নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
প্রথমেই একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। সে অনেক আগের কথা। কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীর বাবা ছাতন ব্যাপারী গিন্নিকে না বলে গিয়েছে ‘গরম হাওয়া’ নামের একটি সিনেমা দেখতে। বহুমুত্র রোগের ভুক্তভোগী ছাতন ব্যাপারী সিনেমা শুরুর একটু পরেই ‘হিসু’ করার জন্য সিনেমা হল থেকে বের হন। যাওয়ার আগে অন্ধকারে পাশের সিটে বসে থাকা এক ভদ্রমহিলার পায়ে পাড়া দিলেন। ভদ্রমহিলা ‘ক্যাঁক’ করে উঠে ছাতনের গোষ্ঠী ধরে গাল পেড়ে সিনেমা দেখায় আবার কঠিন মনোযোগী হলেন।
একটু পরেই ছাতন ফিরে সেই মহিলাকেই জিজ্ঞেস করলেন, ‘হামি কী আফনের পাওত পাড়া দিয়েছিনু’?
মহিলা বললেন, ‘কেন, সে জন্য কী এখন মাফ চাইবেন’?
ছাতন প্রতিউত্তরে বললেন, ‘না, না, এটা ক্যাংকা কতা, আফনে ঐ বেটি ছাওয়াল হলে আফনের পাশের সিট-টাই হামার কিনা তাই’।
এখানে বেশ কয়েকটি জিনিস লক্ষ্য করা যায়। আগে সিনেমা হল ছিল। ছাতন ব্যাপারীর মতো খাটাস লোকেরাও গিন্নিদের ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখছিল। খাটাস কর্তৃক পায়ে ‘ক্যাঁক’ করে পাড়া দেওয়ার চল ছিল। সিনেমায় ছল ছিল। অন্ধকারে মানুষে গিজগিজ করা সিঙ্গেল স্ক্রিনের হল ছিল। হল-র পাশে মল ছিল। সিনেমা দেখার মানুষের ঢল ছিল। সিনেমা পাড়ায় কলহল ছিল।
আর এখন ছাতনদের বয়স হয়েছে। ছাতন ব্যাপারীর সুপুত্র(!) জেনারেশন জেড-এর কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারীদের আর সিনেমার মাঝখানে মূত্র বিসর্জনের দরকার হয় না। কারণ মূত্র বিসর্জনের জন্য আর বাইরে যাওয়ার দরকার নাই। কারণ ‘মুত্র’ এখন ‘বাংলা সিনেমা’র মাথায় করা হয়েছে। চারিদিকে ইউরিনের কটূ গন্ধ। কিংবা সিটে বসে থেকেও করা যায় শূর্ন্যগর্ভ হল-এ। অন্ধকার হল-এ এখন আর কোনো রমনীর পায়ে পাড়া দেওয়ার সুযোগই নাই। ফাঁকা। হতাশা। বিনোদনহীন। তামিল। তেলুগু। আক্ষেপ। ইস, আমাদের যদি…? কিন্তু চোখ খুলেই হিরো আলম কিংবা অনন্ত জলিলের ‘অসম্ভবকে সম্ভবের দেশে’ বিরাট চলমান সিনেমার নর্তন-কুর্দনের আয়োজন…গাঁটের পয়সা ভুসুল করে পর্দারটা আর কে দেখে?
২
শিল্প-সংস্কৃতির উৎকর্ষতা একটি বিকাশমান সমাজ, জাতি ও দেশের হাড়ের গঠন কতটা পাকাপোক্ত তা নির্দেশ করে। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সাথে যখন এসবের একটি সুষম মিথস্ক্রিয়া হয়, তখনই বুঝে নিতে হবে যে জাতির ভবিষ্যৎ দিনের আলোর মতোই ফকফকা। কারণ এগুলো স্রেফ কিছু পাগলাটে মানুষের ক্রিয়েটিভ চিন্তাভাবনায় শুধু নয় বা এর অন্তর্নিহিত ‘সফট পাওয়ার’ জাতিকে নতুন করে বাঁচার, উন্নতির শিখরে উঠার কিংবা বিশদ স্বপ্ন দেখার পথ উন্মোচনই নয়, মসৃনও করে তোলে।
কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য দেশের ১৮ কোটি (কাগজে-কলমে সাড়ে ১৬ কোটি) ও ভারতের ১০ কোটিসহ মোট ২৮ কোটি বাঙ্গালীর এই দিকটি নিয়ে বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকেরা কখনই সেভাবে চিন্তা করে নি কিংবা বলা চলে চিন্তা করার জন্য সে বোধটুকু (নাকি মেধা?) থাকার দরকার সেটাই হয়ত জাগ্রত হয় নাই। কেউ কেউ চাইলেও হয়ত তথাকথিত সিস্টেমের প্যাঁচে পড়েছে কিছু কূপমূন্ডুক অথবা সিস্টেমের উপরসারিতে বসা অপদার্থের কারণে। ফলে এত এত সম্ভাবনাময় একটি শিল্পকে কী নিদারূণ অবহেলায় আস্তাকুঁড়ে পর্যবসিত করেছি, করছি।
