নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি আমাকে চিনব বলে বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছি একা একা, পাই নি একটুও কূল-কিনারা কিংবা তার কেশমাত্র দেখা। এভাবেই না চিনতে চিনতেই কি মহাকালের পথে আঁচড় কাটবে শেষ রেখা?
থ্যাপ করে একটি শব্দ হলো। মাঝারি উচ্চতার তালগাছ থেকে পাকা তাল নিচের কাদামাটিতে পড়লে যেরকম শব্দ হয় ঠিক সেরকম। নন্দপ্রসাদ সাহা ঠিক বুঝে উঠছে না কিসের শব্দ হতে পারে এটি। তালও হতে পারে। উৎকণ্ঠাসহ নিশ্চুপ হয়ে অপেক্ষা করছে ঘর থেকে। এবারের বর্ষাকালটা অনেক দীর্ঘ। ভাদ্র মাসেও বর্ষার মতো বৃষ্টি। বাক্স পেটরা সব প্রস্তুত। রাত আর একটু পড়লেই সকলে বেরিয়ে পড়বে।
মেয়েটার জন্য মনটা ‘কু’ ডাক দিয়ে উঠে। ওকে এখান থেকে অনেক আগেই ওর মামার কাছে পাঠানো দরকার ছিল। একটু পরেই বৃষ্টির শব্দের সাথে বাইরের দরজার ঠকঠক আওয়াজ কানে আসে।
‘কাকা দরজাটা একটু খুলবেন’--বৃষ্টির শব্দের মাঝেও একটি অতি পরিচিত কন্ঠের ডাক শুনতে পায় নন্দপ্রসাদ সাহা।
২
যশোর ৪৩ ব্রিগেড। পেটা শরীরের সুদর্শন ক্যাপ্টেন শামসাদ ফাইরোজী সিগারেটটা হাত থেকে মাটিতে ফেলে পা দিয়ে ডলা দেয়। ভাবখানা এমন যেন পায়ের তলায় নোংরা তেলাপোকা পিষে মারছেন।
এরপর মৃদু স্বরে পাশের কাকে যেন বললেন, ‘মিশনের কী অবস্থা’?
মাঝ বয়সী এক লোক খ্যাড়খ্যাড়ে গলায় জানালেন, ‘স্যার, কলিম শেখকে সাথে নিয়ে সাত জনের একটি টিম গেছে। একটু পরেই চলে আসবে নিশ্চয়’।
-আমার পাশের ঘরটা ঠিক করা হয়েছে কিনা?
-ইয়েস স্যার। সবকিছু প্রস্তুত।
দুদিন আগে কলিম শেখের মুখে নন্দপ্রসাদ সাহার পরিবার সম্পর্কে জেনে ক্যাপ্টেনের আর তর সইছে না। দুদিন পর জুম্মার নামাজের আগে যখন জানতে পারে সাহা পরিবার গ্রাম ছাড়তে যাচ্ছে, তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। নামাজে নিজ জাতির উন্নতি কামনা করে মসজিদ থেকে বের হয়েই দেখে আকাশ মেঘলা। বৃষ্টির চূড়ান্ত সম্ভাবনা। এটাই উপযুক্ত সময় বীজ বপনের!
৩
২০১৭। লন্ডন। অক্সফোর্ড স্ট্রিট। ঘ্যাচ করে ব্রেক কষে একটি ম্যাকলরেন প্রাইভেট কার আলিজেহ এর ঠিক কাছ ঘেঁষে দাঁড়ায়। রিফ্লেক্স অ্যাকশনে আলিজেহ মৃদু লাফ দিয়ে সরে দাঁড়িয়ে কঠিন চোখে তাকায় কারের সিটের দিকে। এরপর মুখে এক চিলতে হাসি ছড়িয়ে পড়ে। ড্রাইভিং সিটে রায়ান ম্যাকবে বসে আছে। গাড়িতে উঠে পড়ে আলিজেহ। গত কিছুদিন ধরে আলিজেহর চিন্তা চেতনাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে রায়ান।
দুজনের পরিচয়টা নাটকীয় না হলেও বেশ মজার। দুজনেই অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজে পড়ছে। আলিজেহ অর্থনীতি ও ম্যানেজমেন্টে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে আর রায়ান একই বিষয়ে স্নাতকোত্তরে। যদিও রায়ানের বয়স আলিজেহর থেকে পাঁচ/ছয় বছর বেশি। রায়ানের স্নাতকোত্তরে প্রজেক্টে একটি বৃত্তির আওতায় উন্নয়নশীল দেশের মহিলাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ও সামাজিক পরিবর্তন এই বিষয়ে একটি গবেষণা পরিচালনা করছে। সেই কাজে রায়ানের সুপারভাইজার বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতকে পছন্দ করে। আর আলিজেহ বর্তমানে ইংল্যান্ডের নাগরিক হলেও পাকিস্তানী বংশোদ্ভুত ও এখনও বেশ ভালোভাবেই পাকিস্তানের সাথে বন্ডিং রয়েছে। কারণ তাদের পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে সেখানে। রায়ান উপমহাদেশের কাউকে খুঁজছিলো ট্রিনিটি কলেজে তাঁর সাথে কাজ করার জন্য। আলিজেহকে পেয়ে যায়। কিন্তু প্রথমে আলিজেহ কাজ করতে রাজি হয় নি। একে তো সবে স্নাতক করছে, আর একজন বেগানা ভীনদেশী ক্রিশ্চিয়ান ছেলের সাথে কাজ করতে হবে, বিষয়টি পরিবারের কেউই রাজি হয় না।
পরে রায়ান তাঁর ফ্যামিলির সাথে কথা বলে রাজি করে ফেলে। এর জন্য রায়ানকে বহুবার তাঁদের বাসায় যেতে হয়। আলিজেহ ইংল্যান্ডে বড় হলেও পারিবারিকভাবেই ধার্মিক। বিশেষ করে তাঁর গ্রান্ডপা মেয়েদের হিজাব ছাড়া ও পরপুরুষের সাথে মেলামেশা ভালো চোখে দেখে না। এখনও পরিবারের সবাই গ্রান্ডপাকে ভয় পায়। একসময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনির জাঁদরেল জেনারেল ছিলেন। সেই ঠাঁট এখনো আছে। এখন নিজেদের পারিবারিক ব্যবসাকে মাল্টিন্যাশনাল ব্যবসায় পরিণত করে ইংল্যান্ডে থিতু হয়েছেন।
