নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের কেন ভারতের Infosys, Wipro, TCS, Tech Mahindra-এর মতো একটিও আইটি ফার্ম নেই?

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭


একবার ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এপিজে আবদুল কালাম-এর একটি সেমিনারে যোগ দিয়েছি। সকলে মন্ত্রমুগ্ধের মতো তাঁর কথা শুনছে। বিমোহিত। আলোড়িত। সম্মোহিত। যারা তাঁর কোনো সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন তাঁরা নিশ্চয় জানেন এটা। সেখানে তিনি ভবিষ্যৎ লিডারশিপ নিয়ে নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দিয়েছিলেন। তার মধ্যে একটি ছিল এরকরম, ‘প্রত্যেকটি বিষয়ের বা প্রত্যেকেরই একটি মিশন থাকা উচিত, যা ভিশন দ্বারা চালিত হবে, সেই ভিশনটি আবার ইনোভেশন দ্বারা চালিত হবে; আর সেই ইনোভেশন বা উদ্ভাবনটি হবে ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ (R & D) এর মাধ্যমে।’

অর্থাৎ আমরা যা কিছুই করি না কেন তার প্রত্যেকটি কাজই হচ্ছে এক একটি মিশন। আর মিশনগুলো অবশ্যই একটি সুনির্দিষ্ট ভিশন বা দূরদর্শী চিন্তা-চেতনার দ্বারা পরিচালিত হবে। আর সেই চিন্তা-চেতনাগুলো আবার যোগান দিতে হবে ইনোভেশন বা নয়া নয়া উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগ করে। কারণ এভার-চেইঞ্জিং বিশ্বে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেইট হচ্ছে। আবার সেগুলো অতি দ্রুত সময়ের সাথে সাথে অবসলিট হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। আর সেজন্য সেই উদ্ভাবনী চিন্তা-ভাবনাগুলোকে প্রতিনিয়ত ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট’ বা গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে শাণিত করতে হবে যেন কোনোভাবেই কাউন্টারপার্টদের থেকে পিছিয়ে না পড়ি। কী দুর্দান্ত চিন্তাধারা! আর উনি নিজে এভাবেই দক্ষিণ ভারতের ছোট্ট একটি অজপাড়াগাঁও থেকে উঠে এসে সর্বোচ্চ সন্মানিত আসনে আসীন হতে পেরেছিলেন চিন্তার ও কর্মের স্বচ্ছতার দ্বারা।

ঠিক একইভাবে আমরা যে এখন পশ্চিমাবিশ্বে ভারতীয় বংশোদ্ভূত হস্তিকায় সিইও-দের (সুন্দর পিচাই-Google, সত্য নাদেলা-Microsoft, অরবিন্দ কৃষ্ণা-IBM, সান্তুনু নারায়ণ-Adobe, সঞ্জয় মেহরত্রা-Micron, নিকেশ অরোরা-Palo Alto, অনিরূদ্ধ দেবঘন-Cadence, লক্ষণ নরসীমাও-Starbucks, বসন্ত নরসীমাও-Novertis) দেখি তার বীজ অনেক আগেই বপন করা হয়েছে সেখানে। যার ফল এখন ভারতে ও ভারতের বাইরে তারা ভোগ করছে। আমরা বাংলাদেশীরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি…?



শিরোনামে আমি কয়েকটি বিশ্বখ্যাত ভারতীয় আইটি ফার্মের নাম উল্লেখ করেছি। আমরা যদি দেখি-- ভারতের টপ টেন আইটি ফার্মের সম্মিলিত কর্মী সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। আর ১-হাজার থেকে ৫-হাজার কর্মী ফার্মের সংখ্যাও অসংখ্য। অর্থাৎ ভারত হাই এন্ড প্রযুক্তিভিত্তিক এই ইনফোটেক শিল্পকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে যা পশ্চিমা বিশ্বকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। বিশ্বের এমন কোনো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নেই যাদের ‘R & D’ অফিস ভারতে নেই। উচ্চ প্রযুক্তিতে দক্ষ লক্ষ লক্ষ এসব কর্মী বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ভারতের অর্থনীতিতে যোগান দিচ্ছে ফি বছর। ভারতের এসব আইটি ফার্মের ২০২১-২২ অর্থবছরে সম্মিলিত রপ্তানি প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন ডলার+। অবিশ্বাস্য একটি সংখ্যা!!!

আর আমরা এখনও এক (১) বিলিয়ন (২০২১-২২ অর্থবছরে ৯৫২ মিলিয়ন ডলার) ডলারও অতিক্রম করতে পারি নি। অথচ ২০১৫ সালে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি সফটওয়্যার খাতে রপ্তানির টাকা পকেটে পুরবে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন সেই লক্ষ্য পূরণ হলো না?