এত এত জনসংখ্যা যে একটি বিশালাকার বাজার, সেটি বোঝার মতো মনে হচ্ছে দেশে কেউ নেই? বাংলা ভাষাভাষীর চেয়ে তিনভাগের এক ভাগ মানুষ নিয়েও এক তামিল কিংবা তেলেগু সিনেমাও শত শত কোটি টাকা ব্যবসা করছে। তাঁদের চলচ্চিত্র তারকাদের নাম বাংলাদেশের মানুষের মুখে মুখে। অথচ ২৮ কোটি লোকের ভাষা বুঝার মতো ক্ষমতা দেশের নীতিনির্ধারকদের নেই। ভাবতে অবাক লাগে, আজ থেকে তিন দশক আগেও ‘বেদের মেয়ে জোসনা’র মতো ছবি আজকের রেইট ধরলে ১০০ কোটি টাকার উপর ব্যবসা করেছে। কিন্তু এখন বেশিরভাগ সিনেমা ১ কোটি টাকা ব্যবসা করতে পারে না।
এই ড্রামা সিরিয়াল, সিনেমা উদ্ভুত ‘সফট পাওয়ার’ যে কতটা ব্যাপক তা অনুধাবন করার মতো মাথা কী একটাও নেই জাতির কান্ডারিদের মধ্যে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়া ছোট্ট একটি দেশ, অথচ এই দেশটির গান, ড্রামা সিরিয়াল, সিনেমা গোটা বিশ্বকে বুঁদ করে রেখেছে। আর এর ফলে দেশেরও পজিটিভ ব্রান্ডিং হচ্ছে অকল্পনীয়। এতে পর্যটন খাতেও জোয়ার লেগেছে এসব দেশে।
তুরস্কের কথা বলা যেতে পারে, টার্কিশ সিরিয়ালগুলো গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব সিরিয়ালে দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখানোর পাশাপাশি নিজ দেশের কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরায় গোটা বিশ্ব থেকে পর্যটকেরা ছুটে যাচ্ছে টার্কিতে। যে দেশ দু-দশক আগেও টপ ২০ দেশের মধ্যে বিদেশী পর্যটক ভ্রমণের তালিকায় ছিল না, তারা এখন টপ ৫-এর মধ্যে ঢুকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছরই হয়ত এ লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। বিলিয়ন ডলার উপার্জন করছে এ খাত থেকে। পাশাপাশি ড্রামা সিরিয়াল রপ্তানির মাধ্যমেও বিলিয়ন ডলার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অথচ বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দেখুন। দেশে সারা বছরে পর্যটক আসে মোটে দেড় লাখ। উগান্ডাতে উগাউডের সামান্য ভূমিকা ও অন্যান্য পজিটিভ ব্রান্ডিং-এ ফি বছর বিদেশী পর্যটক যায় ১৫ লাখ। পার্থক্যটা কী গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দেয় না? বাঙ্গালীর হাজার বছরের সমৃদ্ধ কৃষ্টি-কালচারের বৈশ্বিক প্রচারের অভাবে দেশকে ইতিবাচক ব্রান্ডিং করতে পারছি না। তা পারলে এক ভারত থেকেই বছরে ১০ লাখ পর্যটক টেনে আনা সম্ভব হত সীতাকুন্ড, ঢাকেশ্বরী মন্দির কিংবা কক্সবাজারের গল্প শুনিয়ে। আর এটা তখনই সম্ভব হবে যখন বৃহৎ পরিসরে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি তথা গান-নাটক-সিনেমা শিল্পকে বৈশ্বিক রূপ দিতে পারব। এতে দেশের ইতিবাচক ইমেজ বৃদ্ধির ফলে দেশের ব্রান্ডিং হবে, যেমনটা পোশাকশিল্পের কারণে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ গোটা বিশ্বে কিছুটা হলেও পরিচিত।
আর এর জন্য দরকার একটি চমৎকার সরকারি নীতিমালা ও খোলনলচে পালটে ফেলা উন্নয়নের প্রবাহ। এবং সিনেমাও যে একটি বৃহৎ শিল্প তা অনুধাবন করা। এখান থেকেও যে বছরে শত কোটি টাকা উপার্জন করা যায় তার পথ তৈরি করা যাতে অঢেল টাকার মালিকেরা এই খাতেও লগ্নি করে নিজেদের পকেট ভরতে পারে। নাম কামাতে পারে।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে রাজারা যখন প্রজাদের বেশিরভাগই অ-টেকসই উপায়ে নির্মিত সেতু-কালভার্ট, ফ্লাইওভার আর বিল্ডিং আকাশ থেকে দেখিয়ে জাতিকে মুক্তির পথ দেখাবে, তখন শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষ্টি-কালচার এসবের টেকসই উন্নয়নের কী আর দরকার আছে?
তারচেয়ে এই ভালো হিরো আলম কেন বিকৃতভাবে রবীন্দ্র সংগীত গেয়ে জাতির সংস্কৃতিতে কলঙ্ক লেপন করবে, তাকে ধরে প্যাঁদানি দিয়ে জাতির মুখ রক্ষা করি তথা সংস্কৃতি উদ্ধার করি? এতেই জাতির মঙ্গল নিহিত…?