একসাথে কাজ করতে গিয়েই দুজনের মাঝে ভালোলাগা। সেখান থেকে এখন ভালোবাসায় রূপ নিয়েছে। কিছুদিন পরেই আলিজেহ রায়ানকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। এবং অবশ্যই রায়ানকে মুসলিম হতে হবে এই শর্ত মেনে নিয়ে। রায়ান ‘হ্যাঁ’ কিংবা ‘না’ কোনোটাই জবাব দেয় নি। তবে সম্মতি আছে বুঝতে পারে আলিজেহ। ফলে তাঁদের মধ্যে অবাধ মেলামেশায় কোনো বাধা থাকে না। যদিও আলিজেহ’র পরিবারের এই ধরনের সম্পর্কের ব্যাপারে ভীষণ রক্ষণশীল। তারা জানতে পারলে বড় ধরনের ঝামেলা হওয়ার আশংকা নাকচ করে দেওয়া যায় না। আর সেজন্যই ওর বিয়ের জন্য চাপ।
ইতোমধ্যে তাঁরা বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান বেশ কয়েকবার ঘুরে গেছে। এর আগে দুজনে আলিজেহর দাদুর সাথে পরামর্শ করেছে উপমহাদেশের কোথায় তাঁদের গবেষণার কাজগুলো করার জন্য যাওয়া যায়। উনিই তাঁর নিজ গ্রামের আশে পাশের কাজ করার পরামর্শ দেয়। এতে তাদের পাকিস্তানে চলাফেরা সুবিধা হবে। পরিচিত জায়গা সেটা। আলিজেহর দাদুকে বাংলাদেশ ও ভারতের কথা বললে উনি স্মৃতি থেকে হাতড়িয়ে একটি জায়গার নামই বলতে পারে যশোর। কারণ তাঁর ভাষায় ‘পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধের সময়’ তিনি ঐ জায়গায় কয়েক মাসের জন্য কর্মরত ছিলেন। উনার ভাষায় চমৎকার জায়গা। মানুষগুলোও অমায়িক। এরপর আর কখনই উনি আর বাংলাদেশে আসেন নি। এভাবে তারা বাংলাদেশের যশোর ও ভারতে যাতায়াতের সুবিধার জন্য যশোরের ওপাশেই চব্বিশ পরগণাকে নির্বাচিত করে। কলকাতার পাশে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই তাদের গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে পারবে।
আলিজেহদের পাকিস্তানে পাঞ্জাব প্রদেশের গুজরানওয়ালা শহর থেকে দশ কিমি দূরে গ্রামের বাড়ি। এক বছরে রায়ান পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও ভারতে বহুবার এসেছে। বছরের প্রায় আট মাস এই তিন দেশেই কাটিয়েছে গবেষণার কাজে। এদিকে আলিজেহ বাংলাদেশ ও ভারতে একবার গেলেও পাকিস্তানে তিনবার রায়ানের সাথে অংশগ্রহণ করে। আর রায়ানের কাজের প্রতি একাগ্রতা ও গ্রামের মানুষের সাথে একেবারে মিশে যাওয়ার অসাধারণ গুণ লক্ষ্য করে মুগ্ধ হয়। আলিজেহ লক্ষ্য করে রায়ান গবেষণার জন্য বাংলা ভাষাও অনেকটা শিখে ফেলেছে। উর্দু সামান্য কিছু পারলেও বাংলাতে অনেকটায় সাবলীল। ও বেশ অবাক হয়। কেন পশ্চিমারা এতটা অগ্রসর? কাজের প্রতি একাগ্রতা ও সততার সাথে কাজ তুলে আনার জন্য এরা সবকিছু করতে পারে। আর এসব মুগ্ধতায় ক্রমে তাকে রায়ান গভীরভাবে আকৃষ্ট করে। এবং ক্রমেই দুজন দুজনের হরিহর আত্মায় পরিণত হয়। মনে অনেক দ্বিধা থাকলেও একসময় নিজেকে সঁপে দেয় রায়ানের হাতে।
কিছুদিন পরে আলিজেহ বুঝতে পারে শরীরের পরিবর্তন। কিছু একটা গন্ডগোল। এবং ডাক্তারের কাছ থেকে নিশ্চিত হয় কেন এই পরিবর্তন? রায়ান খুশি হয়। আলিজেহ চাপ দিতে থাকে। মুসলিম হও এবং শীঘ্রই বিয়ে কর। দাদু জানতে পারলে মেরে ফেলবে। রায়ান আশ্বাস দেয় গবেষণার কাজটা শেষ হলে ধুমধাম করে বিয়ে করবে। আর মাত্র দুই মাস। যদিও কিছুদিনের মধ্যে আলিজেহ’র মা ও পরিবারের দু একজন জেনে গেছে। কিন্তু রায়ানের উচ্ছাস ও আশ্বাস তাদের ভরসা দেয়। আর মাত্র কয়দিন। বিয়ের জন্য তারা কেনাকাটা শুরু করে। বাচ্চার নাম কি রাখবে সেটাও দুজনে মিলে ঠিক করে। ‘আব্র’--হবে মেয়ের নাম।
৪
প্রেগনেন্সির ঠিক তিন মাস পরে আলিজেহর ঠিকানায় একটি পার্সেল আসে। প্রায় শতেক পৃষ্ঠার একটি তথাকথিত গবেষণা পেপার। সবার উপরে লাল কালিতে জ্বলজ্বল করছে একটি শব্দ, ‘রিভেঞ্জ’।
নিচে লেখা, “অনীতা সাহা ও তাঁর পরিবার এবং একটি শুয়োরের জীবনবৃত্তান্ত”। নিচে স্বাক্ষর করা আছে, ‘রায়ান সাহা ম্যাকবে’।
আলিজেহর হাত কাঁপতে থাকে। চিৎকার করে সে মায়ের কাছে যায়। ইতোমধ্যে বাড়ির সকলে জেনে ফেলে কেলেংকারি। আলিজেহর দাদু মিঃ শামসাদ ফাইরোজী নিথর হয়ে বসে পড়ে মেঝেতে। এতদিন যে পাপের ভয়ে কুঁকড়ে থাকত নিজের বিবেকের কাছে, এবার সেটা ব্রক্ষ্মাস্ত্র হয়ে তাঁর দিকেই ধেয়ে এসে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। ভুলে গিয়েছিল যৌবনের সেই অমার্জনীয় অপরাধের কথা। পাপের কথা। পঙ্কিলতার কথা। নিজেকে সাচ্চা মুসলমান হিসেবে সমাজে পরিচিত করায়ে ভুলে থাকতে চেয়েছিল অতীত পাপ থেকে। না, পাপ তার বাপকে ছাড়ে নি। ভিন্ন রূপে, ভিন্ন চরিত্রে, ভিন্ন মোড়কে ঠিকই এসে আছড়ে পড়েছে সুরক্ষিত দেয়াল ডিঙিয়ে। পঁচাত্তর বছরের টনটনে শরীরকে এখন আরো বিশ বছরের অধিক বয়স্ক বানিয়ে দিয়েছে একদিনের ব্যবধানে। গোপন পাপ উন্মুক্ত হওয়ায় এতদিনের অর্জিত সন্মান সকলের সামনে নগ্ন হয়ে ধরা দিয়েছে।
