নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনটা যদি তুষারের মতো...

আখেনাটেন

আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?

আখেনাটেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তৎকাল কটকচ্চ-৩: …ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী!!!

২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৮



দৃঢ়তা, একাগ্রতা, ইচ্ছাশক্তি ও সংকল্প আর এসবের উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস থাকলে বাঙালীরা যে অসাধ্য সাধন করতে পারে তা বিশ্ব এর আগেও দেখেছে। জাতি এবারও তা অবলোকন করল যে, কচ্ছপের কামড়ের মতো লেগে থেকে কোনো কাজ করতে চাইলে তা--সুচারুভাবে না হোক--সম্পাদন করা অসাধ্য নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা এটি বিশেষ কিছু ক্ষেত্র (স্থান-কাল-পাত্র) ছাড়া করতে পারি নি বা পারি না বলেই একবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশকেও এসে সালমা-করিমাকে মিডল ইস্টের শেখ-দের ‘শিশার তামাক’ সাজাতে হয়।

ব্যক্তিগতভাবে সেই শুরু থেকেই আমি অসংখ্যবার পদ্মা সেতুর আপডেট জানার চেষ্টা করেছি। ইউটিউবে ভিডিও দেখে আপ্লূত হয়েছি। নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর প্রচেষ্ঠাতে চিন্তা করেছি--এই সেতুর ফলে কী ধরনের পরিবর্তন হতে পারে দক্ষিণ অঞ্চলের। যেমনটা যমুনা সেতুর কারণে উত্তরাঞ্চলে কাছের জেলাগুলোতে কিছুটা হয়েছে। পদ্মা সেতু, কালনা সেতুর পাশাপাশি আর কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেত? এগুলো নিয়ে নিজের মতো করে ভেবেছি? লুপহোলগুলো খোঁজার চেষ্টা করেছি। একটি-দুটি ব্রিজের অভাব যে একটি জনপদকে পিছিয়ে দিতে পারে, এত কাছে থেকেও দূরে সরিয়ে রাখতে পারে তা পদ্মা সেতুর পূর্বের ও পরের অবস্থা চিন্তা করলে আঁচ করা যেতে পারে।

কিছুদিন আগে মনে হয় এক সরকারী কর্মকর্তার জন্য দীর্ঘসময় পদ্মার ফেরির অপেক্ষার কারণে এক আহত কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা নাড়া দিয়েছিল দেশবাসীকে। এইসব জমিদারি খামখেয়ালি (নাকি নিমকহারামী--জনগণের টাকায় খেয়ে পরে গতর মোটা করে জনগণের উপর জুলুমকে কি খামখেয়ালি বলা যেতে পারে?) ভোগান্তিরও অবসান হবে।



বিশ্বব্যাংক যখন এই প্রকল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিল দুর্নীতির অভিযোগে, তখন অনেকের মতো আমিও ধরে নিয়েছিলাম আপাতত এই সেতু হচ্ছে না। এমন কি শুরুতে পিএম নিজেও এটা হয়ত বিশ্বাস করেন নি? সে সময়ের নিউজফিডগুলো দেখলেই তা বুঝা যায়; এর কারণও ছিল। কিন্তু সময়ের সাথে আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করা গেছে কারণ প্রবাসী ভাইদের (যাদেরকে আমাদের দূতাবাসের জমিদারেরা কামলা বলে এবং সেই অনুযাযী চরম খেদমতদারীও করে?) পাঠানো পেট্রো ডলার/ডলারের ঢল। রিজার্ভ বাড়তে শুরু করলে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ‘ব্যালান্স অব পেমেন্টে’ কিছুটা ভারসাম্য আসলে পিএম-এর বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়েছে। এর সাথে চীনা সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের আশ্বাসও আস্থাকে সুদৃঢ় করেছে। ফলেই আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি দেশের ইতিহাসে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় প্রকল্পের (৩.৬ বিলিয়ন ডলার) বাস্তবায়ন। যে দেশের উন্নয়ন (এডিপি) বাজেটের অর্ধেক ক্রেডিট নামক হ্যাংগারে ঝুলানো থাকে, সে দেশে এ পরিমাণ ডলার ব্যয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ন কোনো পাগলেও একসময় চিন্তা করেন নি। প্রধানমন্ত্রী চিন্তা করেছেন এবং দীর্ঘ সময় নিলেও বাস্তবায়ন করেছেন এ জন্য দেশবাসীর প্রাণঢালা অভিনন্দন উনার শতভাগ প্রাপ্য। এ প্রকল্প দেশের ইতিহাসেও একটি মাইলফলক হিসেবেও বিবেচিত হবে এ কারণে।