ঠিক একইভাবে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ৫০ বিলিয়ন ডলারের আরএমজি+ পণ্য রপ্তানী করবে। সেই লক্ষ্য অনেকাংশে পূরুণ হলেও আইটি খাতের লক্ষ্য কেন পূরণ হলো না তা কি কর্তা ব্যক্তিরা খুঁজে দেখেছে। আমরা সেটাই এখন দেখার চেষ্টা করব, কেন এ বিপর্যয়?



কারণ একটাই দক্ষ জনশক্তি ও চৌকশ উদ্যোগতার অভাব। আর এটি না হওয়ার কারণ হচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাগাড়ে পরিণত হওয়া বা করা এবং সেখানে টিচিং-লার্নিং ও গবেষণা-উদ্ভাবন নিয়ে কারো কোনো ভিশন না থাকা।

গত সাত বছরের ব্লগিং-এ আমি বেশ কিছু লেখা লিখেছি বাংলাদেশের ‘উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা’র হালহকিকত নিয়ে। সেখানে দেখানোর চেষ্টাই ছিল উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় দেশের কংকালসার অবস্থার কথা! আর এটা যে দেশের সাসটেইনেবল উন্নতির চরম অন্তরায় তা দেশের তথাকথিত মহান দেশপ্রেমিকদের অনুধাবন করতে না পারা (নাকি ধান্ধার রাজনীতিতে নিজেদের অধঃপতন কিংবা বিবেকহীনতা)। যখন দেশের শত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাৎসরিক মাত্র ১৫২ কোটি টাকা (২০২২-২৩ অর্থবছর) বরাদ্দ থাকবে গবেষণা ও উন্নয়নের জন্য তখন সে দেশ থেকে উদ্ভাবনী চিন্তা তো দূরে থাক পশ্চাদপদ চিন্তাধারাও উৎপাদন জটিল থেকে জটিল হতে বাধ্য।

একটা উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে-ভারতের বোম্বাই আইটি গবেষণা ও উন্নয়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে ব্যয় করেছে ৩২৯ কোটি রুপি (প্রায় ৪১০ কোটি টাকা)। এর মধ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রায় ৮০ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩২৫ কোটির মতো, বাকি টাকা বেসরকারি বা ইন্ডাস্ট্রি খাত থেকে পেয়েছে।

এখন বাংলাদেশের অবস্থা ভাবুন। দেশের সর্ব্বোচ্চ টেকনিক্যাল ইউনি বুয়েটের গবেষণা ব্যয় ২ কোটি টাকার সামান্য বেশি। আর প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাবি’র ১০ টাকায় চা-সিঙ্গারা-সমুচাখোর ৫০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর জন্য গবেষণা বরাদ্দ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মাত্র ১৫ কোটি টাকা। এই ব্যয়ের বড় একটি অংশ আবার বছর শেষে অব্যবহ্নত থাকে। কী বিচিত্র এ বিদ্যাপিঠ সেলুকাস!!



তাই গবেষণা ও উন্নয়ন এবং টিচিং-লার্নিং এর এই করুন চেহারা, শিক্ষকদের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রভাবিত না করতে পারা ইত্যাদির ফলে আমরা দেখতে পাই দেশের সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপিঠগুলো থেকে হাইলি টেকনিক্যাল (কম্পিউটার বিজ্ঞান, জেনেটিক্স, ক্যামিকেল-ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি ইত্যাদি) বিষয়ে পড়াশুনা করে, হয় ব্যাংকের উচ্চপদের ক্যাশিয়ার নয় বিসিএস দিয়ে উচ্চপদের স্যুটেট-বুটেট কেরানি হওয়ার জন্য বছরের পর বছর উদায়ান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এর মধ্যে নগণ্য সংখ্যাক ক্যাশিয়ার কিংবা কেরানীগিরির নব্য জমিদারি জব বাগাতে পারলেও বাকিরা ততদিনে ডিমোটিভেটেট, ডিমোরালাইজড, ডিসহার্টেন্ড ও ডিসকোয়ালিফাইড (বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক) হয়ে হতাশার জীবন-যাপনের চিরকালীন সঙ্গী।

আবার কেউবা গাজা বা বাবা খেয়ে দাদা সেজে রাস্তায় নাতিদের ঠেক দিয়ে জীবন যাপন করছে। কারণ যে সময়ে তরুন প্রজন্মের স্কিল ডেভালপমেন্ট করার দরকার, সেময়ে আমরা ‘উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা’ কিংবা ‘ওবামার দাদার বাড়ি কেনিয়া’ মুখস্ত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ--পরিবার, সামাজিক তথা জাতীয় চাপে। এটাই এখন হাকিকত বাংলাদেশের!!!