দুদিন পরে একা ঘরে বিধ্বস্ত আলিজেহ রায়ানের পাঠানো সেই অনীতা সাহা ও শুয়োরের জীবনবৃত্তান্তের শেষে লেখা একটি চিঠি পড়তে শুরু করে।
‘...স্ট্যানফোর্ড-এ পড়াকালীন পরিচয় হয় এক বাংলাদেশির সাথে। তাঁর মুখেই প্রথম বিস্তারিত শুনি পাকিস্তানি শুয়োরদের অত্যাচারের কথা। এর আগে আমার পারিবারিক ইতিহাস নিয়ে অল্পবিস্তর জানা ছিল, কিন্তু নতুন বাস্তবতায় এ নিয়ে বিশদ ভাবনার সুযোগ ছিল না। বাংলাদেশী ঐ বন্ধুটির সাথে যোগাযোগ হওয়ার পর আমার শরীরেও যে বাঙালী রক্তের প্রবাহ বহমান তা নতুন আঙ্গিকে ধরা দেয়। ইতিহাস জানার জন্য আমি পরিবারের লোকেদের কাছে জেদ করি। আর তখনই উন্মোচন হয় এক বীভৎস অধ্যায়। আমার নামের মাঝের অংশ ‘সাহা’ এবং এর নাড়ী নক্ষত্র বের করার জন্য আমি সময়ের অপেক্ষায় ছিলাম। এদিকে নতুন সফটওয়্যার ফার্মের জন্য অধিক ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মাঝের কয়েকবছর এ নিয়ে আর ভাবতে পারি নি। কিন্তু ছোট্ট একটি ঘটনা অজানা এক অধ্যায়ের দ্বার উন্মোচন করে। একদিন মাকে দেখি পত্রিকা হাতে নিয়ে অদ্ভুত এক বিস্ময় (নাকি ঘৃণা) সহকারে পড়তে। এক বয়স্ক ভদ্রলোকের ‘অর্ডার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার’ অ্যাওয়ার্ড এর খবরের দিকে মা ওভাবে চেয়ে আছে। অবশেষে জানতে পারি এই ভদ্রলোকের পরিচয়। আর জানার পরে ঘৃণায় কুঁকড়ে যাই। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি প্রতিশোধের।
এরজন্য প্রথমে তোমার দাদুর পরিচয় আমাকে উদ্ধার করতে হয় শতভাগ নিশ্চিত হওয়্যার জন্য। তোমাদের পরিবারের নাড়িনক্ষত্রও। সেখানেই জানতে পারি উনার একমাত্র ছেলের একমাত্র মেয়ে তুমি। পড়াশুনা করছ অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজে। ইনিই যে সেই কালপ্রিট সেটা জানার জন্য আমি একজন সিলেটি বাংলাদেশি ভদ্রলোককে হায়ার করি। জানতে পারি তোমার দাদু প্রতি বিকেলে হাইড পার্কে হাটাহাটি করে। সেই সিলেটি ভদ্রলোকের দায়িত্ব ছিল শুধু জানা উনি কোনো সময় বাংলাদেশে গিয়েছিলেন কিনা। এবং টানা দুইমাসের প্রচেষ্ঠায় উদ্ধার করা সম্ভব হয় যে, উনি যশোরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আরো জানতে পারি উনার মুখ থেকে আমার দিদা ‘অনীতা সাহা’র কথা। তবে সেটা অনেক মিথ্যা সহকারে। নিশ্চিত হই এই সেই লোক। এরপর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি ‘অনীতা সাহা’র সাথে যা ঘটেছে ঠিক একই ব্যাপার তার পরিবারকেও ভুগতে হবে।
সফটওয়্যার কোম্পানীর সিইও পদ ছেড়ে দিয়ে একটি ইকোনোমিক ও স্যোসাল রিসার্চ ফার্মে যোগদান করি। যদিও এই ফার্মটাও আমারই বানানো কলাম্বিয়া ইউনির এক প্রফেসরকে সাথে নিয়ে। এর একটি শাখা খুলে ফেলি বাংলাদেশে। এক বছরের মধ্যে দুটো পাবলিকেশন করিয়ে অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজের প্রফেসর মিঃ ম্যাকডারমটের সাথে যোগাযোগ করি। উনাকে জানাই এক রিসার্চ ফার্মের ফান্ডিং এর ব্যাপারে। এবং আমি উনার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক। এর আগে জেনে নিয়েছি উনার রিসার্চ ইন্টারেস্ট। উনি তৃতীয় বিশ্বের দেশের দারিদ্রতা নিয়ে কাজ করেন। আমি উনার তত্বাবধানে কাজ শুরু করি। তখনই উনাকে বুঝিয়ে আরো একজন জুনিয়র কাউকে সাথে নিতে পারি কিনা সে বিষয়ে উনাকে জানাই। উনি প্রথমে রাজি না হলেও অর্থের ব্যাপারে আমার পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেওয়ায় তোমার কথা বলি। যদিও এ সব কিছু সাজানো ছিল। কিন্তু কাউকে জানতে দেয় নি। এরপর তো তুমি জানো…।
তবে একবার তুমি আমাকে সন্দেহ করেছিল। তখন আমরা যশোরের আমার দিদার দেশ ভবদহতে। সেখানে যে আমি আগেও গিয়েছি এবং আমার সাথে অনীতা সাহার একটি সম্পর্ক রয়েছে এটি কিছু লোক জানত। সে কথায় একদিন এক বৃদ্ধ মুখ ফসকে তোমার সামনে বলে ফেলে। তুমি যেহেতু সে সম্পর্কে কিছুই জানতে না, তাই তোমাকে আমার বুঝাতে বেগ পেতে হয় নি। এছাড়া তুমি আমার সাবলীল বাংলা বলা নিয়ে একটু অবাক হয়েছিলে। আমি স্ট্যানফোর্ডে পড়াকালীন যখন ঐ বাংলাদেশী বন্ধুর কাছে ঐ সব দিনের ঘটনাগুলি জানতে পারি, তখন থেকেই বাংলাদেশ, বাংলা ইত্যাদি নিয়ে আমার আগ্রহ জন্মায়। ঐ বাংলাদেশি বন্ধুটিই আমাকে প্রথম বাংলা ভাষা শেখায়। এরপর আমার আগ্রহ ও জানার তীব্রতা এখানে আনে।