এখন বিষয় হচ্ছে প্রকল্পটি সাসটেইনেবল ও সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ট তোলার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি ও সুদূরপ্রসারী এক্সিট প্লান। পুরো দক্ষিণবঙ্গকে একটি সিঙ্গেল এনটিটি বিবেচনায় নিয়ে কানেক্টিং রোডগুলোকে চার লেনে উন্নিত করা। মংলা ও পায়রা পোর্টকে দ্রুত আধুনিকায়ন ও কনটেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা যাতে ঐ অঞ্চলের শিল্পকারখানার পণ্য আমদানী-রপ্তানীতে চট্টগ্রামমুখী না হতে হয়। মৃতপ্রায় খুলনা শিল্পনগরীকে পুনর্জীবিত করে ঢাকার উপর চাপ কমানো। কুয়াকাটাকে দ্বিতীয় পর্যটন হাব বিবেচনায় নিয়ে সরকারী-বেসরকারি উদ্যোগে সহায়তা করা। এসব পরিকল্পনা ও টেকসই বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কেবল পদ্মা সেতুর ফলে কাঙ্খিত ১.২ শতাংশ দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা পূরুন করা সম্ভব।

যে আশা-আকাঙ্খা বা স্বপ্নের বীজ পদ্মা সেতু বপন করেছে তার ফসল যেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষ ঘরে তুলতে পারে দেশবাসী হিসেবে আমাদের সকলের এই কামনা। আর এর জন্য যমুনা সেতু ও উত্তরবঙ্গ একটি কেস স্টাডি হিসেবে বিবেচনায় নেয়া যেতে পারে। বিশ বছরে যমুনা সেতুর ফলে অনেকটা পরিবর্তন হলেও এখনও কেন দেশের চরম দরিদ্র লোকের বাস সেখানের জেলাগুলোতে? এখনও কেন ভিটে-মাটি ছেড়ে রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে খোলা ট্রাকের ছাদে স্বপ্ন ফেরি করে ছুটে আসতে হয় কংক্রিটের জঞ্জালে?

নেতা ও আমলারা এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী টেকসই পদক্ষেপ নিলে আশা করি জনগণের--না দক্ষিণবঙ্গ, না উত্তরবঙ্গ, না চলমান বন্যাপিড়িত পূর্ববঙ্গ--আক্ষেপ নিয়ে ঢাকাতে স্বপ্ন ফেরি করতে হবে না ভবিষ্যতে?

সুখী হোক দেশের সকল মানুষ।

********************************************************
@আখেনাটেন/জুন-২০২২

ছবি: পদ্মা সেতু

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: সত্যি কথা হচ্ছে প্রথমে আমার ধারনা ছিলো বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার ফলে নিজেদের অর্থায়নে কোনো ভাবেই এই সেতু তৈরি করা সম্ভব হবে না। পরে যখন কাজের সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলো তখন মনে হয়েছে নির্মাণকালিন সময়ে ও তার পরপর আমাদের অর্থনিতীতে একটা ধাক্কা লাগবে বিদেশী মূদ্রার ঘাটতির কারণে।

২৬ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

আখেনাটেন বলেছেন: শুধু আপনি না কেউই ধারণা করে নি, এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও না। তবে এর পরে দেশের অর্থনৈতিক কিছু বিষয়ে (প্রবাসী আয় অন্যতম) ভালো করায় সেই 'না'টা 'হ্যাঁ' তে রূপান্তর হয়।

