ্বের অন্যতম পরিকল্পিত রাজধানী শহর ইসলামাবাদ। আরো কত শত উন্নয়ন…আহ!!!
এরপর গত ৩০ বছরে কি এমন ঘটল যে একটি দেশের এ হাল! কারণ একটাই--তা আগের প্যারাতেই লেখা হয়েছে। বিলিয়ন ডলার ক্রেডিট। শুধু ক্রেডিটের আগে ‘অপরিকল্পিত ও অস্বচ্ছ উপায়ে’ কথাটি জুড়ে দিতে হবে। আর এই অপরিকল্পনার মাঝেই লুকিয়ে আছে যত প্রকার ইতরামী অর্থাৎ দুর্নীতি, অর্থ পাচার ও লুটপাট। আর এগুলোর ফলে দেশের নৈতিক ভিত্তিটা ভঙ্গুর হয়ে যায়। সামন্তবাদী প্রভুরা অন্যায়গুলো এমনভাবে জায়েজ করে নিয়েছে যে অন্যায়কে আর কেউ অন্যায় মনে করে না। ‘ফিলথি মিলিটারি এস্টাব্লিশমেন্ট’-এর সাথে ‘কানিং অ্যান্ড রোটেন ব্যুরোক্রেসি-সিভিল সোসাইটি’ মিলে একটি ‘ভিসাস সার্কেল’ গড়ে তুলেছে। এতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদাগুলোর ক্রমাগত অবনমন দেশের প্রকৃত উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে খাদের কিনারে পৌঁছে দিয়েছে। আর মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে যুক্ত হয়েছে জোব্বাওয়ালা জঙ্গীবাদ। সেটাও ঐ এস্টাব্লিশমেন্টদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ মদদেই হাইড্রার মতো বহুমাথা নিয়ে প্রতিনিয়ত চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে।
আর এসবই ঘটেছে পাকি এস্টাব্লিশমেন্টের ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত করার মানসিকতা’র ফলে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই। ‘আমিই বা আমরাই ভগবান’। ‘আমরা ছাড়া আর কেউ এত এত উন্নয়ন করতে পারবে না’। ‘বিশালাকার উন্নয়নে একটু আধটু লুটপাট তো হবেই’। ‘আমরা ছাড়া আর দেশ নিয়ে ভাবার কে আছে’?
উপরের ঐ প্যারাটির সাথে আর কোনো শাসকের কি মিল খুঁজে পাচ্ছেন? নিশ্চয় পেয়েছেন। হ্যাঁ, আমি এই জাতীয় ‘মৌলিক গণতন্ত্র’ বা উন্নয়নের গুরু আইয়ুব খানের কথা বলছি (হতাশ হলেন মনে হচ্ছে?)। এই ধরনের উন্নয়নের গুরু একজনই ছিলেন তা উনি। উনিই বাঙ্গালী ও পাকিদের এই অত্যাশ্চর্য ‘উন্নয়ন মডেল’ শিখিয়েছেন। এই অষ্টমাশ্চর্য উন্নয়নের জাতির পিতা আইয়ুব খান। ৬০’র দশকের সেই উন্নয়ন মডেলই ৮০ ও ৯০’তে পাকিরা পুনরায় অনুসরণ করেছিল দ্বিধাহীন চিত্তে। আর তার সুফল(?) পাচ্ছে এখন!!!
আচ্ছা, এ ধরনের ‘গুরু আইয়ুবীয় উন্নয়ন মডেল’ কি বিশ্বের অন্য কোনো দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে? কবি কি নিরব…?
৩
একদা প্রথম আলোর কলামে অর্থনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমেদ লিখেছিলেন, "এ দেশে উন্নয়নের ঢোল বাজানো শুরু হয় প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের আমল থেকে। তাঁর আমলে দেশের চাকচিক্য কিছুটা বেড়েছিল, সন্দেহ নেই। তিনি আগারগাঁওয়ে সংসদ ভবনসহ একটা বড়সড় কমপ্লেক্স গড়ে তোলার উদ্যোগ নেন। কুর্মিটোলার নতুন বিমানবন্দরের কাজে হাত দেন। এখন যেটা ময়মনসিংহ রোড, যা কিনা ঢাকা শহরের ধমনি, এটাও তাঁর সময়ে করা। মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন তাঁর শাসনামলের। যমুনা সেতু আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চিন্তাও আসে তখন। আমরা এখন এসবের অনেক কিছু নেড়েচেড়ে খাচ্ছি।
কিন্তু আইয়ুব খান যা করেছেন, তাতে আমরা খুব খুশি ছিলাম না। আমাদের অভিযোগ ছিল, আমাদের পাট বেচা টাকার অল্প অংশই আমাদের এ অঞ্চলে খরচ হয়। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বেশির ভাগ খরচ হয় পশ্চিম পাকিস্তানের (এখন পাকিস্তান) উন্নয়নে। এই বৈষম্য, এই প্রতারণা দিয়ে উন্নয়নের ঢোল বেশি দিন বাজানো যায়নি। ১৯৬৮ সালে সারা দেশে আইয়ুব খানের ‘উন্নয়ন দশক’ উদ্যাপিত হলো। কিন্তু দেখা গেল, ভেতরটা ফাঁপা। কিন্তু ‘উন্নয়ন’ শব্দটি শাসকদের খুব পছন্দ। এর ধারাবাহিকতায় ‘উন্নয়ন’ আমাদের রাজনীতিতে টেকসই হয়ে গেছে।"
আপনাদের কি মনে হয় ‘আইয়ুবীয় উন্নয়ন মডেল’ উত্তম নাকি শিক্ষা-স্বাস্থ্য-খ্যদ্যসহ দেশের মৌলিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির আত্মীক উন্নয়ন দরকার?
সবশেষে শ্রদ্ধেয় ব্লগার আহমেদ জী এস’র একটি কথা দিয়ে শেষ করছি, “যেখানে রাষ্ট্রীয়, আর্থ-সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিমন্ডলে একছত্র ভাবে রাজনীতিবিদগণ এবং তাদের বশংবদ সুবিধাবাদীরাই আমাদের রাজনীতিতে ইদানিং কালের ছলচাতুরী ঢুকিয়ে তারই ছত্রছায়ায় নিরঙ্কুশ আধিপত্য চালিয়ে যাচ্ছেন ? যেখানে জনগণ হয়েছে অপাংতেয় এবং তাদের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকারটি হয়েছে ডাষ্টবিনে নিক্ষিপ্ত? এই তথাকথিত দেশপ্রেমের ধ্বজাধারীরা যে মেকী মানসিকতা তৈরী করে দিয়েছে আমাদের জ্ঞানচক্ষু উন্মীলনের মূহুর্তে তা থেকে আমাদের মুক্তি নেই মৃত্যু পর্যন্ত”।
********************************************************
@আখেনাটেন-অক্টোবর/২০২৩
ছবি: এআই জেনারেটেট
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮
আখেনাটেন বলেছেন: অধীতি বলেছেন: উন্নয়নের জোয়ারে একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখবো ভেসে গেছি কর্মী ভিসায় কোন এক অচিন দেশে। --তা ভেসে গিয়েও কি শান্তিতে থাকতে পারবেন বাহে! তখন তো আবার আপনাকে রেমিটেন্স যোদ্ধা হতে হবে। আর সেই যোদ্ধা হতে না পারলে 'না ঘরকা না ঘাটকা' অবস্থা হবে।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পাকিস্তান এখনো ভাল করার সুযোগ আছে।
পাকিস্তানের অবকাঠমো রাস্তা ঘাট সেতু রেলওয়ের অবস্থা এখনো ভাল। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। জনশক্তি ও খালি জমিও প্রচুর।
স্টেবল সরকার স্টেবল অর্থনীতি থাকলে ঘুরে দাড়াতে সময় লাগবে না।
তফাত হচ্ছে আমেরিকা পাকিস্তান আর্মিকে হুকুম দিয়ে সরকার চেইঞ্জ করে দিতে পারে। বাংলাদেশে পারে না,
ভারত পাকিস্তানের মত দেশ অর্থনীতিতে উন্নত সমৃদ্ধ হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশও উপকৃত হবে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২০
আখেনাটেন বলেছেন: পাকিস্তানের অবকাঠমো রাস্তা ঘাট সেতু রেলওয়ের অবস্থা এখনো ভাল। বাংলাদেশের চেয়ে বেশি == এখানেই তো প্রশ্ন?