আমি জানি তুমি যখন এ লেখা পড়ছ তখন হয়ত আমাকেও তীব্র ঘৃণা করা শুরু করেছ। হয়ত ভাবছ তোমার দাদুর পাপের ভাগিদার তুমি কেন হবে? দেখো, পৃথিবীতে আমরা অনেক কিছুই উত্তরাধীকার সূত্রে পাই সামাজিক বাস্তবতায়। এটাও ধরে নেও তেমনই কোনো পাওনা। আর মনে রেখো ঐ কুলাঙ্গার ভদ্রলোক শুধু তোমার একার আপন দাদু নয়, দুর্ভাগ্যক্রমে আমারও। কৌশলে তোমার দাদু ও আমার মা’র সাথে তোমার ও আমার ডিএনএ টেস্টও করেছি নিশ্চিত হওয়্যার জন্য। আমি যেদিন উনাকে প্রথম তোমাদের বাসায় দেখি, তখনই গলা টিপে ধরতে মন চেয়েছিল। আমি জানি, তুমি আমাকে প্রচন্ড রকম ঘৃণা করছ এখন। ঠিক একই রকম কিংবা তার চেয়েও অধিক পরিমাণ ঘৃণা অনীতা সাহাও করেছিল নিশ্চয়। তুমি তো তবু আমাকে ভালোবেসে…আর দিদা অনীতা…। ভেবো দেখো, নিজের কষ্টটা কিছুটা লাঘব হবে। আর ঐ শুয়োরটাকে তার কৃতকর্মের সাজা পেতে দাও নিজের পরিবারে এক ঘৃনিত কীট হিসেবে বেঁচে থেকে বাকী জীবনটা।
৪
ছয়মাস পর ক্রিসমাসের দিন আবার একটি পার্সেল আসে। চমৎকার একটি ক্রিসমাস ট্রি। সাথে বাচ্চার ব্যবহারের জন্য নানা উপকরণ। একটি কাগজে লেখা, “...আমার অনাগত জান কিউটি পাই ‘আব্র’ ও তার কিউট মায়ের জন্য’।
নিচে লেখা, ‘আমি শুয়োর নই’!!!
***********************************************
Ⓒ আখেনাটেন: জুন/২০২২
ছবি: pexels.com
০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪০
আখেনাটেন বলেছেন:
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকাল ব্লগে প্রতিক্রিয়া হয় রকেটের গতিতে। --- শুধু ব্লগে না সবজায়গাতেই এখন প্রতিক্রিয়া রকেট গতির। তবে ভালো দিক হচ্ছে মানুষ আবার এগুলো ভুলেও যায় রকেট গতিতে নিউটনের তৃতীয় সূত্র মেনে।
ব্ল্যাক কফি!! -- যাহ...ভালো কথা পেড়েছেন....যাই বানাই....
আপাততঃ লাইক দিয়ে কাজ এগিয়ে রাখলাম। -- --- গল্প পড়ে কচ্ছপ গতির প্রতিক্রিয়া দিতে ভুলবেন না।
২| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুধু ব্লগে না সবজায়গাতেই এখন প্রতিক্রিয়া রকেট গতির।
ভুল। ব্লগের প্রতিক্রিয়ার গতি আর কোন গতির সাথে তুলনীয় নহে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে আলোচিত ঘরে অপু তানভীরের পোষ্ট দেখেন।
কফি কি এক কাপই বানাবেন? যতোদূর জানি, ব্লগের কিরপিনের পদ একজনেরই দখলে!!
০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: ভুল। ব্লগের প্রতিক্রিয়ার গতি আর কোন গতির সাথে তুলনীয় নহে। এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে আলোচিত ঘরে অপু তানভীরের পোষ্ট দেখেন। --- কি? আবার কোনো হাউকাউ? দেখি.......
কফি কি এক কাপই বানাবেন? যতোদূর জানি, ব্লগের কিরপিনের পদ একজনেরই দখলে! ---হা হা; আরে গরম পানির মধ্যে কফির ডিব্বা ঢেলে দিবো নে....পারলে আরো দু চারজনকে ধরে আনেন.....তবে মি: কিরপিনকে কিন্তু ব্লগবাড়িতে বহুদিন দেখি না....গুহাতে ধ্যানে বসেছেন নাকি? খোঁজ-টোঁজ পাইলে জানান...
৩| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
অপু তানভীর বলেছেন: গল্পে পড়তে পড়তে মনে হল যে পাকি শুয়োরের সাজাটা তার নাতনিকে দেওয়াটা ঠিক হল?
তখন চিঠিতে লেখা কথা গুলো পড়ে আবার মনে হল আসলে উত্তরাধীকার সুত্রে আমরা অনেক কিছু পাই । সত্যিই তাই ! এগুলো আমাদের না চাইলেও বয়ে বেড়াতে হয় । এসবের হাত থেকে আমাদের মুক্তি নেই ।
তবে শেষে এসে আবার মন ভাল হল ! গল্পে প্লাস দিলাম !
গল্প প্রসঙ্গে একটা কথা উল্লেখ করি । সময় টা সম্ভবত ২০১২/১৩ এর দিকে হবে । তখন অনলাইণ যুদ্ধাপরাধির পাকিস্তান রাজাকার নিয়ে বেশ উত্তপ্ত । সেই সময়ে ফেসবুকে একজনের একটা পোস্ট থেকে জানতে পারলাম যে আমেরিকায় থাকা এক বাঙালী যুবক যে কিনা প্রচন্ড ভাবে পাকিস্তান ঘৃণা করে সে প্রতিশোধ হিসাবে আমেরিকার থাকা পাকিস্তানী মেয়েদের সাথে ভাব করে তাদের প্রেগনেন্ট করে ছেড়ে দেয় ! সেই সময়ে এটা নিয়ে বেশ উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছিলো ।
০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৫
আখেনাটেন বলেছেন: পাপ নাকি বাপকেও ছাড়ে না............আর আমরা কেউ এর বাইরে নেই.......তাই সময় থাকতেই সাধুদের সাবধান থাকায় ভালো.......!!
সময় টা সম্ভবত ২০১২/১৩ এর দিকে হবে । তখন অনলাইণ যুদ্ধাপরাধির পাকিস্তান রাজাকার নিয়ে বেশ উত্তপ্ত । সেই সময়ে ফেসবুকে একজনের একটা পোস্ট থেকে জানতে পারলাম যে আমেরিকায় থাকা এক বাঙালী যুবক যে কিনা প্রচন্ড ভাবে পাকিস্তান ঘৃণা করে সে প্রতিশোধ হিসাবে আমেরিকার থাকা পাকিস্তানী মেয়েদের সাথে ভাব করে তাদের প্রেগনেন্ট করে ছেড়ে দেয় ! সেই সময়ে এটা নিয়ে বেশ উত্তপ্ত আলোচনা হয়েছিলো । ---হুম; বাস্তব জীবনেও এরকম ঘটনা নানা আঙ্গিকে ঘটছে নানান জাতিতে নানা মত ও পথে। এই নিয়েই মানব জীবন!!!