তো এরকম পরিবেশ থেকে কী আপনি বাইজুস রবিচন্দ্রন (Byju’s), শচীন বানসাল (Flipkart), ভবিশ আগারওয়াল (Ola), নিথিন কামাথ (Zerodha), ভাবিন তুরাখিয়ার (Zeta) মতো স্টার্ট আপ পাইওনিয়ারদের আশা করতে পারেন। কিংবা ইনফোসিস (Infosys), উইপ্রো (Wipro), টেকমাহিন্দ্র (TechMahindra), টিসিএসের (TCS) মতো কোম্পানি প্রতিষ্ঠার আশা করতে পারেন। বাংলা কথা হচ্ছে ‘আমাদের সিস্টেমে গলদ’। আর সিস্টেমের গলদের কারণ হচ্ছে সিস্টেমের উপর সারিতে যারা অতীতে বসে ছিলেন, এখন বসে আছেন তাদের সেই মহামতি আবদুল কালামের কথা অনুযায়ী না আছে কোনো মিশন, না আছে কোনো ভিশন, না আছে কোনো ইনোভেশন বা ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারা। সবচেয়ে দুঃখজনক যা তা হচ্ছে না আছে ‘জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা’। এখানে ক্ষমতায় মুখ্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গোল্লায় যাক। আর এর ফলেই উচ্চশিক্ষায় তথা ‘গবেষণা ও উন্নয়ন’ খাতে বরাদ্দের এই হাল।

আবার যতটুকু বরাদ্দ হচ্ছে সেটাও আবার বানরের রুটি ভাগের মতো তথাকথিত শিক্ষাগুরুরা আদর-আপ্যায়নের জন্য কাটসাট করে ফেলছেন কিংবা কোথায়, কীসে, কেমন করে, কিভাবে গবেষণা করবেন সেটা বুঝতে বুঝতেই বছরের বছর চলে যাচ্ছে। কারণ আবারও সেই সিস্টেমে গলদ। যাদের শিক্ষাগুরু হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তাদের বেশিরভাগ অংশই গুরু থেকে গরুতে তথা গোবরে ট্রান্সফর্মড হয়ে জাতির আগাছা (পড়ুন ছাত্রনেতা) উৎপাদনে সুদৃঢ় ভূমিকা রাখছে। গোবরমস্তিষ্কদের কাজই এখন দেশের (অপ)‘রাজনীতি’ নামক আবর্জনা (অতি সুক্ষ্ণভাবে এই অবস্থায় আনা হয়েছে!) নিয়ে জাবর কেটে সিঁড়ির উপরে উঠার ধান্ধা। উপরে উঠতে গেলে যে দু-চারটা উন্নত মানের (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর) আন্তর্জাতিক জার্নালে কিছু একটা পাবলিশ করতে হয় সেই সংস্কৃতি কবেই পাশের জাদুঘরগুলোতে বাক্সবন্দি হয়ে নতুন প্রজন্ম তথা প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের প্রদর্শনীর বস্তু হয়েছে লোকচক্ষুর অগোচরে কেউ জানে না (মিথ্যা-সকলেই জানে)।

একটি উদাহরণ দেই, ২০০৯-২০১৮ মেয়াদে দেশে ‘হায়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (HEQEP)’ নামে একটি প্রকল্পতে দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা-উন্নয়নের জন্য প্রায় ২০০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। সেই প্রকল্পের আওতায় একাডেমিক ইনোভেশন ফান্ডের মাধ্যমে গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য হাজার কোটি বরাদ্দ হলেও একটিও প্যাটেন্ট (Patent) অর্জন করতে পারে নি। চিন্তা করুন, হাজার কোটি টাকা গবেষণা ব্যয়েও একটিও প্যাটেন্ট নেই। ভাবা যায়। অথচ গবেষণা হয়েছে। টাকা ঢালা হয়েছে। বাস্তবতা হল এর বেশির ভাগ টাকায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রশাসক শ্রেণির নব্য জমিদার ও শিক্ষাগরুর বড় একটি অংশ তছরুপ করেছে। সামনে ৪০০০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্প ‘Higher Education Acceleration and Transformation (HEAT)’ একনেকে পাস হয়েছে। হালুয়া-রুটির ভাগিদাররা এখনই দাঁতে ধার দেয়া শুরু করেছে। এই হচ্ছে দেশের গবেষণা ও উন্নয়নের চালচিত্র!



এভাবেই আমাদের পরিবার, সমাজ ও জাতির কাঠামো শক্ত ভিত্তির উপর (নাকি চোরাবালি) দাঁড়িয়ে গেছে। নাকি তথাকথিত আত্নস্বীকৃত মহান দেশপ্রেমিক সাধুগণ কর্তৃক স্থুলভাবে তৈরি করা হয়েছে, হচ্ছে। আর এটাই এখন আমাদের টেকসই (Sustainable) উন্নয়নের চাবিকাঠি। আর এটাই এখন আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের (Zen-Z & Alpha) উন্নতির সোপানের মূলমন্ত্র। আর এটাই এখন আমাদের নয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের মাপকাঠি। এই উন্নয়নের ফলেই আমরা আকাশ থেকে কড়াইল বস্তির পাশে সিঙ্গাপুর-কানাডার ভার্চুয়াল চিত্র দেখে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে চলেছি, তুলছি ও তুলব!!! আর এটিকেই টেকসই বা চিরস্থায়ী রূপ দিতে এখন দরকার ‘উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা’ জ্ঞানধারী এক ঝাঁক চৌকস স্যুটেট-ব্যুটেট নব্য জমিদার, যারা মহান প্রভুর গোলামীর জন্য সদা সর্বদা নিয়োজিত থাকবে;; এখানে কিসের দরকার কামাথ-বাইজুস বা বানসালদের; কিসের দরকার উইপ্রো বা ইনফোসিসের; কিসের আবার গবেষণা-উদ্ভাবন-উন্নয়ন? কী বিচিত্র এ দেশ, সেলুকাস!!!