*************************************************************
@আখেনাটেন-আগস্ট/২০২২
ছবি: এখানে
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২২
আখেনাটেন বলেছেন: মেইনস্ট্রিম সিনেমা যখন দেখার অযোগ্য হয়ে যায় তখন বিকল্পধারা সিনেমা তার জায়গা দখল করেই নেয় !!! ---আপনার কথায় সত্যটা থাকলেও সিনেমা কিন্তু সিনেমায়। যখন সিঙ্গেল স্ক্রিনে বা মাল্টিপ্লেক্সে হিট করছে তখন দর্শকের ধরন অনুযায়ী আপনি হয়ত সেভাবে শ্রেণিবিভাগ করতে পারেন, তবে আলটিমেইটলি ইন্ডাস্ট্রির সাথে দুটো ধারায় জড়িত। ফলে হিট হলে মেইন কি বিকল্প তা মনে হয় জনগণ ভাবে না।
মেঘের অনেক রঙ, সিমানা পেড়িয়ে সিনেমা দেখেছেন আশা করি ওই সিনেম গুলি আপনার কোন ধারার সিনেমা মনে হয়েছে? দুইটা সিনেমাই কিন্তু সুপার ডুপার হিট । -- দেখেছি....তবে কখনই সেভাবে চিন্তা করি নি মেইন না বিকল্প। পুরাতন জনপ্রিয় সিনেমা হিসেবে দেখেছি। আর তখন সব ধরনের সিনেমাই মনে হয় দেশে জনপ্রিয় ছিল।
২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:২৮
রানার ব্লগ বলেছেন: তখন মানুষ জানতই সিনেমা হিসাবে, মেইন না বিকল্প এত্ত খোঁজ অনেকেই রাখতো না ।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
আখেনাটেন বলেছেন: এখনও করবে না.....ভালো গল্প, দুর্দান্ত স্ক্রিনপ্লে, চমৎকার সিনেমাটোগ্রাফি, ভিএফএক্স-এর প্রফেশনাল ব্যবহার, ভালো অভিনয়.....এরপর মার্কেটিং...এখনও সম্ভব তা 'পরাণ' ও 'হাওয়া' দেখিয়ে দিচ্ছে। পাশাপাশি 'দিন দ্যা ডে'র কথা চিন্তা করেন.....
৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: জীবনমুখী চলচ্চিত্র চোখে পড়েনা এখন।চিত্তবিনোদন ছাড়াও চলচ্চিত্র যদি সমাজ গঠনে, শিক্ষা বিস্তারে ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন না করে তাহা আমারে চিন্তিত করে।ক'টা উঁচু মাপের নির্মাণশৈলী সিনেমা নিয়ে মাসজুড়ে আলোচনা সমালোচনা চোখে পড়ছে। নির্মাতাদের মাথায় রাখতে হবে চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন মাধ্যম নয়, এর মাধ্যমে মানুষকে সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আগ্রহী করে তোলা তাহাদের রাস্ট্রীয় দায়িত্বশীলতাও বটে। চিত্রপরিচালক সত্যজিৎ রায় ১৯৫৫ সালে বাংলা সিনেমায় যে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছিলেন, অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’ নির্মাণ করে। এতে তিনি বাংলার সমাজ ও গ্রামীণ জীবনকে খুবই হৃদয়গ্রাহীভাবে ফুটিয়ে তোলেন।
টেলিযোগাযোগ, কম্পিউটার, বিজ্ঞান শিক্ষা এবং চলচ্চিত্র শিল্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রফতানি পণ্য। ১৯৯৭ সালে শুধু চলচ্চিত্র শিল্প থেকে দেশটি আয় করে ত্রিশ বিলিয়ন ডলার।
সত্যজিৎ রায়ও তার ছবির মাধ্যমে বাংলা ও বাঙালি সমাজকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন, বাংলাদেশে এমন কেউ আছে কী?
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: চলচ্চিত্র এখন অনেক দেশের বিলিয়ন ডলার বিজনেস। হাজার হাজার লোকের কর্মসংস্থানের জায়গা। সে জন্যই বলেছি এটিও একটি আর দশটা উৎপাদনমুখী শিল্পের মতই শিল্প। তবে এর গুরুত্ব ও পাওয়ার অন্য শিল্পের চেয়ে হাজার গুণে বেশি।
নির্মাতাদের মাথায় রাখতে হবে চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন মাধ্যম নয়, এর মাধ্যমে মানুষকে সৃজনশীল ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে আগ্রহী করে তোলা তাহাদের রাস্ট্রীয় দায়িত্বশীলতাও বটে। ---আপনার কথা ঠিক হলেও এই পোস্টে আমার বক্তব্য উল্টো....সিনেমা শিল্পে এখানে আমি চিত্ত বিনোদনের মাধ্যম হিসেবেই দেখতে চাই। যেটি দেশের গন্ডী পেরিয়ে আমার দেশকেও প্রতিনিধিত্ব করবে মারমার কাট কাটারি হয়ে....যেমনটা কোরিয়ান, চীনা, হলিউড, বলিউড কিংবা দক্ষীণ ভারতের কেজিএফ, আর আর আর ইত্যাদি ভারতীয় সিনেমা করছে। আসল কথা হলো দেশের শিল্পের উন্নতি......
৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: হাওয়া মুভি দেখেছি, একদম ভাল লাগেনি।
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
আখেনাটেন বলেছেন: ভালো না লাগতেই পারে......এটা স্বাভাবিক। ব্যক্তি টু ব্যক্তি ভ্যারি করতেই পারে। তবে এ সিনেমা বাংলা সিনেমার দুর্দশার পালে হালকা হলেও 'হাওয়া' দিয়েছে......
সিনেমাও যে একটি শিল্প.....এখানে লগ্নি করেও যে কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করা যায়....নাম কামানো যায়....তা এখন দেশের কর্ণধারেরা ও শিল্পপতিরা বুঝলেই হয়.....ভারত থেকে শিক্ষা সফর করে আসতে পারে..ইনারা....
৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বলেছেন। কিন্তু যাদের বোঝার কথা তারা যে কুম্ভকর্ণ!