এত এত ভালো অবকাঠামো নিয়েও একটি দেশ কিভাবে খাদের কিনারে পতিত হচ্ছে। আজ থেকে যখন কয়েক দশক আগে অপরিকল্পিত ও যাচ্ছেতাইভাবে ঋণ করে ঐসব প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তখন কেউ কি ভেবেছিল তারা এমন অবস্থায় পতিত হবে?
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য তথা জাতির মৌলিক উন্নয়ন বাদ দিয়ে লোকরঞ্জনবাদি উন্নয়নে সরকারগুলো এত উতলা কেন? মাছ ধরা না শিখিয়ে কিনে এনে মাছ খাওয়ানোতে এত উদ্যোগ কেন?
আইয়ুবীয় উন্নয়নের ভূত ভালো নাকি মন্দ?
ভারত পাকিস্তানের মত দেশ অর্থনীতিতে উন্নত সমৃদ্ধ হলে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশও উপকৃত হবে। == সহমত।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ওইসব আইয়ুব-টাইয়ুব বাদ দ্যান; বর্তমানে আসেন। বর্তমানে আমাদের দেশে যে উন্নয়নের ধারা, সেটা আয়ুবীয় কনসেপ্ট হলেও বলা যাবে না। বললে আপনেরে বলবে পাকিস্তান চলে যেতে। এটা হলো আসলে আওয়ামী উন্নয়ন। এই উন্নয়নের মূলকথা হলো,
শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পুঙ্গা মারো
চকচকে উন্নয়নের নামে পকেট ভরো।
এই তরীকার উন্নয়নে স্যাটেলাইট আছে। ফ্লাইওভার, টানেল, মেট্রোরেল আছে। এয়ারপোর্ট, সী-পোর্টও আছে। সেইসঙ্গে আছে, অশিক্ষিত, রোগে-শোকে ভোগা জীর্ণ-শীর্ণ একটা বিশাল জনগোষ্ঠি। কিন্তু এই উন্নয়নে বিশ্ব বাদই দ্যান, এশিয়ান মানের হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাইবেন না। আর নিশ্চিত থাইকেন, এই বিশাল জনগোষ্ঠির সাথে নাদুস-নুদুস, মিলিওনিয়ার-বিলিওনিয়ার আওয়ামী হালুয়া-রুটি খাওয়া জনগোষ্ঠির কোন দূরতম সম্পর্কও নাই।
এই উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক। পেট-পিঠ এক হয়ে যাওয়া লোকজন উপ্তা হয়ে শুয়ে জোস্না রাইতে ফ্লাইওভারের দিকে তাকায়ে পুষ্টি আহরণ করবে আর জয় বাংলা শ্লোগান তুলবে!!!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯
আখেনাটেন বলেছেন: শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পুঙ্গা মারো
চকচকে উন্নয়নের নামে পকেট ভরো। --- চকচকে উন্নয়নের সাথে যদি শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকেও গুরুত্ব দেওয়া যেত। কিন্তু তারা জানে এগুলোকে গুরুত্ব দেওয়া মানে আম জনগণের সমৃদ্ধি। আর আম জনগণের সমৃদ্ধি মানে...? ফলে ভুখা-নাঙ্গা জনগণই দরকার আমার।
কিন্তু এই উন্নয়নে বিশ্ব বাদই দ্যান, এশিয়ান মানের হাসপাতাল বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাইবেন না। --- আপসোস করা ছাড়া আর কিইবা করার আছে...কারণটাও বলেছেন, পেট-পিঠ এক হয়ে যাওয়া লোকজন উপ্তা হয়ে শুয়ে জোস্না রাইতে ফ্লাইওভারের দিকে তাকায়ে পুষ্টি আহরণ করবে।
কেউ আবার আকাশ থেকে কড়াইল বস্তির পাশে সিঙ্গাপুরের ছায়া দেখে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলবে আর বলবে, 'হিরক রাজা বুদ্ধিমান, করো সবে তার জয়গান'।
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
আইয়ুবের রাজনৈতিক-পুত্র জিয়া ও এরশাদ বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে গেছে; বেগম জিয়াকে আইয়ুবের পুত্ররা বাংগালীদের মাথায় রেখেছিলো ৪০ বছর; এখন শেখ হাসিনা আইয়ুবের শেষ চিহ্ন হিসেবে রওশনকে লালন পালন করেছেন, যাতে মিলিটারীর স্মৃতি ও ভাবটা টিকে থাকে মনের মাঝে।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: মন্দ বলেন নাই।
তবে এই লেখার উদ্দেশ্য বলেন আর মূলভাব বলেন সেটা ভিন্ন। আপনার না বুঝার কারণ নেই। সে বিষয়ে কিছু বলুন।
জনগণকে সত্যটা জানানোও একজন শিক্ষিত মানুষের দায়িত্ব হওয়া উচিত।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের জনগণ এই জন্য দায়ী। রাজনীতিবিদরা বুদ্ধিমান বা চালাক। তারা বোকা জনগণকে ধোঁকা দিতে পেড়েছে। জনগণ যদি নিজের ভালো না বুঝে তাহলে এই রকমই হয়। অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোকও মনে করে যে বিশাল উন্নয়ন হচ্ছে। জনগণকে হীরক রাজার দেশ বানিয়ে ফেলেছে। কিছু মন্ত্র জনগণ হজম করে নিয়েছে। যেমন;
১। ভর পেট না ও খাই, রাজকর দেয়া চাই।
২। যায় যদি যাক প্রাণ, হিরকের রাজা ভগবান।
৩। অনাহারে নাহি খেদ, বেশী খেলে বাড়ে মেদ।
৪। হিরক রাজা বুদ্ধিমান, করো সবে তার জয়গান।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের জনগণ এই জন্য দায়ী। -- এই বাক্যই তো অপরাজনীতিবিদরা আম জনগণের থেকে শুনতে চায়। যাতে তারা ধোয়া তুলসীপাতা হতে পারে। যেদিন জনগণ এই বাক্য বলা বন্ধ করবে এবং বলবে 'তোরা অপরাজনীতিবিদ-অসৎ আমলা-অসাধু ব্যবসায়ীরা এ জন্য দায়ী' সেদিন থেকে হয়ত ভালো কাউকে মসনদে পাইলেও পাওয়া যেতে পারে।
অনেক উচ্চ শিক্ষিত লোকও মনে করে যে বিশাল উন্নয়ন হচ্ছে। --- এই শিক্ষিত হচ্ছে: এক, হালুয়া রুটির ভাগিদার বা এ সম্পর্কিত; দুই, গাছবলদ শিক্ষিত।
কিছু মন্ত্র জনগণ হজম করে নিয়েছে। ---
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬
আমি নই বলেছেন: ভুয়া মফিজ বলেছেন:
শিক্ষা-স্বাস্থ্যের পুঙ্গা মারো
চকচকে উন্নয়নের নামে পকেট ভরো।
সোনাগাজীর ব্রেনে মনে হয় কোনো ধরনের রিভার্স চিপ বসানো আছে। বর্তমানে দেশে যা কিছুই ঘটুক সেটা রিভার্স হয়ে জিয়া, খালেদায় চলে যায়। ছাত্রলীগ মদ লুট করে আজকে, সোনাগাজী দোষ দিবে মরে ভুত হওয়া জিয়ার আর আধামড়া খালেদার, কি আজব মেন্টালিটি।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: সোনাগাজীর ব্রেনে মনে হয় কোনো ধরনের রিভার্স চিপ বসানো আছে। বর্তমানে দেশে যা কিছুই ঘটুক সেটা রিভার্স হয়ে জিয়া, খালেদায় চলে যায়। ছাত্রলীগ মদ লুট করে আজকে, সোনাগাজী দোষ দিবে মরে ভুত হওয়া জিয়ার আর আধামড়া খালেদার, কি আজব মেন্টালিটি। == অনেকক্ষণ হাসলুম। তবে পাটকেল খাওয়ার জন্য রেডি থাকেন। গাজীদা ছেড়ে কথা বলার মানুষ না।
৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬
জুন বলেছেন: অনেক দিন পর আখেনাটেন আপনি ব্লগে আসলেন। আপনাকে প্রায় ভুলেই যাওয়ার দশা আশাকরি অনেক ভালো ছিলেন। আপনার পোস্টটা খুব মন দিয়ে পড়লাম।
ভাবছি আমাদের এই উপমহাদেশের রাজনীতির আলাপ করে কি লাভ ! কত মিছিল- মিটিং, কত আন্দোলন, কত লোক গদীতে বসলো, কত লোক নামলো। আমরা যেই লাউ সেই কদু। এই উপমহাদেশের লোকজন যেই তিমিরে সেই তিমিরেই। চাদে প্রজ্ঞান পাঠিয়ে কি হয়েছে ভারতের সাধারণ জনগনের? আমরা এত এত উন্নয়ন করেও জীবন চালাতে নাভিশ্বাস। একদা সমৃদ্ধশালী পাকিস্তান যেখানের সুখ সুবিধা ছেড়ে শুনছি আমাদের নাদিম শবনমরা নিজ দেশে আসতে চায় নি, সেই পাকিস্তান আজ ভিক্ষুক রফতানি করছে। তাতে আবার একদা জানের জিগরী দোস্ত সৌদি আরব হুমকি দিচ্ছে না পাঠানোর জন্য । শ্রী লংকার কথাই ধরুন। কিচ্ছু কউয়ার নাই। একদিন আমরাও সেতু, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কটকটির মত চাবায় খাবো।
নিজের কথা বলি। ছেলে থাইল্যান্ড থেকে কানাডা গেল কারণ ফাস্ট ওয়ার্ল্ড এ থাকবে, সুযোগ সুবিধা বেশি। বিদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে মাস্টার্স করা, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন আছে। কিন্ত ভাষার জন্য চাকরি সমস্যা। আর তার ইচ্ছা বিজনেস করার।
থাইল্যান্ডে পরিচিত একজন ব্যাবসায়ী আছে ভালো সম্পর্ক আমাদের সাথে। বললাম উনার সাথে টুকটাক ব্যাবসা করতে চেষ্টা করো। উনিও অফার দিয়েছিল। আমার ছেলে বল্লো, "না আম্মু উনি ভীষণ ডিজ অনেস্ট"। আমার বোকা ছেলেটা বুঝলো না ব্যাবসায় অনেস্টি থাকাটা টাফ। এখন কানাডা আছে কিন্ত কানাডার অবস্থা তো শোচনীয়। আমরা বললাম "তুমি এক্ষুনি ফেরত আসো। ছেলে বল্লো "দেশে এসে কি করবো? বললাম " কিছু করার দরকার নেই বসে থাকবা,আর কিছু না পারো পলিটিক্স করবা। এই একটা ক্ষেত্রে তো তোমার অগাধ জ্ঞ্যান। সারা দুনিয়ার রাজনীতি তোমার মুখস্থ। বললাম "আমাদের দেশে এই একটা সেক্টর যেখানে তোমার বয়স, জ্ঞ্যান,এক্সপেরিয়েন্স, শিক্ষা-দীক্ষা কোন কিছুরই প্রয়োজন নেই। শুধু সঠিক লোক ধরে নামতে পারলেই কেল্লা ফতে"। ছেলে আমার রাজী হলো না কারণ রাজনীতিতেও নাকি অসততা আছে। তা ওর ভবিষ্যৎটা কি বলতে পারেন আখেনাটেন??
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: জুনাপা, কেমন আছেন? পুরাতন পরিচিত ব্লগারেরা ব্লগে আসলে আসলেই ভালো লাগে।
বাংলাদেশে 'ইজ অব ডুইং বিজনেস' এ বাংলাদেশ ১৬৮তম ১৯০টি দেশের মধ্যে। এদেশে ব্যবসা করা কিংবা উদ্যোগতা হওয়া যে কি ধরনের প্যারা তা শুধু ভুক্তভুগিরাই জানে। তাই ছেলে যেখানে আছে সেখানেই থাকতে বলেন। আর যারা বড় বড় কথা বলে দেশপ্রেমের ঢেঁকুর তুলছে তাদের বেশির ভাগই দেখবেন দেশের বাইরে থেকেই কড়াইল বস্তির পাশে সিঙ্গাপুর দেখে আত্মপ্রসাদ লাভ করছে।
প্রথম আলোতে দেখলাম ফ্রিল্যান্সারদের ডলারের উপরও চোখ পড়েছে। ফলাফল ১০% কর্তন। বেসরকারি চাকুরিজীবীদের প্রভিডেন্ট ও গ্রাচুইটি'র আয়ের উপর ২৭%...সরকারি নয়। ট্যাক্স-জিডিপি'র রেশিও নামতে নামতে এখন ৭ শতাংশের ঘরে।
গভর্নরের ঝিমানিতে 'ডি' গ্রেড। অর্থমন্ত্রী লাপাত্তা। রিজার্ভ ২০ নিচে নামছে। এখনও যদি হুশ হয় দেশপ্রেমের ধজ্জাধারীদের।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাইডি, কত কথা কন!!!!
আপনার কি ষ্ফিংসের কইজা
আর আমরার এনে, লাইক, হাহা রিয়েক্টের জন্য মাইর খাইয়া হাসপাতাল নয় আল্লাকি পেয়োরা হইতে হয়!
ইটাও উন্নয়ন থিওরির এক পার্ট বটে। ডর দেখায়া না থামাইলেতো জনগন আবার ঐ গান যদি গেয়ে ওঠে
রশি ধরে মারো টান
রাজা হবে খান খান!
তবে ইতিহাস বলে- সময় কখনো একরকম যায় না। যতই ক্ষমতা, দম্ভ, আর অত্যাচার বাড়ে, সময় ততই বদলে নিকটতর হয়।
আপাতত: অসহায়ের আশাই ভরসা বলা ভালো!
মহাকাল আপনা মনে রচে যায় তার মহাকাব্য- সাদাকে সাদাই বলে কালাকে কালো।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: শিক্ষা-গবেষণা-উন্নয়নের তথৈচব অবস্থা। দেশ ইনোভেশন ইনডেক্সে পেছন দিক থেকে প্রথম হওয়ার দশা। দুর্নীতি এখন গায়ের জামার মতো লেপ্টে গেছে প্রতিটি সেক্টরে। ক্ষমতাসীন মন্ত্রীদের কথায় অসহায় ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। মূলত আমলারা এখন দেশ চালাচ্ছে দুর্নীতির পাহাড়ে বসে। ফলে করাপশন ইনডেক্সের স্কোর আর বাড়ে না এক দশকেও। জনগণের মোবাইল রিচার্জের হিসাবও চায় এখন এনবিআর। অন্যদিকে আলম মলমে হাজার কোটি...। কীয়েক্টা অবস্থা।
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
শায়মা বলেছেন: এতদিন পরে এসে এই খটোমোটো লিখলে ভাইয়া?
মাথা ঘুরছেই ঘুরছেই......
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০
আখেনাটেন বলেছেন:
পাশেই তো কড়াইলের পাশের লেকের পচা পানি। দ্যাখেন মাথা ঘুরতে ঘুরতে যেন সেই পচা পানিতে না পড়েন।
অনেকদিন পর মন্তব্যের ঘরে......
১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৪
করুণাধারা বলেছেন: শিরোনাম দেখে ভাবলাম বুঝি কোন পার্বতী চন্দ্রমুখীর গল্প। পড়তে গিয়ে দেখি কোথাও চন্দ্রমুখী নাই।
হ্যাঁ আমি এই জাতীয় 'মৌলিক গণতন্ত্র' বা উন্নয়নের গুরু আইয়ুব খানের কথা বলছি (হতাশ হলেন মনে হচ্ছে?)