**************************************************************
@আখেনাটেন/আগস্ট-২০২৩
ছবি: এখানে

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:৫২

শেরজা তপন বলেছেন: প্রায় নয়মাস পরে ব্লগে প্রিয় ব্লগার 'আখেনাটেন' কি পথ ভুল করে আসলেন নাই???
কতদিন পরে আপনার দেখা পেলাম। ব্লগের এই দুঃসময়ে আপনার ফিরে আসা তাৎপর্যময় হউক- এই প্রত্যাশা।
পুরো লেখা পড়ে ফের মন্তব্যে আসব।

*আপনি শেষ মন্তব্যটাও করেছিলেম আমার পোস্টে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: শুরতেই শেরজা ভাইয়ের মন্তব্য পেয়ে খুশি হলুম। :D

হুম, দীর্ঘদিনই বটে..নতুন এক প্রজেক্টে চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা। :((

মিস করি ব্লগের মিথস্ক্রিয়া।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:২১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ওয়েলকাম ব্যাক। ভাল লিখেছেন।
ভাল করে পড়ে মন্তব্য করবো।
তবে একটা কথা বলি। উন্নত দেশে গবেষনায় বিনিয়োগ করে সরকার নয়, বড় বড় কর্পোরেট হাউসগুলো।
ইউনিভার্সিটিগুলোও সরকারি নয়। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান।
বাংলাদেশের সাথে মিলবে না।

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :D

ঈসরাইল ও দক্ষিণ কোরিয়া জিডিপি'র প্রায় ৫ শতাংশ করে আর অ্যান্ড ডি'তে ব্যয় করে যা বিশ্বের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। এই দুটো দেশের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সরকারি। সরকারের প্রণোদনা চোখে লাগার মতো।

বাংলাদেশের সাথে মিলবে না। --সেটাই। সেজন্যই বাংলাদেশের পারস্পেক্টিভে আলোচনা হচ্ছে। :D


৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: একদম জায়গামত গিয়ে সুচ হয়ে বিধছে কথাগুল

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

তবে দেশের নীতি নির্ধারকদের হুশ হলেই হয়।

৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের সরকার আগে গবেষণার জন্য মডেল মসজিদ বানিয়ে শেষ করুক তার পর সেই মসজিদে মোল্লার গভেষণা করে গাধার পিঠে চড়ে চাঁদে যাবার কৌশল আবিস্কার করবেন।
একজন আবার নিজেই চাঁদে গিয়ে বসে আছেন।সেটা আবার দেশের বৃহত একটা জনসংখ্যা বিশ্বাস করে।বুয়েটে ডুকে সার্ট পেন্ট পরে বেরহয় লম্বা পাঞ্জাবি পরে।তারা করবে গবেষণা!

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:২৭

আখেনাটেন বলেছেন: এ অবস্থার জন্য দায়ী কে?

৫| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: আমাদের মিশন ভিশন হলো সরকারী চাকরী! আর কী চাই!!

০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ৯:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের মিশন ভিশন হলো সরকারী চাকরী! আর কী চাই!! -- এটাই এখন টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি। নব্য জমিদার হতে পারলে সাত খুন মাফ। কি এক অদ্ভুত অবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে।
অথচ উদ্যোগতাদের পদে পদে বিড়ম্বনা, দক্ষ জনশক্তির তীব্র সংকট। এগুলো নিয়ে উপরমহলে ভাবনার কেউ নেই।

একটি সরকারের প্রধান কাজই হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। নয়া নয়া শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগতাদের উৎসাহ ও সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বেগবান করা। অথচ এ দেশে.।.।.।.।.।.।।

৬| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০০

রাজীব নুর বলেছেন: জনাব, বহুদিন আপনার কোনো খোজ নেই।
আশা করি ভালোই আছেন। খুবই মূল্যবান একটা লেখা লিখেছেন। এরকম একটা লেখা আমার পক্ষে লেখা কখনই সম্ভব নয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭

আখেনাটেন বলেছেন: হুম। ভালো আছি। :D

লেখা পড়েছেন তো। আপনার তো আবার বদ খাসলত ছিল লেখা না পড়ে মন্তব্য করার। পড়ে মন্তব্য করলে বুঝতে হবে বিরাট পরিবর্তন ঘটে গেছে সামুতে গত কয়েক মাসে। ;)

পরী ও ফাইহা ভালো আছে নিশ্চয়।

৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২৯

কামাল১৮ বলেছেন: এই অবস্থার জন্য দায়ী কম বেশি আমরা সবাই।গ্রহন যোগ্য নির্বাচন দিয়ে শক্তহাতে হাল ধরতে হবে।বিদেশি ষড়যন্ত্র থেকে কৌশলে বের হয়ে আসতে হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:১৮

আখেনাটেন বলেছেন: গ্রহণযোগ্য নির্বাচনটা কে দিবে?