তাদের ঘুম বুঝি মরণ ছাড়া ভাংবে না!!!
আপনার মূল্যায়নে সহমত হয়ে শুধু অল্প একটু যোগ করতে চাই। স্বল্প পরিসরে প্রত্যক্ষ বিচরণ ও দর্শনে দেখেছি- সেখানে
মেধাহীনদের অবৈধ প্রলোভনে প্রযোজকদের দারুন আগ্রহ, মেধাবীদের সেই পথে চলতে না পারা, স্থুল শরীর বৃত্তিয়তায় আটকে থাকা ভাইস ভার্সা দুষ্টচক্র, আর জাতিগত দিকনির্দেশনাহীনতাতো আছেই.। সব মিলে ক্রমশ অন্ধকারেই চলছে এ শিল্প!
আর সাংস্কৃতিক ভিত্তি মজবুতে যে বহুমূখী, সহনশীল রাজনৈতিক শক্তিশালী জাতিগত অবস্থান প্রয়োজন আমরা তাতো হারিয়েছি রাতের আঁধারে। ফলে এক মূখীতায় যা হবার তাই হচ্ছে, অন্ধ স্তুতি আর সীমাহীন পদলেহন! তাতেেআর যাই হোক, সংস্কৃতির ভিত মজবুত হয়না। বরং ভেঙ্গেচুরে অতলে হারায় ...
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: মেধাহীনদের অবৈধ প্রলোভনে প্রযোজকদের দারুন আগ্রহ, মেধাবীদের সেই পথে চলতে না পারা, স্থুল শরীর বৃত্তিয়তায় আটকে থাকা ভাইস ভার্সা দুষ্টচক্র, আর জাতিগত দিকনির্দেশনাহীনতাতো আছেই.। সব মিলে ক্রমশ অন্ধকারেই চলছে এ শিল্প! -- এই জিনিসটাই পোড়ায় বেশি......কী সম্ভাবনাময় একটি খাত? ২৮ কোটি লোকের বিশাল বাজার। অথচ আমরা এটাকে ধরতে পারছি না। এমন কি চিন্তাও করতে পারছি না। অথচ ৭ কোটির তামিল, তেলেগু কিংবা ৩ কোটির মালয়লামও শত কোটির ব্যবসা করছে হরহামেশা।
বাংলাদেশের আপামর জনগণও মুখস্ত জানে দক্ষিন ভারতীয় তারকাদের নাম.....এগুলো নিয়ে দেশের মাথায় বসে থাকা নীতিনির্ধারকেরা কী চিন্তা করে না?
অন্ধ স্তুতি আর সীমাহীন পদলেহন! তাতেেআর যাই হোক, সংস্কৃতির ভিত মজবুত হয়না। == .....এ থেকে উত্তরণের দিশাও নেই মনে হচ্ছে....চলছে তো চলছেই.....এখন দেখা যাক....পরান কিংবা হাওয়া'র পাল এর পরিবর্তন হয় কিনা?
৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
দুর্নীতির বিষবৃক্ষের শেকড় কাটার কারিগর দরকার, আর দরকার স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে প্রতিভাবানদের যথাযথ মূল্যায়ন। দুর্নীতি আমাদের প্রধান শত্রু। এটাকে দমন করতে না পারলে শত ভালো প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ ব্যর্থ হতে বাধ্য।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: সৃজনশীল কাজের জন্য এক ধরনের ভিশন থাকা দরকার। দেশের কর্তা ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো এখানেও এটি অতি প্রকটভাবে অনুপস্থিত। ফলেই...
৭| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: এই পরিবর্তনের পিছে স্ট্রিমিং এর অনেক বড় অবদান আছে বলে মনে করি। স্ট্রিমিং আরো লাভজনক হলে আগামীতে এমন আরো সিনেমা আশা করতেই পারি বলে আমার মনে হয়।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৫
আখেনাটেন বলেছেন: এই পরিবর্তনের পিছে স্ট্রিমিং এর অনেক বড় অবদান আছে বলে মনে করি। --- হুম; স্ট্রিমিং কিছুটা ভূমিকা রাখছে বলতেই হয়। তাছাড়া দেশে আরো অনেকগুলো মাল্টিপ্লেক্স ও বড় শহরগুলিতেও এর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারলে বাংলা সিনেমার কিছুটা হলেও বাজার বৃদ্ধি করা সম্ভব।
৮| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
শেরজা তপন বলেছেন: এদেশের সন্তানেরা মেধাহীন নয়। এদের ইচ্ছে আছে আগ্রহ ও সদিচ্ছা আছে। এরা জীপনপণ লড়াই করতে পারে।
কিন্তু যারা দিবে আশা যারা দিবে ভরসা যারা বলিবে উঠো বাবারা/মায়েরা উঠো- তারাই নেতিয়ে পড়েছে।
লোভ, হিংসা ঈর্ষা, দলাদলি, অন্য কাউকে টেনে নামানোর প্রবণত্ একাই পুরোটা খাবার কু-ইচ্ছা এদেরকে কোন জাতের ইতর প্রাণী বানাচ্ছে সেটা আল্লাই ভাল জানেন।
আমাদের মাটিতেই জন্ম হয়েছে সত্যজিৎ, মৃনাল সেন কিংবা হালের ঋতুপর্ণের মত অতি গুনী পরিচালকের। এদের মত প্রতিভা হয়তো অনেক আছে কিন্তু কিছুই হচ্ছ না- হয়তো হবার নয়। এখন সময় হাল ছেড়ে দেবার।