পরে যখন কাজের সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গেলো তখন মনে হয়েছে নির্মাণকালিন সময়ে ও তার পরপর আমাদের অর্থনিতীতে একটা ধাক্কা লাগবে বিদেশী মূদ্রার ঘাটতির কারণে। --- এটা না হওয়ার কারণ ঐ প্রবাসী আয়ের চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তে থাকা ও ব্যালান্স অব পেমেন্টে দেশের অনুকূলে আসে...।

২| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:০০

মিরোরডডল বলেছেন:




হোয়াট এ ওয়ান্ডারফুল রাইটিং আনা !
পুরো পোষ্টের সাথে সহমত ।
লাখো মানুষের স্বপ্ন ছিলো, যা অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে ।
রাষ্ট্রের মেজর প্রায়োরিটির মধ্যে একটা হচ্ছে কমিউনিকেশন্সে উন্নয়ন ।
পোষ্টে উল্লেখিত পরবর্তী পদক্ষেপগুলো যেন বাস্তব রূপ নেয় সেই প্রত্যাশা ।


২৬ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

আখেনাটেন বলেছেন: লাখো মানুষের স্বপ্ন ছিলো, যা অবশেষে বাস্তবায়িত হয়েছে ।
রাষ্ট্রের মেজর প্রায়োরিটির মধ্যে একটা হচ্ছে কমিউনিকেশন্সে উন্নয়ন ।
পোষ্টে উল্লেখিত পরবর্তী পদক্ষেপগুলো যেন বাস্তব রূপ নেয় সেই প্রত্যাশা ।
--- জনগণের মুখে হাসি মানেই দেশের সুস্বাস্থ্য। :D

এটি চীনারা বানিয়ে দিয়েছে, পরেরটা যেন নিজেরাই বানানোর সক্ষমতা অর্জন করি সরকারের এখন সেদিকে নজর দিতে হবে। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণাতে ব্যয় আরো বাড়িয়ে।

৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:


গত ১০ বছর গড়ে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট হয়েছে, সেখান থেকে বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সেতুতে খরচ হয়েছে, এবং করেছে চীনারা; আপনার মনে কেন হয়েছে যে, ইহা বিশাল ব্যাপার?

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:০২

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার ভাবনায় বিরাট তথ্যগত ভুল রয়েছে এবং সেই ভুল ধারণার উপর নিজস্ব একটি জগাখিচুড়ি লজিক দাঁড় করিয়েছেন। আবার সেই ভুল লজিকের উপর হাউকাউ করে পাড়া মাত করছেন।

আপনাকে ছোট্ট একটি তথ্য যোগান দেই: যখন সকলে ভেবেছিল নিজেদের অর্থে এটি করা অসম্ভব, তখন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১০.৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাজেট ছিল প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলারের। রেভিনিউ টার্গেট ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের যার প্রায় পুরোটাই অনুন্নয়ন ব্যয়ের জন্যই ফিনিতো। উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য যে প্রায় ৬ বিলিয়ন ধরা হয়েছিল যা প্রায় পুরোটাই ক্রেডিট (ডমেস্টিক ও ফরেন)।

এখন আপনি বলছেন এখান থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার শুধুমাত্র পদ্মা সেতুর জন্য ব্যয় করতে। আমি উপরের লেখায় 'যারা এমন ভাবত তাদের পাগল আখ্যায়িত করেছি' এবং ন্যুনতম অর্থনীতির জ্ঞান আছে সকলেই তাই বলবে ও বলেছেও যা সেই সময়ের বিবেচনায় সঠিক ভাবনা ছিল। এরপর কেন তা পরিবর্তন হল সেটাও লেখায় বলা হয়েছে। আরো জানতে চাইলে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করতে পারি। তবে দয়া করে, ভুল তথ্যের উপর ফালতু লজিক দাঁড় করে অন্যের বিরক্তির কারণ হবেন না।