৪| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০২
ছাকিব নাজমুছ বলেছেন: সুন্দর গল্প লিখেছেন । পাপ যদিও বাপকেও ছাড়ে না, তারপরেও সরাসরি অই পাকিস্তানি সেনার উপর প্রতিশোধ নিলে ভালো হতো সম্ভবত ।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৭
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো লাগার জন্য।
সরাসরি নিতে পারলে তো ভালই হতো....কিন্তু এই বুড়ো বয়সে যেখানে আঘাত করলে প্রতিশোধটা সবচেয়ে মারাত্মক হওয়ার কথা...রায়ান বাবু সেখানেই মনে হয় করেছে?
৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: একটানা পড়ে শেষ করলাম।
লেখা খুবই চমৎকার হয়েছে।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে, মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখা লিখবো। কোনো ভাবেই সেটা হয়ে উঠে না। মনে হয় ভয় পাই।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: গল্প পড়ে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল।
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে, মুক্তি যুদ্ধ নিয়ে কিছু লেখা লিখবো। কোনো ভাবেই সেটা হয়ে উঠে না। মনে হয় ভয় পাই। --- কীসের ভয়? খুলে বলেন দেখি...
৬| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভালো লাগলো
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৯
আখেনাটেন বলেছেন: জেনে খুশি হলুম...
৭| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা। পড়ে আরাম পাওয়া যায়।
ভাষা সুন্দর। কোনো রকম ভান বা ভনিতা নেই।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২৩
আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব ভাই, আমি আপনাকে বলেছিলাম....আমার লেখা না পড়ে মন্তব্য করবেন না।
আবার বলবেন না যেন..."আমি লেখা পড়ি নি, ...জানলেন কীভাবে?..তাহলে বিপদ ডেকে আনবেন....
যাহোক....ফাইহা...পরীরা নিশ্চয় ভালো আছে?
৮| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: নাম দেখে ভেবেছিলাম দুর্দান্ত গোয়েন্দা কাহিনী কিন্তু পড়ে প্রতিশোধের গল্প পেলাম। আসলে কিছু কিছু প্রতিশোধ বড্ড ব্যাক্তিগত থাকে সেই সব প্রতিশোধ নিয়ে ন্যায় অন্যায় বিচার করা যায়।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২৬
আখেনাটেন বলেছেন: নাম দেখে ভেবেছিলাম দুর্দান্ত গোয়েন্দা কাহিনী[/si--- যাহ, হতাশ করলাম কী? এখন আপনার এই মন্তব্য পড়ে তো মনে হচ্ছে আপনার জন্য হলেও একটি দুর্দান্ত গোয়েন্দা কাহিনি লেখায় যায়?
আসলে কিছু কিছু প্রতিশোধ বড্ড ব্যাক্তিগত থাকে----ঠিক তাই.......
৯| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
ইসিয়াক বলেছেন: যশোর ৪৩ বিগ্রেড পড়ার পর ই গল্পটার শেষটা অনুমান করার চেষ্টা করলাম। যে কোন গল্প পড়ে আমি এরকমটা ভাবি। অনেক সময় এভাবে নতুন গল্পের প্লট বেরিয়ে আসে। বেশির ভাগ সময় পরবর্তী ধাপ বা শেষটা মেলে না। কিন্তু আপনার এই গল্পটার ক্ষেত্রে মিলে গেল আমার ভাবনা।
প্রতিশোধ!সুযোগ পাওয়া গেলে অবশ্যই প্রতিশোধ নেওয়া উচিত। কোন ছাড় নেই এই সব নরপিশাচদের বা তাদের বংশধরদের। সেই সময়ের ভুক্তভোগী মাত্র জানে, নিরীহ মা বোনেরা জানেন কি অবস্থায় কত দুরবস্থায় তাদের জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত অতিবাহিত করতে হয়েছে মুক্তি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে। আফসোস এখনকার অল্প বয়সীরা বুঝবে না কি সব অভিশপ্ত দিন ছিল সে সব।
গল্প ভালো লেগেছে।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: আপনার এই গল্পটার ক্ষেত্রে মিলে গেল আমার ভাবনা। --- আপনি পাকা একজন গল্প লিখিয়ে হয়ে উঠছেন
তা বুঝা যাচ্ছে। সাধারণ পাঠকদে তো সহজে প্রডিক্ট করার কথা না।
সেই সময়ের ভুক্তভোগী মাত্র জানে, নিরীহ মা বোনেরা জানেন কি অবস্থায় কত দুরবস্থায় তাদের জীবনের প্রতিটা মুহুর্ত অতিবাহিত করতে হয়েছে মুক্তি যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে। --- হুম; দেশেও তাদের সেসময় স্থান দিতে নেতাদের কার্পণ্য ছিল। ফলেই ম্যাকবে-ট্যাকবে নাম ধারণ করতে হয়েছে....
খুশি হলুম ভালো লেগেছে জেনে।
১০| ০৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:০২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অনেক বড় লেখা। যারা একটু আধটু কাজ করে তাদের জন্য এত সময় বের করা মুশকিল; তাই একটু ছোট হলে পড়তে সুবিধে হয়।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩২
আখেনাটেন বলেছেন: ভাইরে লেখা ছোট করলে তো সেটা পরমাণু গল্পের ট্যাগ দিয়ে প্রকাশ করতে হবে।
১১| ০৫ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: গল্পটা পড়লাম। আপনার লেখা এমনিতেই আমি পছন্দ করি, কাজেই এ'ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হওয়ার কোন কারন নাই। গল্প পড়তে ভালো লেগেছে.........এটা এক কথায় বলা যায়। তবে, গল্পে কিছু ফাক-ফোকর আছে, যেগুলোকে ঢাকতে পারলে আরো ভালো হতো। আপনি কি ফাক-ফোকড়গুলোর ব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক? তবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাকে অনেক টাইপ করতে হবে। আমার মতো অলসের জন্য এটা একটা বিশাল সমস্যা, সময়েরও অভাব!!!
সুতরাং.........বরন্চ এক কথায় বলি........চমৎকার গল্প!!!
অ.টঃ বিশ্বস্ত সূত্রের খবর। আমাদের প্রিয় কিরপিন অভিমান করে ব্লগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। পপ সম্রাটের মতো করে বলি......অভিমানী, তুমি কোথায় হারিয়ে গেছো!!!!