চমৎকার লেখায় ভাললাগা।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: এদেশের সন্তানেরা মেধাহীন নয়। এদের ইচ্ছে আছে আগ্রহ ও সদিচ্ছা আছে। এরা জীপনপণ লড়াই করতে পারে। -- এই একটি কারণেই দেশ কিছুটা হলেও অসংখ্যা বাধা-বিপত্তি (ডুয়িং বিজনেস র্যাংক ১৬৯/১৯০ মে বি?) পেরিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। আর করাপ্টেট আমলা ও নেতারা ঢোল বাজাচ্ছে তাদের কারণে...।
লোভ, হিংসা ঈর্ষা, দলাদলি, অন্য কাউকে টেনে নামানোর প্রবণত্ একাই পুরোটা খাবার কু-ইচ্ছা এদেরকে কোন জাতের ইতর প্রাণী বানাচ্ছে সেটা আল্লাই ভাল জানেন। -- এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে মহাচোর ছিঁচকে চোরকে বলছে 'দুর্নীতি করা যাবে না'।
যাহোক, মাল্টিপ্লেক্সের যুগে ধীরে ধীরে হয়ত অবস্থার পরিবর্তন হবে। বড় বড় শহরগুলোতে আরো কিছু স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা গেলে ও পরিবার নিয়ে ছবি দেখার জন্য পরিবেশ তৈরি করা গেলে কিছুটা হলেও সুদিন ফিরে আসবে বলে আশা করি।
৯| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
জটিল ভাই বলেছেন:
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
দুর্নীতির বিষবৃক্ষের শেকড় কাটার কারিগর দরকার, আর দরকার স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে প্রতিভাবানদের যথাযথ মূল্যায়ন। দুর্নীতি আমাদের প্রধান শত্রু। এটাকে দমন করতে না পারলে শত ভালো প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ ব্যর্থ হতে বাধ্য।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩০
আখেনাটেন বলেছেন: এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশ....হামাগুড়ি দিয়ে (মাজা খাড়া করে না হোক).........গত পাঁচ দশক ধরে যেভাবে এগুচ্ছে...?
১০| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:০২
কামাল৮০ বলেছেন: কি কারনে বলতে পারবো না। অনেক বছর পর কালকে”জাগো হুয়া সাবেরা” সেনেমাটা দেখলাম।সেই ১৯৫৯সালে নির্মিত ।তার থেকে আমরা খুব একটা আগাই নাই বরং পিছিয়েছি।
সিনেমা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু না।সমাজই আগায়নি শিল্প সাহিত্য আগাবে কি করে।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: সিনেমা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু না।সমাজই আগায়নি শিল্প সাহিত্য আগাবে কি করে। --- ভালো কথা বলেছেন...সমাজেই যেখানে বিশৃঙ্খলার আধার সেখানে সিনেমা কী আগাবে?
তারপরেও নতুন প্রজন্মের একটা অংশ চেষ্টা করছে এই অরাজকতার মধ্যেও নয়া সম্ভাবনার বীজ বপন করতে।
১১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:১৬
জুন বলেছেন: ক্যাংকা করে দেখপো আখেনাটেন এখন যেমন সিনেমা, তেমনি হলের অবস্থা, শিল্পীদের কথা বলতে চাই না। সিনেপ্লেক্সে দেখা যায় অবশ্য, কিন্ত টিকিটের দামও তো আকাশচুম্বী তার উপর দেশী সিনেমার মানের কথা আর নাই বা বললাম
+
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪১
আখেনাটেন বলেছেন: এখন যেমন সিনেমা, তেমনি হলের অবস্থা, শিল্পীদের কথা বলতে চাই না। --- সিঙ্গেল স্ক্রিনে সিনেমা দেখার পরিবেশ নেই দেশের মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য। কিন্তু মাল্টিপ্লেক্সে তারা এখন দেখছে। দেশের সব বড় শহরে ৫০০ মতো মাল্টিপ্লেক্সের স্ক্রিন আগামী ৫ বছরে যোগান দিতে পারলে মনে হয় সিনেমা নিয়েও উদ্যোগতা পকেট ভরতে পারবে। এখন দেখা যাক....সিনেমাও যে টাকা কামানোর জায়গা হতে পারে তা দেশের টাকাওয়ালারা অনুধাবন করতে পারলেই হয়।
আর দেশি সিনেমার মান এমনিতেই ভালো হবে যদি সিনেমা টাকাওয়ালারা সত্যিকারভাবেই বুঝতে পারে যে এখানে লগ্নি করলে টাকা কামানো যায়। কিংবা এই ২৮ কোটি বাঙালির বিশাল বাজার নিয়ে ভাবে...