হ্যাঁ, হতাশ হলাম খুব। আমি তো অন্য কারো নাম মনে মনে ভেবেছিলাম।
"আইয়ুবীয় উন্নয়ন মডেল" উত্তম নাকি শিক্ষা স্বাস্থ্য খাদ্য সহ দেশের মৌলিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির আত্মিক উন্নয়ন দরকার?
অবশ্যই শিক্ষা স্বাস্থ্য খাদ্যসহ মৌলিক উন্নয়ন দরকার। কিন্তু এই ধরনের উন্নয়নের একটা সমস্যা আছে, ওই যে কবি বলেছেন,
এরা যত কম জানে,
ততো বেশি মানে।
শিক্ষার উন্নয়ন হলে তো দাবায়ে রাখার মতো মানুষ পাওয়া যাবে না।
অনেকদিন পর এসে দাঁত ভাঙ্গা একটা পোস্ট দিয়েছেন। পোস্টের চাইতে ছবিটা ভালো লাগলো বেশি। এআই দিয়ে এমন চমৎকার ছবি হয়!! জানা ছিল না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০
আখেনাটেন বলেছেন: করুণাধারাপা, প্রথম বাক্যেই কিন্তু চন্দ্রমুখীর কথা ঝেড়ে দিয়েছিলুম। এরপর তো চাঁদের আলো নিভে গিয়ে শুধুই অন্ধকার। তাই চন্দ্রমুখীরে আর আনি নাই।
হ্যাঁ, হতাশ হলাম খুব। আমি তো অন্য কারো নাম মনে মনে ভেবেছিলাম। -- আপনি বুদ্ধিমতি। আমার ঘাড়ে তো একটাই মাথা। তবুও চারপাশ যা দেখি, ভয়ে ভয়ে লিখি। যদি হুশ ফিরে....
পোস্টের চাইতে ছবিটা ভালো লাগলো বেশি। এআই দিয়ে এমন চমৎকার ছবি হয়!! জানা ছিল না। -- ভালোভাবে ইনস্ট্রাকশন দিলে এরচেয়ে অনেক চমৎকার ছবি তৈরি করে দেবে।
১১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: মহা মুশকিলে ফালায়ে দিলেন লীগারদের। এখনতো আপনারে না পারবো জামাত শিবির কইতে না পারব পাকিস্তানে চইলা যাইতে কইতে!! মনে হয় কইতে পারে এই আখনাতেন এইখানে কি করে মিশর চইলা যায় না কেন ?
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৩
আখেনাটেন বলেছেন: এখনতো আপনারে না পারবো জামাত শিবির কইতে না পারব পাকিস্তানে চইলা যাইতে কইতে!! --- এত বেশি জাজমেন্টাল যারা তাদের সমস্যা নিশ্চয় প্রকট।
১২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পাকিস্তান যা করেছে তা হলো তারা তাদের জন্মের পর হতেই দেশের উন্নয়ন ও সামাজিক থাতের পরিবের্তে
সামরিক খাতকে অনেক বেশী প্রাধান্য দিয়েছে । ভারত ভীতি , কাশ্মীর ইস্যু , অফগান পরিস্থিতি , জঙ্গী দমন
পোষন প্রভৃতি বিষয় সামনে রেখে তারা ক্রমাগত ভাবে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করেছে । যদিউ হাতে গোনা কিছু
মেগা প্রকল্প যথা মহাসড়ক , যাতায়াত ও শহড় উন্নয়নের নামে তারা কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে
তাদের বাজেটের কিছু অংশ ব্যয় করেছে তবে তা ছিল প্রকৃত পরিমানের চেয়ে অনেক অনেক কম ।
এপ্রসঙ্গে Monthly Journal of the IDSA এ প্রকাশিত Shalini Chawla এ লিখিত প্রবন্ধ হতে কিছু
কথামালা নীচে তুলে ধরা হলো
In the past years, Pakistan's defence expenditure has always been on an increase
and on the higher end. Even though Pakistan's fragile economy has been unable to
support it, the military spending in Pakistan has been at the cost of development
expenditure.
The military enjoys immense control over the decision-making process in Pakistan
and, thus, the defence budget has been prioritised over the social sector.
heavy debt burden, rising inflation and a nation starving for development mark the
economy of Pakistan,
From the time of the creation of Pakistan, 40-50 per cent of the revenue has been
spent on defence, totalling more than Rs. 10,000 billion till now. Currently, 55 per
cent of the revenue is spent on debt repayment, 30 per cent on defence and 10-15
per cent on civil and administrative costs. This is in spite of large quantities of
high technology weapon systems being acquired as part of external aid.
An increasing non-development budget also entailed huge cuts in the development
budget and, thus, has badly affected Pakistan's economy. Initially, the declining
development budget was financed through debt. Consequently, debt repayment and
debt servicing increased the non-development budget. With the progression of time,
borrowing has financed the non-development budget as well.
Currently, Pakistan is in a position where new loans are being acquired to repay the
old ones. Thus, the defence expenditure has added to the miseries of Pakistan in a
spiralling manner. Added together, debt servicing and defence expenditure exceed
the total national income of Pakistan. The country has been living beyond its means
and its economy is in a downward spiral.
Pakistan's focus on defence has been disproportionately much more than one the
other two important social sectors, health and education. The combined expenditure
on these sectors is much less than the military spending.
In 1998-99 expenditure on two important social sector health and education in Pakistan
was only 0,70 % of GNP ( As per Pakistan Economic Survey, 1998-99)
Source : Shalini Chawla (2001) Pakistan's Military Spending: Socio-Economic
Dimensions Strategic Analysis: A Monthly Journal of the IDSA August 2001
(Vol. XXV No. 5)লেখাটি প্রাপ্তি সুত্র : Columbia University at
Click This Link ( accessed on 30 September 2023)
এমতাবস্থায় বলা যায় পাকিস্তানের উন্নয়ন মডেলের চিত্র তুলে ধরে আমাদের দেশের উন্নয়ন মডেলের তুলনা
অনেকটাই অসমান তুলনা, অবশ্য সেটা যার যার নীজ Value judgemen। তবে এখানে কিছু প্রসঙ্গিক তথ্য
দিয়ে বলা যায় ২০২১ সালে পাকিস্তানের সামরিক খাতে ব্যয় ছিল ১১.৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর সে
সময়ে বাংলাদেশের সামরিক ব্যয় ছিল ৪.৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
উৎস Click This Link
যা এখনো বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় তিনগুন বেশী উল্লেখ্য ২০২২ সালে পাকিস্তানের মোট GDP ৩৭৬.৫৩ ডলার
পক্ষান্তরে সেসময়ে বাংলাদেশের মোট GDP ছিল ৪৬০.২০ ডলার সুত্র (official data from the World Bank)
এ চিত্র হতে দেখা যায় বাংলাদেশ পাকিন্তানের চেয়ে অনেক অনেক বেশী অর্থ ব্যয় করছে অর্থনৈতিক ও আন্যান্য
সামাজিক খাতে , যার ফলে এখন বাংলাদেশের অর্থীতি প্রায় সকল সুচকেই পাকিস্তানের চেয়ে বেশ এগিয়ে অছে ,
ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মুদ্রার বর্তমান মানের দিকে তাকালেও বিষয়টা কিছুটা বুঝা যাবে ।
তবে এ কথা সত্য যে বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা পাকিস্তানের চেয়ে অনেক কম , যার কারণে রোহিংগা ইস্যু
মাথা চাড়া উঠতে পারছে। তবে আশা করা যায় সামরিকের চেয়ে কুটনৈতিকভাবেই এই বিষফোরার হাত হতে রক্ষা