৪| ২৬ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: একটা সময় ছিল যখন কুমিল্লা যেতে মেঘনা ও গোমতি নদী ফেরিতে করে পার হয়ে যেতে হত। সাত আট ঘন্টার মত সময় লেগে যেত কুমিল্লা পৌছাতে। কিন্ত এই দুই নদীর উপড় ব্রীজ হবার পর সময় লাগে মাত্র দুই ঘন্টা ( যদি ট্রাফিক জ্যাম না থাকে)। পদ্মা সেতু হবার পর এখন উত্তরবঙ্গের সাথে যোগাযোগ উন্নত হবে এতে কারো কোণ সন্দেহ নাই। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি নাহলে কোন দেশের উন্নতি হয় না। আমারা যারা বিদেশে থাকি তারা প্রতিনিয়ত অসংখ্য সেতু, ফ্লাইওভার পারি দিয়ে যে কোন গন্তব্যস্থলে পৌছাই অতি দ্রুত। কিন্ত উন্নত দেশে এই সেতু , ফ্লাইওভার নির্মানকে দেশের সরকারের বিজয় বলে মনে করার হয় না। এসব কিছুই সরকারের দ্বায়িত্ব বলে মনে করা হয়।

পদ্মা সেতু নির্মানকে মোসাহেবের দল যেভাবে আওয়ামিলীগের অর্জন বলে চিল্লাফাল্লা করছে সেটাইতেই আপত্তি অনেকের। কারন এই সেতু নির্মান হয়েছে জনগনের পয়সায়, কারো বাপের টাকায় নয়। তাই এটা জনগনের অর্জন।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:১১

আখেনাটেন বলেছেন: উন্নত দেশে এই সেতু , ফ্লাইওভার নির্মানকে দেশের সরকারের বিজয় বলে মনে করার হয় না। এসব কিছুই সরকারের দ্বায়িত্ব বলে মনে করা হয়। -- সমস্যা হচ্ছে আমরা উন্নত দেশ না; ফলে এখানে লোকরঞ্জনবাদী কিছু বিষয় সকল সরকারই ঢাকঢোল বাড়িয়ে করে থাকে। ঢাকঢোল বাড়িয়ে যদি কিছু ভোট বাড়ানো যায়।
কিন্তু উন্নয়নের ধারা সঠিক হলে যে ভোটার এমনিতেই চলে আসবে এই ভাবনা মাথামোটাদের হবে না যত দিন না দেশ 'সিঙ্গাপুর' হয়। এখন আমাদের 'সিঙ্গাপুর' হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; কলাবাগান ভাইয়ের ভাষায় 'গুলশান-বনানী' হয়ে গেছে; এবার দেশের অন্য জায়গাও হলে আমরাও তখন এসব ছোট খাট সেতু উদ্বোধনের জন্য ঢাকঢোল আর পেটাবো না। B-)

৫| ২৬ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: দেশের ভালো হোক। দেশের সকল মানুষ সুখী হোক। ভালো পোস্ট।

২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:১২

আখেনাটেন বলেছেন: দেশের ভালো হোক। দেশের সকল মানুষ সুখী হোক। --- সেটাই আসল কথা। :D

৬| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:২৯

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: নিউজে দেখলাম ভাঙা-নড়াইল-যশোর-বেনাপোল ছয় লেন করার প্ল্যান হাতে নিচ্ছে।

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ২:২৬

আখেনাটেন বলেছেন: অতি শীঘ্রই তা বাস্তবায়ন করা দরকার। বরিশাল ও খুলনার রাস্তাগুলোও তাই করা উচিত।

৭| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: পড়েছি। আল্লাহর কসম পড়েছি।

পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের দূরদর্শিতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে।

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ২:২৯

আখেনাটেন বলেছেন: আপনার আজকের মন্তব্য পড়ে অট্টহাসি দিলুম।

আজকে লেখাটি পড়েছেন মনে হচ্ছে এবং গঠনমূলক মন্তব্যও করেছেন। ভালো। B-)

পরী ও ফাইহা'র জন্য আদর ও ভালোবাসা থাকল।

৮| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
লেখক বলেছেন: শুধু আপনি না কেউই ধারণা করে নি, এমনকি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও না।
আমাদের সোনা সাহেব অবশ্য প্রথম থেকেই জানেন যে নিজেদের টাকায় সেতুটি হবে।