১২| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১২
অপ্সরা বলেছেন: আমি পরান দেখেছি। যে কোনো ঘটনা নিয়ে আমি সে যত কাজই থাকুক না কেনো এত এত ইনভেসটিগেশন করি আর সেই ঘটনার পিছের কারণ বুঝার ট্রাইং করি যে মানুষ সে সব জানলে চক্ষু চড়কগাছে তুলতো। যদিও সে সব করে দেশ ও দশের কোনো উন্নতি হয় না শুধুই নিজের মনে মনে কৌতুহল ও মানুষ কেনো এত রকম বুঝবার ট্রাইং হয়ত। সে সব আমি অবশ্য কাউকেই বলি না। তবে এই যে ইদানিং কালের শিক্ষিকা খায়রুনের মৃত্যু রহস্য নিয়ে আমার যেমন ইনভেসটিগেশন করতে হয় নিজের মনে মনে তেমনই ব্রীজ ভেঙ্গে মাথায় পড়া নিয়েও। আবার তেমনই মিন্নী নয়ন বন্ডকে নিয়েও আমার চিন্তার শেষ ছিলো না। সব কিছুর পর আমার অনেক অনেক কষ্ট লেগেছিলো সবাইকে ছাড়িয়ে নয়ন বন্ডের মায়ের জন্য। সেই নয়ন বন্ডের মা সিনেমায় অনুপস্থিত। আর সেটাই আসলে বেশি দরকার ছিলো। কেনো একজন মানুষ নয়ন বন্ড হয়। সবার আগে পরিবারের ব্যার্থতা? নাকি সমাজের? আর মিন্নী ? একজন মানুষ কেনো মিন্নী হয়? সেটাও ভাবনার বিষয়। আগে ঐ সিনেমার নয়নবন্ডরুপী রাজকে শুধুই পরীমনির হাসব্যান্ড চাড়া নিজের কোনো পরিচয়েই আমি চেনবার চেষ্টাও করিনি। কিন্তু সিনেমা দেখার পর মনে হয়েছে আমি হলে ওকে পুরাই সেরা অভিনেতার পুরষ্কার দিতাম। আমার মনে হয় রাজ এ সময়ের সবচেয়ে ভালো অভিনেতা।
অনেক বড় লেকচার দিলাম।
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: বাহ......আপনি তো দেখছি......সিনেমার চুলছেঁড়া(!) বিশ্লেষণও করেছেন...দেখার পর.......
সিনেমা দেখার পর মনে হয়েছে আমি হলে ওকে পুরাই সেরা অভিনেতার পুরষ্কার দিতাম। -- অনেকেই ইনার অভিনয়ের প্রশংসা করছে ইদানিং। ভালো.......
যাহোক.......আপনার মতো আসমানের পরীরাও এখন বাংলা সিনেমা দেখছেন....এই পরিবর্তনটাই দরকার...মৃতপ্রায় সিনেমাশিল্পকে অক্সিজেন দিয়ে সজীব করার জন্য....।
১৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১৫
অপু তানভীর বলেছেন: ব্যক্তিগত ভাবে আমি মনে করি যে বাংলাদেশী চলচিত্র একটা মৃত শিল্প । এর ভেতর ভেতরে আগে আসলে কি ছিল সেই হিসাব করা এখন বৃথা তবে এটার ভেতর থেকে আর কিছু বের হবে না । হয়তো দুই চার বছরে একটা দুটো ভাল সিনেমা বের হবে । দৌড় এই পর্যন্তই আসলে ! আর বেশি কিছু আশা করা ঠিক হবে না !
খেয়াল করে দেখবেন যে ২০১৬ সালে শেষ আয়নাবাজি বের হয়েছিলো এরপর ঢাকা এটাক দিয়ে একটু হাইপ উঠেছিলো । আর এই ২০২২ সালে পেলাম পরান আর হওয়া ! সময়টা ছয় বছরে মোট চার সিনেমা যা দর্শক টানতে পেরেছে । আর কোন সিনেমার নাম কি আপনি বলতে পারেন ?
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৬
আখেনাটেন বলেছেন: হয়তো দুই চার বছরে একটা দুটো ভাল সিনেমা বের হবে । দৌড় এই পর্যন্তই আসলে ! আর বেশি কিছু আশা করা ঠিক হবে না ! -- আমার তা মনে হয় না.....এখন কিছুটা হলেও ট্রেন্ডটার পরিবর্তন আসবে।
কারণগুলো হল: এক, দেশে মাঝে সিনেমা শিল্পে অশ্লিলতার যে ঝড় বয়ে গেছে সেই ট্রমা থেকে জাতি এখনো বের হতে পারে নি...তবে এখন বিশ্বাস করতে শুরু করেছে হল-এ (বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সে) গিয়ে সিনেমা দেখা যায়।
দুই, বড় শহরগুলোতে মাল্টিপ্লেক্স স্ক্রিনের সংখ্যার বৃদ্ধি মানুষকে আরো বেশি করে পরিবারসহ বিনোদনে উদ্ভুদ্ব করবে।
তিন, মান্ধাত্মা আমলের ইয়াক ঢিসুয়া যুগের টেক ব্যবহার থেকে আস্তে করে হলেও নতুন পরিচালকেরা বেরিয়ে আসছে।
চার, দেশে আগে ভালো মানের সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, ভিডিও এডিটর, স্ক্রিনপ্লে রাইটার, সিনেমাটোগ্রাফার, প্রডাকশন হাউস ইত্যাদির চরম অভাব ছিল....এখনও অভাব থাকলে নয়া প্রজন্ম এর থেকে বের হওয়ার মুখে রয়েছে...ফলেই আমরা এখন 'হাওয়া'র মতো দেশি স্টাইলের সিনেমা পাচ্ছি। এ ধারা আমি করি অব্যাহত থাকবে সিস্টেমকে টিকে রাখার স্বার্থেই....
১৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কী আর করবেন?
আল্লাহর কাছে বিচার দেন!
আল্লাহ তোমার কাছে বিচার দিয়ে গেলাম!
২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন: ...দেশের ভগবান তো একজনই....উনার কাছে বিচার দিলে কেমন হয়? কাজ হবে মনে করেন নুরু ভাই?
১৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৪৯
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: এদিকে অনন্তকে দর্শক ও মিডিয়া রা মেরে ফেললো আর আপনি আছে হাওয়া নিয়ে?
৩১ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন:
কিল হিম: দ্যা মাইরালা.......? ইনারা আছেন বলেই জাতি এখনও বিনোদিত হচ্ছে....এত এত নৈরাজ্যের মাঝে এসবও দরকার মনে কয়?
১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩৬
সোহানী বলেছেন: আমরা ২০ কোটি লোক। একটু শক্ত করে ধরলে যেকোন কিছুই উড়িয়ে ফেলতে পারি।
যাহোক, পরান আর হাওয়ার সফলতা আমাকে আশাবাদী করছে। কানাডায়ও হাওয়ার বাতাসে আমরা উড়ছি।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০০
আখেনাটেন বলেছেন: আমরা ২০ কোটি লোক। একটু শক্ত করে ধরলে যেকোন কিছুই উড়িয়ে ফেলতে পারি। ---সেটাই.....এই সম্ভাবনা নিয়ে কবে আমরা ভাবব?
কানাডায়ও হাওয়ার বাতাসে আমরা উড়ছি।--- বেশ বেশ.....এভাবেই এগিয়ে যাবে দেশ ও জাতি.....কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না....
১৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
নীল আকাশ বলেছেন: ক্যাংকা? অংপুরের মানুষ নাকি বাহে?
বাংলাদেশের সিনেমা ইন্ড্রাস্টিজ গুটি কয়েক অপেশাদার লোকদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে যারা/যাদের -
১। অভিনয়ের অ'ও জানে না
২। কপি পেস্ট ছাড়া কোনো স্ক্রিপ্ট তৈরি করতে পারে না ।
৩। কোন প্রফেশনালিজম নেই
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০১
আখেনাটেন বলেছেন:
নতুন কিছু নির্মাতা ভালো করার চেষ্টা করছে.....টেকনিক্যালিও কিছুটা ইম্প্রুভ হয়েছে......দেখা যাক হাওয়ার দোলা কতদূর নিয়ে যেতে পারে?
১৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি মানুষের বিরুপ মনোভাব এখন।
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০২
আখেনাটেন বলেছেন: শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি মানুষের বিরুপ মনোভাব এখন। === একটি শ্রেণি সব সময়ই ছিল এর বিরুদ্ধে.....কাজী নজরুলকেও গালি শুনতে হয়েছে......
১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫২
রোকসানা লেইস বলেছেন: সুন্দর আলোচনা।
সিনেমা জগৎ আয়ের উৎস হতে পারে সুযোগ পেলে। সুযোগটা কে দিবে টানটানির দেশে।
নতুনরা চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমিত সাধ্যের মধ্যে।
হয়তো বদলাবে অবস্থা।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
আখেনাটেন বলেছেন: সিনেমা জগৎ আয়ের উৎস হতে পারে সুযোগ পেলে। সুযোগটা কে দিবে টানটানির দেশে।
নতুনরা চেষ্টা করে যাচ্ছে সীমিত সাধ্যের মধ্যে।
হয়তো বদলাবে অবস্থা।
---সেটাই লেইস'পা...নতুনরাই সামনের দিনে পরিবর্তন আনবে আশা করা যেতেই পারে।
অনেকদিন পর ব্লগে লেইস'পাকে দেখলাম।
ভালো থাকুন।
২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: চিন্তা করে দেখেন সব সেক্টর কে এমন সব জোকার দিয়ে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে। সবকিছু তে ভাঁড়ামো একটা ট্রেন্ড এ পরিণত করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে।
এই যে একটা চরম ক্রিয়েটিভ এবং লাভজনক সেক্টর সেটাকে পঙ্গু কে করলো, কারা করলো , কাদের স্বার্থ রক্ষিত হলো ?
আমাদের শৈশবে এমিলের গোয়েন্দা বাহিনী , ছুটির ঘণ্টা একটা ছিল গায়ের ছেলে, সাক্ষরতা নিয়ে মাস্টার সুমনের একটা বিখ্যাত গান " রহমত ভাই নাম দস্তখত শেখাতে চাই" এমন কিছু চলচ্চিত্রের কথা মনে করতে পারি। খোঁজ নিয়ে দেখছি সবগুলো ই ছিল সরকারি পৃষ্ট পোষকতায় তৈরি। হুমায়ুনের সিনেমা গুলো অনুদানের। বর্তমানে অনুদানের ভুবঞ্জরা বিখ্যাত দু একটা নাম মনে করতে পারেন ?