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৯
আখেনাটেন বলেছেন: লেখা ভালো লাগায় খুশি হলুম....
গল্পে কিছু ফাক-ফোকর আছে, যেগুলোকে ঢাকতে পারলে আরো ভালো হতো। আপনি কি ফাক-ফোকড়গুলোর ব্যাপারে জানতে ইচ্ছুক? তবে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাকে অনেক টাইপ করতে হবে। আমার মতো অলসের জন্য এটা একটা বিশাল সমস্যা, সময়েরও অভাব!! --- আরে...ভুল ভ্রান্তি না ধরলে.....লেখাতে হাত পাকবে ক্যামনে? ভুল ধরবেন এতেই তো আ্যমেচার লিখিয়ে থেকে প্রফেশনালের দিকে পা বাড়ানো যাবে...আপনারা কী চান না আমারও এক দুটো সাহিত্য-টাহিত্যের বই খোলা বাজারে হামাগুড়ি কিংবা গড়াগড়ি করুক। হিংসুক আছেন মাইরি...
কিরপিন তাহলে গোস্সা করেছে......?
১২| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন,
একটা জমজমাট গল্প লিখে ফেলেছেন।
মানবিক প্রতিশোধের গল্প। ভ্রন যেমন ধীরে ধীরে মানবসন্তান হয়ে ওঠে তেমনি করেই প্রতিশোধের চারাটিও পরিপক্ক হয়েছে দিনে দিনে! একসময় তা পরিনত হয়েছে মহীরুহে! গল্পের ধরনটাই অমন করে গড়ে তুলেছেন।
++++++
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪২
আখেনাটেন বলেছেন: মানবিক প্রতিশোধের গল্প। ভ্রন যেমন ধীরে ধীরে মানবসন্তান হয়ে ওঠে তেমনি করেই প্রতিশোধের চারাটিও পরিপক্ক হয়েছে দিনে দিনে! একসময় তা পরিনত হয়েছে মহীরুহে! ---বাহ...আপনার মন্তব্য মানেই মন্তব্যের ঘরে তুলির আচঁড়...কিছুক্ষণ চোখ লাগিয়ে রং এর কারুকাজ দেখা....
...এসেছেন, পড়েছেন, ভালো লেগেছে জেনে আপ্লুত হলুম।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৩| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আলিজেহকে কেন "ভিকটিম"এ পরিণত হলো?
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন:
তামাশার নাকি নিষ্ঠুর এই দুনিয়াতে কে যে কখন "ভিকটিম" এ পরিণত হয়....?
তনুরা কেন ভিকটিম হয়, এ প্রশ্ন তো বাংলাদেশীদের প্রতিনিয়ত হানা দিয়ে যাচ্ছে?....কোন উত্তর তো মিলে না?
১৪| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি খুব ভাল লিখেন।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৭
আখেনাটেন বলেছেন: খুশি হলুম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কীসের ভয়? খুলে বলেন দেখি...
গুছিয়ে না লিখতে পাড়ার ভয়।
০৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: গুছিয়ে না লিখতে পাড়ার ভয়। --- এটা কোনো কথা বললেন? আমরা বেশির ভাগই এখানে আ্যমেচার লিখিয়ে.... এ ধরনের বস্তাপচা গল্প দিয়ে বাংলা সাহিত্যের কী ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে? বরং নিজের জন্য কিছু ভালো লাগা তৈরি হয় এই আর কি!!!
লিখতে থাকুন.....ভয় কেটে যাবে....আমি নিজেও ভয়ে থাকতুম.....কী লিখতে কি লিখে ফেলি....শেষে ইজ্জত নিয়ে যেন টানাটানি শুরু না হয়.....এই তো এখন এসব অখাদ্য লিখে চলেছি...যদি কখনও বই-টই বের করার চিন্তা থাকে তাহলে ভয় পাওয়া যেতে পারে....আপাতত ওরকম চিন্তা না থাকলে লিখে ফেলুন আমার মতো....আমরাও পড়ি....
১৬| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: লিখে ফেলুন !! আমার গোয়েন্দা উপন্যাস দারুন লাগে বেশ ভালো ব্রেইন স্টরমিং হুয় !!! নীহার রঞ্জন গুপ্তের কালো ভ্রমর পড়ে বেশ কিছুদিন নিজেকে গোয়েন্দা ভাবা শুরু করেছিলাম । দেয়ালে টিকটিকি দেখলেও সন্দেহ হতো ।
০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
আখেনাটেন বলেছেন: দেখি.....অনুরোধে ঢেঁকি গেলা যায় কিনা...নাকি ঢেঁকি গলায় আটকে শেষে দম যাওয়ার দশা হয়।
নীহার রঞ্জন গুপ্তের কালো ভ্রমর পড়ে বেশ কিছুদিন নিজেকে গোয়েন্দা ভাবা শুরু করেছিলাম । দেয়ালে টিকটিকি দেখলেও সন্দেহ হতো । ----পশ্চিমবঙ্গের লেখকরা অনেক কিংবদন্তি গোয়েন্দা চরিত্র তৈরি করে গেছেন...পাশাপাশি স্কুল-কলেজে পড়ার সময় রহস্য পত্রিকার গল্প গুলো পড়েও ঐ রকমই মনে হত....