৮| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৮

সা-জ বলেছেন: আইটি পার্ক আছে কিন্তু প্রয়োজন ফার্ম

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২০

আখেনাটেন বলেছেন: আইটি পার্কগুলো হচ্ছে হালুয়া রুটির ভাগিদারদের জন্য পুনর্বাসন প্রকল্প। এগুলো নিয়েও কি ধরনের বাটপাড়ি হয়েছে, হচ্ছে তা নিয়েও সামনের দিনে একটি লেখা আসতে পারে।

৯| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:০৮

সা-জ বলেছেন: আইটি পার্ক আছে কিন্তু প্রয়োজন ফার্ম

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২১

আখেনাটেন বলেছেন: কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই....

১০| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,




দীর্ঘ ৯মাস "ম্যাটারনিটি লিভ"য়ে থেকে যা প্রসব করলেন, তা এককথায় এপিজে আবদুল কালামের মতো "ভিশনময়"।+++++++

কিন্তু কে বলেছে, এ দেশে সুনির্দিষ্ট ভিশন নেই ? "আর এ্যান্ড ডি" নেই ? ;)

"আর এ্যান্ড ডি" করে সুনির্দিষ্ট ভিশনের ভিত গাড়তে এদেশে গবেষণার জন্যে অর্থেরও কোনও প্রয়োজন তো হয়ই না বরং "আর এ্যান্ড ডি" করে এখানে টাকা কামানোর উপায় বের করা হয় ব্যক্তিগত বৃহত্তর মিশনের স্বার্থে। সাসটেইনেবল উন্নয়নের খাতিরেই এখানে ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় মাল-পদ-পদবী-ক্ষমতা কামানোর সুনির্দিষ্ট ভিশন রয়েছে । বাইরের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আদলে এখানেও মিশনওয়ালা ব্যক্তিরা মিলে তাদের ভিশন অর্জনের লক্ষ্যে পরিবার ভিত্তিক কনসোর্টিয়াম গড়ে, গবেষণা করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এতো উচ্চ পর্য্যায়ে নিয়ে গেছে যে, বাইরের বিশ্ব তেমন গবেষণার দশ মাইলের মধ্যেও যেতে পারেনি, পারবেও না।
ভারত সহ বিদেশীরা না হয় "সামষ্টিক মিশন" নিয়ে কাজ করে তাদের দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাসটেইনেবল করেছে; এদেশটি "ব্যক্তিগত মিশন" নিয়ে তো সেটাই করেছে! ব্যক্তি বা পরিবারের "অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাসটেইনেবল" হয়েছে তো ? এ দেশ পিছিয়ে আছে কেমন করে ?? :( :||

যে সব তথ্য তুলে ধরে আপনার হতাশার কথা লিখলেন তাতে হতাশ হওয়ার আসলেই কারন নেই। "ভিশন-মিশন-আর এ্যান্ড ডি" নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের ভেবে দেখার আর করার (গড়ে ওঠার) সুযোগ রাষ্ট্রীয় পর্য্যায়ে নেই বটে তবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পদে আসীন প্রায় সকল ব্যক্তিরই ভিশন আছে-মিশন আছে। "অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সাসটেইনেবল" করতে তারাও "আর এ্যান্ড ডি" করে! :P

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: একটি দেশ এগুচ্ছে কি পেছাচ্ছে তা তাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা নিরুপণ করলে জানা যাবে। দেশে এমন একটা সিচুয়েশন ক্রিয়েট করা হয়েছে এগুলো নিয়ে বুদ্ধিজীবীরা উচ্চবাচ্য করার অবস্থায় নেই।

অথোরিটারিয়ান গভ যদি নিজেদের প্রতি সৎ না থাকে এর চেয়ে দু:খজনক পরিস্থিতি দেশের জনগণের আর হতে পারে না। আইয়ুব খানের উন্নয়নের ভূত এখনও সওয়ার হয়ে আছে। শিক্ষা-স্বাস্থ্য গোল্লায় যাক।

ধন্যবাদ আপনাকে। মন্তব্যের ঘরে পেয়ে ভালো লাগল।

১১| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২০

রাসেল বলেছেন: আমাদের সরকার ও প্রশাসনকে আন্তরিকভাবে বিচার ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: সকলের তাই চাওয়া।

কিন্তু তেনারা গদি বাদে অন্য কিছুর প্রতি মনোযোগী না।

১২| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:০৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: পোষ্টটি পরে অফলাইনে পড়ব। আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৩০