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: আমাদের সোনা সাহেব অবশ্য প্রথম থেকেই জানেন যে নিজেদের টাকায় সেতুটি হবে। -- উনি বুঝতে পারছেন না যে উনি কিবোর্ডের রং বাটনে চাপ দিয়ে ফেলেছেন। :D

৯| ২৬ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লেখাটা দুবার পড়লাম, সুন্দর লিখছেন।

২৭ শে জুন, ২০২২ রাত ২:৩২

আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ। :D

১০| ২৭ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪৭

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসংখ্য কোন অর্জন নেই। হাতে গোনা দুই একটা অর্জনের মধ্যে এটাই ওনার শ্রেষ্ঠ অর্জন। জনগণের অর্থের সাহায্যে এই অনবদ্য কাজটি করেছেন তার জন্য উনি আজীবন বেঁচে থাকবেন।

বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর এমন সুদৃঢ় ইচ্ছাশক্তি আসলেই প্রশংসার যোগ্য। এটা থেকে উনার ও উনার আশপাশে থাকা লোকগুলোর অবশ্যই এটা ভালোভাবে জানা হয়ে গেছে যে, জনগণের শক্তিই হচ্ছে আসল শক্তি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীসহ তার আশপাশে থাকা সকলেরই উচিত জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা। এবং যে ক'টি প্রকল্প আটকে রয়েছে সেগুলোর দিকে মনোনিবেশ করা।

একটা বিষয়, জনগণের অর্থে দেশে অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু জনগণ তাদের বিপদের সময় সরকারকে পাশে পাচ্ছে না। এই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি দুর্যোগ-পরবর্তী সরকারি কার্যকলাপের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে আপনি খুব ভালভাবেই বিষয়টা অনুধাবন করতে পারবেন।

সুনামগঞ্জ, সিলেট, কিশোরগঞ্জ, নীলফামারী এসব অঞ্চলের বন্যাগ্রস্ত মানুষগুলোর অর্থেই কিন্তু পদ্মা সেতু তৈরি। অথচ আজ এই মানুষগুলো চরম বিপর্যয় অবস্থায় দিন গত করছে। এদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব মানুষের নয়, জনগণের নয়, সরকারের। অথচ সরকারের এই নীরব অবস্থান জনগণের সাথে না থাকার প্রমাণ বহন করে। কৃতজ্ঞতা আদায় তো বহুদূর!

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর এমন সুদৃঢ় ইচ্ছাশক্তি আসলেই প্রশংসার যোগ্য। এটা থেকে উনার ও উনার আশপাশে থাকা লোকগুলোর অবশ্যই এটা ভালোভাবে জানা হয়ে গেছে যে, জনগণের শক্তিই হচ্ছে আসল শক্তি। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীসহ তার আশপাশে থাকা সকলেরই উচিত জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করা। এবং যে ক'টি প্রকল্প আটকে রয়েছে সেগুলোর দিকে মনোনিবেশ করা।
একটা বিষয়, জনগণের অর্থে দেশে অনেক কিছুই হচ্ছে কিন্তু জনগণ তাদের বিপদের সময় সরকারকে পাশে পাচ্ছে না। এই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া প্রত্যেকটি দুর্যোগ-পরবর্তী সরকারি কার্যকলাপের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে আপনি খুব ভালভাবেই বিষয়টা অনুধাবন করতে পারবেন।
--- সহমত। তবে রাতের ভোটে নির্বাচন করা সম্ভব হলে দেশের সব দলই তা করবে। নেতাদের সমস্যা। জনগণ নিয়ে এদের ভাবনা নেই।

১১| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম।
কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১১ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো....এবার মুড়ি খান। :D

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দেশের সুখ ও সমৃদ্ধির আর্জনের তরে
সুচিন্তিত গঠন মুলক পোষ্টটির জন্য
রইল প্রাণডালা আভিনন্দন ।
শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৪৬

আখেনাটেন বলেছেন: মন্তব্যের জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

আপনাকে অনেকদিন পর ব্লগে দেখছি।

সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন।

শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.