পাওয়া যাবে । সামরিক সক্ষমতা শুধু যুদ্ধ আর সংগাতই বাড়াবে পরিনামে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি পাকিস্তানের
;দুর্দশায় পরিনত হতে পারে ।
আরো একটি কথা বাংলাদেশের GDP বৃদ্ধির কারণ হিসাবে অনেক অলোচকই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সকে
অধিকহারে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। শ্রদ্ধার সাথেই প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের কথা স্মরণ করি ,আমি নীজেও
এই গ্রুপের মধ্যে পড়ি , দেশে নিয়মিতই যথাসাধ্য রেমিটেন্স প্রেরণ করে থাকি বলে নীজকে একজন রেমিটেন্স
যুদ্ধা হিসাবে দাবী করতেই পারি । যাহোক তার মানে এই নয় যে রেমিটেন্সের কারণেই বাংলাদেশের অর্থনীতি
এখন এত রমরমা , দেশের মোট জিডিপিতে রেমিটেন্সের পরিমান ২০২২ সালে ছিল মাত্র ২২ বিলিয়ন ডলার যা
দেশের মোট জিডিপির মাত্র শত করা ৫ ভাগেরো কম। বাকি ৪৪০ বিলিয়ন ডলারই ছিল দেশের আপামর
সর্বসাধারণের কর্মের অবদান। যদিউ সরকার তার পুরা কৃতিত্বই দাবী করে ।
যাহোক মেগা প্রকল্প আর দুর্ণীতির বোজা কাধে নিয়েও দেশ ও দেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে অনেকের চেয়ে বেশী
বিশেষ করে পাকিস্তানের তুলনায় সেটাই বা কম কিসে । যদিউ দুর্ণিতিকে নিয়স্ত্রন করতে পারলে এখন দেশের
শিক্ষা, স্বাস্থ ও আন্যান্য খাতে আরো বেশী হারে উন্নতি করা সম্ভব ছিল । আমাদের উচিত হবে সেই দিকটাতেও
দৃষ্টি দেয়া ও প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহন করা । এখন হয়ত সবাই বলবেন এর জন্য প্রয়োজন গণতন্ত্র ,নিরপেক্ষ
নির্বাচন, তবে বলা যায় এ বস্তু এ দেশে একমাত্র ৭০ এর নির্বাচন ছাড়া কোনকালেই ছিলনা এবং বিগত দুএকটি
নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরেও দেশে যে সরকারই এসেছে তারা দুর্ণীতে বেশ অনেকবারই বিশ্ব চেমপিয়ন তকমা
জাতির কপালে লেপন করেছে।তাই গনতন্ত্র বিষয়টি অতীতেও ছিলনা আর অদুর ভবিষ্যতেও এটা সুদুর পরাহত।
কারণ দেশের চেয়ে সকল রাজনীতিবিদনই নীজেদের নেতা নেতৃদের কথা অনেক বেশী করে ভাবেন। দেশের
কথা বলতে গিয়ে নীজেদের নেতা নেত্রিদের কথাই বেশী ভাবেন। তাই জনগনের মধ্যে প্রকৃত সচেতনতা আসা
প্রয়োজন । পোষ্টের লেখা ও অনেক পাঠক মন্তব্যেও দুর্ণীতির কথাই উঠে এসেছে । এটা একটা ভাল দিক ।
তবে প্রকৃত গনতন্ত্রের জন্য আমরা সকলেই চাই দেশে সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাদ ও সুষ্টু নির্বানের মাধ্যমে
গনতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হোক,দুর্ণীতিহীনভাবে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। দেশের
উন্নয়নের জন্য অস্থিতিশীলতার চেয়ে স্থিতিশীলতার বিষয়টিও গুরুত্বপুর্ণ ।
উল্লেখ্য একটি দেশের উন্নয়নের জন্য অবকাঠামো খাতে মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন একটি প্রয়োজনীয় দিক।
একে উপেক্ষা করলে দেশের অগ্রগতি এক সময়ে থমকে যাবে, কেননা অর্থনীতি ও সামাজিক খাতের অন্যান্য প্রকল্প
ও কর্মসুচীতে বেশী গুরুত্ব দিয়ে ছোট খাট প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে দেশের সার্বিক অবকাঠামো উন্নয়ন খুবই
কঠিন ও দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ বিষয়। তবে লক্ষ রাখতে হবে মেগা প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন করতে গিয়ে যেন
পাকিস্তানের মত দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যান্য খাতগুলিকে উপেক্ষা করে সামরিক খাতে
অধিক গুরুত্ব ও প্রাধান্য না দেয়া হয় । সে সাথে মেগা প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করে নিয়ে এ ধরণের
প্রকল্প গ্রহনের কারণে দেশের দেশী বিদেশে ঋণের বোজা অযৌক্তিকভাবে যেন বৃদ্ধি না পায় ও সেগুলিতে
যেন দুর্ণীতির মহোচ্ছব না ঘটে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে , মনে হচ্ছে আপনি এ দিকটাকেই তুলে
ধরতে চেয়েছেন , প্রচেষ্টাটির প্রতি সাধুবাদ রইল । বলাই যায় প্রয়োজন দুর্ণীতিকে নিয়ন্ত্রন করা, টেনে ধরা ,
কোন ভাবেই দেশের উন্নয়নের গতিকে নয়, ,উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডকে হালকা করে দেখা নয় । প্রসঙ্গক্রমে
উল্লেখ্য বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ রোজেন্টাইন রোডান তার বিগ পুশ থিউরিতে বলেছেন
Rosenstein-Rodan's in his Big Push Theory argued that less developed countries
need a ' big push' of concurrent investments or large-scale investments in several
branches of industry in order for economic growth to take place.
যাহোক, পিরতার রস আর পাকিস্তানের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করে আমাদের দৃষ্টিকে একটি গুরুত্বপুর্ণ দিকের প্রতি
আকৃষ্ট করে কিছু কথা বলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১০
আখেনাটেন বলেছেন: অনেকদিন পর আপনাকে মন্তব্যের ঘরে দেখে বেশ ভালো লাগল।
চমৎকার মন্তব্য করেছেন।
সে সাথে মেগা প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করে নিয়ে এ ধরণের প্রকল্প গ্রহনের কারণে দেশের দেশী বিদেশে ঋণের বোজা অযৌক্তিকভাবে যেন বৃদ্ধি না পায় ও সেগুলিতে যেন দুর্ণীতির মহোচ্ছব না ঘটে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে , মনে হচ্ছে আপনি এ দিকটাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন --- ঠিক তাই। এটিই এ পোস্টের মূলবক্তব্য।
তবে শ্রদ্ধেয় আলী ভাই, আপনার মন্তব্যের কিছু বিষয় নিয়ে আমার দ্বিমত রয়েছে। আশা করি সেগুলির যুক্তি খন্ডন আপনি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আমি সময় নিয়ে আসছি....
০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি লিখেছেন, “যদিউ হাতে গোনা কিছু মেগা প্রকল্প যথা মহাসড়ক , যাতায়াত ও শহড় উন্নয়নের নামে তারা কিছু সামাজিক ও অর্থনৈতিক খাতে তাদের বাজেটের কিছু অংশ ব্যয় করেছে তবে তা ছিল প্রকৃত পরিমানের চেয়ে অনেক অনেক কম।
পাকিস্তানের উন্নয়ন মডেলের চিত্র তুলে ধরে আমাদের দেশের উন্নয়ন মডেলের তুলনা অনেকটাই অসমান তুলনা।
মেগা প্রকল্প আর দুর্ণীতির বোজা কাধে নিয়েও দেশ ও দেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাচ্ছে অনেকের চেয়ে বেশী বিশেষ করে পাকিস্তানের তুলনায় সেটাই বা কম কিসে।”
প্রথমত, আমার লেখায় আজ থেকে ৩/৪ দশক আগের পাকিস্তানের অপরিকল্পিত উন্নয়ন বিষয়ে আলোকপাত করেছি যখন পাকিস্তান উপমহাদেশে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল। আর সে সময় পাকিস্তান যে উন্নয়ন হয়েছে তা বাংলাদেশ বাদ ভারত পর্যন্ত চিন্তা করতে পারে নি। আর সেই সময়ের দুর্নীতি ও অস্বচ্ছ উন্নয়নের কুফল তারা ভোগ করছে। এখন আমরা কি সেই পথে নেই? আমাদের উন্নয়নের পথটা কি ভিন্ন? হলে কোন এঙ্গেলে? এখানের মেগা প্রজেক্টে কি দুর্নীতি হচ্ছে না? এগুলো কি স্বচ্ছ উপায়ে হচ্ছে?