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ব্লগার কাছের মানুষ। :D

ভালো থাকুন।

১৩| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১২

অপু তানভীর বলেছেন: এর জন্য আসলে আমরা সবাই দায়ী। কেবল প্রশাসনকে দায়ী করে লাভ নেই। আমাদের পড়াশোনার শুরু থেকেই আমাদের শেখানো হয় যে পড়াশোনা শেষ করেই ভাল একটা চাকরি পেতেই হবে । সংসারের হাল ধরতেই হবে । সেখানে একটা ছেলে পড়াশোনার শেষ করার আগেই ধরে এমপি থ্রির বই । রাজধানীর নাম মুখস্ত করা শুরু । ফাইনাল পরীক্ষা দিতে পারলো না তাকে তখন চাকরির পরীক্ষা দিতে হয় রাত দিন ! এই সময়টা পরিবারের সমর্থন দরকার আর এই সময়ে তারা হয়ে যার সব থেকে বড় প্রতিপক্ষ । ওমুকের ছেলে এই চাকরি পেয়েছে তুমি কেন পাও নি , বসেবসে আর কত খাবে । একজন কিভাবে নিজের গবেষণায় মন দিবে বলেন ! তার তখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাড়ায় একটা ভাল চাকরি পেতেই হবে । অন্য সব কিছু জাহান্নামে যাক !

আসলে আমাদের যেমন প্রশাসন ঠিক তেমনি আমাদের ছাত্র সমাজ এবং তাদের আশের পাশের পরিবেশ । এই দুই মিলে একটা পারফ্যাক্ট কমবিনেশ তৈরি হয়েছে - এমন একটা কমবিনেশন যা কেউ ভাঙ্গতে পারবে না । এভাবেই চলছে আর এভাবেই চলবে । এটা পরিবর্তন করতে কেবল প্রশাসন বদলালে হবে না আমাদের আর্থসামাজিক মনভাবও বদলাতে হবে । নয়তো পরিবর্তন আসবে না । কিন্তু কথা হচ্ছে হবে কিভাবে ! আমাদের মিশন ভিশন সবই হচ্ছে কেবল মাত্র এমপিথ্রি পড়ে বিসিএস কিংবা সরকারি চাকরি পাওয়া । এই চিন্তার পরিবর্তন যতদিন না আসবে ততদিন কোন পরিবর্তন আসবে না ।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: রাষ্ট্রব্যবস্থায় অন্যায়গুলোর জন্য সকলেই দায়ী হয় না। এরজন্য আগে আমাদের সরকার ও রাষ্ট্র সম্পর্কে বিশদ জানা দরকার। রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত নাগরিক যতই সৎ হোক, কোনো ভাবে সরকার যদি মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণে অসৎ হয় বা কূটিলতার আশ্রয় নেয় সেখানে দেশের নাগরিক সৎ হয়েও লাভ নেই। এ দেশের নেতারা, জান্তারাও কর্তৃত্ববাদী ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের গুলোও তাই ছিল...কিন্তু নেতা দেশ ও জনগণের জন্য দীর্ঘস্থায়ী কিছু করতে চাইলে তা সম্ভব। উনারা তা করে দেখিয়েছে। আর আমাদের দেশে স্বাধীনতার পর থেকে রাজনৈতিক অবস্থা বিশ্লেষণ করলে, বিশেষ করে নেতাদের ক্ষমতাকালীন আচরণ বিরাট পার্থক্য দেখবেন। তাই সবাই দায়ী এটি জাস্ট স্বান্তনা বাক্য। বলতে হবে আমরা একজন লি, পার্কের মতো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক নেতা এখনও পাইনি। এটাই এ দেশের জনগণের দুর্ভাগ্য।

১৪| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৩৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের প্রধান বিদ্যাপিঠের প্রধানরা তেল মারতে মারতে এমন অবস্থায় উপনীত হয়েছে যে, তেনার ১০ টাকায় সমুচা সিংঙ্গারাতেই আত্নতৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন; সেখানে গবেষণা হবে কি করে?

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

আখেনাটেন বলেছেন: উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাবনার লোক এ দেশে নিদারুনভাবে কমে গেছে। সবাই হালুয়া-রুটির ভাগ চায়।

১৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঢাবিতে গবেশনার জন্য বরাদ্দকৃত টাকার বেশিরভাগই লুটপাঠ হয়। গবেষনা বলতে গেলে কিছুই হয় না। শিক্ষকেরা সবাই ব্যস্ত দলীয় রাজনীতিতে। অগাস্ট মাস। ঢাবির দলীয় শিক্ষকেরা ফেসবুকে প্রোফাইল পিক দেয় '' শোকের মাস- কাঁদো বাঙ্গালী কাঁঁদো '' !!!!

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

আখেনাটেন বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভাগাড়ে রূপ নিয়েছে। কিছু উদ্যোমী শিক্ষক এখনও নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো করে কিছু একটা করছে বলে এখনও এগুলো টিকে আছে, নাহলে...?