এই যে হিন্দি সিনেমা ইন্ড্রাস্টি বুদ্ধিজীবী লেখক থেকে শুরু করে গ্রামে শুটিং করতে যাওয়া গ্রামবাসী হাজার হাজার লোক সুবিধা ভোগী। কী বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। বিশ্বব্যাপী পরিচয়। আমাদের কী সৃজনশীল মানুষ নেই ? আচ্ছা নব্বই দশকের বিজ্ঞাপন গুলোর কথা মনে আছে ? বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন দেখার জন্যে টিভি অন্ করে বসে থাকা পাবলিক ও ছিলেন।
একজন প্রদীপ সরকার যদি বিজ্ঞাপন বানাতে বানাতে পারিনিতা, লাগা চুনরি মে দাগের মত সিনেমা তৈরি করতে পারেন। আমাদের সমস্যার মূল কোথায় ? আমাদের ইনভেস্টর বিদেশি অভিনেত্রী নিয়ে আসেন অভিনয় এর চেয়ে আনন্দ বেশি করতে।
কি আবোল তাবোল বললাম জানি না, কিন্তু কিছু কথা লিখলাম আর কি।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: চিন্তা করে দেখেন সব সেক্টর কে এমন সব জোকার দিয়ে পূর্ণ করে রাখা হয়েছে। সবকিছু তে ভাঁড়ামো একটা ট্রেন্ড এ পরিণত করা হয়েছে পরিকল্পিত ভাবে।এই যে একটা চরম ক্রিয়েটিভ এবং লাভজনক সেক্টর সেটাকে পঙ্গু কে করলো, কারা করলো , কাদের স্বার্থ রক্ষিত হলো ? --- গোটা সমাজব্যবস্থায় পচন ধরলে এটা আর বাদ থাকবে কেন? তবুও স্রোতের বিপরীতে চলে কিছু উদ্যোগতা নিশ্চয় এর পরিবর্তন আনবে এটা আশা করা যেতেই পারে।
এই যে হিন্দি সিনেমা ইন্ড্রাস্টি বুদ্ধিজীবী লেখক থেকে শুরু করে গ্রামে শুটিং করতে যাওয়া গ্রামবাসী হাজার হাজার লোক সুবিধা ভোগী। কী বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। বিশ্বব্যাপী পরিচয়। আমাদের কী সৃজনশীল মানুষ নেই ? আচ্ছা নব্বই দশকের বিজ্ঞাপন গুলোর কথা মনে আছে ? বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন দেখার জন্যে টিভি অন্ করে বসে থাকা পাবলিক ও ছিলেন। --- ঠিক বলেছেন। একসময় এ দেশেও মানুষ দলবেধে পরিবারসহ সপ্তাহ শেষে সিনেমা দেখতে গেছে। মাঝের অশ্লিলতার বাড়াবাড়ি ও এটাকে নিয়ন্ত্রণ না করাতে মানুষের আস্থার সংকট দেখা দিয়েছে। তবে মাল্টিপ্লেক্সগুলো আস্তে আস্তে কিছুটা হলেও রিকভার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওটিটি গুলো এতে অন্যভাবে কিছুটা ভূমিকা রাখছে মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ মনিরাপা।
২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
ব্লকবাস্টার হিট পরাণ মুভিটা দেখেছি । সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার দেড় মাস পর দেখেছি কিন্তু তখনো ছিলো সিনেপ্লেক্সে টিকেটের সংকট ।
দেখে মনে হলো আমাদের প্রজন্মের সালমান শাহ পরে হয়তোবা এমন কেউ এসেছে
( শরিফুল রাজ ) যে কিনা সিনেমার রাজ্য জয় করতে পারবে । রাজের অভিনয় দেখে মনে হয়নি কোন স্ক্রিনে একজন বখাটে চরিত্রে দেখছি কারণ অভিনয়টা ছিল পুরোপুরি জীবন্ত ।
আপনার লেখায় ভাললাগা রইলো এবং সব দিক মিলিয়ে টোটাল প্রেজেন্টেশন যদি ভালো হয় তাহলে আবার হয়তো কিছুটা সুদিন আসবে ।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪০
আখেনাটেন বলেছেন: ব্লকবাস্টার হিট পরাণ মুভিটা দেখেছি । সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার দেড় মাস পর দেখেছি কিন্তু তখনো ছিলো সিনেপ্লেক্সে টিকেটের সংকট । --- বেশ। এরকমই হওয়া দরকার। ক্রিয়েটিভ কাজের দেশে কদর থাকা দরকার।
সব দিক মিলিয়ে টোটাল প্রেজেন্টেশন যদি ভালো হয় তাহলে আবার হয়তো কিছুটা সুদিন আসবে । --- অবশ্যই। এই ধারা অব্যাহত থাকুক। সকলক্ষেত্রে দেশে সৃজনশীল মানুষদের পদচারণা বাড়ুক এই কামনা।
ভালো থাকুন।
২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: একটা উপেক্ষিত বিষয়ের উপর চমৎকার আলোচনা করেছেন। + +
এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে মহাচোর ছিঁচকে চোরকে বলছে 'দুর্নীতি করা যাবে না' (৮ নং প্রতিমন্তব্য) - চমৎকার বলেছেন কথাটা।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
আখেনাটেন বলেছেন: মাথায় পচন ধরলে শরীর কী আর ভালো থাকে? আমাদের মাথা থেকে পচন শুরু হয়েছে বহু আগে থেকেই। তাই হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে চলেছি প্রতিনিয়ত...।
ধন্যবাদ।
২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০২
খায়রুল আহসান বলেছেন: "অনেক বড় লেকচার দিলাম" - বড় হলেও, লেকচারটা সুনতে ভালই লেগেছে।
০১ লা নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
রানার ব্লগ বলেছেন: মেইনস্ট্রিম সিনেমা যখন দেখার অযোগ্য হয়ে যায় তখন বিকল্পধারা সিনেমা তার জায়গা দখল করেই নেয় !!! পরান কিছুটা মেইনস্ট্রিম ধারা ধরে রাখলেও হাওয়া পুরাই বিকল্পধারা ছবি !!
মেঘের অনেক রঙ, সিমানা পেড়িয়ে সিনেমা দেখেছেন আশা করি ওই সিনেম গুলি আপনার কোন ধারার সিনেমা মনে হয়েছে? দুইটা সিনেমাই কিন্তু সুপার ডুপার হিট ।