আপনি বলছেন, ওদের মেগা প্রজেক্ট হাতে গোনা। উন্নয়ন কম। আসুন দেখি, ডেটা কি বলে?
আজ থেকে প্রায় আড়াই দশক আগে ১৯৯৭ সালে লাহোর থেকে ইসলামাবাদ প্রায় ৩৭৫ কিলোমিটারের ৬ লেনের মোটরওয়ে নির্মাণ করা হয় যা উপমহাদেশে এত বড় স্কেলের রোড ডেভালপমেন্ট প্রজেক্ট প্রথম। ভারতের এক্সপ্রেসওয়েগুলো সব ২০০০ সালের পরে নির্মিত।
পাকিস্তান আজ পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ কিলোমটার ৪/৬ লেনের মোটরওয়ে ও এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করেছে। আন্ডার কন্সট্রাকশন পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ১০০০ কিলোমিটার যা আমাদের উপমহাদেশে সর্বোচ্চ ও বাংলাদেশের কয়েকগুণ। যাতায়াত ব্যবস্থায় বাংলাদেশের সাথে ওদের উন্নয়ন তুলনায় চলে না। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণের ঘিয়ে এখানে তারা ইনভেস্ট করেছে অস্বচ্ছ উপায়ে। সাথে চলেছে অর্থপাচার ও লুটপাট।
এছাড়া সত্তরের দশকে তৈরি করে প্রায় ৫০০০ মেগাওয়াটের মেগা হাইড্রোইলেক্ট্রিক ড্যাম তারবেলা (বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ), যা ২০১০ সালের বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার সমান। এ বাদেও হাজার মেগাওয়াটের হাইড্রো ড্যাম মেগা প্রজেক্ট রয়েছে দুটি মংলা (১০০০) ও গাজি-বরোথা (১৪৫০)। এছাড়া আরো দুটি মেগা হাইড্রো মোট প্রায় ৫০০০ মেগাওয়াটের নির্মাণ চলছে।
আমরা কেবল ২০২২ সালে এসে নির্মাণ করলাম ১৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা পাওয়ার প্লান্ট। এরপর রামপাল, এসআলম গ্রুপ ও মাতারবাড়ি। মোট ৪টি। ওদের এ ধরনের মেগা পাওয়ার প্লান্ট ১০’র অধিক। আমরা ২৪০০ মেগাওয়াটের মেগা প্রজেক্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করছি যা ২০২৪ সালে সরবরাহে আসবে। ওরা প্রায় ৩০০০ মেগাওয়াটের নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্রজেক্ট সমাপ্ত করেছে। আরো হাজারের ঘরে আন্ডার কন্সট্রাকশন।
তাদের শহরের ল্যান্ডস্কেপ দেখলে আমাদের দেশের শহরগুলোকে বস্তি মনে হবে। এগুলো করতে গিয়েও পাকিরা লুটপাটের শাসন কায়েম করেছে।
আমি শুধু কয়েকটি সেক্টরের মেগা প্রজেক্টের উদাহরণ তুলে ধরলাম। এরকম শত মেগা প্রজেক্ট সেখানে বাস্তবায়িত হয়েছে কিংবা হচ্ছে।
অর্থাৎ তথ্য বলছে তাদের মেগা প্রজেক্টের সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে কয়েক গুণ বেশি। এরপরও দেশটি দেউলিয়া হচ্ছে কেন? এখানেই আয়ুবীয় উন্নয়ন মডেলের গল্প। শুধু মেগা মেগা প্রজেক্ট গ্রহণ করলেই দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয় না যা পাকিস্তান দেখিয়ে দিয়েছে আঙুল দিয়ে। ওরা ৩/৪ দশক আগে এসব নচ্ছারপনা বা আয়ুবী মডেল শুরু করে এখন ভুগছে। আমরাও এক দশক আগে আইয়ুবী মডেল শুরু করে এখন ভুগতে শুরু করেছি যা আমাদের দেশের অর্থনীতিবিদরা (হালুয়া রুটির ভাগিদার অর্থনীতিবিদ নয়) মহিউদ্দিন আহমেদ, ড. আকবর আলী খান (শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি), মঈনুল ইসলাম প্রমুখ নানা লেখায় বলে আসছে প্রতিনিয়ত। আমিও একজনের উদ্ধৃতি উপরের লেখায় তুলে ধরেছি।
তাই আবার আপনার কথায় ফিরে যাই, মেগা প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকার করে নিয়ে এ ধরণের
প্রকল্প গ্রহনের কারণে দেশের দেশী বিদেশে ঋণের বোজা অযৌক্তিকভাবে যেন বৃদ্ধি না পায় ও সেগুলিতে যেন দুর্ণীতির মহোচ্ছব না ঘটে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এটাই এ লেখার মূল বক্তব্য।
আর এই খেয়াল রাখাটাই যেমন পাকিস্তানে হয়নি; এখানেও তা হচ্ছে না। আর এ না হওয়াটাই হচ্ছে আইয়ূবী মডেল যা হানাদার বড়দা কয়েক দশক আগে শুরু করে এখন জান-প্রাণ ওষ্ট্রাগত, এদেশেও আইয়ূবী মডেলের ভূত জেঁকে বসে এক দশকের ব্যবধানেই আলু ৬০…আর খালুর ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
ধন্যবাদ আপনাকে আলী ভাই আমাকে আরো কিছু বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
১৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনে তো ছয়মাসে একবার আইস্যা ব্লগ পাড়ার মহা ধুম ফেলাইয়্যা দেন।আজিকে যে টুকুনি বুঝতাছি পুরানো আয়ুবিও কাসুন্দি নিয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা সার্বিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ তুলে নবউন্নয়নের জোয়ারকে চ্যালেজ্ঞের মধ্যে ফেইলা আপনার দেশের নিরিখে না হইলেও প্রতিবেশী মোদীজির উন্নয়নের বিজয় কেতনকে কিঞ্চিৎ ঘুরিয়ে বলা ভাইলো লাগছে না। আমাগো মোদিজী হইলো অবতার।ওঁনার নামে বিশ্বের সেরাম স্টেডিয়াম হইছে। এবার ভালো একটা দিনক্ষণ দেইখা তিথি বিচার কইরা মহাধুমধাম সহ যজ্ঞ পূজা আচার শুরু হইলো বইলা। মোদিজী চাঁদে কেতন পাঠিয়েছেন কিসের লগে জানেন?সেরেফ ফু দিইয়া । তিরুপতি মন্দিরে যাইয়া ফু দিলেন অমনি শাখ বাজইয়া হুলু দিইয়া কেতন ছুটিলো চাঁদের পানে।কি মজা যে লাগতাছিল তা সে কি কইমু।তিন দিন তিন রাত উপবাস থাইকা অবশেষে আমাগো ঘরে ঘরে মা বহিনরা উপবাস ভাঙ্গিলো। সেবার ঘটা কইরা থালা বাসন বাজাইয়া আমরা মোদিজীর লগে করোনাকে সাগরপার কইরা ছেড়েছি।
আমাগো দ্যাশে মোদিজীর লগে দুবেলা দুমুঠো খেতে না পারলেও পরম শান্তিতে ধম্মকম্ম করতে পারতাছি এ যে কী আনন্দের তা আপনাকে কি কমু।এ দ্যাশের জেহাদিদের ধনে প্রাণে মারার পেলান মোদিজী চুপিসারে করেই চলেছেন।বহুত বার বেড়েছিল ব্যাটারা।বছরে এককোটি জেহাদিদের নিকেশ করতে পারলে উনত্রিশ কোটিকে নিকেশ করতে উনত্রিশ বছর লাগতে পারে।তাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা মোদিজী যেন ততদিন ক্ষ্যামতায় থাকেন।কি মজা লাগে যখন শুনি আদিত্যনাথজি বুলডোজার দিয়ে জেহাদিদের বাড়ি সম্পত্তি গুড়িয়ে দিচ্ছে।আসলে ব্যাটাদের সম্পত্তিগুলো হাতানো আমাদের ভারী শখ। এমন জায়গায় খালি খালি ওদের থাকতে দেওয়া অন্যায় নয় কি? তাই আমরা ওসব আয়ুবীও কি দানবীয় মডেল বুঝি না। স্বাস্থ্য শিক্ষা ওসব বোকা মহমোহনের সময় হইছছে। আমরা ভারতে কেমন মোদিজী মডেল চিনেছি।আপনারা তো আমাগো বন্দু রাষ্ট্র। আসুন হাতে হাত রেখে মোদিজীর তথা বিজিপিকে আরো