১৬| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

আদিত্য সিংহম বলেছেন: পাবলিক ইউনিভার্সিটির একটা সেকশন আবার এই বিসিএস, ব্যাংক নিয়া বিজনেস ব্যস্ত। নিজেদের ইনকাম বাড়াতে বিল গেটস, আইনস্টাইন পারলে আপনিও পারবেন টাইপ মোটিভেশান কোনরকম টেনেটুনে ডিগ্রী পাশধারীদের ও দিয়ে থাকেন। আর গার্জেন গুলাও একেকটা পিস। ইচ্ছা ছিল কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করার। ধরিয়ে দিল পাবলিক কোচিং। এরপর ছেলে বিসিএস দিয়ে পাশের বাসার ভাবী কিংবা কলিগের মুখ উজ্জ্বল করবে

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

আখেনাটেন বলেছেন: এটি এখন একটি ব্যাধির মতো হয়ে গেছে। সরকার নিজেদের গদিকে টিকিয়ে রাখার জন্য যেভাবে এইসব উচ্চমান কেরানিদের নানা উপঢৌকনের ব্যবস্থা করে চলেছে তাতে দেশে গবেষক-উদ্ভাবক না হয়ে এদেরই রাজত্ব হবে তা তো অনুমেয়।

এতসব কান্ডের পরে কিছু তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত (সামনে 'কু' থাকবে) মানুষের এদের দালালি করা দেখলে বিবমিষার উদ্রেগ হয়।

১৭| ০৭ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৩

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো। এবার পোস্ট পড়ে একটি পোস্ট সম্পর্কিত মন্তব্য করলে বিরাট উপকৃত হতুম। :-B

১৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:১৪

অপু তানভীর বলেছেন: রাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত নাগরিক যতই সৎ হোক, কোনো ভাবে সরকার যদি মৌলিক চাহিদাগুলো পুরণে অসৎ হয় বা কূটিলতার আশ্রয় নেয় সেখানে দেশের নাগরিক সৎ হয়েও লাভ নেই।
এখানে খানিকটা দ্বিমত আছে । যদি রাষ্ট্রের নাগরিক সৎ হয় তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই তাদের সরকার সৎ হবে এটা ধরে নেওয়া যায় । সৎ নাগরিক থেকেও তো সরকার তৈরি হবে । যদি সরকার সৎ নাও হয় তাহলে সৎ নাগরিক আন্দোলন করে সেই সরকারকে নামিয়ে নিয়ে আসবে । আজ হোক কাল এমনটা হবেই । আমাদের দেশের ব্যাপারটা কি তেমন ? আমি তো দেখি আমাদের সরকার আর দেশের নাগরিকের ভেতরে খুব একটা পার্থক্য নেই । কেবল একটাই পার্থক্য হচ্ছে একজনের হাতে চুরি করার ক্ষমতা আছে একজনের হাতে নেই । এই যা । এই ক্ষমতা যখনই বদলাই অপরজন ঠিক আগের জনের মতই আচরণ করে ।
তাহলে আপনি কিভাবে পরিরব্তনের আশা করবেন, বলেন!

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

আখেনাটেন বলেছেন: জনগণ ও সরকার কেমন হলে কি হবে...দেশ ও জাতি এগুবে নাকি পিছাবে...তা মনে হয় দক্ষিণ কোরিয়া ও উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসের ব্যবচ্ছেদ করলে ভালো জানা যাবে।

একই জাতি, একই মানুষ। অথচ শাসক সঠিক না হলে কি হয় তা ওনাদের 'কেস স্টাডি' থেকে জানা যেতে পারে। জনগণের সততা-অসততার এক কানাকড়ি দাম নেই, যদি না...।

১৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

করুণাধারা বলেছেন: গবেষণার অনেক ক্ষেত্রই আছে, কিন্তু গবেষণা করতে সময় লাগে তাই সেসব না করে ঝটপট প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। এতে কিছু চটপট অর্থাগম হয়।

রিনিউঅ্যাবল এনার্জি নিয়ে গবেষণা করলে এতদিনে সোলার পাওয়ার এবং বায়ু এবং পানি প্রবাহ শক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের জ্বালানি খরচ অনেকটাই ঋনের আওতা মুক্ত রাখা যেত। কেন করা হয়নি সেটা অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের ছবিতে বলা আছে।

একেবারে হতা সবার ও কিছু নেই। ইনোভেশন সংক্রান্ত একটা খবরের লিংক দিলাম।‌ তাছাড়া আমাদের যে এমন একজন বিজ্ঞানী আছেন যিনি গুগলের আগেও ভেবেছেন, তারও একটা ভিডিও দিলাম।

view this link ইনোভেশন

কে বলে আমাদের দেশে বড় বিজ্ঞানী নেই?