এখনকার গোয়েন্দা কাহিনি আর তেমন পড়া হয়নি......।
১৭| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের বিভৎসতার ক্ষত পরবর্তী বহুদিন নয়া প্রজন্মকে ভাবিয়ে তুলবে।কবে সেই ৭১ গেছে। কিন্তু ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছে মানুষ আজও।যেটা উপমহাদেশে গণ্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে সাগর পাড়ের পশ্চিমা দেশে। এ এক অন্য প্রতিশোধ, অন্য অন্তর জ্বলনের প্রতিশোধ স্পৃহা রায়াদেরকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করাবে।
গল্প ভালো লেগেছে।
শুভেচ্ছা প্রিয় ফ্যারাও ভাইকে।
০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:২১
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক দা.......এই পাশবিক নির্যাতনের মধ্যে দিয়ে যারা গেছেন, তাদের কথা চিন্তা করলেও গা শিউরে উঠে।
:"জন্মদাত্রীর খোঁজে বারবার ছুটে আসেন রায়ান : বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুদের প্রথম যে দলটিকে কানাডায় দত্তক নেওয়া হয়েছিল তাদেরই একজন রায়ান গুড। কানাডা থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধশিশুদের একটি দল জন্মভূমিতে ফিরে আসে ১৯৮৯ সালে। সেই দলে পালক মা-বাবাসহ ছিলেন রায়ানও। বাংলাদেশে সপ্তাহকাল অবস্থান করে সেই দলটি। রায়ান তখন ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিবেশ ও সম্পদ বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ রায়ানের মনের কোণে থেকেই যায়। এক তীব্র আকর্ষণে আবার তিনি ফিরে আসেন ১৯ বছর বয়সে। তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ব্রেন্ট জিনজারিক। নিজের গর্ভধারিণী মায়ের সঙ্গে দেখা করার উদগ্র বাসনায় রায়ান ছুটে যান পুরান ঢাকায় শিশু ভবনে, যেখানে তাঁর জন্ম হয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনো তথ্যই নেই তাঁর গর্ভধারিণী মায়ের। তাঁর অসম্ভব পীড়াপীড়িতে শিশু ভবনের কর্মীরা একটি মাত্র তথ্য জানাতে পারেন, সেটি হলো—রায়ানের মা ছিলেন বরিশালের মেয়ে। এই একটি মাত্র তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রায়ান ছুটে যান বরিশাল পর্যন্ত। কিন্তু বিফল হয় তাঁর ছোটাছুটি। তবু হার মানতে চায় না রায়ানের মন। না দেখা মাকে দেখার আকাঙ্ক্ষা মনে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে ওঠে। এবার তিনি ছুটে যান কলকাতায় মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রধান কেন্দ্রে। সেখানকার কর্তৃপক্ষও রায়ানকে কোনো সুসংবাদ দিতে পারেনি।
এদিকে মাকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিলেও রায়ান বাংলাদেশের প্রতিও অনুভব করেন এক ধরনের টান। মায়ের দেশ, নিজের জন্মভূমিকে জানা-চেনার জন্য আবারও তিনি ফিরে আসেন এ দেশে ১৯৯৮ সালে। সেবার টানা এক বছর অবস্থান করেন তিনি।
‘বাংলাদেশে আসা প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে’ রায়ান গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন, বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য দেন। রায়ান বলেন, ‘যুদ্ধশিশু হওয়ার তাত্পর্যটি আমি বুঝতে পারিনি, যত দিন না আমি ১৮ বা ১৯ বছরে পৌঁছাই। যুদ্ধ সম্পর্কে আমার ধারণাও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে। যুদ্ধে যেসব ধ্বংসাত্মক কাণ্ড ঘটে, সেগুলো সম্পর্কে যখন আমার ধারণা হলো, তখন আস্তে আস্তে বুঝতে পারি যে আমি একজন যুদ্ধশিশু। আমার জন্মদাত্রী মাকে পাকিস্তানি সেনা ধর্ষণ করেছিল এবং ধর্ষণের ফলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরে আমার জন্ম। এ রূঢ় সত্যটি আমি হূদয়ঙ্গম করেছি। ’ রায়ান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার আকুতি জানান এবং পেয়েও যান।
ঢাকার শিশু ভবনের তথ্য অনুসারে রায়ানের জন্ম ১৯৭২ সালের ২৭ জুন। পাকিস্তানি সেনাদের ধর্ষণে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের ফলে জন্মদাত্রী মা সন্তান জন্মদানের পরপরই প্রসূতি সদন ত্যাগ করেছিলেন। নাম-পরিচয়হীন অন্য যুদ্ধশিশুদের মতো রায়ানেরও আর কোনো জন্মবৃত্তান্ত নেই। জন্মের সময় তাঁর ওজন ছিল আড়াই কেজি। জন্মের পর শিশু ভবন কর্তৃপক্ষ নাম রেখেছিল বাদল। কিন্তু অনিচ্ছাকৃতভাবে রেজিস্টার বুকে তাঁর নাম লিপিবদ্ধ হয় বাথল নামে। দত্তক নেওয়া মা-বাবা শিশুটির নাম রাখেন রায়ান। জন্মপরিচয়ের বাথল নামটিও রেখে দেন। ফলে পরিবারের নাম গুড যুক্ত হয়ে নাম দাঁড়ায় রায়ান বাথল গুড।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার পর নিজের নামের ভুলটি সংশোধন করে নেন রায়ান। তাঁকে যখন জানানো হয়, বাথল কোনো বাংলা নাম হতে পারে না। সেটা আসলে হবে বাদল। সংশোধন করে নামটি দাঁড়ায় রায়ান বাদল গুড।
যুদ্ধশিশুদের নিয়ে ২০০৩ সালে নির্মিত রেমন্ড প্রভঁশের বিখ্যাত প্রামাণ্যচিত্র ‘ওয়ার বেবিজ’-এ রায়ান অন্যতম প্রধান চরিত্র।
রায়ান অন্টেরিওতে বসবাস করছেন। এরই মধ্যে বিয়েও করেছেন। একটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট কম্পানি ও চেইনস নামের একটি পানশালার মালিক তিনি।
গবেষক মুস্তফা চৌধুরী গুড পরিবার ও রায়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বৃত্তান্ত সংগ্রহ করেন। মুস্তফা চৌধুরীকে রায়ান বারবার জানিয়েছে, সে কখনো বাংলাদেশ ভোলেনি, ভুলতে পারবে না। --- এরকম ঘটনাও ঘটেছে.....তথ্যসূত্র
১৮| ০৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:২১
রাজীব নুর বলেছেন: আজিব!!!!
আপনার কেন মনে হলো পড়ি নাই!!!
প্রমান দিবো এ লেখাটা পড়েছি?
পরী ফাইহা দুজনের ভালো আছে। আজ পরীর জন্মদিন।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৭
আখেনাটেন বলেছেন: রাজীব ভাই, মনে হলো নয়, প্রমাণ পেয়েছিলুম...চাইলে দেখাতে পারি...নিজের বেইজ্জতি খোলা টয়লেটের মতো উন্মুক্ত করতে চাইলে আমার কী করার আছে? ভেবে দেখুন..