শক্তিশালী ও সম্প্রসারিত করতে ত্রিপুরার জননেতা বিপ্লব দেবের সঙ্গে সহমত হয়ে আপনাদের সঙ্গে ভূটান শ্রীলঙ্কায় ভাজপার সরকার প্রতিষ্ঠা করি।জয়ুতু মোদিজী।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৩
আখেনাটেন বলেছেন: আপনাদের সমস্যাটা ভিন্ন। ভারতে অনেক কিছু ঘটলেও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের মতো এত অরাজকতা নেই। উত্তরপ্রদেশ, বিহার-টিহারের মতো স্টেটগুলোতে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো তথৈচব অবস্থা হলে আপনাদের অনেক স্টেট ভালো করছে। ফেডারেল সিস্টেমের কারণে হয়তবা।
তবে বলতে দ্বিধা নেই, সাম্প্রদায়িক কাল্ট মোদি-অমিত জুটি যেভাবে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সাংবিধানিক প্রতি্ষ্ঠানগুলোকে কলুষিত করে চলেছে এর কুফল আপনাদেরও পেতে হবে। আমাদের এখানে তো বালাট ষাট। সব দলীয় আড্ডাখানা।
এরপর আপনাদের রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর বিশ্বসেরা হয়। আর আমাদের সবেধন নীলমণি পেছন দিক থেকে প্রথম। আর পাকিরা তো গণনায় নেই। হা হা।
১৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১২
কামাল১৮ বলেছেন: আমরা কিছুই করবো না আর এদের দোষ দিবো,এটা একটা সুবিধাবাদী চরিত্রের বহিপ্রকাশ।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
আখেনাটেন বলেছেন: আপনি পোস্টটি পড়েননি কিংবা পড়লেও বোঝেন নি।
১৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
বহুদিন বাদে আপনাকে এখানে দেখে লগইন করলুম।
২ নং অংশের একেবারে শেষের লাইনটিতে যে প্রশ্ন রেখেছেন তার উত্তর দিতে আসলেই চিরতার রস গিলতে হবে।
আইয়ুবীয় উন্নয়ন মডেল এর প্রাসঙ্গিকতায় আমাকে যখন টানলেই তখন আমার উদ্ধৃত উক্ত কথার আলোকে আরো কিছু বয়ান করে যাই ---
উন্নয়নের জোয়ারের পানিতে ধুঁয়ে গনতন্ত্রকে যেভাবে সাফসুতেরো করা হয়েছে তাতে আমরা কয়েক’শ কোটিপতি উপহার পেয়েছি, জনগণের প্রতিনিধি এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হাযার শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পেরেছি । (ভাবতে ভালোই লাগছে, দেশ এগিয়ে গেছে !) আর ‘ভাত দে হারামজাদা’ এই মনোভাব নিয়ে নিষ্ফল ক্রোধে নিজের আঙ্গুল কামড়ানো সতেরো কোটি আটানব্বই লাখ সংখ্যক এক অবুঝ জনগোষ্ঠীকে পেয়েছি যারা গত বায়ান্ন বছর ধরে নিষ্পেষিত হয়ে এসেছেন এমনিভাবেই।
কেবলমাত্র "ভোট"ই যদি গনতন্ত্রের একমাত্র নির্দেশক হয় তবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ভোট দিয়ে আমরা অবোধ জনগণ এক একটি শাষকশ্রেণীই তৈরী করেছি মাত্র, গনতন্ত্র নয়। সেই শ্রেণীটিই গনতন্ত্রের সকল সংজ্ঞা ধুলিস্যাৎ করে আমার-আপনার দণ্ডমুন্ডের কর্তা হয়ে (রাষ্ট্র ক্ষমতার স্বাদ ভোগকারী সকল শ্রেণী) বেশ জোর গলাতেই বলতে পারছেন - ‘জনগণ আমাদের পাশে আছে’। বিপদে পরলে সবাই-ই জনগণের দোহাই তোলেন । কিন্তু আমরা ভেবে পাইনা, আমাদের মতো জনগণের পাশে কে আছে !
তাছাড়া দেশের উন্নয়নের নিমিত্তে কথিত গনতন্ত্রের সিস্টেমটাই তারা এমন ভাবে তৈরী করে যে কয়েকটা রাজনৈতিক দল, কিছু ব্যবসায়ী সম্প্রদায় এবং সুবিধা লুন্ঠনকারী কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবি যা করবে মিলেমিশে, সাধারন মানুষ তাই ই মেনে নেবে। এতে করে, জনগণের নামে তারা যা ইচ্ছা তা ই করতে পারবে। গণতন্ত্রের এই ধরনের পুজারীরা বুঝে গেছে, নির্বোধ জনগণকে একবার ভোটের লাইনে দাঁড় করাতে পারলেই ‘‘ ফর্ মি ” র এই গণতন্ত্র রক্ষা পাবে। এবং এটাই তাদের একমাত্র রক্ষা কবচ।
তাই চিরস্থায়ী একটি কায়েমী সুবিধা বজায় রাখতে শাসন ক্ষমতা কুক্ষিগত করার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তাকে তো পাশ করতেই হবে। সে কারনে জনগণের দোহাই দিয়ে একটি আবহাওয়া তৈরীর মধ্যে দিয়েই তারা ভোট যুদ্ধের আয়োজনে নেমে পড়েন । আর আমরা জনগণ শুধু সে ভোট যুদ্ধের অনাবশ্যক অংশগ্রহনকারী।
০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: উন্নয়নের জোয়ারের পানিতে ধুঁয়ে গনতন্ত্রকে যেভাবে সাফসুতেরো করা হয়েছে তাতে আমরা কয়েক’শ কোটিপতি উপহার পেয়েছি, জনগণের প্রতিনিধি এবং তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার হাযার শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পেরেছি । (ভাবতে ভালোই লাগছে, দেশ এগিয়ে গেছে !) আর ‘ভাত দে হারামজাদা’ এই মনোভাব নিয়ে নিষ্ফল ক্রোধে নিজের আঙ্গুল কামড়ানো সতেরো কোটি আটানব্বই লাখ সংখ্যক এক অবুঝ জনগোষ্ঠীকে পেয়েছি যারা গত বায়ান্ন বছর ধরে নিষ্পেষিত হয়ে এসেছেন এমনিভাবেই। --- আর কিছু বলার নেই।
১৬| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
তথ্যবহুল প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
এক জায়গায় বলেছেন
তথ্য বলছে তাদের মেগা প্রজেক্টের সংখ্যা বাংলাদেশ থেকে কয়েক গুণ বেশি
এর থেকে বুঝা পরিস্কার বুঝা গেল পাকিস্তানের তুলনায় বাংলাদেশে মেগা প্রজেক্টের সংখ্যা অনেক কম ।
এর পরেও হাতে গোনা কয়েকটি বড় মাপের প্রকল্প গ্রহন ও বাস্তবায়ন বাংলাদেশ পাকিস্তানী সামরিক
একনায়ক আইয়ুবী মডেলের কথা টেনে আনায় পুর্বে না হলেও এখন কিছুটা বিস্মিত হয়েছি। তবে এর
থেকে মুল্যবান একটি শিক্ষা নেয়ার মত বিষয়ে দুএকটি কথা নীচে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাকিস্তান অনেক অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে , আর তার পরেও বর্তমান পর্যায়ে চরম অর্থনৈতিক
সংকটে ও বিপর্যয়ে পড়েছে । বিষয়টি তারাই অনুভব করুক , বুজুক সামরিক শাসন কিংবা তার ছত্রছায়ায়
তারা দেশ শাসন ও উন্নয়ন কর্মকান্ড করবে কিনা। হ্যা এ ক্ষেত্রে তাদের বিপর্যস্ত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকই
শিক্ষা নিতে পারে ,যে সামরিক কতৃত্বায়াধীন কোন দেশই যত মেগা প্রকল্পই বাস্তবায়ন করুকনা কেন, তাদের
অবস্থা অখেরে পাকিস্তানের মত দুরাবস্থায় পতিত হবে। অপনার পোষ্টের শিরোনামে থাকা পাকিস্তানি ভিক্ষুকের
কথা ছড়িয়ে যাবে পৃথিবী জুরে। আপনার পোষ্টের কল্যানে সকলের মাঝে যতার্থ সচেতনতা সৃজন হবে ,যেন