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: রিনিউঅ্যাবল এনার্জি নিয়ে গবেষণা করলে এতদিনে সোলার পাওয়ার এবং বায়ু এবং পানি প্রবাহ শক্তিকে ব্যবহার করে আমাদের জ্বালানি খরচ অনেকটাই ঋনের আওতা মুক্ত রাখা যেত। কেন করা হয়নি সেটা অধ্যাপক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামের ছবিতে বলা আছে। ---- সহমত। এটা শুধু মি: ইসলামের কথা না। সব বিবেকবান মানুষই (চাটুকার ও হালুয়া-রুটির ভাগিদার বাদে) এই অটেকসই উন্নয়ন নিয়ে চিন্তিত। যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক, জাতির লং টা্র্ম বিকাশে মনোযোগ না থাকলে তা সরাসরি না হোক মুখে-লেখাই অন্তত প্রতিবাদ করা উচিত। দলের আগে দেশ ও জাতি।

২০| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

মিরোরডডল বলেছেন:




আসলেই চিন্তাধারা দুর্দান্ত! আর সে কারণেই একজন সফল মানুষ।
সফল জাতিগঠনেও তাদের ভূমিকা অনন্য।
অস্ট্রেলিয়াতেও আইটি সেক্টরে সব ভারতের ছেলেমেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে।
আমাদের বাংলার ছেলেমেয়েরাও ভালো করছে, কিন্তু ওদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে।

কারণ যে সময়ে তরুন প্রজন্মের স্কিল ডেভালপমেন্ট করার দরকার, সেময়ে আমরা ‘উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা’ কিংবা ‘ওবামার দাদার বাড়ি কেনিয়া’ মুখস্ত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ--পরিবার, সামাজিক তথা জাতীয় চাপে। এটাই এখন হাকিকত বাংলাদেশের!!

করুণ পরিস্থিতি :(

বাংলা কথা হচ্ছে ‘আমাদের সিস্টেমে গলদ’। আর সিস্টেমের গলদের কারণ হচ্ছে সিস্টেমের উপর সারিতে যারা অতীতে বসে ছিলেন, এখন বসে আছেন তাদের সেই মহামতি আবদুল কালামের কথা অনুযায়ী না আছে কোনো মিশন, না আছে কোনো ভিশন, না আছে কোনো ইনোভেশন বা ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারা।

এটাই আমাদের মূল সমস্যা। সিস্টেম যতদিন ঠিক না হবে, ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ চাইলেও কিছু করতে পারবে না।

সবচেয়ে দুঃখজনক যা তা হচ্ছে না আছে ‘জাতির প্রতি দায়বদ্ধতা’।

দায়বদ্ধতা শব্দটা দেশের কর্ণধারদের ডিকশনারিতে নেই।


২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: দেশে যে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বসে গেছে তা নিয়ে সেরকম উচ্চবাচ্য নেই বললেই চলে। সবাই এখন হালুয়া রুটির ভাগ নিয়ে ব্যস্ত। আরা যারা বলছে তাদের স্বরও এত চিকন হয়ে গেছে যে তা সরকার নামক হস্তির কর্ণগুহরে প্রবেশ করার মতো না।

ইনোভেশন ছাড়া, ভিশন ছাড়া একটা জাতি কীভাবে এগুবে? শিক্ষা-স্বাস্থ্যর উন্নতি ছাড়া দেশ কীভাবে সমৃদ্ধি লাভ করবে? এগুলো ছাড়া যা হবে তা হচ্ছে কিছু থলথলে চর্বিওয়ালা অসৎ রাজনীতিবিদ-ব্যবসায়ী তৈরি হবে। ধনী ও গরীবের বৈষম্য আরো বাড়বে।

২১| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:


আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,

দীর্ঘ ৯মাস "ম্যাটারনিটি লিভ"য়ে থেকে যা প্রসব করলেন, তা এককথায় এপিজে আবদুল কালামের মতো "ভিশনময়"


জী এস কি বললো =p~

২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:১২

আখেনাটেন বলেছেন: দীর্ঘ ৯মাস "ম্যাটারনিটি লিভ" ---- :( :-B

এ জিনিস তো খেয়াল করি নাই...... :P

২২| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




কেয়ারফুল ম্যান!! নেক্সট টাইম আর যাই হোক, ৯ মাসের গ্যাপ দেওয়া যাবেনা :)

আনার ফানপোষ্ট অনেক মিস করি :(

ব্যস্ততা পার্ট অভ লাইফ, তাইবলে আমাদের এভাবে বঞ্চিত করা কি ঠিক!!!



২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: একটা ধামাকা ফানপোস্ট লিখে রেখেছি। কিন্তু ডেলিভারি দিতে ভয় পাচ্ছি। কারণ সেই ফান কারো কারো কাছে কর্কশ গান হয়ে কান ঝালাপালা করে দিতে পারে। হা হা।

দেখি মজার কিছু প্রসব করা যায় কিনা। কিন্তু সেজন্য তো প্রসব বেদনার প্রয়োজন। লেবার পেইন ছাড়া কিভাবে লিখি। রাইটার্স ব্লক। :((

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.