প্রমান দিবো এ লেখাটা পড়েছি?-- হুম; এখন প্রমাণ দিতে পারবেন, কারণ দ্বিতীয় মন্তব্যের আগে আপনি লেখাটি পড়েছেন। সমস্যা হচ্ছে আপনি নিজেকে অনেক চালাক মনে করেন। হা হা। তবে একটি জিনিস মাথায় রাখেন, এই ব্লগে আমার চেয়ে অনেক বেশি আইকিউওয়ালা মাথা আছে। তবে এটি বলতে পারি, আপনার চেয়ে আমার আইকিউটা বেশি। প্রমাণও নিশ্চয় পেয়েছেন অনেকবার।
পরীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
১৯| ০৬ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানাই আপনার এমন সুন্দর একটি প্রতিমন্তব্য পেয়ে। তথ্যসূত্র সম্বলিত প্রতিমন্তব্যটি নিঃসন্দেহে পোস্টটির সমৃদ্ধতা বহুগুন বাড়িয়ে দিয়েছে।++++
অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় ফ্যারাও ভাইকে।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৮
আখেনাটেন বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক দা।
২০| ০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের এই গল্পের একটা রিভিউ লেখার জোশ নিয়ে আসলাম। এসে দেখি, আপনের আরেকটা পোষ্ট। সেটার কি মন্তব্য করা যায় ভাবতে ভাবতে আরেকটা কাজে ব্যস্ত হলাম। পরে এসে দেখি, সেই পোষ্ট উধাও!!! মাথা তো পুরাই আউলায়া দিলেন!! আপনে কি আউলিয়া সাবের নতুন সাগরেদ?
যাই হোক, ডিস্ট্রাক্টেড হয়া রিভিউ লেখার জোশ হারায়ে ফালাইসি। ব্লগে দেখি চারিদিকে ভেলকি!!!
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৫
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা; পোস্টটা করার কিছু পরেই মনে হলো.....খুব কাছাকাছি সময়ে দুটো পোস্ট করে ফেলেছি....এতে ব্লগে সময় বেশি দিতে হবে। এদিকে হুট করে একটি কাজে আটকে গেছি...মন্তব্যের উত্তর না দিলে আবার আপনার মতো ভুয়ারা ভুয়া উত্তেজনায় লাফালাফি করবেন।
মায় আমার বিরুদ্ধে ব্লগে পোপাগন্ডাও চালাতে পারেন যে ব্যাটা ভুয়া ফ্যারাও পোস্ট দিয়ে পালিয়ে যায..বয়কট..হিম...।
মাথা তো পুরাই আউলায়া দিলেন!! আপনে কি আউলিয়া সাবের নতুন সাগরেদ? --- এই আউলিয়াটা আবার কেডা? আমার গুরুর আসন লিবার চায়?
যাই হোক, ডিস্ট্রাক্টেড হয়া রিভিউ লেখার জোশ হারায়ে ফালাইসি। -- ভুয়াদের নিয়ে এই এক সমস্যা....সামান্যতেই ডিস্ট্রাক্টে হয়া কোঁৎকায়ে যায়....আসল ভুয়া হলে এবার জোশসহ রিভিউ দিন....।
২১| ০৬ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ২০ নম্বর কমেন্টে ভুয়া ভাইয়ের মাথা আউলাইয়া গেছে আপনার সদ্য প্রস্ফুটিত হওয়া পোস্ট নিরুদ্দেশ নেওয়াতে বুঝতেই পারছি ওনার ভুয়ার রিফ্লেকশন কমে গেছে। ভুয়া ছেড়ে উনি এখন আসল হবার দিকেই এগিয়ে চলেছেন নিঃসন্দেহ উপভোগ্য বৈকি।
অফটপিক:-কিরপিন মহাশয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি আপাতত এ পাড়াতে আসবেন না। তবে সময় নিয়ে ভুয়া ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৯
আখেনাটেন বলেছেন: ভুয়া ভাইয়ের মাথা আউলাইয়া গেছেআপনার সদ্য প্রস্ফুটিত হওয়া পোস্ট নিরুদ্দেশ নেওয়াতে... --- হা হা হা; এটি আমি আগে জানলে কী নিরুদ্দেশ করতুম। এমনিতেই ব্লগে মাথা আউলানো লোকের ছড়াছড়ি, আবার নয়া...আমদানী....এ হবার লয়?
অফটপিক:-কিরপিন মহাশয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। উনি আপাতত এ পাড়াতে আসবেন না। --- ক্যানে ক্যানে। উনি কী যজ্ঞে বসেছেন নাকি?
২২| ০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:০৯
ল বলেছেন: মসথা নষ্ট প্লট!!!!
এত দেখি প্রতিশোধের দ্রোহ!!!!!
ঠাসকি লাগছে।।।।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫০
আখেনাটেন বলেছেন: ওয়াও......আপনি এত দিন পর কই থেকে আসলেন?
গম আছন নি?
২৩| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:১৯
সোহানী বলেছেন: প্লানটা একটু দীর্ঘ মনে হলো। আমার হাত নিশপিশ করছিল আরো সর্টকাটে কিছু করার................।
ভালো লাগলোতো অবশ্যই।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫২
আখেনাটেন বলেছেন: আমার হাত নিশপিশ করছিল আরো সর্টকাটে কিছু করার................। --সোহানীপাকে কী হাসুয়া-বটি কোনো একটা কিছু যোগান দিতে হবে নাকি? ভাব দেখে তো মনে হচ্ছে আমি সামনে থাকলে আমাকেও ধরতেন....দ্যাখেন দুলাভাইকে আবার...বিপদে ফ্যালেন না।
ভালো লাগলোতো অবশ্যই। -- শুকরিয়া।
২৪| ০৭ ই জুন, ২০২২ সকাল ৯:৩১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: রায়ান আলিজেহকে ভালোবেসে কিন্তু ওই ক্যাপ্টেন অনীতাকে?
যথেষ্টই পার্থক্য। তবে ক্যাপ্টেনের শাস্তিটা সমুচিত হয়েছে।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪
আখেনাটেন বলেছেন: হুম; পার্থক্য তো আছে বটেই......
তবে ক্যাপ্টেনের শাস্তিটা সমুচিত হয়েছে। --- আরো দিতে পারলে মনে হয় ঠিক হত...আপাতত এটাই সই..।
২৫| ০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০২
ছাকিব নাজমুছ বলেছেন: ''সরাসরি নিতে পারলে তো ভালই হতো....কিন্তু এই বুড়ো বয়সে যেখানে আঘাত করলে প্রতিশোধটা সবচেয়ে মারাত্মক হওয়ার কথা...রায়ান বাবু সেখানেই মনে হয় করেছে?''
তা ঠিক । তবে গল্পটা খুবই ভালো লেগেছে ।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৫
আখেনাটেন বলেছেন: তবে গল্পটা খুবই ভালো লেগেছে । -- ধন্যবাদ পুনরায় মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আজকাল ব্লগে প্রতিক্রিয়া হয় রকেটের গতিতে। আমি একটু অলস মানুষ, এতো দ্রুত প্রতিক্রিয়া দিতে পারি না। তাই গল্পটা পড়ে আবার আসবো। আপাততঃ লাইক দিয়ে কাজ এগিয়ে রাখলাম।
চ/কফি চাইলে আজকাল অনেকের গাত্রদাহ হয়। তারপরেও বলি,
প্রথম হইলাম। এক কাপ কফি হবে? ব্ল্যাক কফি!!!