কোন মতেই চিরতার রস আস্বাদন আর পাকিস্তানি ভীক্ষুকের মত কাহিনীর জন্ম না হয় । এজন্য আবারো
জানাই ধন্যবাদ ।
যাহোক বাংলাদেশ কম মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এবং পাকিস্তানী শোষন বঞ্চনা আর যুদ্ধ বিধ্বস্ত
অবস্থা মোকাবেলা করে তার উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে । তার পরেও এখন সামরিক ও অন্য দুএকটি
খাত ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থা এখন তাদের থেকেও বেশ ভাল , এ কথা সকলেই বলে । তাই তাদের
সাথে এসময়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের তুলনা অসমান বলেই গন্য হতে পারে যে কারো কাছেই।
যাহোক, সাম্প্রতিক কালে দুনিয়াজুরা বৈশ্বিক আর্থিক দুরাবস্থার সময়ে হাতে গুনা দুএকটি দেশ যথা জাপান চীন
ছাড়া আর সকল দেশেই উন্নয়ন প্রবৃদ্ধি বড় মাত্রায় নিন্মের দিকে । এ বাস্তবতাতেই একটি দেশের এখনকার
অর্থনৈতিক অবস্থার আলোচনা ইতিবাচক দিক বয়ে আনে বলে মনে হয় ।তারপরেও আপনার বলা কথাগুলি
বেশ প্রনিধানযোগ্য ।
মানছি বাংলাদেশে সুশাসনের ঘাটতি রয়েছে এবং ঘাটে ঘাটে বড় আকারের দুর্ণীতি রয়েছে ও হচ্ছে । যার ফলে
বাংলাদেশের অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যায় অন্যদের তুলনায় বিবিধ গ্রহনযোগ্য ও অগ্রহনযোগ্য কারণে অনেক
বেশী এটা মানতেই হয়। যাবতীয় দুর্ণীতির বিচার হওয়া কাম্য , এটা চলতে দেয়া যায়না। এর জন্য আইনি লড়াই
ও গন সচেতনতা কাম্য। মেগা প্রকল্পের বিষয়াবলিকে বাংলাদেশের উন্নয়ন বিস্ময় এর পরিবর্তে আনেকটা উন্নয়ন
বিপর্যয়ে পরিনত করছে ও করার দিকে প্রবলভাবে ঠেলছে। একথা অনেক প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদগই বলছেন ।
প্রতিকারের অন্যতম উপাই হলো সকল স্তরে ( সরকারী ও বিরোধি রাজনৈতিক দলসমুহ, সরকারী বেসরকারী
সকল অর্থনৈতিক , প্রতিষ্ঠানিক ও সামাজিক স্তরে ) গনতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। তবে দেশে বিদ্যমান কোন
রাজনৈতিক দলের পক্ষেই যে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন কোন কালেই কায়েম হবেনা তা এখন দেশের যে কোন
বুঝমান মানুষই বিশ্বাস করে । কারণ সকল অতীত অভিজ্ঞতা হতে সকলেই জানেন রক্ষক হওয়ার জন্য যারাই
ক্ষমতায় যাবে ,ছলে বলে কলে কৌশলৈ ক্ষমতায় গিয়ে তাদের সকলেই ভক্ষক হবে। যাহোক যে কোন মুল্যে
এ অবস্থার পরিবর্তনই একান্ত কাম্য । সে ব্যবস্থা দেশের জনগনকেই নিতে হবে , বিদেশী কোন শক্তির দিকে
তাকিয়ে থাকলে হবেনা।
যাহোক, এ কথা ভুলে গেলে চলবেনা যে সাম্প্রতিক কালে সারা দুনিয়াজুরেই বেশ বড় একটি অর্থনৈতিক বিপর্যয়
দেখা দিয়েছে । এপ্রসঙ্গে United Nations কতৃক প্রকাশিত
World Economic Situation and Prospect এ থাকা কথামালা তুলে দিলাম নীচে ।
A series of severe and mutually reinforcing shocks — the COVID-19 pandemic, the war
in Ukraine and resulting food and energy crises, surging inflation, debt tightening, as well
as the climate emergency — battered the world economy in 2022. Against this backdrop,
world output growth is projected to decelerate from an estimated 3.0 per cent in 2022 to
1.9 per cent in 2023, marking one of the lowest growth rates in recent decades,
according to the United Nations World Economic Situation and Prospects (WESP) 2023,
ঊৎস file:///C:/Users/mdaal/Downloads/WESP 2023_FINAL_Web_10_Feb_2023 (1).pdf
জাতিসংঘের তৈরী করা নীচের রেখ চিত্রটি বলে দেয় বৈশ্বিক অবস্থাটি কভিড-১৯ পরবর্তী ২০২০ সালে পৃথিবির সকল
দেশের জন্য কেমন ঋনাত্বক ছিল এবং এরপর ২০২১ সালে কিছুটা উন্নতি হলেও পরবর্তী সময়েও সকলেরই
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুর্বের তুলনায় বড় মাত্রায় পড়তির দিকে তা সহজেই দৃশ্যমান ।
মোদ্দা কথা হলো বাংলাদেশ এর বাইরে নয় এবং দক্ষিন এশিয়ার অন্যান্য ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশসমুহ যথা
পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মত বাংলাদেশও এর বাইরে নয় । সাম্প্রতিক কালের অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক পরিস্থিতি
নিয়ে আলোচনার সময় এই সকল প্রতিকুল উপাদানসমুহকে মাথায় রেখে আলোচনা করলে তা অনেকটা ফলপ্রসু
হয় । যাহোক সকলের মাঝে যথাযথ সচেতনতা আসুক , দেশের অর্থনীতি সহ সকল বিষয় দুর্ণীতিমুক্ত হোক,
সমৃদ্ধিশালী হোক , দেশের সতের কোটি লোকের প্রত্যেই কোটিপতি হোক , দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল
থাকুক, বাংলাদেশ যেন কোন প্রকারেই যেন কোন মহল বিশেষের কোপানলে পড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির
শিকাড়ে পরিনত না হয় সে কামনাই পুর্ণব্যক্ত করে গেলাম।
শুভেচ্ছা রইল
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ আলী ভাই।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
১৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লিখা পড়ে ভালো লাগছে।
এতো এতো ভারী মন্তব্যের পর আমার মন্তব্য করা সাজে না
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
আখেনাটেন বলেছেন: লেখা ভালো লাগার জন্য। ধন্যবাদ সোহানীপা।
ভালো থাকুন।
১৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: এখন মন খুলে কথাবার্তা বলা বা লিখা ভয়ানক বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে নানারকমের গণবিরোধী কালাকানুন, গোপন গোয়েন্দাবৃত্তি, অত্যাধুনুিক স্পাইওয়্যারের ব্যবহার আর দুষ্প্রাপ্য সামাজিক ন্যায়বিচারের কারণে। তার পরেও আপনি রম্যের মোড়কে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট টেনে এনে কত চমৎকারভাবে আকারে ইঙ্গিতে কত কিছু বলে গেলেন! যাদের বোঝার তারা বুঝলেই হলো!
"(হতাশ হলেন মনে হচ্ছে?)" -- (আবার জিগায়!)
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯
অধীতি বলেছেন: উন্নয়নের জোয়ারে একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখবো ভেসে গেছি কর্মী ভিসায় কোন এক অচিন দেশে।